অর্থনীতি
বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
![বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/budget.jpg)
প্রতি বছর নতুন বাজেট ঘোষণার পর দেখা যায় বেশ কিছু পণ্যের দামের পরিবর্তন ঘটে। কিছু পণ্যে শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করে সরকার, ফলে সাধারণত সেসব পণ্যের দাম কমতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সংসদে উপস্থাপিত হবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। বাজেটে যেসব খাতে বা পণ্যের দাম কমতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে এসবের একটা তালিকা দেয়া হলো।
ল্যাপটপ: আগামী অর্থবছরে ল্যাপটপ আমদানি শুল্ককর কমানো হতে পারে। দেশের বাজারে রিফার্বিশড ও নকল পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে এবং স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও সফটওয়্যার ডেভেলপারদের সহায়তা করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মোবাইল: একই সঙ্গে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনে দেয়া কর অব্যাহতির সুবিধা আরও কমানোর কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।
ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী: রেফ্রিজারেটর , এয়ারকন্ডিশনসহ ইলেকট্রনিকস পণ্যের দাম কমতে পারে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, দেশীয় শিল্পের বিকাশে ২০২৩-২৪ বাজেটে ল্যাপটপ-কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। ফলে আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ বর্তমানে ল্যাপটপে আমদানি মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। তবে নতুন ২০২৪-২৫ বাজেটে এ পণ্যটিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
করমুক্ত আয়ের সীমা: আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে না। তবে করদাতার হয়রানি কমাতে আয়কর রিটার্ন অ্যাসেসমেন্টের বিধান বাতিল করা হচ্ছে। এ জন্য বাজেটে আয়কর আইনে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এনবিআর। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যক্তি ও কোম্পানি দুই শ্রেণির করদাতাই কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
কৃষিযন্ত্র: কৃষিকাজের যন্ত্রের দাম কমতে পারে। তবে কৃষি উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিত্তবানদের ওপর বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। ১৬ লাখ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি হ্রাস এবং শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ থেকে মূলধনি আয়ের ওপর কর ছাড় প্রত্যাহারের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
করপোরেট করহার: শর্তসাপেক্ষে করপোরেট করহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। উৎপাদনশীল খাতে তালিকাভুক্ত নয় এমন শিল্পে কর সাড়ে ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা করা হতে পারে। তবে অন্য সব খাতে কর অপরিবর্তিত থাকবে।
নিত্যপণ্যে দাম কমতে পারে: এনবিআরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, এবারের বাজেটে কর ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না হলেও নিত্যপণ্য আমদানিতে বিশেষ ছাড় দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কর ও ভ্যাট কমানোর মতো সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রব্যমূল্য কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। আর এ কারণে কোনো কোনো জায়গায় এনবিআর ছাড় দিলে ভোগ্যপণ্যের দাম কমবে, সে বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আশা করছি, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর উদ্যোগ থাকবে বাজেটে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে
![হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/onion-1.jpg)
দিনাজপুরের হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর কারণে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুদিনের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা। বর্তমানে তা কমে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারের প্রতিটি দোকানেই মসলাপণ্যটির যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে।
অন্যদিকে হিলির বাজারগুলোয় আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজেরও যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তবে সে তুলনায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে এ পেঁয়াজ কেজিতে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে দাম ছিল কেজিতে ৭০ টাকা।
এ বিষয়ে হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ঈদের ছুটির পর হিলিসহ দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, যা দেশী পেঁয়াজের দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
আবুল হাসনাত আরো বলেন, কৃষকরা আগের তুলনায় পেঁয়াজ বিক্রি বাড়িয়েছেন। আড়তদাররাও মজুদ করা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। এতে মোকামে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মোকামগুলোয় মণপ্রতি ২০০ টাকা কমেছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এসব কারণে এখন আমরা আগের তুলনায় কম দামে পেঁয়াজ বেচাকেনা করতে পারছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন এমডি আনোয়ার হোসেন
![এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন এমডি আনোয়ার হোসেন আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/aa.jpg)
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
সোমবার (০১ জুলাই) এসএমই ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ১৯৯৩ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। প্রায় ৩১ বছরের দীর্ঘ সরকারি কর্মজীবনে তিনি মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন ছাড়াও জনপ্রশাসন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩-তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিটাকের মহাপরিচালক হিসেবে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আনোয়ার হোসেন।
সরকারি দায়িত্বের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এআইআইবি থেকে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেলো সরকার
![এআইআইবি থেকে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেলো সরকার আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/AIIB.jpg)
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি ডলার সমান ১১৭ টাকা ১১ পয়সা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা।
সোমবার (১ জুলাই) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এবং এআইআইবির ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজাত মিশ্রা এআইআইবি’র এ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় সংস্থাটি এ ঋণ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এআইআইবি’র এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, পরিবেশের পরিবর্তন প্রতিরোধকল্পে মজবুত ভিত্তি তৈরি ও অভিযোজনের মাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুভিত্তিক টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির মাত্রা ও প্রভাব হ্রাস, গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং দেশের অর্থনীতিকে জলবায়ুভিত্তিক নিম্ন কার্বন অর্থনীতিতে রুপান্তর করা।
এআইআইবি থেকে গৃহীত এ ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণের সুদের হার হিসেবে এককালীন শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ পরিশোধ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কর অবকাশ সুবিধা পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন, আজ থেকে কার্যকর
![কর অবকাশ সুবিধা পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন, আজ থেকে কার্যকর আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/nbr.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে কর অবকাশ সুবিধা পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এই বাজেটে প্রণোদনা সুবিধা বহাল রেখে এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, রবিবার (৩০ জুন) সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে।
এর আগে ২৯ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের কর অবকাশ (প্রণোদনা) সহ মোট ৮টি সুবিধা রহিত করেছিল। এখন সেটা পুনর্বহাল করা হয়েছে। আর সেই সাথে কোম্পানির ১০ বছরের জন্য লভ্যাংশ, মূলধনি আয়, টেকনিক্যাল নো-হাউ এবং কারিগরি সহায়তা ফির ওপর ১০ বছরের কর অব্যাহতি ছিল সেটাও পুনর্বহাল করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এস, আর, ও নং ২৪৪-আইন/আয়কর-৩৮/২০২৪ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর আইন-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন), উক্ত আইনের ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ ক্ষমতাবলে শর্তসাপেক্ষে অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ এর অধীনে অর্থনৈতিক অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন বা সেবা প্রদানের জন্য কেবল অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিচালিত ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উপর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর তারিখ হতে ১ম, ২য় ও ৩য় বছরের জন্য ১০০ শতাংশ, ৪র্থ বছরের জন্য ৮০ শতাংশ, ৫ম বছরের জন্য ৭০ শতাংশ, ৬ষ্ঠ বছরের জন্য ৬০ শতাংশ, ৭ম বছরের জন্য ৫০ শতাংশ, ৮ম বছরের জন্য ৪০ শতাংশ, ৯ম বছরের জন্য ৩০ শতাংশ এবং ১০ম বছরের জন্য ২০ শতাংশ হারে আয়কর হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো:
১. কোম্পানি আইন-১৯৯৪ (১৯৯৪ সালের ১৮ নং আইন) এর অধীনে নিবন্ধিত নতুন কোম্পানি এবং কোম্পানির কোনো ইউনিট হতে পারবে না।
২. ব্যবসার পুনর্গঠন, মার্জার, ডিমার্জারের ফলশ্রুত কোম্পানি হতে পারবে না।
৩. ইতোপূর্বে পণ্য বা সেবা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়েছে এ রকম কোনো মেশিন, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কোনো শিল্প ইউনিট স্থাপনে ব্যবহার করা যাবে না।
৪ .অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে কোনো শিল্প ইউনিট পরিচালনা করতে পারবে না । সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে থাকতে হবে।
৫. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা ট্রেডিং কোম্পানি হতে পারবে না।
৬ বোর্ডের নিকট অব্যাহতির উপযুক্ত শিল্প হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।
৭. অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত যেসব প্রতিষ্ঠান ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উৎপাদন এবং সিমেন্ট, লোহা ও লৌহজাতীয় পণ্য উৎপাদন করে আয় করে সেসব প্রতিষ্ঠান এই প্রজ্ঞাপনের সুবিধা পাবে না।
৮. প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু বছর হতে ১০ বছর পর্যন্ত হ্রাসকৃত কর সুবিধা ভোগ করতে পাবে।
৯. এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান এই প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত কোনো শর্ত বা শর্তাবলি পালনে ব্যর্থ হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিবে।
১০. আয়কর আইনে-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (৫) এবং (৬) সহ অন্যান্য বিধানাবলি পালন করতে হবে।
১১. কোনো আয়বর্ষে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির উপর পরিবেশ সংশ্লিষ্ট আইন ভঙের দায়ে জরিমানা আরোপ করলে সংশ্লিষ্ট করবর্ষে প্রতিষ্ঠানটি এই প্রজ্ঞাপনে কর অব্যাহতি পারে না।
১২. ২০৩৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হলে এই প্রজ্ঞাপনের অধীন কোনো প্রকার অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এস, আর, ও নং ১০৪-আইন/আয়কর/২০২০ (২৫ মার্চ, ২০২০) ও এস, আর, ও নং ১৫৯-আইন/আয়কর-৩৪/২০২৪ (২৯ মে, ২০২৪) এতদ্বারা রহিত করা হলো। প্রজ্ঞাপনের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হবে বা হয়েছে সেই সব প্রতিষ্ঠানকে অনুচ্ছেদ ১ এর শর্ত (ক) তে উল্লিখিত শর্ত কার্যকর হবে না।
(ক) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের ইউনিট যারা ৩০ জুন ২০২৪ এর মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে।
খ) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প বা শিল্প ইউনিট স্থাপনের উদ্দেশ্যে যারা ৩০ জুন ২০২৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সহিত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এস, আর, ও নং ২৪৫-আইন/আয়কর-৩৯/২০২৪ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আয়কর আইন-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন), আইনে উল্লিখিত ধারার ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ ক্ষমতাবলে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৮নং আইন) এর ধারা ২২ এর বিধান অনুযায়ী হাই-টেক পার্কে পণ্য উৎপাদন বা সেবা প্রদান করে অর্জিত আয়ের উপর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম বছররের জন্য ১০০% এবং ৮ম, ৯ম ও ১০ম বছরের জন্য ৭০% হারে আয়কর হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো:
১. কোম্পানি আইন-১৯৯৪ (১৯৯৪ সালের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত নতুন কোম্পানি হবে।
২. ব্যবসার পুনর্গঠন, মার্জার, ডিমার্জার এর ফলশ্রুত কোম্পানি হতে পারবে না।
৩. ইতোপূর্বে পণ্য বা সেবা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়েছে এ রকম কোনো মেশিন, যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কোনো শিল্প ইউনিট স্থাপনে ব্যবহার করা যাবে না।
৪. হাই-টেক পার্কের বাহিরে কোনো শিল্প ইউনিট পরিচালনা করতে পারবে না।
৫. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা ট্রেডিং কোম্পানি হতে পারবে না।
৬. বোর্ডের নিকট হাই-টেক শিল্প হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।
৭.আয়কর আইন-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (৫) এবং (৬) সহ অন্যান্য বিধানাবলি পালন করতে হবে।
৮) প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত এই হ্রাসকৃত করহারের সুবিধা পাবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ মঙ্গলবার
![এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ মঙ্গলবার আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/LPG-2205050922.jpg)
চলতি জুলাই মাসের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নুতন দাম মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঘোষণা করবে বিইআরসি। সোমবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলতি মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ৩ জুন ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের আগে পর্যন্ত এলপিজি দাম নির্ধারণ কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন ছিল। পরে বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে, যা প্রতি মাসেই সমন্বয় করা হবে।