জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছন। এ সময় তিনি রাষ্ট্রপতিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে অবহিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রণব কুমার পান্ডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি তাদের কথা শোনেন এবং দেশের অন্যতম বিদ্যাপিঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য রাবির দ্বাদশ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার জন্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের সদয় সম্মতির অনুরোধ জানালে তিনি ২৮ নভেম্বর সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
পরে উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার চ্যান্সেলরের হাতে রাবির বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন এবং স্মারক উপহার দেন।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
‘চিরস্মরণীয়’ হয়ে থাকবেন মাইলস্টোনের ৩ শিক্ষক: প্রধান উপদেষ্টা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল, দুই ছেলে আদিল রশিদ ও আয়ান রশিদ, বোন মেহেতাজ চৌধুরী, ভাই মুনাফ মজিব চৌধুরী ও নিকট আত্মীয় কাওসার হোসেন চৌধুরী; শিক্ষক মাসুকা বেগমের বোন পাপড়ি রহমান ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা, বোন মুরশিদা খাতুন, ভাগ্নে মো. মাইদুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় হুমায়ূন কবির।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানামাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ শোক আপনাদের একার নয়। জাতি হিসেবে আমরা এই শোককে ধারণ করি।’
এসময় তিন শিক্ষক পরিবারের কাছে তাদের স্মৃতিকথা শুনতে চান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের কথা শুনতে কষ্ট লাগে। একই সঙ্গে গর্ববোধ হয় যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছে যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাপ দিয়েছে। মানবতার এই দৃষ্টান্ত তারা প্রমাণ করে গেছে। আমরা ক্ষুদ্র মানব ছিলাম, তারা আমাদের বড় করেছে। সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে।’
‘এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাদের স্মৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আমাদের তা করব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
কাফি
জাতীয়
নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে দেশ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সেনারা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। আগে এত দীর্ঘ সময় মাঠে থাকতে হয়নি। তাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। দূরত্ব থাকলে তা দূর করতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান। এতে পদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। এসময় সব সেনা স্থাপনার কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
সেনাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন। মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। প্রতিশোধমূলক কোনো কাজে জড়ানো যাবে না।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইস্যুতে নানা কটূক্তির জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তাদের বয়স কম। তারা আমাদের সন্তানের বয়সী। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে।’
নাম উল্লেখ না করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া হবে না, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই কেউ যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে, সে বিষয়ে আগেভাগেই খেয়াল রাখতে হবে। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে সেটি রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।’
কাফি
জাতীয়
এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া।
এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক।
আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।
কাফি
জাতীয়
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক

দলীয় প্রতীকে এখন থেকে আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না। এ লক্ষ্যে প্রতীক বরাদ্দের ধারাগুলো বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত অধ্যাদেশটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারি হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এর আগে, গত ১ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত চারটি আলাদা অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়। পরে ২৪ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সম্মতি নিয়ে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।
এরই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকারের করা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, এই বিধান বাদ দিলে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন, এমন অনেক যোগ্য ব্যক্তিও নির্বাচনে আগ্রহী হবেন।
জাতীয়
নির্বাচনে ৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইইউ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে রূপ দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চার মিলিয়ন ইউরো’র সহায়তা প্যাকেজ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা বলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
এদিন ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বর্তমান ইসির সঙ্গে এটি ইইউ রাষ্ট্রদূতের চতুর্থ বৈঠক। এসময় মিলারের সঙ্গে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলই নয়, ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
বৈঠক শেষে মাইকেল মিলার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছে। ২০২৬ সালের শুরুর দিকে ভোটের দিকে এগোচ্ছে দেশ।
তিনি বলেন, আজ আমি বিশেষভাবে এসেছি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে জানাতে যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৪ মিলিয়ন ইউরোর বেশি সহায়তা দেবে। যাতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে। এটি একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক। আগামীতে এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবো আমরা।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা আমাদের বাস্তবায়নকারী অংশীদার-নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তারা এখানে থাকবেন যাতে আসন্ন নির্বাচনে নাগরিক পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভোটার এডুকেশনও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশ এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর, যাতে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।
নির্বাচন কমিশনকে নানা ধরনের সহায়তার বিষয়টিও তুলে ধরেন মাইকেল মিলার বলেন, তারা সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেওয়া, যেমন কার্যকরী পরিকল্পনা ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতা, দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা বাংলাদেশে আমাদের কাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে একটি অগ্রাধিকারমূলক দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে, বিশেষত সম্ভাব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য।
তিনি জানান, সামনের সময়ে এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। এটি একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, নির্বাচন প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সবার মনোযোগ রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাজ। আমরা এখন আলোচনা করছি বাস্তবিক কিছু পদক্ষেপ নিয়ে যা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। আর এজন্যই আমরা এখানে এসেছি আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে। কারণ আমরা চাই আপনাদের নির্বাচন যেন সত্যিই গ্রহণযোগ্য হয়, আন্তর্জাতিক মানের হয়, অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
আগামী মাসে ইইউর প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আসবে বলে জানান তিনি।
মিলার আরও বলেন, আগামী মাসে প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। এটি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ মিশন নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের কাজ হবে যাচাই করা যে এখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে কিনা। আমরা সক্ষমতা ও বাস্তবতা যাচাই করছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিচ্ছি-ভোটার এডুকেশন, দেশিয় পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোকে মাঠপর্যায়ে কাজের সক্ষমতা দেওয়া, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা এবং ছোট ছোট নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করা, পাশাপাশি ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।