জাতীয়
গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

গণমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বুধবার (২৯ মে) বিকালে রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটা আমাদের সবার। এ দেশের স্বার্থের বিপক্ষে যেসব ষড়যন্ত্র হবে, সেগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে, এ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে প্রচেষ্টা সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ সবাইকে সম্মিলিত ভূমিকা রাখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কারণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। যে স্বপ্ন নিয়ে এদেশ তৈরি হয়েছিল সে স্বপ্নের একটি বড় জায়গায় গণতন্ত্র, মানবাধিকারের সুরক্ষা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। এ বিষয়গুলো আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এ দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে। তারপর অন্ধকারের শক্তি এ দেশে ক্ষমতায় এসেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সামরিক শাসন জারি করে, গণমাধ্যমের গলা টিপে, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হত্যা করে, মানবাধিকার বিনষ্ট করে, স্বাধীনতার স্বপ্নগুলোকে ভূলুণ্ঠিত করে এ দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীল ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সেই বাস্তবতা থেকে গত ১৫ বছরে অন্ধকার জায়গা থেকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে আলোর দিকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রেস কাউন্সিলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও শক্তিশালী করা, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের পরিবেশ আরো উন্নত করা, আরও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে আমরা গণমাধ্যমকে দেখতে চাই। সরকারের বিচ্যুতি-ব্যর্থতা বা কোন সমস্যা সত্য তথ্যের ভিত্তিতে তুলে ধরলে সেগুলোকে সরকার স্বাগত জানাবে এবং স্বীকৃতি দিয়ে পুরস্কারও হাতে তুলে দেবে। এ সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার। যারা সমালোচক তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়। কাজেই সমালোচনা নেওয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের যে সহনশীলতা বা তার যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটি প্রেস কাউন্সিল পদক প্রদানের মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে।’
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।
অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক-২০২৩ প্রদান করা হয়। আজীবন সম্মাননা ক্যাটাগরিতে সাপ্তাহিক বেগম সম্পাদক মরহুম নুরজাহান বেগম, প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজ, আঞ্চলিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে দৈনিক কক্সবাজার, উন্নয়ন সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক (বার্তা) মো. ইকবাল হোসেন, গ্রামীণ সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে সময় টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা সিকদার জাবীর হোসেন এবং নারী সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ঝর্ণা মনিকে পদক প্রদান করা হয়।
এমআই

জাতীয়
বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।
চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।
তিনি আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কেও ভিত্তিতে সর্বদা ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশি জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ সহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সেনানিবাস এলাকার হলে প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি কেন্দ্রে অংশ নেবেন বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী। সেনানিবাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে ওই তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য আলাদা গেইট ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীনের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং মুসলিম মডার্ন একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সময় নির্দিষ্ট গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের পরীক্ষার্থীরা মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস (এমইএস) গেইট অথবা ইসিবি সংলগ্ন পকেট গেইট ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে মুসলিম মডার্ন একাডেমির পরীক্ষার্থীরা কচুক্ষেত সংলগ্ন এমইএস কনভেনশন হলের পাশের পকেট গেইট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
একই সঙ্গে পিএসসির পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট প্রবেশপথ ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে পরীক্ষার দিন সেনানিবাস এলাকায় কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি না হয়।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়লো

সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আয়োজন করা কোর্সে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ভাতা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রত্যেকের জন্য চাকরির গ্রেড অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যুগ্ম-সচিব মো. ফেরদৌস আলম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নবম গ্রেড থেকে তার ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীরা কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৮০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্তকালীন ১ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া দশম গ্রেড থেকে তার নিচের পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৬০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্ত থাকার সময় ৭০০ টাকা ভাতা ধরা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ আগস্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সে সময় প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী উভয়ের ভাতা বাড়ানো হয়। প্রশিক্ষার্থীদের ভাতা বাড়িয়ে দ্বিগুণ আর প্রশিক্ষকদের ভাতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তর আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য বক্তার সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার সেশনে তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্ম-সচিব ও তার ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীর প্রশিক্ষণ সম্মানী ৩ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড বা উপ-সচিব এবং তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের ভাতা নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার টাকা।
অপরদিকে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণে গ্রেড-৯ থেকে এর ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীদের প্রতিদিন ভাতা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। গ্রেড-১০ থেকে তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীর জন্য তা হয় ১ হাজার টাকা।
প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি শর্তের কথা বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-
- মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তরগুলোর শুধু নিজ নিজ দপ্তরের কর্মচারীদের বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।
- মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য সদর দপ্তর আয়োজিত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
- প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তিকাল দিনব্যাপী না হলে দুপুরের খাবার বাবদ কোনো ব্যয় করা যাবে না।
- প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
- গ্রেড বলতে মূল গ্রেড বুঝাবে।
- আদেশ জারির তারিখ থেকে পুনর্নির্ধারিত হার কার্যকর হবে।
জাতীয়
অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ। মেলা চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির শহীদ মুনির চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব, পরিচালকরা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা।
সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পবিত্র রমজানের পরিপ্রেক্ষিতে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
জাতীয়
শুক্রবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

জরুরি মেরামত কাজের জন্য শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় টানা ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভালভ স্টেশনগামী ১০ ইঞ্চি, ১২ ইঞ্চি ও ১৪ ইঞ্চি প্রধান বিতরণ পাইপলাইনের কিছু অংশে জরুরি মেরামতের কাজ করা হবে।
এ অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মুক্তারপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় সব ধরনের গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া এসব এলাকার আশপাশে গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।
সাময়িক এই অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।