পুঁজিবাজার
বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান বলেন, যাদের দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ প্রয়োজন তারা অর্থ নেয়ার জন্য ব্যাংকে না গিয়ে শেয়ারবাজারে আসবে, আর যারা বিনিয়োগ করবে তারা অন্য যায়গায় যে রিটার্ন পেত তার চেয়ে ভালো রিটার্ন পাবে।
তিনি আরো বলেন, বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সময় সাপেক্ষ হলেও মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালনার উপর জোর দেয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা বিদেশি বই পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে থাকি এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবেষণা করা প্রয়োজন এবং সেই গবেষণালব্ধ ফলাফল বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। বর্তমানে গবেষণা কার্যক্রমে জোরদান করা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে নিয়মিত জার্নাল বের হচ্ছে। বর্তমানে জার্নাল সম্পাদনা বোর্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশি-বিদেশী বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গবেষক রয়েছেন। সুতরাং গবেষণার মান উন্নত হলে উক্ত গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া যাবে। তাই তিনি গবেষণা কার্যক্রম আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন। বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণা সেমিনারের সমন্বয়ক কাশফীয়া শারমিনের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বালাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির পুঁজিবাজারে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে অংশগ্রহণকারী তথা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঠিক জ্ঞানের স্বল্পতা, তারল্য সংকট, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া ইত্যাদি। উক্ত প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষিত করণে এবং বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিআইসিএম প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমে বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনটি বিআইসিএমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ আমরা প্রথম বারের মতো পুঁজিবাজার বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে ধারণা বিনিময় করার জন্য একত্রিত হয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের আর্থিক বাজারের উন্নয়নে সহায়ক কার্যক্রমকে তরান্বিত করা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সঠিক ও সময়োপযোগী জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারের উপর গবেষণাধর্মী এ ধরনের আয়োজন সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বিআইসিএম এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, বিআইসিএম এর একটি সমৃদ্ধ গবেষণা টিম রয়েছে। যাদের গবেষণা লব্ধ জ্ঞান একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। একইসাথে একটি গবেষণা আর্কাইভ গঠনে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক বলেন, বিআইসিএম দেশের পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, আজকের এই গবেষণা সম্মেলনের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান হতে ৪৪টি প্রবন্ধ জমা পড়েছে। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য এর মধ্য থেকে সেরা ১০টি প্রবন্ধ বাছাই করা হয়েছে। এ ধরনের গবেষণা সম্মেলন দেশের পুঁজিবাজারকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দুপুর ২টায় গবেষণা সম্মেলনের প্রথম সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম। বিকাল সাড়ে ৫টায় গবেষণা সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শান্তা এসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান।
সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ১০টি প্রবন্ধ থেকে প্রথম সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নূরুল কবির ও ২য় সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক ইমরান খান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিআইসিএম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জার্নাল অব ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটস অ্যান্ড গভন্যান্স’ এ প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো থেকে সেরা প্রবন্ধ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বিমা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাদ মুজিব লালন ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তানভীর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম ও বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান। বিআইসিএমের গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এ পুরস্কারের অর্থায়ন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মো:.হাসান বাবু, আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুবর্ন বড়ুয়া প্রমূখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জনতা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ১৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিলকো ফার্মার আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৪ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে এনার্জিপ্যাক, দেবে না লভ্যাংশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এসকে ট্রিমসের লভ্যাংশ ঘোষণা
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি পৌনে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৯৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৬৫ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে ডিএসইর নয়-ছয়!
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) বিরুদ্ধে দেরি করার অভিযোগ উঠেছে। লেনদেনের শুরুতে কোন কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের তথ্য জানানোর নিয়ম থাকলেও এ ক্ষেত্রে লেনদেনের সময় শেষে জানানো হয়। এতে লেনদেনের শুরুতে আগের ক্যাটাগরি বহাল থাকায় কারসাজিতে ডিএসইর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজসের অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের গতকাল (২০ নভেম্বর) পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি।
এদিকে আজ লেনদেনের শুরুতে ডিএসই ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে ডিএসই। তবে লভ্যাংশ না দেওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের সংবাদটি ট্রেডিং আওয়ার বা লেনদেনের সময় শেষে প্রকাশ করা হয়। তাতে কোন লভ্যাংশ না ঘোষণা করেও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের শেয়ার পুরো কার্যদিবস ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে লেনদেন করেছে। ডিএসইর এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডে যোগসাজস ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে এ ঘটনাই প্রথম নয়, সম্প্রতি আরেকটি কোম্পানির শেয়ারের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়েও বিতর্ক তৈরি করেছে ডিএসই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মুঠোফোনে অর্থসংবাদকে বলেন, গতকালকে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও এটা আমাদের আইটি সফটওয়্যারে একদিন আগে ইনপুট দিয়ে ট্রেড চালাতে হয়। অথবা এ সংবাদটা অফিস আওয়ারের পরে আসছে বিধায় এ তথ্যটা পরে প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে ডিএসই একদিন পরে আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য ট্রেডিং আওয়ারের শুরুতে জানাতে পারলেও ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে কেন গড়িমসি করেন এবং কেন লেনদেন শেষ হওয়ার পরে কেন ক্যাটাগরি পরিবর্তনের খবর প্রকাশ করে থাকেন- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত না হলে সেখানে কারসাজির আশঙ্কা থাকে।
বিএসইসির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী, কোন কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ না দিলে সেসব কোম্পানিকে দ্রুতই ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড টানা দুই বছর লভ্যাংশ না দেওয়ার পরেও তাদের ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদ ট্রেডিং আওয়ারের পরে প্রকাশ করা হয়। এতে ডিএসইর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত কোন কোম্পানি আগের দিন ডিএসই কর্মঘণ্টার মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ওদিন ক্যাটাগরি পরিবর্তনের তথ্য জানানো যায়। কিন্তু ট্রেডিং আওয়ারের পরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে তা পরেরদিন লেনদেনের শেষে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রযুক্তিগত কারণে সকালে কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা যায় না। তবে এখানেও আইনের ফাঁকফোকর রয়েছে।
এদিকে বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ী, কোন কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে শেয়ারের দামে সার্কিট ব্রেকারের সীমা আরোপিত হয় না। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারদর স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে বেশি বাড়তে বা কমতে পারে। দুর্বল কোম্পানির ক্ষেত্রে এ সুযোগটাই ব্যবহার করে থাকেন কারসাজি চক্র।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণায় আজ লেনদেনের শুরুতে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের শেয়ারের দাম কমে ২০ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়ায়। তবে লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পার হতেই এর দাম বাড়তে শুরু করে। তাতে লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের আজকের দরবৃদ্ধিতেও কারসাজি চক্রের হাত থাকতে পারে। কারণ টানা লভ্যাংশ না দেওয়ার পরেও কোনো কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বিষয়। তবে লেনদেনের শুরুতে কোম্পানিটির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সংবাদটি ডিএসই প্রকাশ করলে শেয়ারদর হয়তো এতটা বাড়তো না। একইসঙ্গে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হলে শেয়ার কেনাবেচায় কিছু সুবিধা হারাতো কারসাজি চক্র।
এমআই