পুঁজিবাজার
বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান বলেন, যাদের দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ প্রয়োজন তারা অর্থ নেয়ার জন্য ব্যাংকে না গিয়ে শেয়ারবাজারে আসবে, আর যারা বিনিয়োগ করবে তারা অন্য যায়গায় যে রিটার্ন পেত তার চেয়ে ভালো রিটার্ন পাবে।
তিনি আরো বলেন, বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সময় সাপেক্ষ হলেও মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালনার উপর জোর দেয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা বিদেশি বই পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে থাকি এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবেষণা করা প্রয়োজন এবং সেই গবেষণালব্ধ ফলাফল বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। বর্তমানে গবেষণা কার্যক্রমে জোরদান করা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে নিয়মিত জার্নাল বের হচ্ছে। বর্তমানে জার্নাল সম্পাদনা বোর্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশি-বিদেশী বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গবেষক রয়েছেন। সুতরাং গবেষণার মান উন্নত হলে উক্ত গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া যাবে। তাই তিনি গবেষণা কার্যক্রম আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন। বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণা সেমিনারের সমন্বয়ক কাশফীয়া শারমিনের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বালাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির পুঁজিবাজারে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে অংশগ্রহণকারী তথা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঠিক জ্ঞানের স্বল্পতা, তারল্য সংকট, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া ইত্যাদি। উক্ত প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষিত করণে এবং বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিআইসিএম প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমে বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনটি বিআইসিএমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ আমরা প্রথম বারের মতো পুঁজিবাজার বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে ধারণা বিনিময় করার জন্য একত্রিত হয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের আর্থিক বাজারের উন্নয়নে সহায়ক কার্যক্রমকে তরান্বিত করা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সঠিক ও সময়োপযোগী জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারের উপর গবেষণাধর্মী এ ধরনের আয়োজন সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বিআইসিএম এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, বিআইসিএম এর একটি সমৃদ্ধ গবেষণা টিম রয়েছে। যাদের গবেষণা লব্ধ জ্ঞান একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। একইসাথে একটি গবেষণা আর্কাইভ গঠনে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক বলেন, বিআইসিএম দেশের পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, আজকের এই গবেষণা সম্মেলনের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান হতে ৪৪টি প্রবন্ধ জমা পড়েছে। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য এর মধ্য থেকে সেরা ১০টি প্রবন্ধ বাছাই করা হয়েছে। এ ধরনের গবেষণা সম্মেলন দেশের পুঁজিবাজারকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দুপুর ২টায় গবেষণা সম্মেলনের প্রথম সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম। বিকাল সাড়ে ৫টায় গবেষণা সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শান্তা এসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান।
সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ১০টি প্রবন্ধ থেকে প্রথম সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নূরুল কবির ও ২য় সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক ইমরান খান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিআইসিএম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জার্নাল অব ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটস অ্যান্ড গভন্যান্স’ এ প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো থেকে সেরা প্রবন্ধ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বিমা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাদ মুজিব লালন ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তানভীর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম ও বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান। বিআইসিএমের গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এ পুরস্কারের অর্থায়ন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মো:.হাসান বাবু, আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুবর্ন বড়ুয়া প্রমূখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিআইসিএমের সেমিনার

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এ নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১৯ এপ্রিল ২০২৫) ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘Accelerating Women’s Financial Independence: Investing in the Capital Market’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়ে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্সটিটিউটের নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন।
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং বিশেষ অতিথি ও প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজেদা খাতুন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউটের প্রভাষক এবং নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির সদস্য ফাইমা আক্তার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারজানা লালারুখ বলেন, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জায়গা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনারেদকে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে যে এটি একদিনের বিনিয়োগ ক্ষেত্র নয়। আপনাকে প্রথমেই মনে রাখতে হবে যে আপনি যাকে পুঁজি দিয়েছেন উনি দীর্ঘমেয়াদের জন্য পুঁজি নিয়েছেন। তাকেও মুনাফা করতে সময় দিতে হবে, আপনারও মুনাফা গ্রহণের সময় আসতে হবে। তাহলেই আপনি লাভবান হবেন।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এই আজকে ক্ষতি হলো, আমার অবস্থা খারাপ, তাই আমি মার্কেট থেকে চলে যাই। এই ধরনের সিদ্ধান্ত যেমন নেয়া যাবে না, তেমনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে খুব তাড়াতাড়ি বড়লোক হয়ে যাব সেটাও কিন্তু চিন্তা করা যাবে না। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বড়লোক হওয়ার যায়গা না। একটি শেয়ার কিনে মূলত আপনি একটি কোম্পানির মালিক। সুতরাং আপনাকে ওই কোম্পানিকে ধারণ করতে হবে। লাভ-লোকসান দুটোই মেনে নিতে হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুজবে কান না দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে নাজমুছ সালেহীন বলেন, বিআইসিএম নারী বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে এবং পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে অব্যহতভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। উক্ত প্রশিক্ষণ থেকে জ্ঞান আহরণ করে নারী বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে নিজেরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নারীদের এধরনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্যানেল আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির সদস্য এস. এম. কালবীন ছালিমার সঞ্চালনায় এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজেদা খাতুন এবং বিআইসিএম এর সহযোগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) ফয়সাল আহমেদ খান।
অতিথিগণ সেমিনারে অংশগ্রহণকারী নারী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন। এ সময় মাজেদা খাতুন বলেন, পুঁজিবাজরে বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্যের বৈচিত্রতা আনতে হবে। এতে নারী বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হবেন। ফলে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে।
সেমিনারে নারী বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিআইসিএমের সকল অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির এক বছরের মধ্যে অফার মূল্যের নিচে নেমেছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের শেয়ার। লেনদেন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩৯ শতাংশ। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তালিকাভুক্তির আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, নানান নাটকিয়তার পরে কোম্পানিটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্ত করার পায়তারা করে প্রথম ধাপে ব্যর্থ হলেও ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় কোম্পানিটি ২৪ টাকা দরে প্রথম শেয়ার লেনদেন শুরু করে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শেয়ার দর নেমে এসেছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা যা শতকরা হিসেবে ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট কোম্পানিটির মালিকপক্ষ ২৪ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করলেও বর্তমানে মালিকপক্ষ চাইলেই ৬ টাকা কমে শেয়ার কিনতে পারে। এছাড়াও সরকারি ব্যাংকগুলোকে ৬৫টাকা দরে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ধরিয়ে দেয় কোম্পানিটি। সে হিসেবে সরকারি ব্যাংকগুলো শেয়ার প্রতি লোকসানে রয়েছে ৪৮ টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি ব্যাংকগুলো এতো উচ্চ মূল্যে কেন এবং কার স্বার্থে দুর্বল কোম্পানিটির প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা উচিৎ।
কারসাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ অর্থসংবাদকে বলেন, আমি বাহিরে আছি। এ বিষয়ে আগামীকাল কথা বলব।
এর আগে, রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকসহ পাঁচ ব্যাংকের ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগে বেস্ট হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জনতা ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ও এনসিসি ব্যাংক পিএলসি থেকে মোট ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করেছে। তার মধ্যে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকিং বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, কোম্পানিটি ২০২০ সালে আইন লঙ্ঘন করে সরকারি কোম্পানির তকমা দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। সে সময় প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে। ব্যাংকগুলো প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ৬৫ টাকায় ক্রয় করে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের শেয়ারের কারণে সরকারি কোম্পানি হিসাবে ফাঁকফোকর দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। কিন্তু গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখির কারণে সেই উদ্যোগে ব্যর্থ হয় কোম্পানিটি।
সূত্র জানায়, আগেরবার সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলো বেস্ট হোল্ডিংস কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির শেয়ার কিনেছেন বা মালিকানায় শরিক হয়েছেন শতাধিক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটিতে ওই সব ব্যক্তি ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংকের বিনিয়োগ আটকে আছে। তাই কোম্পানিটিকে দ্রুত বাজারে এনে ওই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ফেরত দিতে পুনরায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজটি যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সে জন্য আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলোয় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়েছিলো ৩৫ টাকা। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, আট-অফ মূল্য থেকে ৩০ শতাংশ কম দামে তথা ২৪ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হয়। এই কোম্পানিটির বাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেড। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, বুক বিল্ডিং পদ্ধিতিতে কাট অফ প্রাইস বেশি রাখার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন উপায় শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো। যা বেস্ট হোল্ডিংসের ক্ষেত্রেও অনৈতিক উপায়ে ইস্যু ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রুবায়েত-ই-ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থসংবাদকে জানান, হাসপাতালে আছি, পরে কথা বলব। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও অস্থিরতা কাটেনি। বাজারে এক দিন উত্থান হলে দুই দিন পতন হয়। এ ছাড়া এতগুলো কোম্পানিটির শেয়ারদর অফার মূল্যের নিচে থাকার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিগত সরকারের আমলে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নানা সংস্কারে হাত দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষ আস্থা পাচ্ছে না। এতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল। হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই, ২৪-ডিসেম্বর, ২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ৭৭ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।
এর আগের সপ্তাহের (৬ থেকে ১০ এপ্রিল) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৭৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বিডি ফাইন্যান্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১০ দশমিক ০০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার দর কমেছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪ দশমিক ৯০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩২ দশমিক ৯০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, এস আলমের ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, সাইনপুকুর সিরামিকসের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ, এস এস স্টীলের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩১.৬০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৭.৭০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রেইনউইন যজ্ঞেশরের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৭৩০.৫০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাহজিবাজার পাওয়ারের ১৩.৯৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১১.৭৬ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৮.৭০ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৭২ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিকের ৭.৫৩ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৬.৮৩ শতাংশ এবং এনআরবি ব্যাংকের ৬.৩৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
কাফি