জাতীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের টার্নিং পয়েন্ট: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বর্তমান টার্নিং পয়েন্ট হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ, উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশের স্বাধীনতার টার্নিং পয়েন্ট ছিলেন। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি দারিদ্র্য পীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। জিডিপি প্রায় নয় ভাগে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ব্যর্থ হয়েছিলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারলে বিআইডব্লিউটিসি কেন উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারবেনা? আজকে বিআইডব্লিউটিসির অফিসার্স এসোসিয়েশনের নতুন কমিটিকে শপথ নিতে হবে, ‘আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে’। বিআইডব্লিউটিসিকে উন্নয়নের রোল মডেল হতে হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অফিসার্স এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এ কে এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেলুজ্জামান।

জাতীয়
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি, বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন

‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশে পরিমার্জন করে তিন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের কথা বলা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। যুক্ত হয়েছে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরের দণ্ড। তবে আগের অধ্যাদেশের মতো এখানেও রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়নি।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশটি জারি করেছেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ মে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে। কর্মচারীরা এক মাসেরও বেশি সময় সচিবালয়ে বিক্ষোভসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন। কয়েকজন উপদেষ্টাও অধ্যাদেশটির অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেন। শেষে অধ্যাদেশটি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৩ জুলাই ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন অধ্যাদেশে ‘সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান’- এ বলা হয়েছে, আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী-
‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অমান্য করেন বা এর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন বা এসব কাজে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে প্ররোচিত করেন বা ছুটি বা যুক্তিসংগত কোনো কারণ ছাড়া অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন- তাহলে এটা হবে সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ।’
এ জন্য তিন ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে নতুন অধ্যাদেশে। এসব কর্মের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত- এসব শাস্তি দেওয়া যাবে।
আগের অধ্যাদেশের ‘সরকারি কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যে কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে’ বাদ দেওয়া হয়েছে।
দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্ত-দণ্ড প্রদান করা যাবে বলে আগের অধ্যাদেশে উল্লেখ ছিল।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর অভিযোগ গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তকে নোটিশ দেওয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক কি না নোটিশে তাও জানতে চাওয়া হবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি নোটিশের জবাব দিলে অথবা জবাব না দিলেও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা অভিযোগ গঠনকারী ব্যক্তি তিন দিনের মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। তদন্ত কমিটির সদস্যদের অভিযুক্ত ব্যক্তির থেকে কর্মে জ্যেষ্ঠ হতে হবে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি নারী হলে তদন্ত কমিটিতে আবশ্যিকভাবে একজন নারী সদস্যকে রাখতে হবে। তদন্তের আদেশ পাওয়ার পরবর্তী ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। যুক্তিসঙ্গত কারণে এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারলে সর্বোচ্চ একবারের জন্য সাত কার্যদিবস সময় বাড়ানো যাবে।
তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়, তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে না পারলে তা তাদের অদক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এটি সরকারি কর্মচারী বাতায়ন ও ডোসিয়ারে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিণ করা হবে। এ ছাড়া, চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
দণ্ডের বিষয় অবহিত করে অভিযুক্তকে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি দেওয়া হবে। দণ্ড আরোপের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ চাইলে দণ্ড বহাল বা বাতিল করতে পারবেন।
তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। এমন ক্ষেত্রে দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মচারী দণ্ড আরোপের আদেশ পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন।
জাতীয়
সচিবালয়ে হামলা-ভাঙচুর, ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার জেরে সচিবালয়ে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরে অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন সচিবালয় নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিদর্শক গোলাম মুক্তি মাহমুদ। মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২৮ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২২ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার থেকে ১২০০ শিক্ষার্থী ও স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতকারীরা মাইলস্টোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিতসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মসূচি পালন করে। প্রথমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা ভবনের উদ্দেশে মার্চ করলেও পরবর্তীতে শিক্ষা ভবন থেকে বের হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। আন্দোলন চলাকালীন নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও বলা হয়, তাদের সচিবালয়ে প্রবেশ না করার জন্য বিভিন্নভাবে অনুরোধ করা হয়। পরে তারা বেআইনিভাবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের মেইন গেটের সামনে এসে দাঙ্গা সৃষ্টি করে এবং গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তাদের বাধা দিলে কর্তব্যরত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন। এসময় সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানান, সচিবালয়ে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশসহ ছয় দফা দাবি এবং এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা দেরিতে স্থগিতের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে সচিবালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন তারা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। লাঠিপেটাও করা হয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
কাফি
জাতীয়
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআর

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গণমাধ্যম এ বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেকেই না বুঝে এসব গুজবে বিশ্বাস করছেন।
ঘটনার পরপরই, কোনো পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত সাড়া দেয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছা বা প্রয়াস আমাদের নেই।’
বিবৃতিতে আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, আমি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি, যেকোনো গণমাধ্যম চাইলেই এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। সেনাবাহিনীসহ যে কাউকে ইন্টারভিউ করতে পারে বা সংশ্লিষ্ট যেকোনো স্থান পরিদর্শন করতে পারে। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত আছি।
কাফি
জাতীয়
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৪ জনের, শনাক্ত ৩১৯

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। এসময়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১৯ জন।
বুধবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬১ জন, ময়মনসিংহ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, রাজশাহী (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০ জন এবং রংপুর (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চারজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৬০ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জালাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৪৫ জন। তাদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যু নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৬৯ জন মারা গেছেন।
২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫৭৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।
কাফি
জাতীয়
ভোটের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি ইসির

নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গণমাধ্যকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী, ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপনকক্ষের ভেতরে ছবি তোলা যাবে না।
বুধবার (২৩ জুলাই) ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫ জারি করা হয়।
ইসি বলছে, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এ সাংবাদিক নীতিমালা অনুযায়ী দেশের অনুমোদিত প্রিন্ট, টেলিভিশন, নিউজ পোর্টাল, আইপিটিভি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিদেশি সাংবাদিকদের কার্ড ও গাড়ির স্টিকার দেবে। এজন্য নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সাংবাদিক পাস কার্ড, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার দেবে ইসি সচিবালয় ও রিটার্নিং অফিসার।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ নীতিমালা জারি করলেও স্থানীয় সরকারের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই নীতিমালা প্রয়োজ্য হবে বলেও জানিয়েছে ইসি।
কী করা যাবে, কী করা যাবে না
> বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন; পরে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন।
> গোপনকক্ষের ছবি তোলা যাবে না।
> একসঙ্গে দুটির বেশি মিডিয়া ভোটকক্ষে যাবে না; ১০ মিনিটের বেশি থাকতে পারবে না।
> ভোটকক্ষে সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
> ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
> ভোটকেন্দ্রে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে করতে হবে।
> ভোট গণনার সময় থাকতে পারবে, ছবি তোলা যাবে; কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার নয়।
> ভোটকক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
কাফি