জাতীয়
পরিবেশ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। যার ফলে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি প্রাণিসম্পদ মৎস্য উৎপাদনসহ নানান ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশের প্রতি মানুষের নির্মম আচরণ বন্ধ করা না গেলে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সরকারি-বেসরকারি সমুন্নত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আজ বুধবার প্রেস ক্লাবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, খরা মুক্ত টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। আলোচনা সভার আয়োজন করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ইন বাংলাদেশ (এডাব)।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ৪২টির মধ্যে মাত্র ২৬টি খাল বেঁচে আছে। সেগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিম্যাল যা স্বাভাবিকের দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীর পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান উপাদান বায়ু দূষণ। এক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা।
এ সময় তিনি গাছ কাটা বন্ধ; আবাসন ও শিল্পায়নের নামে ভরাট বন্ধ; অবৈধ খাল দখল বন্ধ; জলাভূমি সংরক্ষণ; ইটভাটা বন্ধ; কৃষি ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ করেন।
সভায় গবেষণা ও উন্নয়ন কালেক্টিভ (আরডিসি) এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসী লাকি বলেন, যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই তারাই পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি আগলে রাখেন। আমি প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি গাছকে সন্তানের মতো আগলে রাখেন সেখানকার মানুষ।
দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় মাইগ্রেশন হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় যে আইনগুলো হয়েছে সেগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না। এর সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে।
সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া গবেষক শামীমা চৌধুরী বলেন, আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলছি সেগুলো সমাধান হচ্ছে না কেন? পাঁচ বছর আগে যে সমস্যাগুলো ছিল এখন সেগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা অনেক আলোচনা করলেও পলিসি লেভেলে এসব সমস্যা আলোচনায় আসে না।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শাহিদা তারেক দীপ্তি বলেন, গত এক মাসে এত তাপদাহ দেখা গেল। কতজন এসিতে থাকে? যারা কুড়ে ঘরে, টিনের ঘরে থাকে তাদের কী অবস্থা? অনেকেই হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। পরিবেশ শুধু গাছ নয়, পরিবেশকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
কাফি

জাতীয়
ঢাকা উত্তরের ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: প্রশাসক

ঈদুল আজহার প্রথম দিন সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮৫ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসক এজাজ বলেন, কোনো ওয়ার্ডেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা পড়ে নেই। প্রধান সড়কগুলোর পাশে সব ময়লা আমরা পরিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা সাত হাজার ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করেছি। যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ। আগামী তিন দিন আমাদের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলবে।
জাতীয়
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) তিনজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে চার জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) দুইজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট চার হাজার ৪৮৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৩ জন মারা গেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৭৫ জন।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শনিবার (৭ জুন) দুপুরে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তারা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়াও দুপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (৭ জুন) দুপুরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সারা দেশে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, কোরবানির ত্যাগ ও পারস্পরিক সহানুভূতির এক মহৎ বার্তা নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা।
জাতীয়
জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে।’
শনিবার (৭ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের নিজ গ্রামের তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পরপর তিন বার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট শেষ হওয়া খুবই জরুরি।
জামায়াত আমির বলেন, ঈদুল আজহা ত্যাগ, আত্মনিয়োগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এ মহিমান্বিত দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক– অন্যায়, জুলুম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এসময় সিলেট মহানগরী আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।