জাতীয়
ঢাকায় হচ্ছে চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক

জাপানের আদলে ঢাকায় চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্ক স্থাপন করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। যেখানে নতুন প্রজন্মকে শৈশব থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হাতে-কলমে শেখানো হবে সড়কে চলাচলের নিয়ম। চিলড্রেনস ট্রাফিক পার্কে শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকেও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হবে।
মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জাইকার যৌথ উদ্যোগে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে নাগরিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে রাজধানীর ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগী জাইকা ডিএমপির সঙ্গে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত দুই বছর ধরে জাইকা ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, ডাটা সংগ্রহ ও অ্যানালাইসিস বিষয়ে কাজ করছে।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেটি হচ্ছে সামগ্রিকভাবে সবার মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সড়ক নিরাপত্তা ও রাস্তা ব্যবহারে ট্রাফিক আইনের ব্যাপারে সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জাইকা এ বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মডেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। জাপান সরকার ১৯৬০ সাল থেকে এ কাজগুলো করে যাচ্ছে।
‘জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে একেবারে শৈশব থেকে শুরু করতে যাচ্ছি। জাইকা ও ডিএমপির যৌথ উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী ও শিশুদের সচেতন করতে কাজ করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে শিশুরা যেন ছোটবেলা থেকেই ট্রাফিক আইন মানা এবং রাস্তায় কীভাবে চলতে হয় এ বিষয়গুলোর ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে সেজন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চিলড্রেন’স ট্রাফিক পার্ক তৈরি করা হবে।’
এস এম মেহেদী হাসান বলেন, জাইকার সহযোগিতায় ডাটা অ্যানালাইসিসের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যানজট কোথায় হচ্ছে, কোথায় দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে, এই হটস্পটগুলো নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডাটা সংগ্রহ করে সেগুলো অ্যানালাইসিস করে সেগুলোর সমাধান কোথায় সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব আরোপ করছি।
ডিএমপির এই ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে জাইকার ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)-এর আওতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৩ জন কর্মকর্তা জাপানে ‘ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। আমাদের মনে হয়েছে শৈশব থেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো জাপান ওই সময় শুরু করেছে। দেরিতে হলেও আমরা এখন মনে করছি যে, সুনাগরিকের যে বৈশিষ্ট্য, সেগুলো কীভাবে শিশুদের ভেতরে প্রবেশ করানো যায় এ উদ্যোগগুলো আমরা এখন থেকে গ্রহণ করছি।
কাফি

জাতীয়
কালোটাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের মূল লক্ষ্যের বিপরীত: টিআইবি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের মূল উদ্দেশের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থি।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্র সংস্কার—বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে, দুর্নীতিকে উৎসাহ দিয়ে রিয়েল এস্টেট লবির ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। করহার যা-ই হোক না কেন, এটি সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে অনুপার্জিত আয় অবৈধ হবে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ একইসঙ্গে বৈষম্যমূলক, কারণ এ সিদ্ধান্তের ফলে আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকদের অধিকতর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সৎ উপার্জনকারীদের ফ্ল্যাট বা ভবনের অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সবচেয়ে আশঙ্কা ও হতাশার ব্যাপার হলো, সরকারের এ সিদ্ধান্ত দুর্নীতিকে উৎসাহ দেবে। এর মাধ্যমে সরকার বাস্তবে পুরো বছরজুড়ে অবৈধ ও অপ্রদর্শিত অর্থ-সম্পদ অর্জনের জন্য নাগরিকদের উৎসাহিত করছে এবং বছর শেষে কালো টাকাকে বৈধতা দেওয়ার অঙ্গীকার করছে। বৈধতা দেওয়ার অজুহাত হিসেবে যে খাতের তোষণ করা হচ্ছে, সে আবাসন খাতই দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের একটি হিসেবে চিহ্নিত। অবিলম্বে কালো টাকা সাদা করার এ দুর্নীতিবান্ধব সুযোগ চিরতরে বাতিল করার জোর দাবি জানাই আমরা, যার সূচনা হওয়া উচিত সংশোধিত বাজেটে এ সুযোগ রহিত করার মাধ্যমে। পাশাপাশি, কালো টাকার উৎস অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা, করব্যবস্থায় সমতা ও ন্যায় নিশ্চিতের দাবি জানাই আমরা।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সরকার যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান বাস্তব ও কার্যকর বলে দাবি করতে চায়, তবে কালোটাকা বৈধ করার যাবতীয় পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম ও নীতিনির্ধারণী উদ্যোগগুলোকে জনগণ শুধুই লোকদেখানো মনে করবে, যার পরিণতিতে দুর্নীতির স্বাভাবিকতার সংস্কৃতি আরও গভীরতর হবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র লোক দেখানো হিসেবেই থেকে যাবে। মনে রাখতে হবে এ সরকার কর্তৃক গঠিত দুদক সংস্কার কমিশনের অন্যতম সুপারিশ হচ্ছে কালোটাকাকে বৈধতা দেওয়ার সব পথ চিরতরে রুদ্ধ করা, যার প্রতি এরই মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ, অন্তর্বর্তী সরকার এর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে স্ববিরোধিতা করছে, সরকার নিজেকে বিব্রত করছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একইভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ বাজেটে প্রত্যাশা ছিল, দেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে কতটা অগ্রগতি হলো তার একটি ধারণা দেওয়া হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে মাত্র একটি বাক্য ব্যবহার করেই দায় সেরেছেন অর্থ উপদেষ্টা। আবার দেশ থেকে অর্থসম্পদ পাচার করেছেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, এমন ব্যক্তিদের অর্থ-সম্পদের ওপর কর ও জরিমানা আরোপের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় তা বাস্তবায়ন করা হবে- তাও পরিষ্কার করা হয়নি। এর বাইরে রাজস্ব আদায় বাড়াতে এর ব্যবস্থাপনা থেকে নীতিকে আলাদা করার সঙ্গে এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কৌশলগুলো কী হবে- সে উত্তরও পাওয়া যায়নি বাজেট বক্তৃতায়, যা সত্যিই হতাশার বলে মনে করে টিআইবি।
কাফি
জাতীয়
জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকে প্রথম পর্ব শেষ হলো।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিতে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদল। বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি সারা দিনে যত মিটিং করি, যত মিটিং করে এসেছি, তখন সবচাইতে আনন্দ পাই যখন এরকম বসার সুযোগ পাই। এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরণ জাগায় যে, সেই রকম কাজে আমি যুক্ত হতে পেরেছি।
তিনি বলেন, সংস্কার করার জন্য আমার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কোথায় থেকে শুরু করব। প্রথমে নানা আলাপের মাধ্যমে ঠিক হলো যে, আমরা কয়েকটি কমিশন করে দেব। তারা ভেতরে গিয়ে প্রকৃত জিনিসটা তৈরি করবে। আমরা কমিশন গঠন করলাম। দ্রুত গতিতে কাজ করার জন্য তাদেরকে ৯০ দিন আমরা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। আমরা খুব আনন্দিত তারা করতে পেরেছে। কয়েকটা কমিশন বেশি সময় হয়েছে তাতে কোনো অসুবিধা নেই।
‘কমিশন থেকে রিপোর্ট আসলো তারপর আমরা ঐকমত্য গঠন করতে চাচ্ছি এটা কীভাবে হবে, সেখান থেকে একটা আইডিয়া আসলো যে আলাদা একটা ঐকমত্য কমিশনের কথা। সেটা ফলপ্রসূ হয়েছে। আলী রীয়াজ সাহেব যখনই আমার সঙ্গে বৈঠক করেন তখন খুব আনন্দিত হই।’
দ্বিতীয় পর্বে কী হবে তা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেকগুলো বিষয় কাছাকাছি এসে গেছে। আরেকটু হলে আমাদের তালিকায় আরেকটি সুপারিশ যুক্ত হবে, সেটা হচ্ছে ঐকমত্যের সুপারিশ। সেই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আমাদের জুলাই সনদের যতগুলো বিষয় আছে তাতে যদি আরও কিছু যুক্ত করতে পারি, দেখতে সুন্দর লাগবে। জাতীয় একটা সনদ হলো। অনেকগুলো বিষয়ে আমরা এক হতে পেরেছি। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমরা বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনীতি সৃষ্টি করেনি। আমরা দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি।
কাফি
জাতীয়
‘বাজেট ধনী ও গরীবের মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দেয়’

জাতীয়
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকেলে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এতে চলমান রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে।
রবিবার (১ জুন) রাজধানীতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সোমবার (২ জুন) আবারও বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকটি বিকেল সাড়ে ৪টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই উপপ্রেস বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই সংলাপের মধ্যে দিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হওয়া যাবে বলে আশা করছি।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরও বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে। সোমবার ছাড়াও ঈদের আগে-পরে আরও দু-একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম দফার আলোচনা শেষ হয় ১৯ মে। প্রথম দফায় কমিশনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শুরু হতে যাচ্ছে আজ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়।
সেই সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
জাতীয়
ট্রেনে ফিরতি যাত্রা: আজ বিক্রি হবে ১২ জুনের টিকিট

ঈদুল আজহা শেষে ঘরমুখো মানুষের ফেরার সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ বিক্রি করা হবে আগামী ১২ জুনের ট্রেনের টিকিট।
সোমবার (২ জুন) সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা গেছে, আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ জুনের আসনের টিকিট ৩০ মে বিক্রি হয়েছে; ১০ জুনের আসনের টিকিট ৩১ মে বিক্রি হয়েছে; ১১ জুনের আসনের টিকিট ১ জুন বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ১৩ জুনের আসনের টিকিট ৩ জুন; ১৪ জুনের আসনের টিকিট ৪ জুন এবং ১৫ জুনের আসনের টিকিট ৫ জুন বিক্রি হবে।
আরও জানা গেছে, ঈদের পরে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এসময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবারে একসঙ্গে কিনতে পারবেন। একটির বেশি আসনের টিকিট কিনলে সহযাত্রীদের নাম টিকিট কেনার সময় লিখতে হবে।