পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল চালিকা শক্তি বিনিয়োগকারী: ডিএসই এমডি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেছেন, ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল চালিকা শক্তি হলো বিনিয়োগকারী। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের মাধ্যমে কোম্পানির সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন। এইজন্য আপনাদের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের নিরিক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আপনাদের তথ্য সঠিক হলেই কেবল একটি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব।
রোববার (২ জুন) ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে “ডিউ ডিলিজেন্স অফ ডিউটিস এন্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স এন্ড ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে ইস্যু ম্যানেজার, আন্ডাররাইটার এবং প্যানেল অডিটরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ৷
কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কোম্পানি আইপিওতে আসতে চাইলে তাকে ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দিতে হয়। ইস্যু ম্যানেজারের কাজ হলো আন্ডাররাইটার সংগ্রহ করা, বিএসইসি’র অনুমতি নেয়া, প্রসপেক্টাস প্রকাশ, আবেদন পত্র যাচাই করা, বরাদ্দপত্র ইস্যু করা ইত্যাদি। যে কেউ চাইলেই ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করতে পারে না, এজন্য বিএসইসি’র সনদ সংগ্রহ করতে হয়। এখানে ইস্যু ম্যানেজারের অনেক বেশি দায়িত্ব৷ একইসাথে অডিট রিপোর্ট গ্রহণযোগ্যতা জন্য নিরীক্ষককে দায়িত্বশীল হতে হবে। বিনিয়োগকারীদের কাছে অডিট রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতার জন্য নিরীক্ষা মতামতগুলো অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের কর্মশালাটি মূলত আয়োজন করা হয়েছে ডিএসই এপিএ এর অংশ হিসেবে, আমি মনে করি এই কর্মশালার মাধ্যমে অডিটর ইস্যু ম্যানেজার ও আন্ডার রাইটার সহ তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা লাভ করবে। আজকের এই কর্মশালায় ডিএসই’র বা রেগুলেটরি দৃষ্টিকোন থেকে আপনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, একটা কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে হলে ইস্যু কোম্পানিকে অনেকটা অনুরোধ করেই আনতে হয়। আমাদের কাছে আসার পর দেখা যায় অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। সেইগুলো ঠিক করে একটা ইস্যু উপযোগী করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়। সেই জন্য আমরা ইতোধ্যেই পাবলিক রুলস বিভিন্ন ইস্যুতে কিছুটা মডিফিকেশনের জন্য বলেছি। ইস্যু ম্যানেজারের কাছে যখন আসে, তখন ইস্যু ম্যানেজারের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। একটা ইস্যু জমা দিতে দেড় থেকে দুই বছর বা ক্ষেত্রেবিশেষে তারও বেশি সময় লাগে। ইস্যু ম্যানেজারের সে দায়িত্বগুলো দেওয়া হয়েছে বিশেষ করে ইউটিলাইজেশনের বিষয়টা, সেখানে ইস্যু ম্যানেজাররা কোনোভাবেই যুক্ত থাকেন না। সেটাকেও আমাদেরকে রেসপনসিবল করা হয়েছে। অন্যান্য যে রেগুলেটর বডি আছে যেমন ভ্যাট, ট্যাক্স সেগুলো ইস্যু ম্যানেজাররা কিভাবে অথেনটিক্যাশন করতে পারবে। এই ডকুমেন্টগুলো অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হয়। সেই ডকুমেন্টগুলো আমাদের অথেনটিকেড করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভালো ইস্যু আনতে চাই। এজন্য আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। একটা কোম্পানি গঠন করার সময় যদি মার্চেন্ট ব্যাংকারের সাথে সংযুক্ত করা যায়, তাহলে প্রথম থেকেই একটা সিস্টমে এর মধ্যে থাকবে যা পরবর্তীতে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হতে ইস্যু ম্যানেজারকে সহায়তা করবে।
আইসিএবির কাউন্সিল মেম্বার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাত হোসাইন বলেন, আজকে যে প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে, এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি অনেকাংশে দূর করা যায়। একইসাথে সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হবে। এছাড়াও একে অপরের সাথে মত বিনিময় করলে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব গড়ে ওঠে। অডিটরগণ তাদের কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্টান্ডার্ডসের (আইএএস) বিধান অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর যুক্তিসঙ্গত নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এটি কখনও পূর্ণ নিশ্চয়তা নয়। অডিটরদের শুধু তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। এছাড়াও আইসিএবি এখন অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক সচেতন। আর ভুল যেখানে সূত্রপাত সেখানে যদি বন্ধ করা যায়, তবে সকলের কাজ সহজ হবে। এই ধরনের ওয়ার্কশপের আয়োজন ডিএসইর একটি ভালো পদক্ষেপ।
ডিএসইর সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং হেড অব সিজি এন্ড এফআরসি মো. মাসুদ খান, এসিসিএ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন৷ প্যানেল অডিটর, ইস্যু ম্যানেজার এবং আন্ডাররাইটারদের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং করণীয় শীর্ষক মূল প্রবন্ধে তিনি অডিটর/অডিট ফার্মের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, ইস্যু ম্যানেজার এবং আন্ডাররাইটারদের দায়িত্ব, আইপিও/কিউআইও এর জন্য এক্সচেঞ্জ লক্ষ্য করার বিষয়সমূহ এবং অডিটেড ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টে ফেব্রিকেশন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেন।
মো. রকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লংকাবাংলা ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেডের সিইও ইফতেখার আলম, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রিয়াদ মতিন, ম্যাবস এন্ড জে পার্টনার্স থেকে ডিএসইর সাবেক পরিচালক ও আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ, অক্টোপাস থেকে ফেরদৌস আহমেদ এবং ফার্ম এন্ড আর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস থেকে ফৌজিয়া হক।
ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরী কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, আজকের যে প্রোগ্রামটি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম থেকে যে সব ফাইন্ডিংসগুলো উঠে এসেছে সেগুলো নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এ ধরনের প্রোগ্রাম ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হবে। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইপিওর কাজগুলো দায়িত্ব সহকারে পালন করি, তবে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে। যা পুঁজিবাজারকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২.০৩ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। ফলে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ১৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫ দশমিক ২৩ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৩ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ২৫ দশমিক ৮২ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৩৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬০ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, পাট খাতে ৭৯ দশমিক ০৭ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৮১ দশমিক ১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে আইবিবিএল পারপেচুয়াল বন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৮৩ কোম্পানির মধ্যে ২৮৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ার দর পতন হয়েছে আইবিবিএল সেকেন্ড পারপেচুয়াল মুদারাবা বন্ড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে ২৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। বন্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩ হাজার ২৫০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ার দর কমেছে ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসিআই, শাইনপুকুর সিরামিকস, ওরিয়ন ফার্মা, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ফারইস্ট নিটিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এক সপ্তাহে জুট স্পিনার্সের শেয়ারদর বেড়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৮২ কোম্পানির মধ্যে ৭২টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে জুট স্পিনার্স লিমিটেড। এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশের বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানির দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের শেয়ার দর বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২১৪ টাকা ২০ পয়সা।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে– রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ, সমতা লেদারের ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে অগ্নি সিস্টেমস
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮২ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ অবদান অগ্নি সিস্টেমসের।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশের সপ্তাহজুড়ে গড়ে ১২ কোটি ০৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার হাতবদল হয়েছে গড়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিচ হ্যাচারি, লাভেলো আইসক্রিম, ইসলামী ব্যাংক, বিএসসি, বেক্সিমকো ফার্মা, ফাইন ফুডস এবং ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ভারতের শেয়ারবাজারে একদিনে সূচক বাড়লো ২ হাজার পয়েন্ট
সপ্তাহের শেষ দিনে ভারতের শেয়ারবাজারের সেনসেক্স সূচক প্রায় দুই হাজার পয়েন্ট বেড়েছে। নিফটি সূচকটিও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সাড়ে ৫০০ পয়েন্ট। আদানির ঘুষ কাণ্ডের জেরে বৃহস্পতিবার খাদে নেমেছিল সূচক।
শুক্রবার ৭৯ হাজার ১১৭ দশমিক ১১ পয়েন্টে বন্ধ হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ। এদিন সূচক সেনসেক্স ১ হাজার ৯৬১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রায় ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সকালে লেনদেন শুরুর দিকে সেনসেক্স সূচকটি ছিল ৭৭ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। এদিনের সূচকটি সর্বোচ্চ ৭৯ হাজার ২১৮ দশমিক ১৯ পয়েন্টে ওঠেছিল।
অন্যদিকে এদিন ২৩ হাজার ৪১১ দশমিক ৮০ পয়েন্টে খুলেছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)। দিন শেষে এর সূচক নিফটি ২৩ হাজার ৯০৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এসে থেমেছে। এই বাজারে ৫৫৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে আজ সূচকটি সর্বোচ্চ বেড়েছে।
শনিবার ভারতের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যার এক্সিট পোল। সেখানে অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে এগিয়ে রেখেছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার আগের দিন আদানির ঘুষকাণ্ডের চেয়ে এক্সিট পোলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। যার জেরে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে সেনসেক্স ও নিফটি।
এসএম