সারাদেশ
ঘূর্ণিঝড় রেমালে সারাদেশে নিহত বেড়ে ১২
![ঘূর্ণিঝড় রেমালে সারাদেশে নিহত বেড়ে ১২ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/cyclone-remal1.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ছয় জেলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রোববার (২৬ মে) দুইজন এবং সোমবার আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরমধ্যে পটুয়াখালী, ভোলা ও বরিশালে তিনজন করে এবং সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে রয়েছে।
তথ্যমতে, রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝডড়ের প্রভাবে প্লাবিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া সোমবার (২৭ মে) ভোরে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন লোকমান ও মোকছেদুল।
ভোলায় ঝোড়ো বাতাসে টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়ে মনেজা খাতুন নামে এক নারী মারা যান। তিনি লালমোহন উপজেলার চর উমেদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের স্ত্রী। একই জেলার দৌলতখানে গাছ ভেঙে চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। মাইশা দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনির হোসেনের মেয়ে।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামে এক পথচারী মারা যান।
পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তিনজন মারা গেছেন। এর মধ্যে জেলার দুমকী উপজেলায় গাছচাপায় জয়নাল হাওলাদার নামে (৭০) এক বৃদ্ধ মারা যান। তিনি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড নলদোয়ানি স্লুইসগেট এলাকার বাসিন্দা। জেলার বাউফলে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে একটি অফিস ভেঙে চাপা পড়ে মো. আব্দুল করিম (৬০) নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে, এর আগেই ঘূর্ণিঝড়টি তাণ্ডবে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তছনছ হয়ে গেছে। বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে গবাদি পশু, মাছের ঘের ও ফসলি ক্ষেত। বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছ পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি
![বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/nodi.jpg)
পূর্ণিমা ও উজানের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পায়রা ও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ও ঝালকাঠির বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদী ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদী ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও ১২২ বন্দীর আত্মসমর্পণ
![নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও ১২২ বন্দীর আত্মসমর্পণ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/h.jpg)
নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও ১২২ বন্দী আত্মসমর্পণ করেছেন। এ নিয়ে গত ৪ দিনে ৮২৬ বন্দীর মধ্যে ৪৬৮ জন বন্দী আইনের আওতায় এসেছেন। তাদের মধ্যে ৪৩৯ জন জেলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে ও বাকিরা বিভিন্ন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বা থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত হয়ে ১২২ বন্দীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম।
তিনি জানান, কারাগার থেকে সব বন্দী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরই অনেকে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন। কারণ, অনেক বন্দীই তখন পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন এসব বন্দীর স্বজনেরা। তাঁদের আইনজীবী সমিতিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ৫ জন, মঙ্গলবার ১৩৮ জন, বুধবার ১৫৫ জন ও আজ ১২২ জন বন্দী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি; পরবর্তী নির্দেশ পেলে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারাগার কর্তৃপক্ষের দুটি মামলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় করা ১০ মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১২৯। তাদের আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দিলে নয় ‘জঙ্গি’সহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। এর আগে অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়। প্রাথমিকভাবে কারা কর্তৃপক্ষ ও রক্ষীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও অবস্থা বেগতিক দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে তারা জীবন বাঁচাতে কয়েদিদের সঙ্গে মিশে যান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চলে গেলেন ছারছীনার পীর সাহেব শাহ মোহেবুল্লাহ
![চলে গেলেন ছারছীনার পীর সাহেব শাহ মোহেবুল্লাহ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sarsina-darbar-sharif-pir1.jpg)
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭০ বছর।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নেছারাবাদ উপজেলার ছারছীনা কামিল আলিয়া ও কওমিয়া মাদ্রাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
পরিবার সূত্র জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে এবং সব শেষে ঢাকার গ্রিন রোডস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীর সাহেব কেবলার বড় ছেলে আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছরুদ্দীন আহমদ হোসাইন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় হুজুরের জানাজা ছারছীনা মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ অরাজনৈতিক সংগঠন জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির ছিলেন পীর সাহেব। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দুই হাজার দ্বিনিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ সাহেব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা
![কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bonna.jpg)
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতের মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।
অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষজন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর-বাড়ির ক্ষতি নিরূপণ কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এ ছাড়া কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে তাই পরামর্শ দিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিবাহিত বেশি রাজশাহীতে, অবিবাহিত সিলেটে
![বিবাহিত বেশি রাজশাহীতে, অবিবাহিত সিলেটে বিয়ে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2018/07/বিয়ে.jpg)
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ মানুষ বিবাহিত। এর মধ্যে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ রাজশাহী বিভাগে। অন্যদিকে এ জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ সিলেট বিভাগে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আর্থ-সামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩’র বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দেশের ১২ হাজারেরও বেশি এলাকার প্রায় দুই লাখ ৯৯ হাজার পরিবারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, সিলেটের মানুষ বিদেশে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেশি। উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে গড়তে সময় পার হয়ে যায়। কারণ সবাই চান প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে। তাই অবিবাহিতের সংখ্যা সিলেটে বেশি।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবিবাহিত পুরুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে, প্রায় ৪৫ শতাংশ। অপরদিকে রাজশাহী বিভাগে অবিবাহিত পুরুষ সবচেয়ে কম, ৩১ শতাংশ। পাশাপাশি সিলেট বিভাগে অবিবাহিত নারী সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে, রাজশাহীতে এ হার সবচেয়ে কম ১৮ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, নারীর চেয়ে পুরুষের একাধিক বিয়ের হারও বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪ শতাংশ পুরুষ একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। বিপরীতে এক শতাংশের বেশি নারী একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। পাশাপাশি বিপত্নীক হিসেবে এক শতাংশের কিছু বেশি পুরুষ একা জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে, প্রায় ৯ শতাংশ নারী বিধবা হিসেবে জীবনযাপন করছেন।
বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে বিবাহিত জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ।
এমআই