পুঁজিবাজার
বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান বলেন, যাদের দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ প্রয়োজন তারা অর্থ নেয়ার জন্য ব্যাংকে না গিয়ে শেয়ারবাজারে আসবে, আর যারা বিনিয়োগ করবে তারা অন্য যায়গায় যে রিটার্ন পেত তার চেয়ে ভালো রিটার্ন পাবে।
তিনি আরো বলেন, বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সময় সাপেক্ষ হলেও মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালনার উপর জোর দেয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা বিদেশি বই পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে থাকি এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবেষণা করা প্রয়োজন এবং সেই গবেষণালব্ধ ফলাফল বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। বর্তমানে গবেষণা কার্যক্রমে জোরদান করা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে নিয়মিত জার্নাল বের হচ্ছে। বর্তমানে জার্নাল সম্পাদনা বোর্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশি-বিদেশী বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গবেষক রয়েছেন। সুতরাং গবেষণার মান উন্নত হলে উক্ত গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া যাবে। তাই তিনি গবেষণা কার্যক্রম আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন। বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণা সেমিনারের সমন্বয়ক কাশফীয়া শারমিনের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বালাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির পুঁজিবাজারে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে অংশগ্রহণকারী তথা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঠিক জ্ঞানের স্বল্পতা, তারল্য সংকট, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া ইত্যাদি। উক্ত প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষিত করণে এবং বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিআইসিএম প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমে বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনটি বিআইসিএমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ আমরা প্রথম বারের মতো পুঁজিবাজার বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে ধারণা বিনিময় করার জন্য একত্রিত হয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের আর্থিক বাজারের উন্নয়নে সহায়ক কার্যক্রমকে তরান্বিত করা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সঠিক ও সময়োপযোগী জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারের উপর গবেষণাধর্মী এ ধরনের আয়োজন সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বিআইসিএম এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, বিআইসিএম এর একটি সমৃদ্ধ গবেষণা টিম রয়েছে। যাদের গবেষণা লব্ধ জ্ঞান একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। একইসাথে একটি গবেষণা আর্কাইভ গঠনে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক বলেন, বিআইসিএম দেশের পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, আজকের এই গবেষণা সম্মেলনের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান হতে ৪৪টি প্রবন্ধ জমা পড়েছে। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য এর মধ্য থেকে সেরা ১০টি প্রবন্ধ বাছাই করা হয়েছে। এ ধরনের গবেষণা সম্মেলন দেশের পুঁজিবাজারকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দুপুর ২টায় গবেষণা সম্মেলনের প্রথম সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম। বিকাল সাড়ে ৫টায় গবেষণা সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শান্তা এসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান।
সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ১০টি প্রবন্ধ থেকে প্রথম সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নূরুল কবির ও ২য় সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক ইমরান খান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিআইসিএম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জার্নাল অব ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটস অ্যান্ড গভন্যান্স’ এ প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো থেকে সেরা প্রবন্ধ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বিমা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাদ মুজিব লালন ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তানভীর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম ও বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান। বিআইসিএমের গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এ পুরস্কারের অর্থায়ন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মো:.হাসান বাবু, আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুবর্ন বড়ুয়া প্রমূখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএটিবিসির সিএসআরের অর্থ লোপাট, জড়িতরা চাকরিচ্যুত
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবি) লিমিটেডের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) ২০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালে। এতে অডিট আপত্তির মুখে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয় তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এর পর থেকে কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তা চাকরি হারানোর আতঙ্কে ছিলেন। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সিএসআরের অর্থ লোপাটের অভিযোগে বিএটিবিসির প্রধান কার্যালয়ের অডিট বিভাগের কর্মকর্তাদের তোপের মুখে কোম্পানির ঢাকা কার্যালয়ের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদ, লিগ্যাল অ্যান্ড অ্যাক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ, বিজনেস কমিউনিকেশন ম্যানেজার ফুয়াদ বিন সাজ্জাদ পদত্যাগে বাধ্য হন।
সূত্র জানায়, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের বিষয়ে আপত্তি তুলেছে কোম্পানির অডিট বিভাগ। এই অর্থ খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে অডিট বিভাগের কাছে কোন জবাব দিতে পারেনি কোম্পানির এমডি শেহজাদ মুনিম। পরবর্তীতে এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি অডিট বিভাগে জানিয়েছেন বিষয়টি উর্ধ্বতন সবাই অবগত। এ ঘটনার পরই চাকরিচ্যুত করা হয় শেখ শাবাব আহমেদকে।
এবিষয়ে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব সৈয়দ আফজাল হোসেন অর্থসংবাদকে বলেন, কোম্পানির সিএসআরের ২০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। জানা মতে, এতে জড়িত সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) ২০০ কোটি নয়ছয়ের ঘটনায় তোপের মুখে পড়েন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। যে কোন সময় তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে অথবা তারাও চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন এমন আতঙ্কে ছিলেন তাঁরা। পরেক্ষনে প্রমানের ভিত্তিতে জরিতদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এদিকে, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির আড়ালে সারাদেশের কৃষকদের দীর্ঘদিন ধরে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)। শুধুমাত্র কোম্পানির তালিকাভুক্ত কয়েক’শ চাষির মাঝে ‘দীপ্ত’ প্রকল্পের সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
২০১৩ সালে পাহাড়ে অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালানো হয়েছে বলে কোটি টাকা খরচে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে বিএটিবি। আইনের ফাঁক গলে এসব বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে কোম্পানির লোগো প্রচার করিয়ে নিচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত অন্য কোম্পানির চাষিদের আকৃষ্ট করতে এবং পত্রিকায় নিজেদের লোগো ব্যবহার করতেই এসব সোলার বিতরণ করছে বিএটিবি।
বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির ৪টি গ্রামের ৫৭৬টি পরিবারকে ‘দীপ্ত’ প্রকল্পের অধীনে সৌরবিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএটিবি। হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুত সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে প্রচারণা চালালেও, দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র নিজ চাষিদের। এদের মধ্যে অনেক অবস্থাসম্পন্ন কৃষকও রয়েছেন। তামাক চাষিরা জানান, ২০ ওয়াটের এ সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে তিনটি বাতি জ্বালানো সম্ভব।
সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের একটি সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে বিএটিবি’র খরচ হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। অথচ বিজ্ঞাপনেই খরচ করেছে কোটি টাকার ওপর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকেই স্থানীয় র্কতাব্যক্তিদের সঙ্গে এ সৌরবিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য কথার্বাতা চালাতে থাকে বিএটিবি। এ ক্ষেত্রে পাড়ার হেডম্যান, উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানটি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রেনাটার লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৯২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ২০ টাকা ৪০ পয়সা সমন্বিত আয় হয়েছিল।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ০৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ অক্টোবর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার সংস্কার নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে বসছে বিএসইসি
দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারের বিষয়ে স্টেকহোল্ডার বা অংশীজনদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও বিএসইসির মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির মুখপাত্রের পক্ষে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন এবং সংস্কার সাধনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার নিমিত্ত গত ২৩ সেপ্টেম্বর বর্তমান কমিশন বিএসইসির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে।
এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের রোডম্যাপ প্রস্তুতে পুঁজিবাজারের সকল অংশীজনদের সাথে বিএসইসি মত বিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসি, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, সেমীল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট, বাংলাদেশ একাডেমি কর সিকিউরিটিজ মার্কেটস ও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের শীর্ষ নির্বাহীদের একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
একই সঙ্গে আগামী ০১ অক্টেবর পুঁজিবাজারে কর্মরত মোকার-ডিলারদের সংগঠন ডিএসই মোকারস অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড (এএএমসিএমএফ), অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রেডিট রেটিং এজেপি অব বাংলাদেশ (এসিআরএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি), কাইনাপিয়াল রিপোর্জি কাউন্সিল (এফআরসি) ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ইত্যাদি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ, সম্পৃক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহসহ অন্যান্য সকল পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার, এজেপি এবং বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের সাথে পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারের বিষয়ে মত বিনিময় সভা করবে বিএসইসি। মত বিনিময় সভার মাধ্যমে বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং তাদের মতামত নেয়া হবে। পুঁজিবাজারের অংশীজনদের মতামত এবং তাদের সাথে নিয়েই বাজারের টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব বলে বিএসইসি মনে করে। সর্বোপরি, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে বিএসইসি বন্ধ পরিকর।
এতে আরও বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজারের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে বিনিয়োগের জন্য আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে পুঁজিবাজারকে প্রতিষ্ঠিত করতে কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিতে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একইসাথে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কমিশন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। পুঁজিবাজারের অনিয়ম দূর করতে কমিশন নিয়মিত মনিটরিং, সাভেইল্যান্স, রেগুলেটরি কমজায়েপসহ বাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৯২ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে।
এর আগের সপ্তাহের (১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে নিউ লাইন ক্লোথিংস
বিদায়ী সপ্তাহে (২২ সেপ্টেম্বর-২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৩৪৯ টির শেয়ারদর কমেছে। তাতে সপ্তাহ শেষে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে নিউলাইন ক্লোথিংস লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে নিউলাইন ক্লোথিংসের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৫ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ২২ টাকা ৭০ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা খুলনা পাওয়ারের শেয়ারদর কমেছে ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ২৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিবিএস ক্যাবলসের ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ২১ দশমিক ০৯ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি