পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল চালিকা শক্তি বিনিয়োগকারী: ডিএসই এমডি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেছেন, ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল চালিকা শক্তি হলো বিনিয়োগকারী। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের মাধ্যমে কোম্পানির সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন। এইজন্য আপনাদের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের নিরিক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আপনাদের তথ্য সঠিক হলেই কেবল একটি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব।
রোববার (২ জুন) ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে “ডিউ ডিলিজেন্স অফ ডিউটিস এন্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স এন্ড ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে ইস্যু ম্যানেজার, আন্ডাররাইটার এবং প্যানেল অডিটরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ৷
কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কোম্পানি আইপিওতে আসতে চাইলে তাকে ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দিতে হয়। ইস্যু ম্যানেজারের কাজ হলো আন্ডাররাইটার সংগ্রহ করা, বিএসইসি’র অনুমতি নেয়া, প্রসপেক্টাস প্রকাশ, আবেদন পত্র যাচাই করা, বরাদ্দপত্র ইস্যু করা ইত্যাদি। যে কেউ চাইলেই ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করতে পারে না, এজন্য বিএসইসি’র সনদ সংগ্রহ করতে হয়। এখানে ইস্যু ম্যানেজারের অনেক বেশি দায়িত্ব৷ একইসাথে অডিট রিপোর্ট গ্রহণযোগ্যতা জন্য নিরীক্ষককে দায়িত্বশীল হতে হবে। বিনিয়োগকারীদের কাছে অডিট রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতার জন্য নিরীক্ষা মতামতগুলো অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের কর্মশালাটি মূলত আয়োজন করা হয়েছে ডিএসই এপিএ এর অংশ হিসেবে, আমি মনে করি এই কর্মশালার মাধ্যমে অডিটর ইস্যু ম্যানেজার ও আন্ডার রাইটার সহ তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা লাভ করবে। আজকের এই কর্মশালায় ডিএসই’র বা রেগুলেটরি দৃষ্টিকোন থেকে আপনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, একটা কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে হলে ইস্যু কোম্পানিকে অনেকটা অনুরোধ করেই আনতে হয়। আমাদের কাছে আসার পর দেখা যায় অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। সেইগুলো ঠিক করে একটা ইস্যু উপযোগী করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়। সেই জন্য আমরা ইতোধ্যেই পাবলিক রুলস বিভিন্ন ইস্যুতে কিছুটা মডিফিকেশনের জন্য বলেছি। ইস্যু ম্যানেজারের কাছে যখন আসে, তখন ইস্যু ম্যানেজারের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। একটা ইস্যু জমা দিতে দেড় থেকে দুই বছর বা ক্ষেত্রেবিশেষে তারও বেশি সময় লাগে। ইস্যু ম্যানেজারের সে দায়িত্বগুলো দেওয়া হয়েছে বিশেষ করে ইউটিলাইজেশনের বিষয়টা, সেখানে ইস্যু ম্যানেজাররা কোনোভাবেই যুক্ত থাকেন না। সেটাকেও আমাদেরকে রেসপনসিবল করা হয়েছে। অন্যান্য যে রেগুলেটর বডি আছে যেমন ভ্যাট, ট্যাক্স সেগুলো ইস্যু ম্যানেজাররা কিভাবে অথেনটিক্যাশন করতে পারবে। এই ডকুমেন্টগুলো অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হয়। সেই ডকুমেন্টগুলো আমাদের অথেনটিকেড করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভালো ইস্যু আনতে চাই। এজন্য আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। একটা কোম্পানি গঠন করার সময় যদি মার্চেন্ট ব্যাংকারের সাথে সংযুক্ত করা যায়, তাহলে প্রথম থেকেই একটা সিস্টমে এর মধ্যে থাকবে যা পরবর্তীতে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হতে ইস্যু ম্যানেজারকে সহায়তা করবে।
আইসিএবির কাউন্সিল মেম্বার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাত হোসাইন বলেন, আজকে যে প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে, এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি অনেকাংশে দূর করা যায়। একইসাথে সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হবে। এছাড়াও একে অপরের সাথে মত বিনিময় করলে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব গড়ে ওঠে। অডিটরগণ তাদের কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্টান্ডার্ডসের (আইএএস) বিধান অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর যুক্তিসঙ্গত নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এটি কখনও পূর্ণ নিশ্চয়তা নয়। অডিটরদের শুধু তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। এছাড়াও আইসিএবি এখন অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক সচেতন। আর ভুল যেখানে সূত্রপাত সেখানে যদি বন্ধ করা যায়, তবে সকলের কাজ সহজ হবে। এই ধরনের ওয়ার্কশপের আয়োজন ডিএসইর একটি ভালো পদক্ষেপ।
ডিএসইর সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং হেড অব সিজি এন্ড এফআরসি মো. মাসুদ খান, এসিসিএ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন৷ প্যানেল অডিটর, ইস্যু ম্যানেজার এবং আন্ডাররাইটারদের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং করণীয় শীর্ষক মূল প্রবন্ধে তিনি অডিটর/অডিট ফার্মের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, ইস্যু ম্যানেজার এবং আন্ডাররাইটারদের দায়িত্ব, আইপিও/কিউআইও এর জন্য এক্সচেঞ্জ লক্ষ্য করার বিষয়সমূহ এবং অডিটেড ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টে ফেব্রিকেশন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেন।
মো. রকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লংকাবাংলা ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেডের সিইও ইফতেখার আলম, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রিয়াদ মতিন, ম্যাবস এন্ড জে পার্টনার্স থেকে ডিএসইর সাবেক পরিচালক ও আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ, অক্টোপাস থেকে ফেরদৌস আহমেদ এবং ফার্ম এন্ড আর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস থেকে ফৌজিয়া হক।
ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরী কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, আজকের যে প্রোগ্রামটি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম থেকে যে সব ফাইন্ডিংসগুলো উঠে এসেছে সেগুলো নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এ ধরনের প্রোগ্রাম ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হবে। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইপিওর কাজগুলো দায়িত্ব সহকারে পালন করি, তবে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে। যা পুঁজিবাজারকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির এক বছরের মধ্যে অফার মূল্যের নিচে নেমেছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের শেয়ার। লেনদেন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩৯ শতাংশ। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তালিকাভুক্তির আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, নানান নাটকিয়তার পরে কোম্পানিটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্ত করার পায়তারা করে প্রথম ধাপে ব্যর্থ হলেও ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় কোম্পানিটি ২৪ টাকা দরে প্রথম শেয়ার লেনদেন শুরু করে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শেয়ার দর নেমে এসেছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা যা শতকরা হিসেবে ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট কোম্পানিটির মালিকপক্ষ ২৪ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করলেও বর্তমানে মালিকপক্ষ চাইলেই ৬ টাকা কমে শেয়ার কিনতে পারে। এছাড়াও সরকারি ব্যাংকগুলোকে ৬৫টাকা দরে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ধরিয়ে দেয় কোম্পানিটি। সে হিসেবে সরকারি ব্যাংকগুলো শেয়ার প্রতি লোকসানে রয়েছে ৪৮ টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি ব্যাংকগুলো এতো উচ্চ মূল্যে কেন এবং কার স্বার্থে দুর্বল কোম্পানিটির প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা উচিৎ।
কারসাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ অর্থসংবাদকে বলেন, আমি বাহিরে আছি। এ বিষয়ে আগামীকাল কথা বলব।
এর আগে, রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকসহ পাঁচ ব্যাংকের ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগে বেস্ট হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জনতা ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ও এনসিসি ব্যাংক পিএলসি থেকে মোট ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করেছে। তার মধ্যে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকিং বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, কোম্পানিটি ২০২০ সালে আইন লঙ্ঘন করে সরকারি কোম্পানির তকমা দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। সে সময় প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে। ব্যাংকগুলো প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ৬৫ টাকায় ক্রয় করে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের শেয়ারের কারণে সরকারি কোম্পানি হিসাবে ফাঁকফোকর দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। কিন্তু গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখির কারণে সেই উদ্যোগে ব্যর্থ হয় কোম্পানিটি।
সূত্র জানায়, আগেরবার সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলো বেস্ট হোল্ডিংস কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির শেয়ার কিনেছেন বা মালিকানায় শরিক হয়েছেন শতাধিক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটিতে ওই সব ব্যক্তি ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংকের বিনিয়োগ আটকে আছে। তাই কোম্পানিটিকে দ্রুত বাজারে এনে ওই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ফেরত দিতে পুনরায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজটি যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সে জন্য আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলোয় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়েছিলো ৩৫ টাকা। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, আট-অফ মূল্য থেকে ৩০ শতাংশ কম দামে তথা ২৪ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হয়। এই কোম্পানিটির বাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেড। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, বুক বিল্ডিং পদ্ধিতিতে কাট অফ প্রাইস বেশি রাখার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন উপায় শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো। যা বেস্ট হোল্ডিংসের ক্ষেত্রেও অনৈতিক উপায়ে ইস্যু ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রুবায়েত-ই-ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থসংবাদকে জানান, হাসপাতালে আছি, পরে কথা বলব। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও অস্থিরতা কাটেনি। বাজারে এক দিন উত্থান হলে দুই দিন পতন হয়। এ ছাড়া এতগুলো কোম্পানিটির শেয়ারদর অফার মূল্যের নিচে থাকার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিগত সরকারের আমলে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নানা সংস্কারে হাত দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষ আস্থা পাচ্ছে না। এতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল। হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই, ২৪-ডিসেম্বর, ২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ৭৭ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।
এর আগের সপ্তাহের (৬ থেকে ১০ এপ্রিল) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৭৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বিডি ফাইন্যান্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১০ দশমিক ০০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার দর কমেছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪ দশমিক ৯০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩২ দশমিক ৯০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, এস আলমের ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, সাইনপুকুর সিরামিকসের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ, এস এস স্টীলের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩১.৬০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৭.৭০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রেইনউইন যজ্ঞেশরের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৭৩০.৫০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাহজিবাজার পাওয়ারের ১৩.৯৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১১.৭৬ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৮.৭০ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৭২ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিকের ৭.৫৩ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৬.৮৩ শতাংশ এবং এনআরবি ব্যাংকের ৬.৩৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২১ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.৩৪ শতাংশ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির ১৭ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৭৭ শতাংশ।
লেনদেনে তৃতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ১১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৫৩ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- উত্তরা ব্যাংকের ১০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডের ৯ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকের ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, এবিবি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৭ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, ম্যারিকোর ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার।
কাফি