কর্পোরেট সংবাদ
মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন বগুড়ার হযরত আলী

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হযরত আলী। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান ‘মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর আওতায় এই সুবিধা পান তিনি। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে একই সুবিধা পেয়েছিলেন ফেনীর গৃহিণী ঝর্না বেগম।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে শান্তাহার রোডের জেকে কলেজ গেইট এলাকায় মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ এ আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।
আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ। আরও আছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার।
নওগাঁর গাওসুল আজম কামিল মাদ্রাসা থেকে তাফসির বিষয়ে ২০২০ সালে কামিল পাশ করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের বেলহাট্টি গ্রামের হযরত আলী। মা-বাবা ও স্ত্রীসহ তার চার সদস্যের পরিবারে একটি ফ্রিজ প্রয়োজন ছিল। তাই গত ১৫ মে তারিখে ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৪ হাজার ৬০০ টাকায় ২১৩ লিটার ধারণক্ষমতার একটি মার্সেল ফ্রিজ কেনেন তিনি। কেনার পর ক্যাম্পেইনের চলমান সিজন-২০ এর আওতায় তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার মেসেজ পান যায়।
অনুষ্ঠানে হযরত আলী বলেন, বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখলাম-মার্সেল ফ্রিজ দেখতে সুন্দর, দামে সাশ্রয়ী, মানও ভালো। তাই মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি। কিন্তু ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার ম্যাসেজ পেয়ে হতবাক হয়ে পড়ি। ক্রেতাদের দেয়া কথা শতভাগ রক্ষা করে মার্সেল। সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম বিশেষ সুবিধা দেয়ায় মার্সেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, দেশেই আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তৈরি করছে মার্সেল। আমাদের দেশে মার্সেলের মতো কোম্পানি যদি তৈরি না হতো, তাহলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশি ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে হতো আমাদের। তাই আমাদের সবারই দেশিয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা ও ব্যবহার করা উচিৎ।
নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, মার্সেল কোম্পানি ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডও পরিচালনা করছে। দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে তারা। আমাদের প্রত্যাশা- মার্সেল একসময় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুর রশীদ, চামরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেল নর্থ জোনের ইন- চার্জ কুদরত-ই-খোদা সফওয়ান, মার্সেল ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম রেজা, ব্র্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মুবাশ্বির মুরশিদ, সেতু ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী ফেরদৌস আলম প্রমুখ।
এসএম

কর্পোরেট সংবাদ
রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের নানা আয়োজন

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় রেমিট্যান্স গ্রাহকদের নিয়ে একাধিক গ্রাহক-সম্পৃক্ততা সেশনের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, চাঁদপুর, সিলেট এবং কুমিল্লার মতো রেমিট্যান্স-নির্ভর জেলাগুলোতে আয়োজিত এই সেশনের লক্ষ্য ছিল, রেমিট্যান্সের ব্যবহার ও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো নিয়ে রেমিটেন্স গ্রহীতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শের পাশাপাশি ব্যাংকটির প্রবাসী ব্যাংকিং সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো।
‘উঠান বৈঠক’ ও ব্রাঞ্চ লেভেলে আয়োজিত এই সেশনগুলোতে বিদ্যমান ও সম্ভাব্য রেমিট্যান্স গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেশনে অংশগ্রহণকারীদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘প্রবাসী পরিবার’ এবং ‘তারা প্রবাসী পরিবার’ অ্যাকাউন্টের বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়। হুন্ডির মতো অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় সেশনগুলোতে।
এই ক্যাম্পেইনে বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ দেখা গিয়েছে, যার ফলস্বরূপ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থাকা গ্রাহকরা কয়েকশ নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলেছেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেল ও প্রোডাক্ট- যেমন অ্যাস্থা অ্যাপ, এসএমই স্বাবলম্বী ঋণ এবং রেমিট্যান্স-কেন্দ্রিক অন্যান্য সেবার ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করা। এ লক্ষ্যে আমরা আমাদের ব্যাংকিং সেবাগুলো এমনভাবে সাজিয়েছি, যা একদিকে যেমন দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে, তেমনি অন্যদিকে গ্রাহকদের অবৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।”
এই উদ্যোগ দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার এবং একটি নিরাপদ ও টেকসই রেমিট্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইন শুরু

দেশের কটেজ, মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে কম ইন্টারেস্টে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশে এসএমই ব্যাংকিংয়ের অগ্রপথিক হিসেবে সিএমএসএমইদের জন্য এই জামানতবিহীন ঋণসুবিধা এই খাতের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই গ্রাহকদের ১৩.৭৫ শতাংশ হারে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা দেবে, যা দেশের সিএমএসএমই খাতে বর্তমানে সর্বনিম্ন রেট। এই উদ্যোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে।
সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এই রেট প্রযোজ্য থাকবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও উদ্যোক্তা বিকাশে সহায়তা করতে ব্যাংকটি উদ্ভাবনী সিএমএসএমই প্রোডাক্টের উন্নয়নও অব্যাহত রেখেছে।
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্র্যাক ব্যাংক সেসব সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে পছন্দের ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে, যারা ব্যবসা শুরু কিংবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঋণসুবিধা নিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই প্রয়োজনীয় জামানত দেখাতে পারেন না।
গত ২৪ বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংক ২০ লাখেরও বেশি এসএমই গ্রাহককে সেবা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য মাইলফলক। উদ্যোক্তাদের স্বপ্নপূরণে এ পর্যন্ত ব্যাংকটি এসএমই খাতে ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে, যার মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। দেশের এসএমই খাতে এই লক্ষণীয় প্রভাবের কারণেই ব্র্যাক ব্যাংক এখন এসএমই অর্থায়নের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যাংকটি সেই প্রতিশ্রুতি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের বাস্তব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক নতুন দুটি প্রোডাক্ট সল্যুশনও নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো, প্রবর্তন এবং বিজপে।
‘প্রবর্তন’ আনসিকিউর্ড লোন ডিজাইন করা হয়েছে দেশের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের মতো অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য। পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা এসব উদ্যোক্তাদের ব্যবসার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এই ঋণসুবিধাটি। অন্যদিকে ‘বিজপে’ হলো এসএমই ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিংয়ের এমন একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যা সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের একসঙ্গে অনেকগুলো এবং বড় আকারের লেনদেন করার সুবিধা দেবে। এই প্ল্যাটফর্ম ক্লায়েন্টদের সময় ও খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ব্রাঞ্চ নির্ভরতাও কমাবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে বিকশিত হতে সহায়তা করা। সিএমএসএমই গ্রাহকদের জামানতবিহীন ঋণে মার্কেটের সর্বনিম্ন রেট অফার করা এবং তাঁদের প্রয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করে উদ্ভাবনী সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে আমরা তাঁদের বিশ্বস্ত আর্থিক অংশীদার হয়ে উঠেছি। ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ আমাদের অর্জিত আস্থা এবং দায়িত্বের প্রতিফলন।”
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী আর্থিক সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনে টাউন হল মিটিং

এনআরবিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনের টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ, চট্টগ্রাম জোনাল হেড মো. সাইফুল আলম চৌধুরীসহ এই জোনের শাখা-উপশাখাগুলোর সকলস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রমের সর্বক্ষেত্রে কর্পোরেট সুশাসন এবং কমপ্লায়েন্সকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যমান শ্রেণিকৃত ঋণ হ্রাস করার লক্ষ্যে আদায় কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এছাড়া বিনা সুদের এবং স্বল্প সুদের আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিলসহ অন্যান্য ব্যয় কমিয়ে মুনাফা বৃদ্ধির অভিপ্রায়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। মানসম্পন্ন ঋণ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যমান এডি রেশিও ৭৮ শতাংশ থেকে কাঙ্খিত মাত্রায় বৃদ্ধি করতে হবে। নতুনভাবে শ্রেণীকরণ রোধ, শ্রেণীবিন্যাসিত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের মাধ্যমে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর বলেন, টেকসই ব্যাংক গড়ে তুলতে গুণগত মানসম্পন্ন ঋণ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে কোনভাবেই নিয়মের ব্যতয় ঘটানো যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংকের সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সিংহভাগই পরিচালিত হয় চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে। তাই বৈদেশিক বাণিজ্যে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে এলসি বিজনেস বাড়াতে হবে। অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানত বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি লিঙ্কেজ শিল্প এবং অন্যান্য ছোটখাট শিল্পখাতগুলোকে অর্থায়নের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বিকশিত করার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি ওমর ফারুক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে মো. ওমর ফারুক খানকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক চিঠিতে তার নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৮ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকে অনুষ্ঠিত ভাইভা বোর্ডে অংশগ্রহণ করেন ওমর ফারুক খান। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওমর ফারুক খান ইসলামী ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দেন। তার আগে তিনি এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকিং খাতে ৩৭ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে ওমর ফারুক খানের। তিনি ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম বৃহৎ অপারেশনাল ইউনিট—আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং উইং, স্থানীয় কার্যালয়, বিভিন্ন ডিভিশন, জোন অফিস ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে ইসলামী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন ওমর ফারুক। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও ক্রেডিট ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক। নতুন এমডি হিসেবে ওমর ফারুক খানের নিয়োগ ব্যাংকটির পরিচালনায় নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) ব্যাংকের রংপুর জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন। রংপুর জোনপ্রধান মো. মতিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বগুড়া জোনপ্রধান শিকদার মো. শিহাবুদ্দীন। সম্মেলনে জোনদ্বয়ের অধীন শাখাসমূহের প্রধান ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কাফি