অন্যান্য
আগামীকাল স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), এবি ব্যাংক পিএলসি এবং ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হবে আগামী রবিবার (২ জুন)। কোম্পানিগুলোর রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ জুন।
আর রেকর্ড ডেটের দিন কোম্পানিগুলোর লেনদেন বন্ধ থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
ফের শুরু হলো রাজরাজেশ্বর প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চোকদার কান্দি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় জমকালো আয়োজনে শুরু হলো রাজরাজেশ্বর প্রিমিয়ার লিগ (আরপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫– সিজন ২।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. ইসা রুহুল্লাহ। এছাড়াও ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম চোকদার, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুফিয়ান পাটওয়ারী, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মাল, ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ হাকিম আলী পাটওয়ারী, শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আলী হোসেন ঢালী, ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তিত্ব ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী ডা. লিটন মোল্লা, ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. আলী সরকার, ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য হানিফ এবং ক্রীড়াপ্রেমী ব্যক্তিত্ব সজীব উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ বাংলা স্পোর্টিং ক্লাব ও ভাই ভাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সবুজ বাংলা স্পোর্টিং ক্লাব সংগ্রহ করে ১২৪ রান। ফলে ভাই ভাই সুপার কিংসকে জয়ের জন্য ১২৫ রানের টার্গেট দেওয়া হয়।
এদিকে, জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভাই ভাই সুপার কিংস ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। দলের অধিনায়ক শাহিন অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা (ম্যান অব দ্য ম্যাচ) নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, রাজরাজেশ্বর প্রিমিয়ার লিগের এই আসর প্রতি বছর আয়োজন করা হয়, যেখানে স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় সিজনের প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
আগে দেশের গণতন্ত্র সংস্কার করুন

গণতন্ত্রের মূল দর্শন হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন, বাকস্বাধীনতা, আইনের শাসন, স্বচ্ছ নির্বাচন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বাংলাদেশে এই মৌলিক নীতিগুলোর কোনো বাস্তব প্রয়োগ নেই। গণতন্ত্রের নামে এখানে দলীয় স্বৈরতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র এবং দুর্নীতিবাজ শাসনের এক অপ্রতিরোধ্য দৃষ্টান্ত গড়ে উঠেছে। ফলে, জনগণের ভোটাধিকার কার্যত একটি নাটকে পরিণত হয়েছে, যেখানে নির্বাচনের ফল টাকার বিনিময়ে, ক্ষমতার দম্ভে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্ধারিত হয়।
এটি কেবল বাংলাদেশে নয়, বরং অধিকাংশ দরিদ্র দেশে গণতন্ত্রের নামে যে শাসনব্যবস্থা চলছে, তা মূলত ক্ষমতালিপ্সু গোষ্ঠীর শোষণের হাতিয়ার। প্রশ্ন ওঠে—গণতন্ত্র কি আদৌ দরিদ্র দেশের জন্য কার্যকর? আর যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে কোন কোন দিক সংস্কার করতে হবে?
গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে দেখা যায়, যেখানে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত, ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এবং রাজনৈতিক নেতারা জনসেবার জন্য কাজ করেন। অথচ বাংলাদেশসহ অনেক দরিদ্র দেশে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে। এখানে বাকস্বাধীনতা মানে দলীয় আনুগত্য। বিরোধী মত প্রকাশ করা মানে রাষ্ট্রদ্রোহী বা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া। সত্য বলা মানে মামলা, গুম, বা নির্যাতনের শিকার হওয়া। সংবাদমাধ্যম দলের নিয়ন্ত্রণে, ফলে জনগণ কখনোই প্রকৃত সত্য জানতে পারে না।
দলীয় গডফাদারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা। যে দল ক্ষমতায় থাকবে, তাদের নির্দেশই চূড়ান্ত। প্রশাসন, পুলিশ, বিচারব্যবস্থা—সব দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। বিচারব্যবস্থা দলীয় হস্তক্ষেপে দুর্বল হয়ে পড়েছে, ফলে অপরাধীদের বিচার হয় না। একনায়কতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্রের ছায়ায় গণতন্ত্রের নামে ব্যক্তি বা পরিবারের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কেবলমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখার নাটক, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো সুযোগ নেই। জনগণের ভোটাধিকার একটি রীতিগত আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। দুর্নীতিই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। করের টাকায় চলে লুটপাট ও ক্ষমতাসীনদের সম্পদ বৃদ্ধি। প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সবাই দুর্নীতিতে জড়িত। ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করাই রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণতন্ত্রের শর্ত হলো শিক্ষিত জনগণ, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা। কিন্তু দরিদ্র দেশে এই শর্তগুলো অনুপস্থিত থাকার কারণে গণতন্ত্র কার্যত ক্ষমতাশালীদের জন্য একটি সুবিধাজনক শাসনব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।
গণতন্ত্রের ব্যর্থতা দরিদ্র দেশে এর বাস্তব চিত্র স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। ভোটাধিকার বিক্রি হয়। দরিদ্র জনগণ অর্থ বা সামান্য সুবিধার বিনিময়ে ভোট দেয়। রাজনৈতিক দলগুলো চাল, টাকা, কিংবা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে ভোট কিনে নেয়। ভোটকেন্দ্র দখল, ভুয়া ভোট এবং কারচুপি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতাদের জবাবদিহিতা নেই। নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে না। জনগণের দারিদ্র্য ও অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বারবার ক্ষমতায় ফিরে আসে। নমিনেশন বাণিজ্য ও টাকার খেলা, নির্বাচনের আগে দলীয় মনোনয়ন কেনাবেচা হয়। ক্ষমতাবান ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। রাজনীতি মানে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি। রাজনৈতিক নেতারা সন্ত্রাসী বাহিনী পুষে রাখে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাঁদাবাজি, হামলা, ও হত্যা করা হয়।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে কেবল ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ চালু করতে হবে। সুশিক্ষিত জনগণ ছাড়া কার্যকর গণতন্ত্র সম্ভব নয়, শিক্ষার মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থাকে দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কঠোর আইন ও বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিতে হবে।
দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় তহবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্র আসলে ক্ষমতাবানদের শাসন টিকিয়ে রাখার একটি পদ্ধতি। এটি জনগণের কল্যাণ নয়, বরং রাজনৈতিক মাফিয়াদের স্বার্থ রক্ষা করে। গণতন্ত্র যদি সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে হয়, তাহলে প্রথমেই নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন করতে হবে, এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে। অন্যথায়, আমরা যতই গণতন্ত্রের বুলি আওড়াই না কেন, বাস্তবতা হবে একই—একটি ফাঁপা কাঠামো, যেখানে জনগণ শোষিত হবে, আর শাসকগোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। সুতরাং, গণতন্ত্রের নামে যদি দুর্নীতির রাজত্বই কায়েম থাকে, তবে সেটি গণতন্ত্র নয়, বরং জনগণের দাসত্বেরই আরেকটি রূপ।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র বর্তমানে একচ্ছত্র ক্ষমতার খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। এখানে গণতন্ত্র মানে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা ন্যায়বিচার নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার একটি কৌশল। ভোটাধিকার থাকলেও তা কার্যত অর্থ, ভয়ভীতি এবং প্রতারণার জালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক নেতারা জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা অনুভব করেন না, বরং নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচারব্যবস্থাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে। এর ফলে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিবর্তে বাংলাদেশে পরিবারতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র এবং দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছে।
রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একই পরিবারের সদস্যরা বছরের পর বছর ধরে দলীয় পদ, সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। ভোটের মাধ্যমে জনগণ নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে না, কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নেই। দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত; নতুন নেতৃত্ব গড়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। যারা দেশপ্রেম এবং জনসেবার মানসিকতা নিয়ে রাজনীতিতে আসতে চায়, তারা দলীয় বলয়ের বাইরে ছিটকে পড়ে। অন্যদিকে, যারা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং ক্ষমতার দম্ভ দেখাতে সক্ষম, তারাই দলে জায়গা পায় এবং দ্রুত শীর্ষে উঠে আসে।
রাজনৈতিক দুর্নীতির আরেকটি ভয়াবহ দিক হলো নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিকৃত হয়ে যাওয়া। দরিদ্র জনগণের ভোটাধিকার থাকলেও তা কার্যত মূল্যহীন হয়ে পড়েছে, কারণ ভোট কেনাবেচা এখন ওপেন সিক্রেট। রাজনৈতিক দলগুলো চাল, টাকা, বা প্রতিশ্রুতির লোভ দেখিয়ে ভোট সংগ্রহ করে, আর জনগণ নিরুপায় হয়ে সেই ফাঁদে পা দেয়। ভোটকেন্দ্র দখল, ভুয়া ভোট প্রদান এবং নির্বাচনী কারচুপি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে, গণতন্ত্রের নামে চলে ক্ষমতার বৈধতা অর্জনের প্রহসন, যেখানে জনগণের মতামতের কোনো বাস্তব মূল্য নেই।
এর চেয়েও ভয়ংকর বিষয় হলো, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বিরোধী মত দমন করতে বিচারব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়, যাতে ক্ষমতাসীনরা নির্বিঘ্নে লুটপাট চালাতে পারে। আদালত থেকে শুরু করে পুলিশ—সবাই কার্যত দলীয় নির্দেশের বাইরে যেতে পারে না। ফলে দুর্নীতিবাজ নেতারা কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করতে পারে, এবং জনগণ কিছুই করতে পারে না।
দুর্নীতি, দুঃশাসন এবং লুটপাটের এই চক্র যদি ভাঙা না যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গণতন্ত্র কেবল একটি ইতিহাসের পাতায় পড়ে থাকার মতো ধারণা হয়ে যাবে। জনগণ বারবার প্রতারিত হতে হতে একসময় গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে, এবং তখনই স্বৈরতন্ত্র আরও গভীর শেকড় গেড়ে বসবে। তাই, এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হলে শুধু নির্বাচন বা আইনের সংস্কার যথেষ্ট নয়; দরকার রাজনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন এবং জনগণের মধ্যে সঠিক শিক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টি করা। অন্যথায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র শুধু একটি প্রতারণামূলক শাসনব্যবস্থা হয়ে থাকবে, যা ক্ষমতাসীনদের সুবিধা নিশ্চিত করতেই ব্যবহৃত হবে।
গণতন্ত্রের নামে প্রতারণা, লুটপাট এবং সন্ত্রাসের এই চক্র যদি বন্ধ করতে হয়, তবে প্রথমেই রাষ্ট্রকে রাজনীতি শব্দের প্রকৃত অর্থ নির্ধারণ করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে “রাজনীতি” বলতে বোঝায় দুর্নীতির আখড়া, গুন্ডামি, লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং ক্ষমতার জন্য হিংস্র প্রতিযোগিতা। যারা এই অপরাধচক্রের নেতৃত্ব দেয়, তাদের “রাজনীতিবিদ” বলা আদৌ যৌক্তিক নয়। কারণ, প্রকৃত রাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনসেবা, ন্যায়বিচার এবং নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা—যা বর্তমান রাজনৈতিক গোষ্ঠী সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, আমি রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানাই, রাজনীতিবিদ বা রাজনীতি শব্দের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং জনগণের প্রকৃত সেবকদের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে।
আমরা “Politics” এবং “Politician” শব্দ ব্যবহার করি না, বরং “রাজনীতি” এবং “রাজনীতিবিদ” শব্দ ব্যবহার করি। কেন? কারণ “Politics” শব্দটি কৌশলগত ক্ষমতার খেলা বোঝায়, যেখানে প্রধান লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন ও টিকিয়ে রাখা। এর মধ্যে জনসেবার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, বরং এটি ক্ষমতার এক দুঃসাহসিক খেলা মাত্র। কিন্তু “রাজনীতি” শব্দটির শাব্দিক অর্থ রাজ্যের নীতি, অর্থাৎ যে নীতির ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। এখানে জনকল্যাণ, ন্যায়বিচার ও সুশাসনই প্রধান। তেমনি, “Politician” হলো একজন পেশাদার ক্ষমতাকেন্দ্রিক ব্যক্তি, যার মূল কাজ হলো রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করা। কিন্তু “রাজনীতিবিদ” মানে এমন ব্যক্তি, যিনি রাজ্যের নীতি রচনা ও বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকেন, যার কাজ শুধু ক্ষমতা অর্জন নয়, বরং জনসেবাকে মূল লক্ষ্য হিসেবে নেওয়া।
ড. ইউনূস দেখিয়েছেন কীভাবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হয় এবং কীভাবে একজন দক্ষ নেতা তার দেশের জন্য কাজ করতে পারেন। ছিল কি এমনটি গত ৫৪ বছরে? তাহলে কীভাবে নিজেদেরকে রাজনীতিবিদ বলে দাবি করবেন?
এক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বই প্রকৃত রাজনীতিবিদের উদাহরণ হতে পারেন। তিনি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি, জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করেছেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন এবং সর্বোপরি, নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনি রাজনীতির প্রচলিত গণ্ডির বাইরেও প্রমাণ করেছেন যে, সত্যিকারের নেতৃত্ব মানে ক্ষমতা নয়, বরং মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ।
যেদিন বাংলাদেশে ড. ইউনূসের মতো মানুষদের রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে পাবো, সেদিনই আমরা নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারবো। সেদিন জনগণের সেবকরা “রাজনীতিবিদ” উপাধি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। আর তার আগ পর্যন্ত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্র দুর্নীতিবাজদের কব্জায় বন্দি থাকবে, যেখানে রাজনীতি মানে হবে প্রতারণা, লুটপাট, ক্ষমতার লড়াই আর জনগণকে ব্যবহারের এক অনন্ত খেলা।
লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বাজার মূলধন বেড়েছে ২৩৪৯ কোটি টাকা, কমেছে লেনদেন

বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। তবে আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৬ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১০ দশমিক ০৯ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
আলোচ্য সপ্তাহে সূচকের উত্থানের পরও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৭৫৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৩টি কোম্পানির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সোনার মুদ্রার জাদু

অনেক দূরের এক দেশে, যেখানে মানুষ স্বপ্ন দেখে, কিন্তু বাস্তবতা তাদের স্বপ্নকে বারবার গলা টিপে ধরে। সেখানে জন্ম নিল এক শিশু, যার চোখে ছিল সমুদ্রের গভীরতা আর মন ছিল আকাশের মতো বিস্তৃত। তার নাম ছিল “নুরান”—অর্থাৎ, যিনি আলো ছড়ান।
নুরান বড় হলো এমন এক সমাজে, যেখানে ধনী আরও ধনী হয়, আর গরিবেরা দিন গোনে কখন ভাতের থালায় ভাত উঠবে। কিন্তু সে থেমে থাকল না। তার মনে হলো, যদি আলো এক জায়গায় থাকে, তবে অন্ধকার কখনোই দূর হবে না। আলো ছড়িয়ে দিতে হবে।
সে জানতো, সে একা কিছু করতে পারবে না, তবে যদি একে একে হাজারো মানুষ একে অপরকে সাহায্য করতে শুরু করে, তবে সে সমাজ বদলে যেতে পারে। নুরান একদিন এমন এক সোনার মুদ্রা তৈরি করল, যা ছিল জাদুর মুদ্রা। এই মুদ্রার শক্তি ছিল এমন—যদি এটি একজন গরিব মানুষের হাতে পড়ে, তবে তা তার জীবনের পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। তবে, শর্ত ছিল একটাই- যদি সে এই সাহায্য নিয়ে অন্য কাউকে সাহায্য না করে, তবে মুদ্রাটি তার কাছে কোনো মূল্যহীন হয়ে যাবে।
ধীরে ধীরে, এই মুদ্রার জাদু ছড়িয়ে পড়তে লাগল। একে একে শত শত, হাজার হাজার মানুষ নিজেদের ভাগ্য বদলাতে থাকল, কিন্তু তারা সবাই আরও কাউকে সাহায্য করতে থাকল। ফলস্বরূপ, সমাজের চেহারাই বদলে গেল। একে অপরকে সাহায্য করার এই প্রক্রিয়া ক্রমেই একটি আন্দোলনে পরিণত হলো, যার শেকড় গেড়ে নিল মানবতার আদর্শ।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ল রাজ্যের বাইরে, মহাদেশের বাইরে, গোটা বিশ্বে। বড় বড় রাজারা নুরানের এই জাদুর মুদ্রার রহস্য জানতে চাইল, কিন্তু সে শুধু বলল, এটি কোনো জাদু নয়, এটি শুধু বিশ্বাসের শক্তি।
একদিন, নুরানের সম্মানে এক বিশাল স্বর্ণমুদ্রা তৈরি করা হলো, যা শুধু তার অর্জনকেই নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্য এক অনুপ্রেরণা হিসেবে রইল। আর সেই মুদ্রার একপাশে লেখা রইল—আলো একা নয়, আলো ছড়াতে জানলে তবেই তা সত্যিকারের আলো।
এই রূপকথা কোনো কল্পকাহিনি নয়, এটি আমাদের সময়ের এক সত্য গল্পের প্রতিচ্ছবি। এটির সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে আমাদের সমাজের বর্তমান চিত্রের। এটি একটি মূর্ত প্রতীক—একটি আদর্শ, যা বিশ্বকে দেখাচ্ছে যে, শুধুমাত্র প্রতিটি ব্যক্তি নিজের উন্নতি নয়, বরং ঐক্যবদ্ধভাবে মানবতার কল্যাণে কাজ করলেই আসবে পরিবর্তন।
ঠিক সেই সোনার মুদ্রার মতোই, মানবতার ইতিহাসে খোদাই করে রাখা হয়েছে এক বিশেষ স্বর্ণমুদ্রা—যার গায়ে জ্বলজ্বল করছে আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতি। এটি কেবল ধাতুর নয়, এটি একটি আদর্শের প্রতীক, একটি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি।
আর এই বিজয়ের মুদ্রাটি অর্জন করেছেন আমাদেরই একজন, যিনি অর্থনীতিকে কেবল সংখ্যার খেলা হিসেবে দেখেননি, বরং সেটিকে ব্যবহার করেছেন মানবতার কল্যাণে, দারিদ্র্যমোচনের এক অনন্য হাতিয়ার হিসেবে। তিনি কেবল একজন ব্যক্তি নন, বরং একটি নতুন যুগের স্থপতি, যার দর্শন বিশ্বকে দেখিয়েছে “সম্ভাবনার অর্থনীতি”—একটি এমন কাঠামো যেখানে অর্থ কেবল শক্তি নয়, বরং মুক্তির পথ।
এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি এক বৈশ্বিক আন্দোলনের সূচনা, যা হতে পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রথম পদক্ষেপ। একটি মানবিক সমাজ, একটি সত্যিকারের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য যে সংগ্রাম, তার মশাল হাতে তুলে নিয়েছেন তিনি।
বলছি নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা—যিনি অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছেন মানবকল্যাণের পক্ষে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে, এবং পেয়েছেন শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার।
আমরা পেয়েছি তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর হতভাগ্য মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর এক অগ্রদূত হিসেবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—আমরা কী সত্যিই তার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই লড়াইয়ে শতভাগ নিষ্ঠা নিয়ে এগিয়ে চলেছি? নাকি আমরা নিজেরাই বাধা ও কাঁটা হয়ে সেই চলার পথকে আরও কঠিন করে তুলছি?
তিনি দেখিয়েছেন যে দারিদ্র্য কোনো অভিশাপ নয়, বরং এটি একটি অব্যবস্থাপনার ফল। তিনি দেখিয়েছেন, অর্থনীতির সঠিক ব্যবহারে সমাজের প্রান্তিক মানুষও নিজের ভাগ্য গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু আমরা কী তার সেই শিক্ষাকে গ্রহণ করছি? নাকি সংকীর্ণ স্বার্থ আর বিভক্তির রাজনীতির ফাঁদে পড়ে সেই পরিবর্তনের গতিকে রুদ্ধ করে দিচ্ছি?
এই অর্জন কেবল একজন মানুষের নয়, এটি আমাদের সবার। এটি শুধু সম্মানের নয়, এটি দায়িত্বেরও। এখন সময় এসেছে আত্মজিজ্ঞাসার—আমরা কি সত্যিই ন্যায়ের পক্ষে? নাকি অজান্তেই অবিচারের শিকলে নিজেদের বন্দি করে ফেলেছি?
—জাগো বাংলাদেশ, জাগো!
লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
প্রত্যাবাসী অভিবাসী কর্মীদের সহায়তায় ইউসিবি ও রেইজ প্রকল্পের চুক্তি

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি এবং ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের (ডব্লিউইডব্লিউবি) অধীনে রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (রেইজ) প্রকল্প, উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রত্যাবাসী অভিবাসী কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ভবনে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান মাসুদ এবং রেইজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. এটিএম মাহবুব-উল করিম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিদেশফেরত কর্মীদের ব্যবসা শুরু বা সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। যা তাদের অর্থনীতিতে পুনরায় একীভূত হতে সাহায্য করবে। ইউসিবি তাদের স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষায়িত আর্থিক সেবা প্রদান করবে।
এসময় আদনান মাসুদ বলেন, এই উদ্যোগ বিদেশফেরত অভিবাসীদের ক্ষমতায়ন করবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
ড. মাহবুব-উল করিম বলেন, টেকসই ব্যবসা গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডব্লিউইডব্লিউবি পরিচালিত রেইজ প্রকল্প প্রত্যাবাসী অভিবাসী কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করে। ইউসিবির সাথে এই সহযোগিতা তাদের সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ নিশ্চিত করবে।