জাতীয়
বেনজীরের রিসোর্ট আপাতত বন্ধ ঘোষণা
![বেনজীরের রিসোর্ট আপাতত বন্ধ ঘোষণা খান](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/benjir-resort.jpg)
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার এ ঘোষণা দেয় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বির। তিনি বলেন, আপাতত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কের সার্ভারের সমস্যার কারণে দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করানো যাচ্ছে না। এ কারণে কয়েক দিনের জন্য পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সার্ভার সমস্যা সমাধান হলে আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পার্ক খুলে দেওয়া হবে বলে জানান পার্কের বুকিং ম্যানেজার।
জানা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের ছোটখোলা গ্রামের ৬২১ বিঘা জমিতে বেনজীর আহমেদ গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের প্রায় সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে কেনা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে এলাকাবাসী বক্তব্য দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় পুলিশ এনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের লাঠিপেটায় ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারী বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল ও সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক আহত হন। পরে পার্কের নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তার পরও আজ থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন ২৮ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী
![দেশে ফিরেছেন ২৮ হাজার ৯৪১ জন হজযাত্রী খান](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/haz-end.jpg)
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৯৪১ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। হজ পালন করতে গিয়ে ৫৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪১ এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৩ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে।
হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।
শনিবার ভোর রাতে দেওয়া বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৯৪১ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ৭৪টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৩টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৩০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। সৌদিতে তীব্র দাবদাহের কারণে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৩৭ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। সর্বশেষ ২৭ জুন মক্কায় হারুন রশিদ (৬৮) নামে একজন হাজী মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাযা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হবে
![প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হবে খান](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/hongkong.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হংকং এসএআরে নতুন কমিশনার চুই জিয়ানচুন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল হংকং জানায়, সম্প্রতি হংকং এসএআরে নতুন কমিশনার চুই জিয়ানচুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হংকং-এ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইসরাত আরা। নতুন কমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরের কথা উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, এই সফর উভয় দেশের জনগণের জন্য ভালো হবে। এটি দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে।
কমিশনার কনসাল জেনারেলের সঙ্গে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের নীতি তুলে ধরেন। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব কীভাবে উভয় দেশের জন্য উপকৃত হবে, তা ব্যাখ্যা করেন।
কনসাল জেনারেল বলেন, চীনে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বৃদ্ধি করবে এবং সহযোগিতার নতুন পথ খুলবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে কমিশনারকে অবহিত করেন।
কনসাল জেনারেল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং এ বিষয়ে চীনের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সিলেট-সুনামগঞ্জে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্যার শঙ্কা
![সিলেট-সুনামগঞ্জে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্যার শঙ্কা খান](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/bonna-2.jpg)
বৃষ্টিপাত কম থাকায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। কিন্তু আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারী বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে ফের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী সমূহের পানিসমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানিসমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
![জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির খান](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/president-2.jpg)
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ভিভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে সকল সহযোগী এজেন্সির সঙ্গে সুসম্পর্ক, নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখার পাশাপশি ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখারও তাগিদ দেন।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
তিনি এসএসএফকে বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ . . . আপনাদের কোনো আচরণে জনগণ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি সদা পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় এসএসএফ সদস্যগণকে সর্বদা বলিষ্ঠ মনোবল, প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও পেশাদারিত্বের সর্বোত্তম প্রয়োগ ঘটানোর উপদেশ দেন।
এসএসএফ-এর দায়িত্ব পালনের প্রতিটি ক্ষেত্র ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত ও সর্বোপরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং।
তিনি বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও অনুসারীদের কাছে ভিভিআইপিরা খুবই জনপ্রিয় ও কিংবদন্তিতুল্য। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সবসময় তারা দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারেন না।
অতি কঠোরতা ও বাড়াবাড়ির কারণে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও জনগণের মধ্যে যেনো কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেদিকটিও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করারও নির্দেশনা প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা আর জনসম্পৃক্ততা দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে . . . জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততা স্বাভাবিক রেখেই পেশাদারিত্বের সঙ্গে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসএসএফ-এর সদস্যদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, উন্নত শৃঙ্খলা, সততা, দায়িত্বশীলতা এবং মানবিক গুণাবলী অর্জনের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
এছাড়া সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এই বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আশা করেন, সুযোগ্য নেতৃত্ব, সঠিক দিক নির্দেশনা এবং সদস্যের পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে এবং ‘আদর্শ নিরাপত্তা প্রদানকারী বাহিনী’ হিসেবে সবার আস্থা অর্জন করবে।
অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর পেশাদার, দক্ষ ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ বাহিনী হিসেবে এসএসএফ গড়ে তোলা হয়েছে।
১৯৮৬-এর ১৫ জুন, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, পরবর্তীতে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর একে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নামে নামকরণ করা হয়।
এসএসএফ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী ভিভিআইপি ও বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান করে এবং ভিভিআইপিদের উপর সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধ এবং সক্রিয় হুমকি থেকে ভিভিআইপিদের সুরক্ষায় বেসামরিক প্রশাসন এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভিভিআইপিদের অফিস ও বাসস্থানের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করে এসএসএফ।
রাষ্ট্রপতি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশবিশেষও উপভোগ করেন।
এসময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ম ইউনিট বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং
![পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ম ইউনিট বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং খান](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/payra-tap-biddut.jpg)
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এছাড়া উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো।
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। গত সোমবার (২৪ জুন) বিকেল থেকে প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এ ইউনিট চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ২৪ জুন বিকেলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রথম ইউনিটটি করা হয় বন্ধ। ফলে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এতে করে দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বন্ধ ইউনিটটি চালু করা হবে। আশা করছি ২ জুলাই পুরোদমে বন্ধ ইউনিট চালু সম্ভব হবে।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এখন বিদ্যুতের ভোগান্তি অসহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে চার থেকে পাঁচবার। এই দীর্ঘ সময়তো জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব না। পর্যটকরা বিরক্ত হচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে কয়লা সংকটে ২০২৩ সালের ৫ জুন দেশের বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২০ দিন পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল রাখতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।