Connect with us

শিল্প-বাণিজ্য

২০২৯ সাল পর্যন্ত নগদ সহায়তা অব্যাহত চান ব্যবসায়ীরা

Published

on

লভ্যাংশ

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আন্ডারে সরকারের ২০২৬ সাল পর্যন্ত তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের নগদ সহায়তা দেওয়ার কথা। ব্যবসায়ীরা ২০২৯ সাল পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত চান। নগদ সহায়তার কারণেই দেশের এ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ক্রাইসিসেও তারা টিকে আছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

এছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একাধিক দাবি জানান তৈরি পোশাকখাতের ব্যবসায়ী নেতারা। শনিবার (২৫ মে) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত মাহবুবুল আলম। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। ডলার সংকটসহ সম্প্রতি ব্যবসায়ীরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন, বাজেট সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।

আয়কর আইন অনুযায়ী, রপ্তানিখাতের উৎসে কর ১ শতাংশ নির্ধারিত। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নানা সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এই করহার ছাড় দেওয়া হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্য রপ্তানির ওপর উৎসে কর ১ শতাংশ কেটে রাখার আদেশ জারি করা হয়। পরে পোশাক রপ্তানিকারকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ অন্য ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির মুখে ওই অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে সেটা কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে এনবিআর। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দশমিক ৭০ শতাংশ উৎসে কর দেন রপ্তানিকারকরা।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, উৎসে কর যেটা এখন ১ শতাংশ আছে, সেটা দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছি।

এর আগে গত মার্চে এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করে তা আগামী পাঁচ বছর কার্যকর রাখার দাবি জানান রপ্তানিকারকরা। পাশাপাশি পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়। যদিও ২০২৯ সাল নাগাদ এই প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে পোশাকসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমায় সরকার। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হবে। এ লক্ষ্যে, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের রপ্তানিতে প্রণোদনা কমানোর অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগে রপ্তানি আয়ের ওপর ১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়া হতো। এতে রপ্তানিকারকরা উৎসাহিত হতেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রণোদনার সর্বোচ্চ হার ১৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। নতুন নির্দেশনায় অনুযায়ী তৈরি পোশাক খাতে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা, যা আগে ছিল ১ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তীসময়ে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানিখাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সেজন্য সরকার এখন থেকেই বিভিন্ন ধাপে নগদ প্রণোদনার হার অল্প অল্প করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘সরকার ২০২৬ সাল পর্যন্ত নগদ সহায়তা দিতে পারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আন্ডারে। সেক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প নগদ সহায়তা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ২০২৯ সালের আগে যেন নগদ সহায়তা প্রত্যাহার না করা হয়। কারণ নগদ সহায়তার কারণে আমরা নতুন বাজার তৈরি করতে পেরেছি। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আজ যে অর্থনৈতিক ক্রাইসিসে টিকে আছি, তা এই নগদ সহায়তার কারণে।’

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বৈশ্বিক মন্দা আমরা মোকাবিলা করছি। নগদ সহায়তার টাকায় নতুন বাজার তৈরি করতে পেরেছি, নানান সহযোগিতা পেয়েছি।

এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্প এলাকার বাইরের আর কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ না দেওয়া এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে শিল্প মালিকদের ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, হঠাৎ গ্যাস, বিদ্যুৎ, ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করার অনুরোধ করেছি। এর মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী সেখানে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছেন। আমাদের কোনো গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হয়নি। আমাদের ফ্যাক্টরিগুলো শিল্পাঞ্চলে হবে। কিন্তু আমরা সেগুলো বুঝে পাচ্ছি না। গ্যাস-বিদ্যুৎসহ সব মিলিয়ে আরও ২-৩ বছর লাগবে। আমাদের যেহেতু ২-৩ বছর আরও লাগবে, এরই মধ্যে যে বিনিয়োগ করেছি সেগুলোর কী হবে? বিভিন্ন সুযোগও প্রয়োজন। আমরা শিল্পাঞ্চলে যেতে চাই। সেখানে গেলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবো।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে অর্থনৈতিক অঞ্চল মীরসরাই, সেটা এখনো প্রস্তুত নয়। আরও ২-৩ বছর লাগবে। রাস্তাঘাট হয়নি সেখানে। সব ঠিক করে আমাদের বুঝিয়ে দিলে আমরা ভবন করবো, সেটাপ করবো। এতে আরও সময় লাগবে।’

প্রস্তাবে পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘মীরসরাইয়ে তো আর জায়গা নেই। এখন শিল্পায়ন হচ্ছে, মানুষ শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চায়। আপনি কেন বিনিয়োগ করতে দেবেন না। তাহলে শিল্পাঞ্চল গড়ে দিন আমরা সেখানে যাবো। আমাদের শিল্পাঞ্চলের স্বার্থে, বিনিয়োগের স্বার্থে এটা বিবেচনা করা প্রয়োজন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, পোশাকশিল্প দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয় অর্জনের খাত। সরকার এক শিল্পের প্রসারে দীর্ঘদিন ধরেই নানান সুবিধা দিয়ে আসছে। এবারও তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য

আদানির দুই ইউনিটেরই বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ

Published

on

লভ্যাংশ

আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। এটিতে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৩ আগস্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। গতকাল সোমবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে ফিরেছে।

গতকাল মঙ্গলবার আদানি গ্রুপের পক্ষে একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায় প্রথম ইউনিট থেকে ৫১৩ দশমিক ৩২ মেগাওয়াট ও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬৮ দশমিক ৫৭ মেগাওয়াট এবং দুপুর ১টা নাগাদ প্রথম ইউনিট থেকে ৫৯৩ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট ও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৭৬৩ দশমিক ৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য গোড্ডায় এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছিল আদানি। বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে পিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনে নেবে পিডিবি। গত বছরের এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তারা।

এটি থেকে ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ ছিল না। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক সপ্তাহের মাথায় বাংলাদেশে রপ্তানির পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে আদানির এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ দিয়েছে ভারত সরকার।

তবে চুক্তি অনুযায়ী পিডিবির চাহিদা অনুসারে এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে আদানি। এটি দিতে না পারলে আদানিকে জরিমানা দিতে হবে। আবার বিদ্যুৎ না নিলেও আদানিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) পরিশোধ করতে হয় পিডিবির। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতে জ্বালানি আইনের সংশোধন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। চুক্তি অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আদানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রায় ৮০ কোটি ডলার বকেয়া থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছে আদানি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

সাফল্য আসেনি ইএফডি প্রকল্পে, বিকল্প ভাবছে এনবিআর

Published

on

লভ্যাংশ

ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) বিকল্প খোঁজার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জুনের মধ্যে ৩০ হাজার মেশিন বসানোর কথা থাকলেও তাতে ব্যর্থ হয়েছে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস। এতে এক বছরেও প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় ইএফডি ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে এনবিআর।

একই সঙ্গে এনবিআর স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মেশিন আমদানিতে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সাফল্য না আসায় ইএফডির বিকল্প ভাবছে এনবিআরএনবিআর বলছে, জেনেক্স ইনফোসিসের শর্ত লঙ্ঘন, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অসহযোগিতা ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক ইএফডি চালু না করায় ইএফডি প্রকল্পে সাফল্য আসেনি। এই পরিস্থিতিতে ইএফডি ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সেই সঙ্গে ইএফডি মেশিনের বিকল্প খুঁজে বের করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে কার্যকর ও সমন্বিত অটোমেশন নিশ্চিতের তাগিদ দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এনবিআরের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেন, ইএফডি ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্ব পায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনেক্স। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। গত জুনের মধ্যে ৩০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানোর কথা থাকলেও মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৫টি বসাতে পেরেছে তারা। এর মধ্যে আট হাজার মেশিনের ক্ষেত্রে এনবিআরের স্পেসিফিকেশন না মেনে আমদানির নীতিমালাও লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে শিগগিরই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আরো কিছু কারণ আছে। যার ফলে এই ব্যবস্থা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। এ অবস্থায় বিকল্প ভাবছি আমরা।

বিকল্প কী হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এনবিআরের মধ্যকার উইংগুলোর মধ্যে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশন, এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইন্টিগ্রেশন তৈরি করার পর তা ঠিক করা হবে।

পাঁচ বছর ধরে আলোচনার পর গত বছর চালু করা হয় ইএফডি ব্যবস্থা। লক্ষ্য ছিল, ২৫ ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লেনদেনের তথ্য ট্র্যাক ও সঠিকভাবে ভ্যাট আদায় করা। কিন্তু এ ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি এনবিআর।

ইএফডি মেশিন
২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের (ইসিআর) মাধ্যমে ভ্যাট আদায় করা হতো। তবে ২০১৮ সালে ২৫ ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। ব্যবস্থাটি এনবিআরের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত রাখার কথা ছিল। কোনো পণ্য বিক্রির তথ্য এতে ইনপুট দিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনবিআরে রক্ষিত সার্ভারে যুক্ত হবে এবং ভ্যাটের পরিমাণ দেখা যাবে এমনটাই ছিল পরিকল্পনা।

তবে ভ্যাট ফাঁকি রোধের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করতে পাঁচ বছর দেরি হয়। শুরুতে প্রায় এক বছর পরীক্ষামূলকভাবে কিছু প্রতিষ্ঠানে চালু হওয়ার পর গত বছরের আগস্টে জেনেক্স ইনফোসিসের মাধ্যমে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয় এনবিআর। বছরে ৬০ হাজার এবং পরের পাঁচ বছরে তিন লাখ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১৫ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এসেছে ইএফডির আওতায়।

শুরুর আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জেনেক্স ইনফোসিসের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আপত্তি ছিল। তাঁরা জানান, শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি না করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করলে এনবিআর উপকৃত হতো। একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলে সেখানে কোনো জবাবদিহি থাকে না এবং স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ থাকে। এ ছাড়া চুক্তির প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেছেন অনেকে।

ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ ছিল জেনেক্স ইনফোসিসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কোটি টাকা লেনদেন করলেও রিটার্ন জমা না দেওয়ার অভিযোগ আছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ

Published

on

লভ্যাংশ

চলমান বন্যা ও ছাত্র আন্দোলনের কারণে ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন ব্যাহত ও পণ্যের শিপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অর্থ সংকটের কারণে অনেক মালিক বেতন দিতে পারবে না। এ সংকট উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বিজিএমই।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের দপ্তরে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এ দাবি জানান।

রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কারখানায় ১৬/১৭ দিন উৎপাদন করা যায়নি। পরবর্তী মাসে আমাদের সংকট দেখা দিতে পারে। আমরা উপদেষ্টার কাছে সহজ ঋণের অনুরোধ করেছি। যেটা আমরা ১ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে দেবো। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, আমরাও আশাবাদী এই সরকারের সঙ্গে কাজ করলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।

তারা বলেছেন, আমরা আশ্বাস দিয়েছি, আমরা ঘুরে দাঁড়ালে দেশের এই ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে। অনেক বেশি ব্যবসা বাংলাদেশে রান করবে।

কমিটির বিষয়ে তারা বলেন, এই কমিটি বহুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সাবেকদের পরামর্শ ও সমর্থনে সবাই মিলে কাজ করে যাবো। এটা হল আমাদের লাইফলাইন। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। আমাদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে, কিন্ত ব্যাবসা নিয়ে নয়।

বায়ারদের আস্থা বাড়ানোর জন্য আমাদের বায়ার ফোরামের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে আমরা সার্বিক বিষয় তুলে ধরবো। যাতে তাদের আস্থা বাড়ানো যায়।

তারা আরও বলেন, এখানে আমাদের শিল্পটা আগে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হবে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে নির্বাচন ছাড়া ইমিডিয়েট সরকার পাবো না। তাই এই সরকার থাকা পর্যন্ত অর্থনীতি গতিশীল রাখতে যা করা দরকার আমরা তাই করবো।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

জ্বালানি তেলের ৪৮ কোটি ডলার বিল বকেয়ায় বিপাকে বিপিসি

Published

on

লভ্যাংশ

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিপুল পরিমাণ বকেয়া থাকায় জ্বালানি তেল আমদানি নিয়ে সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জ্বালানি তেলের বকেয়া বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বিপিসি। চাইলেও ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। বকেয়া বাড়তে থাকায় তেলের জাহাজ পাঠাতে চাইছে না কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ের পর আসছে কোনো কোনো জাহাজ। বিল পরিশোধে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানিগুলোর চাপ বাড়ছে বিপিসির ওপর।

বিপিসি সূত্র বলছে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিদবস ২২ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার বকেয়া জমেছে বিপিসির। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি ভিটলের, তারা পাবে ১৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। সোনালী ব্যাংক থেকে তাদের একটি বিল পরিশোধে ইতিমধ্যে ১১০ দিন বিলম্ব হয়েছে। ৯৪ দিন, ৮৫ দিন বিলম্ব হওয়া বিলও আছে কোনো কোনো সংস্থার।

বিপিসির দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চুক্তি অনুসারে বিলম্বের জন্য বছরে এখন সাড়ে ৬ শতাংশ হাতে অর্থ মাশুল হিসেবে দিতে হবে। যদিও দীর্ঘ ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে বিলম্ব মাশুলের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো চাপ দেয়নি। তবে দ্রুত বিল পরিশোধে তাগাদা দিচ্ছে নিয়মিত। দফায় দফায় বৈঠক করে তাদের দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি বুঝিয়ে কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছে। মাঝে ব্যাংক বন্ধ থাকায় দেরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

চীনের কোম্পানি ইউনিপেক পাবে প্রায় ৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। আরব আমিরাতের ইনক পাবে ৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার। ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি পাবে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল পাবে ২ কোটি ১৮ লাখ ডলার। আর ভারতের আইওসিএল পাবে আড়াই কোটি ডলার। এর বাইরে বকেয়া কিস্তি জমেছে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও। জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্য পরিশোধে বিপিসিকে নিয়মিত ঋণসহায়তা দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)। তারা পাবে ৮ কোটি ডলারের বেশি।

জ্বালানি তেল বিক্রি করে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মুনাফা করছে বিপিসি। গত মার্চ থেকেই প্রতি মাসে মূল্য সমন্বয় করছে তারা। তাই সংস্থাটির আর লোকসানে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু বিদেশি দেনা পরিশোধে ডলার জোগাড়ে আড়াই বছর ধরেই সমস্যার মধ্যে আছে তারা। এর মধ্যে গত মাস জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পরিবর্তন ঘিরে ব্যাংক বন্ধ ছিল বেশ কয়েক দিন। এতে আরও সমস্যায় পড়েছে বিপিসি। বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি ঋণপত্র খুলতেও জটিলতা দেখা দিয়েছে।

বিপিসি সূত্র বলছে, প্রতি মাসে ৫ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও ১ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আনতে ১৭ থেকে ১৮টি ঋণপত্র খোলার দরকার হয় বিপিসির। ডলারে ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকগুলো নিয়মিত গড়িমসি করে। একটি ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধে ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মাঝেমধ্যে ২ কোটি ডলার করে ছাড় করলেও তা দিয়ে বকেয়া পুরোপুরি পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

বছরে বিপিসির ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেল লাগে। এর মধ্যে দেশের একমাত্র পরিশোধনাগারের সক্ষমতা বছরে ১৫ লাখ টন। বাকিটা সরাসরি আমদানি করা হয়। তবে দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের মধ্যে ৭৫ শতাংশই ডিজেল। আর ডিজেলের ৮০ শতাংশ সরাসরি আমদানি করা হয়। জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিচ্ছে বিপিসির কাছে তেল বিক্রি করা বিদেশি সংস্থাগুলো।

বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া বলেন, সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতির কারণে দেনা পরিশোধে দেরি হওয়ার বিষয়টি তাদের বোঝানো হয়েছে। ধীরে ধীরে তাদের বিল পরিশোধ করার কথাও বলা হয়েছে। দীর্ঘ ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে তারা তেল সরবরাহ বন্ধ করবে না।

তবে জ্বালানি তেলের মজুত পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। ২২ আগস্ট পর্যন্ত ডিজেলের মজুত আছে ৪ লাখ ২৬ হাজার টন। তা দিয়ে দেশের অন্তত ৩৫ দিনের চাহিদা মেটানো যাবে। পেট্রলের মজুত আছে প্রায় ২৩ হাজার টন, যা দিয়ে ১৮ দিন চলবে। অকটেন আছে ৩৩ হাজার ২২৮ টন, যা ২৫ দিনের চাহিদার সমপরিমাণ মজুত। যদিও পেট্রল ও অকটেনের একটি বড় অংশ দেশে উৎপাদিত হয়। তাই এ নিয়ে অতটা অনিশ্চয়তা নেই। উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল আছে ৪০ হাজার ২৫ টন, যা দিয়ে ২৬ দিনের চাহিদা মেটানো যাবে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত ফার্নেস তেল আছে ৩৩ হাজার ৪৫২ টন। এ পরিমাণ তেল দিয়ে ১২ দিন চলার কথা। বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন তেলের চাহিদা আছে। কিন্তু অধিকাংশ সরবরাহকারী ফার্নেস তেল দিতে রাজি হচ্ছে না। ৩০ আগস্টের মধ্যে ফার্নেস তেল নিয়ে একটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। এটি পিছিয়ে গেলে সংকট তৈরি হতে পারে।

সচিবালয়ে গত বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমদানি বিল ২২০ কোটি ডলার বকেয়া পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বকেয়া পরিশোধে ১০০ কোটি ডলার প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেন তিনি। আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বকেয়া পরিশোধে গত বৃহস্পতিবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ম তামিম বলেন, বিল বকেয়ার এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এটা টাকার সমস্যা নয়, অভাব ডলারের। সমস্যাটি থেকে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে এমন অবস্থা চালিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নতুন সরকার জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধে যে ডলার চেয়েছে, তা পেলে সমস্যা অনেকটা কাটবে।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায়

Published

on

লভ্যাংশ

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রাজস্ব আদায় হলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায় কম হওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর ডলার সংকটের কারণে নতুন এলসি না করতে পারায় আমদানি কমে গেছে। তাই গত বছরের রাজস্ব আদায়ের চেয়ে এবার কম আদায়ের রেকর্ড হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কিন্তু রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে। বিগত অর্থ বছরের রাজস্ব আদায়ের রেকর্ডগুলো দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছিল। সে অর্থ বছরে আদায় হয়েছিল ৬৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

তার আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদায় হয়েছিল ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। ওই অর্থ বছরে বেশি আদায় হয় ২২ কেটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরের জুন মাসে আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আদায় হয় ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বিগত বছরের জুন মাসের তুলনায় বেশি আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দরটি দিয়ে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন পাথরসহ বিভিন্ন মালামাল লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম আমদানি হয়েছে।

বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ পাথর। এছাড়া মেশিনারিজ, প্লাস্টিক দানা, ভুট্টা, অয়েল কেক (খৈল), আদা, গম, চাল, ফল ইত্যাদি ও নেপাল ও ভুটান থেকে উৎপাদিত ও বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। একইভাবে দেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, আলু, ব্যাটারি, কোমল পানীয়, গার্মেন্ট সামগ্রী, ক্যাপ, হ্যাঙ্গার, সাবান, বিস্কুট, চানাচুর, জুস, কাচ, পার্টস, কটনব্যাগ, ওষুধ, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন দ্রব্য রপ্তানি হচ্ছে।

রাজস্ব কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, বন্দরটিতে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশই পাথর। সড়ক পথে পাথর আমদানির একমাত্র ভরসার স্থলবন্দর এটি। গেল এক বছর ধরে ডলার সংকটে নতুন এলসি না পাওয়ায় বন্দরটিতে দেখা দিয়েছে নানা সংকট। সীমিত পরিসরে হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ডলার সংকটের কারণে আমদানি কম হওয়ায় রাজস্ব আদায়ে কম রেকর্ড বলে মনে করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দরের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।

আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গেল এক বছর ধরে ডলারের মৃল্যবৃদ্ধিসহ নানা সংকটে পাথর আমদানি কার্যক্রম চালাতে পারছেন না তারা। চাহিদা অনুযায়ী নতুন এলসি করতে না পারায় বর্তমানে পুরাতন এলসিতে পাথর আমদানি হচ্ছে এ বন্দরটি দিয়ে। নানা সমস্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলা এ বন্দরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সিঅ্যান্ডএফসহ ব্যবসায়ীরা।

১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে চালু হয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। পরে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারিতে ভারতের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালুর মধ্য দিয়ে এ বন্দর দিয়ে শুরু হয় ভারতে যাত্রী পারাপার। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে শুরু হয় পণ্য আমদানি-রপ্তানি। বন্দরের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২৫ বছরের জন্য বেসরকারি পোর্ট অপারেটর হিসেবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডকে নিযুক্ত করেছে।

বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডলার সংকট, এলসি জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে উল্লেখযোগ্য হারে পণ্য আমদানি কমে রাজস্ব আদায় কমে গেছে। বছর জুড়ে ডলার সংকট, এলসি জটিলতা ও পণ্য আমদানি ধীরগতি সমস্যা না থাকলে এটি হতো না। এ বন্দরে বিগত কয়েক অর্থ বছর ধরে দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় হয়ে আসছে।

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে ডলার সংকটের কারণে আমদানি কমে গিয়েছিল। গেল বছর ডলার সংকটের কারণে জুলাই-আগস্ট পাথর আমদানি ছিল। এ কারণে রাজস্ব আদায় কমতে পারে। বর্তমানে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ আগের চেয়ে কিছুটা কম হচ্ছে। আগের মত সব পণ্য আমদানি-রপ্তানি হলে আবারো প্রাণ ফিরে পাবে বন্দরটি।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শেয়ারবাজারের সর্বশেষ

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার7 hours ago

লভ্যাংশ দেবে না সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি ইউনিট হোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার15 hours ago

ফারইস্ট ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন হয়েছে। গত ২৫...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার16 hours ago

সপ্তাহজুড়ে ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন ১০ কোম্পানির

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার16 hours ago

লোকসানে তিন খাতের বিনিয়োগকারীরা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার17 hours ago

সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে...

সূচক সূচক
পুঁজিবাজার17 hours ago

খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ব্যাংক খাত

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার18 hours ago

সপ্তাহজুড়ে সোনালী পেপারের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার19 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার19 hours ago

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ শতাংশ বিএটিবিসির

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার1 day ago

শেয়ারবাজারে মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) গড়...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার2 days ago

বন্যার্তদের সহায়তায় সিএসইর চেক হস্তান্তর

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সিএসইর সকল কর্মকর্তাদের একদিনের বেতনের সমপরিমান অর্থ বাংলাদেশ...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার2 days ago

মশিউর সিকিউরিটিজের অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসির কমিটি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ মশিউর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে নানান...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার2 days ago

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৬ এমপির বিও হিসাব অবরুদ্ধ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ মোট ছয় সংসদ সদস্য ও...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার2 days ago

আইসিবির চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক আবু আহমেদ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার2 days ago

এক্সিম ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি বা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ...

Khulna Power Khulna Power
পুঁজিবাজার3 days ago

খুলনা পাওয়ারের অফিস পরিবর্তন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড তাদের অফিসের নিবন্ধিত ঠিকানা...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার3 days ago

নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার3 days ago

ডমিনেজ স্টিলে কোম্পানি সচিব নিয়োগ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডে কোম্পানি সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার3 days ago

টপটেন লুজারের ৮টিই ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬৭টির শেয়ারদর কমেছে। এদিন ডিএসইর...

লভ্যাংশ লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার3 days ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে ফরচুন সুজ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ প্রতিষ্ঠানের...

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

লভ্যাংশ
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার6 hours ago

চর দখলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

লভ্যাংশ
জাতীয়6 hours ago

প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই রূপরেখা প্রকাশ করবেন: প্রেস সচিব

লভ্যাংশ
ব্যাংক6 hours ago

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা

লভ্যাংশ
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশের পাশে ভালো বন্ধু হয়ে থাকবে ভিয়েতনাম: রাষ্ট্রদূত

লভ্যাংশ
পুঁজিবাজার7 hours ago

লভ্যাংশ দেবে না সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড

লভ্যাংশ
অর্থনীতি7 hours ago

৯ ব্যাংকের সাথে লেনদেন স্থগিত করল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

লভ্যাংশ
জাতীয়7 hours ago

বন্যার্তদের পুনর্বাসনে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে: দুর্যোগ উপদেষ্টা

লভ্যাংশ
রাজনীতি8 hours ago

জনগণই ঠিক করবে আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে: তারেক রহমান

লভ্যাংশ
জাতীয়8 hours ago

ভাইরাল ভিডিওর ভ্যানে লাশ তোলা পুলিশ কর্মকর্তা আ.লীগ নেতার ছেলে

লভ্যাংশ
জাতীয়9 hours ago

দখলদারিত্বের রাজনীতির পরিণতি ভালো হবে না: উপদেষ্টা আসিফ

লভ্যাংশ
জাতীয়9 hours ago

সংবিধান সংস্কার নয়, পুনর্লিখন প্রয়োজন: আলী রীয়াজ

লভ্যাংশ
জাতীয়9 hours ago

নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করা হবে না: ড. ইউনূস

লভ্যাংশ
জাতীয়9 hours ago

ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেল ৪ জনের

Sadiq al-Kabir
আন্তর্জাতিক10 hours ago

দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর

Riajul Hasan
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার10 hours ago

রিয়াজুল হাসান এনসিটিবির নতুন চেয়ারম্যান

লভ্যাংশ
অর্থনীতি10 hours ago

বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিতে ধীরগতি, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

লভ্যাংশ
জাতীয়10 hours ago

চীন, ভারতের কাছে বন্যার পূর্বাভাসের তথ্য চাওয়া হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা

লভ্যাংশ
জাতীয়11 hours ago

ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ

লভ্যাংশ
রাজনীতি11 hours ago

প্রধান উপদেষ্টার কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি অলির

লভ্যাংশ
অর্থনীতি11 hours ago

বাংলাদেশে সরকার পাল্টালেও তেল সরবরাহ বন্ধ হবে না: ভারত

লভ্যাংশ
জাতীয়11 hours ago

বন্যায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৫৯

লভ্যাংশ
জাতীয়12 hours ago

প্রধান উপদেষ্টার কাছে যেসব দাবি জানালো ৭টি ইসলামি দল

লভ্যাংশ
জাতীয়13 hours ago

পোস্টিংয়ের নামে প্রতারণা, সতর্ক করলো সদরদপ্তর

লভ্যাংশ
অর্থনীতি13 hours ago

জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধিতে ভাটা

লভ্যাংশ
অর্থনীতি13 hours ago

এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ, অনুসন্ধানে সিআইডি

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০