জাতীয়
চার দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
![চার দিনের সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/president-2.jpg)
আগামী রবিবার (৯ জুন) চার দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মো. মামুনুল হক স্বাক্ষরিত সফরসূচি থেকে জানা গেছে, ৯ জুন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে পাবনায় পৌঁছাবেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে পৌঁছে গার্ড অব অনার শেষে বিশ্রাম নেবেন এবং রাতযাপন করবেন।
পরদিন ১০ জুন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনার সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ১১ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। রাষ্ট্রপতি ১২ জুন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে পাবনা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে বরাবরের মতোই জেলাজুড়ে চলছে আনন্দ-উৎসব। রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে পাবনা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পাবনায়। তিনি স্নাতক এবং এলএলবি পড়েছেন পাবনায়। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করেন। পাবনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। রেড ক্রিসেন্টের জেলা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাবনায় সাংবাদিকতা করেন।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত পাবনা প্রেস ক্লাবের তিনি ২২তম সদস্য। ছাত্র রাজনীতিসহ নানা সমাজসেবা কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে পাবনাবাসীর আবেগের শেষ নেই।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বস্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে ঘিরে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। তার চতুর্থবারের মতো নিজ জেলা পাবনা সফর যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
![দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/mahbubur-rahman.jpg)
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই। দুর্নীতি করলে শাস্তির আওতায় আসতে হবে।
সোমবার (০১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদরা ও এনবিআরের ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নাম ওঠে এসেছে। এর মধ্যেই এদের বিরদ্ধে তদন্তের কাজ শুরু করেছে দুদক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ঢাবিসহ ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
![সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ঢাবিসহ ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/04/dhaka-university-du.jpg)
সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’-এর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।
সোমবার (১ জুলাই) কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দাবি হলো তিনটি। এগুলো হলো প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল।
এর আগে, রোববার (৩০ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতির মোর্চা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছি। সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সরকারের কাছে আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
একই দাবিতে রোববার (৩০ জুন) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এত দিন কর্মবিরতিতে পরীক্ষা এর আওতার বাইরে ছিল। কিন্তু ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন শিক্ষকেরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চিন্তার উৎকর্ষ সাধনের জন্য উচ্চশিক্ষা দরকার: স্পিকার
![চিন্তার উৎকর্ষ সাধনের জন্য উচ্চশিক্ষা দরকার: স্পিকার আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/spekar.jpg)
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। চিন্তার উৎকর্ষ সাধন ও মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি বিকশিত করার জন্য উচ্চশিক্ষার দরকার। উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শুধু শ্রমবাজার নয়, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি।
সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’ প্রতিপাদ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো উপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ারুল চৌধুরী পারভেজ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
স্পিকার বলেন, ১৯৪৮ এর জিন্নাহর উর্দু ভাষাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন, ৫২ সালের ভাষা শহিদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান এবং ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ প্রণয়ন করেন। এই আদেশবলে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ তরুণ। এই তরুণদের অনেক বেশি কর্মদক্ষতা রয়েছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা কাজে লাগানোর এখনই উপযুক্ত সময়। সেজন্য তরুণদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা উন্মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে উচ্চশিক্ষায় জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তরুণদের শ্রম বাজারের উপযোগী করে বিশেষায়িত জ্ঞানে সজ্জিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার কারিকুলামে পরিবর্তন আনতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংসহ স্টার্টআপের বিভিন্ন ধরনের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে হবে।
এসময় স্পিকারকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকা, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ খণ্ডসমগ্র প্রদান করা হয়।
এর আগে ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন উপাচার্যবৃন্দ, ফ্যাকাল্টি মেম্বারস, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ, দেশবরেণ্য সাংবাদিকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ছয় মাসে ৪৭৫ শ্রমিকের মৃত্যু
![কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ছয় মাসে ৪৭৫ শ্রমিকের মৃত্যু আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/fire-service.jpg)
গত ৬ মাসে অর্থাৎ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ৪২০টি দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের একই সময়ে সারাদেশে ২৮৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৩৮৯ জন শ্রমিক। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) খবরের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থা সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
জরিপে পাওয়া কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন পরিবহন খাতে, ২৫০ জন। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান) ৭৪ জন, কৃষিখাতে ৬৬ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নির্মাণখাতে নিহত হয়েছেন ৫২ জন এবং কলকারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে এই সংখ্যা ৩৩।
সোমবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি সংস্থা সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) এসব তথ্য জানায়।
জরিপে মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০ জন (পরিবহন খাতের ২৫০ ছাড়াও অন্যান্য খাতের শ্রমিক ও কর্মক্ষেত্রে যাওয়া আসার পথে দুর্ঘটনাসহ); বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫২ জন; বজ্রপাতে ৫১ জন; মাচা বা উপর থেকে পড়ে মারা গেছেন ২৩ জন। শক্ত বা ভারী বস্তুর দ্বারা আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ১৫ জন; রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাঙ্ক বা পানির ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৮ জন; পানিতে ডুবে ৬ জন; আগুন ও বিস্ফোরণে ৩ জন; গার্ডার ধসে ১ জন এবং অন্যান্য কারণে ৬ জন নিহত হয়েছেন।
জরিপের তথ্য প্রকাশকালে এসআরএস-এর নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু বেড়ে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করে তা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক
![নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/prime.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ও নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার) সুমন মেহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈঠকের শুরুতে জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্তম্ভ স্থাপন করায় নাগাসাকির মেয়রের দেওয়া সার্টিফিকট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র হ ম মুক্তাদির। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনের দপ্তর থেকে প্রাপ্ত চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সচিবালয়ে ব্রিফ করেছেন।