জাতীয়
সূর্যোদয়ের আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

আসন্ন কোরবানির ঈদে পশু কোরবানির পরদিন সূর্যোদয়ের আগে পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে সম্ভব হলে বর্জ্য রাতের মধ্যে শেষ করতে হবে। এরপর যেন কোথাও কোনো রকমের বর্জ্য না দেখি বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নিদিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির বাস্তবায়ন করা ও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি কথা বলেন।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্তমর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদে পশু কোরবানির পরদিন সূর্যোদয়ের আগে পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। সম্ভব হলে বর্জ্য রাতের মধ্যে শেষ করতে হবে। ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে কোরবানি শুরু হবে। এরপরদিন অর্থ্যাৎ তাদের আগে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলেও এবার নির্দিষ্ট করে দিয়েছি সূর্যোদয়ের আগে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। এরপরে যেন কোথাও কোনো রকমের বর্জ্য না দেখি। এরপর যদি কোনো বর্জ্য থেকেও যায় সেটা পরিবেশ দূষণ করবে না। আমি মনে করি দুই সিটি করপোরেশন সফলতার পরিচয় দেবে। এরপরেও যদি কোনো কোরবানি করে থাকে সেটাও অপসারণ করতে হবে। কেননা ঈদের পর কয়েক দিন পশু কোরবানি হয়ে থাকে। সেজন্য পররের কয়েকদিন একটু বেশি নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা তার আগে করে ফেলবেন। তারপরও সূর্যোদয়ের পরে কোথাও যেন বর্জ্য পরিলক্ষিত না হয়। ঢাকা শহরে ২৫ লাখ পশু কোরবানি হবে। এত বড় একটা কর্মযজ্ঞে কোথাও যদি একটু সময় ক্ষেপণ হয় সেটা মেনে নেওয়া যায়। এর বেশি হলে সহ্য করা যায় না। ঈদের কয়েকদিন আন্তরিকতার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের এ একটু আধটু ত্রুটি মেনে নেওয়া যায়৷ অতীতেও প্রতিকূলতা ছিল তারমধ্যেই কাজ করেছেন। সারা পৃথিবীতেই এটা হয়ে থাকে।
এবছরও কি দুই সিটি কর্পোরেশন পশু কোরবানির জন্য নিদিষ্ট স্থান নির্বাচন করে দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, অতীতে তারা সামাজিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে করেছে। বিশেষ করে কোভিডের সময়ে করা হয়ছিল। এবার কিছু কিছু এলাকায় সামাজিকভাবে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করবে। একই সঙ্গে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবে সেই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলরা সমাজের লোকজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই ব্যবস্থা করবে।
জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন কি সারাদেশের পশুর হাটগুলোতে থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাল টাকা শনাক্তকরণে যে মেশিন সেটা মোবাইল মেশিন। ফলে সব জায়গায় এ মেশিন থাকবে।
ঈদের আগে অতীতে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, না হলে কেন হলো না সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের দুই সিটি করপোরেশন সফলতার সঙ্গে করেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কথা বলেছি সেটা পূর্বের বছরগুলোতে করে দেখিয়েছে। এখানে ব্যর্থতার কোনো নজির আমাদের কাছে নেই। সাংবাদিকরাও এমন কোনো খবর প্রচার করেনি যে যেখানে সেখানে বর্জ্য পড়ে আছে। সিটি করপোরেশন সেখানে দায়িত্ব পালন করছে না।
সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আজকে সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমরা সর্বসম্মতিক্রমে নিয়েছি।
এরমধ্য কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, কোরবানিকৃত পশুর রক্ত/ বর্জ্য দ্বারা যাতে ঢাকা শহরসহ সারাদেশে পরিবেশ দূষিত/নোংরা না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সূর্যোদয়ের আগে কোরবানির সব প্রকার বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে কোরবানিদাতারা যাতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোরবানির স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন, সেজন্য উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
এছাড়া গাবতলী ব্রিজের ওপরে চামড়ার বাজার স্থাপন করা যাবে না এবং ময়লার গাড়ি নির্বিঘ্নে আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে যাতায়াতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোরবানির পশুরহাট ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক ও মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাট ইজারা প্রদান না করা। সড়ক/ মহাসড়কের ওপর বা রাস্তার পাশে যেখানে স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্নিত না হতে পারে সেখানে কোনোক্রমেই পশুরহাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোরবানির পশুর হাটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করতে হবে। রাস্তাঘাট বা পশুরহাটে যাতে কোনো রকম চাঁদাবাজি বা অবৈধ আর্থিক লেনদেন না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ/প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া বিভিন্ন পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের সহায়তায় এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেলস মেশিন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে ক্যাশলেস বা নগদ টাকাবিহীন লেনদেনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন হাটবাজার ও কোরবানির পশু পরিবহনকালে অজ্ঞান/মলম পার্টি যেন অপরাধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তদারকি বাড়াতে হবে।
নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি নিশ্চিতকরণ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি নিশ্চিত করতে হবে এবং এ বিষয়ে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ/উৎসাহিত করতে হবে। পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্থান নির্ধারণ নিশ্চিত করতে হবে। বর্ষাকাল বিবেচনায় সামিয়ানা/ত্রিপল টানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পশু জবাইয়ের স্থান, ইমাম ও কসাইয়ের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে এবং কসাইদের বিশেষ করে মৌসুমী কসাইদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ

জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি সাধারণ আসন এবং নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন থাকবে। যেখানে উভয় আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, জুলাইয়ে যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের স্মরণার্থে এমন কিছু করতে চেয়েছি যা মানুষ ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে।
শিরীন পারভীন বলেন, সুপারিশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সংস্কার কমিশন ১৫টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্ব কমিশনের সদস্যরা।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে শিরিন পারভীন হককে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান করে ১০ সদস্যের গঠন করে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভিসা দেবে না। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পেজেও এ কথা জানিয়েছে দূতাবাস। তারা বলছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ভিসা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যতক্ষণ না সব ধরনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের সমাধান হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ভিসা ইস্যু করা হয় না।
তারা বলেছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। যারা এরূপ কর্মকাণ্ড করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ও সংশ্লিষ্ট দেশেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরিন পারভীন, সদস্য মাহীন সুলতান, সারা হোসেন, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তার, ডা. হালিদা হানুম আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম, নিরুপা দেওয়ান, ফেরদৌসী সুলতানা ও নিশিতা জামান নিহা।
সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারী পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন। এটি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) এর একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার নির্বাচনভিত্তিক একটি নাগরিক সংগঠন যারা গত দুই দশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নাগরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সাক্ষাতে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড তুলে ধরে। বিশেষ করে স্বাধীন ও নাগরিক-চালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। তারা স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরে যা বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনী স্বচ্ছতা বাড়ানোর সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হর্ন বন্ধ করা নয়, আমার কাজ আইন প্রয়োগ করা: পরিবেশ উপদেষ্টা

হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এমনটাই জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন কার্যকর করার দায়িত্ব তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘরে ‘সবুজ জ্বালানি অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,
“সবাই আমাকে দেখেই বলেন, ‘আপা, হর্ন তো বন্ধ হল না।’ কিন্তু আপনি নিজে তো ৫৩ বছর ধরে হর্ন বাজিয়েই যাচ্ছেন। আপনার ড্রাইভারও বাজিয়ে যাবে। অথচ দায়টা শুধু আমার কাঁধেই চাপিয়ে দিচ্ছেন!”
তিনি স্পষ্ট করেন, “হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এখানে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—মানসিকতা আর আচরণগত পরিবর্তন।”
উল্লেখ্য, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালের বিধিমালা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাভেদে শব্দের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারিত আছে। নীরব এলাকায় দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ ও রাতে ৪৫ ডেসিবল শব্দমাত্রা অনুমোদিত। মিশ্র, বাণিজ্যিক এবং শিল্প এলাকায় ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ ডেসিবল পর্যন্ত।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ গাড়ির হর্ন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দ তৈরি করছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে বিধিমালার আওতায়। চলতি বছরের শুরু থেকে আরও ১০টি সড়ককে একইভাবে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা।
তিনি সতর্ক করেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা এমন একটি পৃথিবী রেখে যাচ্ছি, যেখানে জলবায়ু সংকট ভয়াবহ রূপ নেবে—বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পুনরাবৃত্তি আরও বেড়ে যাবে।”
তরুণদের নীতিনির্ধারণী কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “এই সরকার তরুণদের সরকার—তা মানে এই নয় যে আমি নিজেকে তরুণ ভাবছি। তবে এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যখন তিনজন তরুণ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছেন এবং তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।”