চিত্র-বিচিত্র
ভবিষ্যতে বিলিয়নিয়ার হতে যাচ্ছেন বুঝবেন যে ৮ লক্ষণে
বিলিয়নিয়ার হওয়া বেশিরভাগ মানুষের আজন্ম স্বপ্ন। কেউ নিজের চেষ্টায়, মেধাকে কাজে লাগিয়ে সে স্বপ্ন পূরন করে। আবার কারো স্বপ্ন রয়ে যায় স্বপ্ন হয়েই। তারপরেও,একসময় খুব সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে এসেই কিন্তু মানুষ ধনরাশির মালিক হচ্ছে। আমরা যদি বিলিয়নিয়ারদের জীবনকাহিনী পড়ি, দেখা যাবে অত্যন্ত কম বয়সেই তাঁদের মধ্যে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, যার বদৌলতে তাঁরা জীবনযুদ্ধে জিতে গেছেন। এমন সব বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে ফোর্বস আর হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের বিভিন্ন প্রতিবেদনে কিছু লক্ষণের কথা বলা হচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে কম বয়সেই দেখা যায়। এই লক্ষণগুলোর সবই যদি আপনার মধ্যে থাকে, এ কথা বলাই যায়, আপনি একজন বিলিয়নিয়ার হবেন। এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার ধনকুবের হবার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেবে অবশ্যম্ভাবীভাবে। এবার জেনে নিন এমন ৮টি লক্ষণের কথা।
১. আপনি কম বয়সেই অর্থ উপার্জন শুরু করেছেন
বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে একটা সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। তাঁরা খুব কম বয়সেই টাকা উপার্জন শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ওয়ারেন বাফে মাত্র ছয় বছর বয়সে প্রতিবেশিদের কাছে গামের প্যাকেট ফেরি করতেন। ফেসবুক তথা মেটার কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গের ছাত্রাবস্থায় উপার্জন শুরুর গল্পও সবার জানা। আজ তাঁরা একেকজন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক।
২. টাকা জমানোর চেয়ে টাকা কামানোয় মনোযোগ বেশি আপনার
এটি অজানা নয় যে অনেক ধনীরা তাঁদের অর্থ নিয়ে মিতব্যয়ী হয়ে থাকেন। তাঁরা বিচক্ষণতার সঙ্গে সঞ্চয় ও ব্যয় করার ক্ষেত্রে দক্ষ। তবে তাঁরা এও জানেন যে আরও অর্থ উপার্জন করার সর্বোত্তম উপায় হলো, তাঁরা যা উপার্জন করেন, তার কিছু অংশ বিনিয়োগ করা। আপনিও যদি শুধু টাকা না জমিয়ে বিভিন্ন অভিনব উপায়ে আয়ের ক্ষেত্রে মনোযোগী হন তবে আপনাকে অভিনন্দন, আপনার মধ্যে ভবিষ্যত বিলিয়নিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা লুকায় আছে।
৩. আপনি সঠিক সঙ্গী ও মেন্টর নির্বাচন করেছেন
এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে আপনি কতটা সফল হবেন এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কাদের সাথে মিশছেন, তার ওপরে। আপনি যদি আপনার বেশিরভাগ সময় নেতিবাচক চিন্তার অধিকারী বা সফলতার জন্য তাড়া নেই, এমন লোকদের সঙ্গে কাটান, তাহলে কি আপনি আদৌ সফল হতে পারবেন? অন্য কথায়, আপনি যদি সম্পদশালী হতে চান, তাহলে ধনী ও সফল ব্যক্তিদের সঙ্গে মিশতে হবে। সেই সঙ্গে জীবনে লক্ষ্য আছে, উদ্যমী, পরিশ্রমী এমন মানুষদের সঙ্গে চলাফেরা করুন। এটি আপনাকে শুধু অনুপ্রেরণাই দেবে না, বরং একজন ভালো মেন্টর খুঁজে বের করতেও সাহায্য করবে।
৪.অতীত নিয়ে পড়ে থাকেন না আপনি
সোনালী অতীত নিয়ে লম্বা ভাষণ দেওয়া রাজনীতিবিদদের মানায়। কিন্তু বিলিয়নিয়ার হতে চাইলে অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। ইতিহাস বলে, যারা ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁডিয়েছে, ভয় ও প্রত্যাখ্যানকে জয় করে সামনে এগিয়ে গেছে, তারাই তাদের শক্তিকে কার্যকর কিছুতে পরিণত করতে পেরেছে। আর বিলিয়নিয়ার হতে হলে এই গুণ থাকতেই হবে।
৫. আপনি আশাবাদী মানুষ
আপনি কোনো কাজের ক্ষেত্রে ঘন ঘন অন্যকে দোষারোপ করেন না বা সোজা বাংলায় ঘ্যানঘ্যান করেন না। বরং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তা জয় করতে তৎপর থাকেন। একবার না পারিলে দেখ শতবার শুধু নীতিকথা নয়। বাস্তব জীবনে এই কথার পথ ধরেই ওপরে উঠতে হয়। বিলিয়নিয়ার হওয়াও তেমনই এক বিষয়।
৬. আপনি অতিসংবেদনশীল নন
সারাক্ষণ অন্যরা কি ভাবল সেটা দেখার চেয়ে, নিজের লক্ষ্যের দিকে দেখা ভালো। আপনার চামড়া এজন্য কিছুটা পুরু হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সবার সব কথা অগ্রাহ্য করে, উড়িয়ে দিয়ে চলার মতো মানসিক দৃঢ়তা আপনাকে সাফল্যের দিকে পরিচালিত করতে পারে। এ গুণটি আপনাকে জীবনের স্ট্রেস ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
৭. আপনি নিয়মিত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন
আপনার শিক্ষা জীবনের উন্নত ডিগ্রী আপনাকে বিলিয়নিয়ার বানাতে পারবে না। বিল গেটস বিশ্বসেরা বিলিয়নিয়ার হলেও তিনি কলেজ ড্রপআউট ছাত্র ছিলেন। কিন্তু এটি তাঁকে দমাতে পারেনি। নিয়মিত নতুন শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে। তবে স্কুল পালালেই আইন্সটাইন বা রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না, সেটিও মনে রাখতে হবে।
৮. দৈনন্দিন খবর সম্পর্কে আপডেটেড আপনি
বিশ্বের বেশিরভাগ সফল মানুষ নিজের দিন শুরু করেন নতুন খবর পড়ার মধ্য দিয়ে। যেমন ওয়ারেন বাফে, বিল গেটস এনারা তাদের দিন শুরু করেন জনপ্রিয় পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো আছেই। নতুন কী হতে চলেছে জানলেই নিজে নতুন কিছু করার আইডিয়া ও জেদ আসবে, যা বিলিয়নিয়ার হতে হলে আপনার লাগবেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
কে এই বিশ্বজয়ী মুয়াজ, জানা গেল পরিচয়
ইসলামী ঐতিহ্যের স্মৃতি বিজড়িত তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৯ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশি হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। ২০১৬ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ প্রথম তুরস্কে এই সফলতার গৌরব অর্জন করেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বাদ জোহর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের উপস্থিতিতে মুয়াজ মাহমুদই সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ২২ আগস্ট ২০০৬ সালে চাঁদপুর জেলার, চাঁদপুর সদরের বালিয়াবাজার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আলি একজন ব্যবসায়ী। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। মা-বাবার কাছেই তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়।
শিক্ষা জীবনের শুরুতে স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এরপর ঢাকার মিরপুর ১-এ অবস্থিত মারকাজু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামিতে ভর্তি হন। এ প্রতিষ্ঠানে তার হাফেজ হতে সময় লেগেছে ৩ বছর। এরপর আরও ২ বছর শোনান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানেই কিতাব বিভাগে কাফিয়া (নবম) শ্রেণির ছাত্র হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ।
এ ছাড়াও হাফেজ মুয়াজ গত ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পবিত্র মক্কার মসজিদে হারামে অনুষ্ঠিত কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পর এই প্রথম তুরস্কের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় লাল-সবুজের পতাকার বাংলাদেশ প্রথম স্থান লাভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়লো যেভাবে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুরুতেই ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ ছিল। তবে পরবর্তীতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এসব অনেক আগের ঘটনা হলেও সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ইতিহাস নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেয়ার অন্যতম ভিকটিম, ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।
এ দিন বিকেলে জনপ্রিয় বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে পোস্ট করেন। এরপর বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।
জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা পোস্ট করছেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ১৯৭০ সালের শেষের দিকে ঠিক করা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ডিন্যান্সের সময় তৎকালীন প্রশাসন মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
মায়ের জানাজায় অংশ নেননি এস আলম ও তার পরিবার
মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। তিনি ছাড়াও তার ৬ ভাই আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গনি, আবদুস সামাদ, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম ও মোরশেদুল আলমসহ কেউ জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি।
রোববার (২০ অক্টোবর) আছর নামাজের পর চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাইফুল আলমের মা চেমন আরা বেগমের (৯২) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তপটিয়া পৌরসভার এস আলম জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) ভোরে বার্ধক্যজনিত রোগে রাজধানী বনানীর বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম মোজাহেরুল আনোয়ার। পরে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ চট্টগ্রামের পটিয়ায় নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে থেকে সাইফুল আলম মাসুদসহ তার অন্য ভাইয়েরা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংক খাতে একের পর এক লুটপাটের চিত্র সামনে আসে। এ কারণে দেশে ফেরার সাহস করেননি সাইফুল আলম মাসুদসহ তার অন্য ভাইয়েরা। সবশেষ রোববার মায়ের জানাজায়ও উপস্থিত হতে পারেননি কেউ। ভিডিও কলে শেষবারের মতো মাকে দেখেন সন্তানেরা।
জানাজায় উপস্থিত বেশিরভাগের মুখে ছিল এ কথা। কত ধন-সম্পত্তি এবং কত প্রভাব প্রতিপত্তি। কিন্তু তারপরও মায়ের জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি দেশের অন্যতম শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার ভাইয়েরা। এটি দেখে দুর্নীতি এবং লুটপাটকারীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
কে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের বিতর্কিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। এ ছাড়াও ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এর প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা এই কটূক্তিকারীকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।
বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) তাপসীর পৈত্রিক পরিচয়ের খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, উর্মির মা নাসরিন জাহান বতর্মানে হাজি কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মুক্তাগাছায় গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বতর্মানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন। তবে উর্মির বাসায় সরেজমিনে গিয়ে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিম উদ্দিন বলেন, উর্মি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন উর্মি। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট ভাই জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন। এর বেশি তাদের সম্পর্কে আমার জানা নেই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
৫৭ বছর পর বিয়ের ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি
বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। আর এই ২০২৪ সালে এসে তাদের বিয়ের সেই ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি। সেটাও পেলেন কাকতালীয়ভাবে। সেই দম্পতির নাম আইলিন ও বিল টার্নবুল।
১৯৬৭ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তারপর যৌবন পাড়ি দিয়ে এখন বার্ধক্যে পৌঁছে গেছেন তারা। যখন তাদের বিয়ে হয়েছিল তারা তখন থাকতেন স্কটল্যান্ডে। সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় একটি ভিডিও করা হয়েছিল। যেখানে তাদের বিয়ের নানা মুহূর্ত ধরা পড়েছিল।
সাধারণত বিয়ের ভিডিও বিয়ের পর এডিট হতে মাত্র কয়েকদিন লাগে। নবদম্পতিসহ পরিবার বন্ধু সবাই মিলে সে ভিডিও দেখার রেওয়াজ নতুন নয়। এ এক মন ভালো করা অভিজ্ঞতা।
ওই দম্পতিও সে সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় প্রজেক্টর ভাড়া করে বিয়ের ভিডিও দেখতে হতো। তারাও সেটাই করেছিলেন। যেটা ভুল হয়েছিল সেটা একবার দেখার পর ভিডিওটি নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার বদলে ভুল করে প্রজেক্টরের সঙ্গে তা প্রোজেক্টর যার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তার কাছে থেকে যায়। আর দম্পতিও বিয়ের পর চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ায়। কারণ তারা অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। স্কটল্যান্ডের নন।
সে ভিডিও হাতে না পাওয়ার দুঃখ একটা সময় পর্যন্ত ছিল। তারপর তা আর পাওয়ার কোনো উপায় নেই বুঝে আস্তে আস্তে সময়ের সঙ্গে সেকথা ভুলেও যান তারা।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের বাসিন্দা সেই কনে এখন ৭৭-এর বৃদ্ধা। তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপে তাদের বিয়ের ছবি দেখে চমকে যান। বিষয়টি তার স্বামীকেও জানান।
তার স্বামী বিষয়টি দেখার পর তারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন সামাজিকমাধ্যমে। এদিকে যিনি সেই ভিডিও তুলেছিলেন, তিনি এখন বৃদ্ধ। থাকেন স্কটল্যান্ডে।
তিনি তার যত ভিডিও তুলেছিলেন সব কটিকে ডিভিডি করতে শুরু করেছিলেন। তখনই তার সংগ্রহে থাকা এই বিয়ের ভিডিওটি তিনি দেখতে পান।
কার ভিডিও তা জানতে সেটি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবি অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেখতে পান দম্পতি। যোগাযোগের পর এই ভিডিওটির একটি ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে ওই দম্পতির কাছে পাঠিয়ে দেন বৃদ্ধ ফটোগ্রাফার।
বিয়ের ৫৭ বছর পর অবশেষে নিজেদের বিয়ের ছবি হাতে পেলেন ওই অস্ট্রেলীয় দম্পতি।