কর্পোরেট সংবাদ
টিকটকে সাড়া ফেলেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিরিজ নাটক ‘প্রেমের বিকাশ’

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের তরুণদের মাঝেও স্বল্প-দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতিদিনকার জীবনের বিশেষ মুহূর্ত, অভিজ্ঞতা, সৃজনশীলতাকে ধারণ করে ছোট-ছোট ভিডিওর মাধ্যমে আনন্দ, জ্ঞান, সৃষ্টিশীলতাকে ছড়িয়ে দেয়ার এই প্ল্যাটফর্মটিকে অনেকেই বলছেন সামাজিক যোগাযোগের ‘নেক্সট বিগ থিং’। তাই দেশেও এর জনপ্রিয়তা এবং তরুণসমাজের বড়সংখ্যক ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে বিকাশের উদ্যোগে এবার টিকটকে প্রচারিত হলো রোমান্টিকধর্মী বিনোদন ও সচেতনাতামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিরিজ নাটক ‘প্রেমের বিকাশ’। দুই থেকে আড়াই মিনিট দৈর্ঘ্যের একেকটি পর্ব নিয়ে মোট ৩১টি পর্বে প্রেম-ভালবাসা, বিরহ-দ্বন্দ-বন্ধুত্বের আবহে নির্মিত পুরো সিরিজটি দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে তরুণ টিকটক ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার মিরাজ খান ও আরোহী মিম এ নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া নাটকে অন্যান্য অনেক চরিত্রে বিভিন্ন টিকটক সেলিব্রটিরা অভিনয় করেছেন। টিকটকের পরিচিত মুখ নিয়েই এ নাটক নির্মিত হয়েছে বলে দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা বেড়েছে আরও অনেক গুণে। নাটকের প্লট ও অভিনয় নিয়ে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে প্রত্যেকটি পর্বের কমেন্ট সেকশনে। পাশাপাশি, দারুণ ট্রেন্ডি এই উদ্যোগটির মাধ্যমে বিকাশের সেবাগুলোকে মানুষের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্খাপন করার কৌশলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
নতুন এই সিরিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সময় আরোহী মিম বলেন, “কাজটার কল পাওয়ার পর থেকেই আমি বেশ দ্বিধায় ভুগছিলাম, আবার এক ধরনের এক্সাইটমেন্টও কাজ করছিলো। আমি যে ধরনের কাজ করেছি তার থেকে অনেকটাই ডিফারেন্ট। তবে ফরিদপুরে শুটিংয়ের সময় সেখানকার মানুষজনের কাছে নিজের এক্সেপটেন্স দেখে আমার সম্পূর্ন ভয় কেটে যায়। যেহেতু আমি মানুষের আনন্দের জন্য কাজ করি, মানুষ আমাকে গ্রহণ করছে দেখলে ভালোই লাগে। এমন একটা সুন্দর কাজের অংশ করার জন্য আমি রুবায়েত ভাই সহ বিগফিশ টিম ও বিকাশের কাছে কৃতজ্ঞ!”
এই সিরিজেই অভিনয় করা আর এক শিল্পী মিরাজ খান তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “একটা ভালো টিমের সাথে ভালো কাজ করার অভিজ্ঞতা সব সময়ই ভালো হয়। বিগফিশ এন্টার্টেইনমেন্ট কিংবা বিকাশের সাথে এটা আমার প্রথম কাজ ছিলো। প্রথম প্রথম মনে হয়েছিলো মানিয়ে নেয়াটা চাপের হবে, কিন্তু পুরো টিমটাই এতো বেশি প্রফেশনাল ও আন্তরিক যে পুরো সময়টা জুড়েই আমার কাছে চিরচেনা একটা টিম মনে হয়েছে। পুরো সময়টা আমি বেশ উপভোগ করেছি, নতুন অনেক কিছু শিখেছি, যা নিঃসন্দেহে আমাকে পরবর্তী সময়গুলোতে সাহায্য করবে।”
ইউটিউব, ফেসবুকের এই সময়ে টিকটকে নাটক কেন? এই প্রশ্ন অনেকেরই মনে হয়তো এসেছে। গত কয়েক দশকে মানুষের মনোযোগ সীমা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। মাইক্রোসফটের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, মানুষ গড়ে মাত্র আট সেকেন্ড এক জায়গায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। ফলে জিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতেও এর প্রভাব পড়েছে। তাই দর্শক দীর্ঘ কন্টেন্টের বদলে কয়েক মিনিটের কন্টেন্টে বেশি আগ্রহী হয়েছেন। টিকটক তাই তরুণ সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ, এই প্লাটফর্ম শুরুতেই জানিয়ে দিচ্ছে যে তার ভিডিওর দৈর্ঘ্য ছোট।
টিকটকের জন্য সিরিজ নির্মাণের কোনো পুর্ব অভিজ্ঞতা না থাকাই সেই জার্নিটাও ছিলো বেশ ইন্টারেস্টিং। সেই জার্নির অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রুবায়েত মাহমুদ বলেন, “টিকটক নিঃস্বন্দেহে বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। তবে নতুন প্ল্যাটফর্মের জন্য কোনো ভিডিও তৈরি করা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের হয়। ভার্টিক্যাল রেশিওতে শ্যুট করা, সঠিক ইফেক্ট ইউজ করা, সঠিক এডিটিং সফটওয়্যার ঠিক করা আরও কতো কিছু। সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের ছিল নিজেদের কম্ফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে ছোট ডিউরেশনের ভিডিও তৈরি করা। এগুলো নিয়ে বেশ দ্বিধা, দ্বন্দের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সবশেষে এই কাজটা যেহেতু একদম নতুন ছিলো, সে জায়গা থেকে আমরা বেশ উপভোগ করেছি। আর রিলিজ হওয়ার পর মানুষ এটাকে স্বাদরে গ্রহণ করছে দেখে আরও ভালো লাগছে।”
টিকটককে এ নাটকের প্লাটফর্ম হিসেবে বেঁছে নেয়ায় এর ব্যবহারকারীরা যেমন পছন্দের সেলিব্রেটিদের অভিনয় দেখতে পেরেছেন, তেমনি জানতে পেরেছেন বিকাশ -এর দারুণ সব আর্থিক সেবাগুলোকে। ফলে, বিনোদনের পাশপাশি সহজ, নিরাপদ ডিজিটাল সেবাগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে এই সিরিজ নাটকটি ভবিষ্যতের একটি ক্যাশলেস সমাজ বাস্তবায়নেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন নির্মাতারা। ৩ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়া সিরিজটি সাড়ে ৫ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে যেখানে ২৬ লাখেরও বেশি দর্শক লাইক-কমেন্ট করে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আগ্রহী দর্শকরা টিকটক ও ইউটিউব থেকে সিরিজটি দেখতে পারবেন।
এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
দুর্গাপূজায় ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডে সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট

দুর্গাপূজার আনন্দকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিতে ডাইনিং, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, সুইটস, জুয়েলারি, ইলেকট্রনিকস এবং অনলাইন শপিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে দারুণ সব অফার। এই পূজায় ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা উপভোগ করবেন সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। সাথে থাকছে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশব্যাক, ‘বাই ওয়ান, গেট আপ টু থ্রি’ অফারসহ আরও অনেক সুবিধা। দেশজুড়ে ৩০০টিরও বেশি পার্টনার আউটলেটে উপভোগ করা যাবে এসব অফার।
লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন
ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা পোশাক, জুতা, অ্যাক্সেসরিজ, বিউটি ও স্যালন সার্ভিসে উপভোগ করবেন সর্বোচ্চ ৩০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এই সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাস্টোরিয়ন, বিগ বস, বায়ো-জিন কসমেটিকস, বিশ্বরঙ, জে.কে. ফরেন ব্র্যান্ড, কে ক্র্যাফট, কেনশো, এমব্রেলা, মেনজ ক্লাব, পারফিউম ওয়ার্ল্ড, প্রেম’স কালেকশনস, সাদা কালো, সারা লাইফস্টাইল, স্পার্ক গিয়ার, ওম্যান’স ওয়ার্ল্ডসহ ১০০টিরও বেশি পার্টনার আউটলেটে।
০% ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা
ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ০% পে-ফ্লেক্স ইএমআই সুবিধায় সর্বোচ্চ ২৪ মাসের কিস্তিতে ইলেকট্রনিকস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্নিচার ও অটোমোবাইল ক্রয় করতে পারবেন। এই অফার পাওয়া যাবে ৩০টিরও বেশি মার্চেন্ট আউটলেটে, যেখানে রয়েছে এসিআই মোটরস, বেস্ট বাই, বাটারফ্লাই মার্কেটিং, ব্রাদার্স ফার্নিচার, দারাজ, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, হায়ার বাংলাদেশ, হাতিল ফার্নিচার, হাই-টেক ফার্নিচার, এম.কে ইলেকট্রনিকস, নাদিয়া ফার্নিচার, অপ্পো, পিকাবু, র্যাংস ইলেকট্রনিকস, রানার, রায়ানস কম্পিউটার্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, সনি স্মার্ট, স্টার টেক, সুজুকি, টাইম জোন, ট্রান্সকম ডিজিটাল, ভিভো, ওয়ালটনসহ আরও অনেক আউটলেট।
ট্রাভেল অ্যান্ড স্টে
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ড্রিমস স্কয়ার, সারা রিসোর্ট, ফোর্টিস ডাউনটাউন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ওশেন প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, লং বিচ হোটেল, শয়ন রিসোর্ট, মোমো ইন, দেরা রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, ছুটি রিসোর্ট, প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, সি কক্স রিসোর্টসহ দেশের জনপ্রিয় সব রিসোর্টে সর্বোচ্চ ৫৫% ডিসকাউন্টে থাকতে পারবেন।
এছাড়াও, এয়ার অ্যাস্ট্রা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বেস প্রাইসে পাবেন ১০% ছাড়।
জুয়েলারি
ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা দেশের প্রায় ৩০টি স্বনামধন্য জুয়েলারি শপে সর্বোচ্চ ৩৫% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করবেন, যেখানে রয়েছে আমিষী, আমিন জুয়েলার্স, আপন জুয়েলার্স, জারওয়া হাউস, ডি দামাস, ডি ডায়মন্ড, ডায়মন্ড হাউস, গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স, তানিশক জুয়েলার, দ্য ডায়মন্ড হাউস, জাভেরি গোল্ডসহ আরও অনেক জুয়েলারি শপ।
ডাইনিং
ঢাকার জনপ্রিয় ৫০টিরও বেশি রেস্টুরেন্টে ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা বুফে এবং আ-লা-কার্ট মেন্যুতে সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করবেন। রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, পিৎজা ডাইন, দ্য কফি লাউঞ্জ, বাও, ব্রেড অ্যান্ড বিয়ন্ড, সিয়েলো রুফটপ, কুপার্স, ঢাবা, গলফ গার্ডেন, হালদা ভ্যালি টি লাউঞ্জ, কিভা হান, নওয়াব চাঁটগা, রোস্টার্স পেরি পেরি, স্মিথ’স, টেস্ট অব ঢাকা, টেস্টবাড, দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জ, দ্য প্যান প্যাসিফিক লাউঞ্জ, টার্কিশ আদানা কাবাব ইত্যাদি।
বাই ওয়ান, গেট আপ টু থ্রি
ইনফিনিট, সিগনেচার, ওয়ার্ল্ড, তারা ওয়ার্ল্ড, মাস্টারকার্ড মিলেনিয়াল, প্লাটিনাম ক্রেডিট, ডাইনার্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট এবং নির্বাচিত ‘বরেণ্য’ ও প্রিমিয়াম ব্যাংকিং ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা উপভোগ করবেন বিশেষ বাই ওয়ান গেট ওয়ান, বাই ওয়ান গেট টু এবং বাই ওয়ান গেট থ্রি অফার। ঢাকার শীর্ষস্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মিলবে এসব অফার। সিক্স সিজনস হোটেল, আমারি ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা ঢাকা, হলিডে ইন ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, লো মেরিডিয়েন ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকা, রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম, রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন, রেনেসাঁ ঢাকা, শেরাটন ঢাকা, দ্য পেনিনসুলা চিটাগং, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা ইত্যাদি হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে বুফে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
সুইটস অ্যান্ড কনফেকশনারি
মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডে থাকছে ১০% ছাড়। ব্যাংকটির যেকোনো কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকরা বাংলার মিষ্টি, সেঞ্চুরি’স, মিঠাই, বিক্রমপুর সুইটস, কেশর, খাজানা মিঠাই ইত্যাদি মিষ্টির দোকানে পাওয়া যাবে এই অফার।
রিওয়ার্ড পয়েন্ট ও ক্যাশব্যাক
ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও এক্সক্লুসিভ রিওয়ার্ড পয়েন্ট। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা লাইফস্টাইল, সুইটস, ইলেকট্রনিকস, রেস্টুরেন্ট, টিকেটিং এবং অনলাইন শপিংয়ে পাবেন দ্বিগুণ রিওয়ার্ড পয়েন্ট। এই সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাপেক্স, বাটা, আড়ং, আর্টিসান, টপ টেন, প্রিমিয়াম সুইটস, সিক্রেট রেসিপি, মিঠাই, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, এলজি, বাটারফ্লাই, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, সিঙ্গার, ওয়ালটন, র্যাংস, গ্লোরিয়া জিন্স, কেএফসি, নর্থ এন্ড কফি, তাবাক, সোহাগ, সহজ, গ্রিন লাইন, দারাজ, পিকাবু, গো জায়ান, শেয়ারট্রিপ, অ্যাস্টোরিয়ন, বাটা, বে, ক্লোজেট ক্লাউড, লা রেভ, টুয়েলভ, সেইলর, ইয়েলো ইত্যাদি মার্চেন্ট আউটলেটে পাওয়া যাবে এসব অফার।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ

দেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক করার লক্ষ্যে “তফসিলভুক্ত ব্যাংকের শাখা কর্তৃক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক ধারাবাহিক অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রধান কার্যালয়ের সমন্বয়ে ও ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার সহযোগিতায় দেশব্যাপী চলতি বছরের জুলাই এবং আগস্ট মাসে প্রতি শনিবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ২ হাজার ৪০০ এর অধিক অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জন্য ছিল শিক্ষণীয় ও দিকনির্দেশনামূলক।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ও রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত পরিচালক (ক্যাশ) সুকুমার সরকার, অতিরিক্ত পরিচালক (কারেন্সি) মো. মোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পরিচালক মো. মনজুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক এ.কে.এম আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক ব্রজেন্দ্র নাথ রায়, যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, উপ-পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, পরিচালক (ব্যাংকিং) স্বরূপ কুমার চৌধুরী এবং পরিচালক রথীন কুমার পাল। তারা অংশগ্রহণকারীদের নোট নীতিমালা, নোট রিফান্ড রেগুলেশন, নোট সর্টিং, জাল নোট শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ, এবং আধুনিক রিপোর্টিং প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান উইলিয়াম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন কর্মশালা গুলোয়। তাঁর বক্তব্যে তিনি ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং নগদ ব্যবস্থাপনাকে আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কর্মশালায় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণকারীদের নগদ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক কৌশল, জাল নোট শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ, এবং কার্যকর রিপোর্টিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান প্রদান। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আশা করেন এই ধরনের ধারাবাহিক কর্মশালার মাধ্যমে ব্যাংকের নগদ ব্যবস্থাপনায় গুণগত উন্নয়ন ঘটবে, যার ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম হবে আরও নিরাপদ, দ্রুত ও স্বচ্ছ।
আইএফআইসি ব্যাংকের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে নয়, বরং দেশের ব্যাংকিং খাতের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে নগদ ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ ও কার্যকর করার প্রচেষ্টা এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে আফ্রিকান প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের (সিজেডএম) সহযোগিতায় বাংলাদেশে সফররত আফ্রিকান প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিজেডএমের সিইও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী কার্যক্রমের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন নাইজেরিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব যাকাত অ্যান্ড ওয়াক্ফ অপারেটরসের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাওয়াল মাইদোকি।
এসময় ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদারসহ আফ্রিকার নাইজেরিয়া, সেনেগাল, গাম্বিয়া ও ক্যামেরুনের প্রতিনিধিগণ, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এবং সিজেডএমের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক বরিশাল জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের বরিশাল শাখাপ্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল। স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল জোনপ্রধান মো. সরোয়ার হোসাইন।
সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
এনার্জিপ্যাকের চতুর্থবারের মতো সুপারব্র্যান্ড স্বীকৃতি অর্জন

চতুর্থবারের মতো মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ডস স্বীকৃতি পেলো দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও প্রকৌশল বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি।
এনার্জিপ্যাকের এই ধারাবাহিক স্বীকৃতি বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনে ব্র্যান্ডটির সক্ষমতা এবং ধারাবাহিকতার প্রমান। পাশাপাশি, এ মর্যাদা সেবামানে ব্র্যান্ডটির দীর্ঘদিনে অর্জিত আস্থা ও সুনাম কেও প্রতিফলিত করে।
ব্র্যান্ড মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বব্যাপী ৯০টি দেশে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে ব্র্যান্ড সাফল্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে সুপারব্র্যান্ডস। বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের বিশেষজ্ঞ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠিত প্যানেল (যেটা ব্র্যান্ড কাউন্সিল নামে পরিচিত) নিখুঁত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সুপারব্র্যান্ডগুলোকে নির্বাচিত করে।
এই অর্জন প্রসঙ্গে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ বলেন, সুপারব্র্যান্ডস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য এক বিশাল সম্মান। এ স্বীকৃতি নিষ্ঠা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা পূরণে আমাদের অঙ্গীকারকে আরো সুদৃঢ় করবে। টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে আমরা জ্বালানি-সাশ্রয়ী সমাধানের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সাল থেকে ডিজিটালাইজেশন ও সাসটেইনেবিলিটির (টেকসই উন্নয়ন) সমন্বয়ের মাধ্যমে উৎপাদন, জ্বালানি অবকাঠামো ও ক্লিন এনার্জি সহজলভ্য করতে কাজ করে যাচ্ছে এনার্জিপ্যাক। পাওয়ার জেনারেশন, কমার্শিয়াল অটোমোটিভ, এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদন, বোতলজাত ও বিপণন করা এবং প্রিফ্যাব্রিকেটেড স্টিল স্ট্রাকচার কনস্ট্রাকশনের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন, বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী লুমিনায়ার এবং তৈরি পোশাক খাতেও অবদান রাখছে এনার্জিপ্যাক।
দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রকৌশল খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপারব্র্যান্ডস ২০২৫-২৬ মর্যাদা অর্জন করলো এনার্জিপ্যাক।