জাতীয়
মৃত্যুর কারণে এমপি পদ শূন্য হবে এটি সংবিধানে দেখিনি: ইসি

মৃত্যুজনিত কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে এটি আমি এ পর্যন্ত সংবিধানে দেখিনি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। সোমবার (৩ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
একজন সংসদ সদস্যের যদি সাধারণ মৃত্যু কিংবা অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে তাহলে সেই ক্ষেত্রে ওই আসনে কী হবে? এটি সংবিধানের কোথাও উল্লেখ করা আছে কি না? প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, সংবিধানের ৬৬ বা ৬৭ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে আমরা কোনো কিছু উল্লেখ দেখি না। মৃত্যুজনিত কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে এটি আমি এ পর্যন্ত সংবিধানে দেখিনি। সাধারণত এটি ধরে নেওয়া হয়, যদি সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন তার পক্ষে তো আর সংসদে আসা সম্ভব নয়। এটি ধরে নিয়েই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং আমাদেরকে যখন জানানো হয়, আমরা সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন করি।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার সম্প্রতি কলকাতায় খুন হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়। এক্ষেত্রে ওই আসনে কী হবে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাভাবিক বা অপমৃত্যু যাই হোক না কেন এটা হলো সংসদের দায়িত্ব। স্পিকার যখন মৃত্যু সনদ পাবেন তখন সংসদ আসনটি শূন্য ঘোষণা করবেন। শূন্য ঘোষণা করলে গেজেট আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এরপরে আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করব।
সংসদ সদস্যের মৃত্যু কারণে আসন শূন্য হবে এটি সংবিধানে উল্লেখ নেই কেন জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, এটি কেন উল্লেখ করা হয়নি এটি তো আমি বলতে পারব না। সংসদ সচিব সাহেবকে জিজ্ঞেস করবেন, ওখানে যারা সংসদ সদস্য আছেন, ওনারা বললে বলতে পারেন। সংবিধানে থাকলে ভালো হতো। যেহেতু টানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে স্পিকার সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করেন। যদিও সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা নেই মৃত্যুজনিত কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনানের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি মারা গেছেন কি, মারা যাননি সেটি তো আমরা জানি না। আমরা অফিসিয়ালি জানি না। এটি সংসদ থেকে গেজেট করে যখন জানাবে তখন আমরা জানতে পারব। উনি মারা গেছেন কি না। সংসদ যদি আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তখন আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করব। সবকিছু স্পষ্ট করে লেখা না থাকলে যে কাজ করা যাবে না তাতো নয়। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না পাবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নির্বাচন করতে পারব না।
ধাপে ধাপে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ইসি বলেন, কমিশন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমাদের বক্তব্য হলো- পদ্ধতি যেটাই হোক না কেন, পদ্ধতি ঠিক করবে রাজনৈতিক দল, সংসদ, ভোটার তারাই ঠিক করবেন। যে পদ্ধতিই অনুসরণ করা হোক না কেন, সংবিধানে যে অবস্থা থাকবে, সেই অবস্থার মধ্যে আমরা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচনটা সুষ্ঠু করার। ওটা নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দ নেই।
কমিশনের একজন মাথা যখন চিন্তা করে ধাপে ধাপে জাতীয় নির্বাচন হলে ভোটটা ভালো হবে। কেন মনে হলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওইটা কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত হিসেবে বলেননি উনি। উনি যেটা বলেছেন সেটা হলো যে, একাডেমিক ডিসকাশনের ক্ষেত্রে উনি মনে করেন সেইটা। এ রকম সিদ্ধান্ত দেয়নি যে কমিশন মনে করে এই পদ্ধতিটা ভালো। সেটি ব্যক্তিগত আলোচনা।
ইভিএমের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, সিদ্ধান্ত নয়, ইভিএমের ভালো দিকগুলো নিয়ে ব্যক্তিগত আলোচনা হয়েছে যে, ইভিএমে বিশ্বাস করা উচিত কারণ ইভিএমে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন হওয়ার পরে কিন্তু কোনো প্রার্থী বলেনি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এই ধরনের একটি অভিযোগও আমরা পাইনি। সব রাজনৈতিক দল যদি ইভিএমের ভোটের বিষয়টি সমর্থন করত তাহলে ভালো হতো সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কাফি

জাতীয়
টেকনাফের গহীন পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার

টেকনাফের বাহার ছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে মানব পাচারকারীদের আস্তানা থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৬৬ জন বন্দিকে উদ্ধার করেছে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী, ২২ জন পুরুষ ও ২১ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা রয়েছেন।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন সূত্রে জানা যায়, নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট টেকনাফ ও কোস্ট গার্ড বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার গহীন পাহাড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়কারী ও বিদেশে পাচারকারীদের গোপন আস্তানায় এই অভিযান চালায়।
বৃহস্পতিবার রাতে কেস্ট গার্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানায়, সমুদ্র পথে ট্রলারযোগে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে এলাকা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে লোকজন নিয়ে গহীন পাহাড়ে বন্দি রেখেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালায়।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন রয়েছে। সেখানে অভিযানের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
জাতীয়
আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইন মেরামত কাজের কারণে আজ রাত ১০টা থেকে ৮ ঘণ্টা কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানিয়েছে, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভাল্ভ স্টেশনগামী ১০ইঞ্চি বা ১২ইঞ্চি বা ১৪ইঞ্চি মুখ্য বিতরণ পাইপ লাইনের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্নকরণ কাজে জরুরি মেরামতের কাজ চলবে।
তাই শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া, এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।
জাতীয়
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান বমেলের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, বাণিজ্য ও কৃষি খাত এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
বোরিস ভ্যান বমেল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি নেদারল্যান্ডসের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল এ সপ্তাহেই বাংলাদেশে পৌঁছাবে এবং নেদারল্যান্ডস এই মিশনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পানি ব্যবস্থাপনায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিম্নাঞ্চল রক্ষায় নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে উপকৃত হচ্ছে বলে ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু গড়ে তুলতে পারি এবং একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারি।
রাষ্ট্রদূত ভ্যান বমেল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন অর্জনগুলোতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ খাতে উদ্ভাবনের বিষয়ে।
ড. ইউনূস কক্সবাজারে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সহায়তায় নেদারল্যান্ডসের বাড়তি সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, অর্থসংকটের কারণে চলমান মানবিক কর্মকাণ্ড ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন যে, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এ সম্মেলন আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করবে এবং শরণার্থী শিবিরে মানবিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
রাষ্ট্রদূত সংকটের জরুরি সমাধানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আরও আন্তর্জাতিক মনোযোগের দাবিদার। তবে বর্তমানে বৈশ্বিক মনোযোগ অন্য ভূ-রাজনৈতিক সংকটে বিভ্রান্ত হয়েছে।
এসময় সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।
চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।
তিনি আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কেও ভিত্তিতে সর্বদা ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশি জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ সহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সেনানিবাস এলাকার হলে প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি কেন্দ্রে অংশ নেবেন বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী। সেনানিবাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে ওই তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য আলাদা গেইট ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীনের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং মুসলিম মডার্ন একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সময় নির্দিষ্ট গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের পরীক্ষার্থীরা মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস (এমইএস) গেইট অথবা ইসিবি সংলগ্ন পকেট গেইট ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে মুসলিম মডার্ন একাডেমির পরীক্ষার্থীরা কচুক্ষেত সংলগ্ন এমইএস কনভেনশন হলের পাশের পকেট গেইট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
একই সঙ্গে পিএসসির পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট প্রবেশপথ ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে পরীক্ষার দিন সেনানিবাস এলাকায় কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি না হয়।