পুঁজিবাজার
আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য ডিএসইর ৫ প্রস্তাব
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ৫টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা ক্লাবে ডিএসইর প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রস্তাবনারগুলো তুলে ধরেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মাদ, প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্তিক আহমেদ শাহ, পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, রিচার্ড ডি’ রোজারিও, শরীফ আনোয়ার হোসেন, মহাব্যবস্থাপক মো. ছামিউল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানী সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর কেটে রাখা উৎসে কর চূড়ান্ত দায় হিসেবে নিষ্পত্তি, তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, বন্ডের সুদজনিত আয়কে করমুক্ত রাখা এবং স্টক এক্সচেঞ্জে সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে মূলধনী মুনাফার উপর নতুন করে কর আরোপ না করা।
বাজেট প্রস্তাবনায় দেশের প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জটি তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির কর হার কমিয়ে তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১২.৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে এই কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭.৫ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে কর্পোরেট করের হারের পার্থক্য ৭.৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বা ১২.৫ শতাংশ এ উন্নীত করা উচিত হবে। এজন্য তালিকাভুক্ত পাবলিকলি ট্রেডেড কম্পানির কর হার হ্রাস এর পাশাপাশি নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ফলশ্রুতিতে, আরও বহুজাতিক এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল স্থানীয় কোম্পানিগুলো এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এ ধরনের একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ সরকারি শেয়ার তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘদিনের লালিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের কর সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবদান প্রশংসনীয়। সংখ্যায় তুলনামূলকভাবে কম হওয়া সত্ত্বেও, আইনের যথাযথ আনুগত্য এবং প্রয়োগের কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রত্যক্ষ আয়কর বা রাজস্বের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যকর নির্দেশনা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের নিবিড় পর্যবেক্ষণের অধীনে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার হ্রাস সত্ত্বেও কর্পোরেট আয়কর এর পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে।
স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত সিকিউরিটিজ লেনদেনের মূল্য পরিশোধ কালে ০.০৫ শতাংশ (যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জের আয় ০.০২৫ শতাংশ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জের আয়ের চেয়ে দ্বিগুণ) হারে কর সংগ্রহ করে। এ করের হার আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। অতএব, আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ কর কর্তনের হার হ্রাস করা প্রয়োজন।
লেনদেনের মূল্যের উপর উৎসে কর কর্তনের হার ০.০৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ০.০২০ শতাংশ করা যেতে পারে, যা ইতোপূর্বে ০.০১৫ শতাংশ ছিল।
লভ্যাংশ আয়ের উপর উৎস করকে, সঞ্চয় পত্রের মুনাফার উপর উৎসে কর্তনকৃত কর এর ন্যায় চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। করযোগ্য আয় গণনায় লভ্যাংশ আয়ের উপর প্রথম পঞ্চাশ হাজার টাকা কর ছাড় আয়কর আইন, ২০২৩-এ বাতিল করা হয়েছে কিন্তু এটি আটিও, ১৯৮৪-এর ষষ্ঠ তফসিল, পার্ট এ, প্যারা ১১এ- তে অনুমোদিত ছিল।
বর্তমান পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে, লভ্যাংশ আয়ের প্রথম ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ের বাইরে রাখা উচিত হবে। এটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে যা শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের সার্বিক লেনদেন বৃদ্ধি তথা কর রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, করোনা মহামারী ও তৎপরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রভাবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। ফলে পুঁজিবাজার মারাত্বক তারল্য সংকটে ভুগছে। প্রস্তাবিত বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হলে, তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কর-পরবর্তী মুনাফা থেকে কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, লভ্যাংশের উপর কর হল সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গুলোর জন্য এক ধরনের দ্বিগুণ এবং ক্ষেত্রভেদে তিনগুণ কর আরোপ। লভ্যাংশের উপর উৎস কর চূড়ান্ত কর হিসাবে বিবেচিত হলে, এটি বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। যা বিভিন্ন শিল্প কল-কারখানায় অর্থ-সংস্থানে ভূমিকা রাখবে। তাতে পুঁজিবাজারের সার্বিক লেনদেন বৃদ্ধি, কোম্পানির মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজি বাজারের মাধ্যমে কর রাজস্ব বৃদ্ধির সহায়ক হবে।
এছাড়া, জিরো কুপন বন্ডের মতো, স্টক এক্সচেঞ্জের যেকোনো বোর্ডে তালিকাভুক্ত যেকোনো কর্পোরেট বন্ড থেকে উদ্ভূত সুদ বা আয় ইস্যুকারী এবং বিনিয়োগকারী নির্বিশেষে কর অব্যাহতি বিবেচনা করা যেতে পারে বা সুকুক সহ সমস্ত ধরণের বন্ড এবং অ্যাসেট ব্যাকড সিকিউরিটিজ আয়কর আইন, ২০২৩ এর সেকশন ১০৬ থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে ডিএসইর যুক্তি, বর্তমানে কর্পোরেট বন্ড বাজারের আকার খুব ছোট হওয়ায় এটি পুঁজিবাজারের পাশাপাশি অর্থ বাজারে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। একটি প্রাণবন্ত বন্ড বাজার, অর্থনীতিকে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করতে পারে। যদি সব ধরনের বন্ডে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়, তাহলে এটি একটি প্রাণবন্ত বন্ড বাজার প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহিত করবে যা শিল্প স্থাপনে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে অর্থ-সংস্থান কার্জক্রম সহজতর করবে।
স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে মূলধনী মুনাফার উপর নতুন করে কর আরোপ না করার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিএসই।
পুঁজিবাজার তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বিবেচনায় রেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে অর্জিত মূলধনী মুনাফার উপর নতুন করে করারোপ না করার এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ লেনদেন হতে এসআরও নং- ১৯৬-আইন/আয়কর/২০১৫) তে বর্ণিত কর হার হ্রাসের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসই।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইসিবির লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ এরসভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালনা বোর্ডের অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের দোষ: অর্থ উপদেষ্টা
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। নূন্যতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। আরও সুসংহতভাবে তথ্য যদি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।
ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।
অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা এরইমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে জাহিন স্পিনিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর-১৯ ডিসেম্বর) চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১৬৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ারদর পতন হয়েছে জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এইচ.আর. টেক্সটাইলের শেয়ারদর কমেছে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা নিউলাইন ক্লোথিংসের শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডস্বরের ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং আমরা টেকনোলজিসের ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর-১৯ ডিসেম্বর) চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১৭২টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৯৭ টাকা ৮০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৮ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বিকন ফার্মার ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, একমি ল্যাবরেটরিজের ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ফাইন ফুডসের ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা
বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর) চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ অবদান স্কয়ার ফার্মার।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৭ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করোপরেশনের ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, রবি আজিয়াটার ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ফাইন ফুডসের ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এক্সপ্রেস ইন্সুন্সের ৬ লাখ ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সাইহাম কটনের ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি