গণমাধ্যম
সাংবাদিক ও গুণীজনদের পুরস্কার দিলো ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম
সাংবাদিক ও ডিজিটাল গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ) আয়োজনে ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) বিকাল ৪টায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকতা ও ডিজিটালে কর্মরত বিভিন্ন সেক্টরের সফল ব্যক্তিদের ৭টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এবার এসব বিভাগে মোট ১১জন পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন সাংবাদিক (রিপোর্টার) ও ৬ জন বিভিন্ন সেক্টরের গুণীজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জাজ ছিলেন ঢাকা জার্নাল অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইউএনবির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, ডেইলি সবুজ নিশানের বার্তা প্রধান মো. মোকছেদুর রহমান ওয়ালী।
গেস্ট অব অনার ছিলেন ডিএমএফ প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিজনেস অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক উদয় হাকিম, ডয়েচে ভেলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ, পেন্টাগন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অন্তু করিম, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার এলিজা বিনতে এলাহী, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জামিল খান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাজী আনিছ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার রাগীব রহমান, ইউল্যাবের লেকচারার সরজ মেহেদী, ঢাকা বিজনেস বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হক, প্রথম আলো ডিজিটালের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিড রুহুল আমিন রনি, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং সিরাজুল ইসলাম সুমন, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলম, নিউজ বাংলা২৪ এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইনচার্জ জাকারিয়া হোসেন জয়।
আয়োজনে স্পন্সর করেছে কিডলন, লুমিনাস গ্রুপ, ইফাদ, কিরণ, জি এন্ড এম, ক্রিয়েসন ওয়ার্ল্ড, কিউকম, মাইক্লো, অলিভ, পিওনি মেন্জ, টেক্সর্ট, স্টুডিও ভেলভেট, টেকনিশিয়ান, পিআর পিটু, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, বিএসই, এনইউএসডিএফ, লিমিরেন্স ক্রিয়েশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ একটি মাইল ফলক। অনেকেই গণমাধ্যমে ডিজিটালের কথা বলে, কিন্তু ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম আজ তা করে দেখিয়েছে। তারা ভবিষ্যতে আরো এমন আয়োজন করবে, এই প্রত্যাশা করি। আর যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন, তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ করবেন, ভালো ও সৎ সাংবাদিকতা করবেন, এই প্রত্যাশা করি।’
এসময় বিশেষ অতিথি শ্যামল দত্ত বলেন, ‘সাংবাদিকতায় অ্যাপ্রেসিয়েশনের দরকার রয়েছে, এতে উৎসাহ বাড়ে। আজ যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন, নিশ্চয়ই তারা ভালো কাজের পুরস্কার পেয়েছেন। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের এমন সাংবাদিক বান্ধব কাজ অব্যাহত থাকুক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘সাংবাদিকতায় সৎ ও সাহসীরাই সবসময় পুরস্কার পান। আজ যারা পুরস্কার পেলেন, তাদের সাহসীকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ যারা দিলেন, তারা সবাই তরুণ। তাদের এমন আরেকটি সাহসী আয়োজন আজ প্রশংসার দাবিদার। তাদের জয় হোক।’
পুরস্কারে ভূষিত ৫ সাংবাদিক হলেন বণিক বার্তার স্টাফ রিপোর্টার ইয়াহিয়া নকিব। তিনি বিজনেস বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন। বিনোদন বিভাগে পেয়েছেন আরটিভির বিনোদন প্রতিবেদক এসএম মারজান ইভান, অনুসন্ধানীমূলক সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার জাফর ইকবাল, আইসিটি বিভাগে পেয়েছেন দৈনিক সমকালের ডিজিটাল গ্রথ এডিটর সাব্বিন হাসান, স্পোর্টস বিভাগে পেয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি.কমের সিনিয়র রিপোর্টার ইয়াসিন হাসান।
ডিএমএফ স্পেশাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয় বড়ুয়া লাভলু, দৈনিক প্রথম আলোর ডেপুটি ম্যানেজার বিবর্ধন রায় ইমন, তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার), নেক্সট ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর পরিচালক আব্দুল্লাহ জায়েদ, খাবার দাবার ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রাফাতুল ইসলাম খান এবং স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
জামিন পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায়, আপিলের শর্তে আত্নসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বার্তাসংস্থা বাসস’কে বলেন, আপিলের শর্তে শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এরপর খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হলে, আদালত আপিল গ্রহণ করে শুনানির জন্য পরে তারিখ দেওয়া হবে বলে জানান।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে স্থগিতের আদেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা।
৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে– তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত।
বিগত ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট শেখ হাসিনার আমলে সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে আসামিরা একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
৩৭ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
বেশ কজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ সাংবাদিকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উসকানি প্রদান এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যের সদস্য পদ স্থগিত করা হলো।
গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নোটিশে জানানো হয়।
যেসব সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত
জাতীয় প্রেস ক্লাবের যাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে এই তালিকায় সিনিয়র অনেক সাংবাদিকের নাম রয়েছে। তারা হলেন- নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল।
এই তালিকায় আরও আছেন– জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, মোল্লা জালাল, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
গণমাধ্যম সংস্কারে ১১ সদস্যের কমিশন গঠন
সাংবাদিক কামাল আহমেদকে কমিশন প্রধান করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার।
গণমাধ্যমকে স্বাধীন শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে এই কমিশন গঠন ও কমিশনের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিয়ারা নাসরিন, দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক ও ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (নোয়াব) এর সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের সাংবাদিক ও আহ্বায়ক জিমি আমির, দা ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্তগুপ্ত ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়াতে বলা হয়েছে কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
আরও ১১৮ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) নতুন করে আরও ১১৮ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মোট ১৬৭ সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করল।
গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের কাছে অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর।
এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে এসব সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর থেকে এর আগে ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। পরে ৩ নভেম্বর আরও ২৯ জনের কার্ড বাতিল করে সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
ছাত্রলীগ সভাপতির টকশো স্থগিত করলেন খালেদ মুহিউদ্দীন
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে টকশো আয়োজনের ঘোষণার পর সমালোচনার মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। বুধবার (৬ নভেম্বর) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে টকশো আয়োজনের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
শেষ পর্যন্ত খালেদ মুহিউদ্দীন তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সেই অনুষ্ঠান স্থগিতের কথা জানান।
তিনি লিখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হল।’
এর আগে খালেদ মুহিউদ্দীনের ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বলা হয়, ‘৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। দেখুন, সঙ্গে থাকুন, করুন মন্তব্য।’
এরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের ২ হাজারের বেশি শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।’
আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সাথে প্রতারণা করা হলো।’
এমআই