জাতীয়
জাতীয় কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন প্রেম, মানবতা ও বিদ্রোহের প্রতীক। জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত আর দর্শনেও নজরুলের অনবদ্য উপস্থিতি বর্ণাঢ্য করেছে বাংলা সাহিত্যকে। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, সম্পাদক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অভিমানী এ মানুষ হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নিপীড়িত-অসহায়ের আর্তি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কবিতা কোটি তরুণের রক্তে জ্বালায় স্ফুলিঙ্গ।
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি সাল অনুযায়ী ২৪ মে ১৮৯৯ সাল) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের জীবনের পরতে পরতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। জড়িয়েছিলেন নানা পেশায়। ১৯১৭ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও।
এরই মাঝে তৎকালীন প্রভাবশালী কবি-সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলকে দেওয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে তিনি রচনা করেছেন প্রায় ৩ হাজার গান, লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস।
সাহিত্যের পাশাপাশি সংগীত ও চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন নজরুল। নিজের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ধ্রুব’তে অভিনয়ও করেছিলেন। তাই শুধু কবি পরিচয়েই আবদ্ধ নন নজরুল। আসানসোলের রুটি বানানো ছেলেটা এখনও বিশাল এক প্রতিষ্ঠান। না থেকেও যার উপস্থিতি প্রতিদিন।
১৯৭২ সালে কবি নজরুলকে সপরিবারে নিয়ে আসা হয় স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এই মহাবিদ্রোহী ও প্রেমিক পুরুষ। কবির ইচ্ছানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
‘মার্চ ফর গাজা’র জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, লাখো মানুষের ঢলের অপেক্ষা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা। এতে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ অবস্থার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে জমায়েতের ডাক দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হবে এই গণজমায়াতের আনুষ্ঠানিকতা। এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিরীহ ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও বিশ্ববাসীকে সোচ্চার করার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
জানা গেছে, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
এরই মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টেজ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং জেনারেটর বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতিবাদের আওয়াজ সবার কানে পৌঁছাতে উদ্যানজুড়ে লাগানো হয়েছে ২০০টি মাইক।
এদিকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আলেম-ওলামা, ইসলামিক স্কলার ও সেলিব্রেটিরা স্বতন্ত্রভাবে ভিডিও বার্তা দিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ এই কর্মসূচির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং নিজেরা তাতে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচ রুট নির্ধারণ
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুর ২টায় ঢাকার পাঁচটি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে বেলা ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত হবে।
স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস্য ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বকশিবাজার মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড়। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)
বিশেষ নির্দেশনাসমূহ
টিএসসি মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে। সব পরীক্ষার্থীদের জন্য সব রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।
অংশগ্রহণকারীদের জন্য দিকনির্দেশনা
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি কিছুটা পরিবর্তন
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। শনিবার শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত এই ‘মার্চ’ হওয়ার কথা ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত করা হবে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে যাত্রা করা হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটের দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার উত্তর এবং ভারতের আগরতলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পটি স্বল্পস্থায়ী হলেও এর প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্পের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেখা যায়। অনেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন এবং নিরাপদ থাকার জন্য পরামর্শ দেন।
ভূমিকম্পের পর ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মার্চ ফর গাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচ নির্দেশনা

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বর হামলার প্রতিবাদে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করতে ৫ নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ওই গণজমায়েতে উপস্থিত থাকবেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি ৫টি নির্দেশনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-
১. সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হবো।
২. আসার পথে কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্কসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখব। মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।
৩. যেকোনো পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
৪. শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব।
৫. জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, সকল শ্রেণি-পেশা ও দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে উল্লিখিত নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পহেলা বৈশাখে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দুটি মেট্রো স্টেশন

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে এ শোভাযাত্রার নাম হবে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রা’র শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী পয়লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোর শাহবাগ ও টিএসসির স্টেশন দুটি বন্ধ থাকবে। এখানে যাত্রী উঠবে না এবং নামবে না, তবে মেট্রো চলবে। আমাদের শোভাযাত্রা শেষ হয়ে গেলে গেট দুটি ওপেন হয়ে যাবে।
শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও জনতার সমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইতোমধ্যে অবহিত করেছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শোভাযাত্রার রুট নিয়ে বলা হয়, সকালে শোভাযাত্রাটি চারুকলা ও পাবলিক লাইব্রেরির সামনে দিয়ে শুরু করে শাহবাগের গোলচত্বর ঘুরে টিএসএসিতে গিয়ে রাজু ভাস্কর্য ও ডাস ডানে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এরপর ডান দিকে থাকবে শামসুন্নাহার হল, বাঁয়ে টিএসসি দিয়ে সামনের দিকে গিয়ে অফিসার্স টাওয়ার বাঁয়ে রেখে শহীদ মিনারের দিকে যাবে। শহীদ মিনার ডানে রেখে এনেক্স ভবন বাঁয়ে রেখে দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে চারুকলায় এসে শেষ হবে। শোভাযাত্রা চলাকালে শুধু নীলক্ষেত ও পলাশী থেকে ঢোকার পথ দুটি খোলা থাকবে। বাকি পথ ব্লক করে দেওয়া হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিনটি গেট ছবির হাট, রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট এবং বাংলা একাডেমির সামনের গেট বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রাটি হবে সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন জাতিসত্তার অংশগ্রহণ থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইসরায়েলের পণ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের পণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের যে সব দোকানে বা মার্কেটে ইসরায়েলের পণ্য বিক্রি করা হবে সেগুলোকেও সম্মিলিতভাবে বয়কটের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জুমার নামাজের পর ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, আল কুদস কমিটিসহ একাধিক ইসলামি প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে ইসরায়েল বিরোধী কর্মসূচি শুরু করেন। তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন মানবতার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ। বিশ্ব সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ এখনো কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। বাংলাদেশের উচিত ইসরায়েলের পণ্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা এবং পররাষ্ট্রনীতিতে কঠোর বার্তা দেওয়া।
সংগঠনটির মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, নিশ্চয়ই, ইসরায়েল আজ যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা শুধু ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নয় বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা হোক। যারা গণহত্যা চালায়, তাদের সঙ্গে কোনো রকম বাণিজ্যিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা মানবতা বিরোধী।
সহসভাপতি মুফতি শওকত ওসমান বলেন, ফিলিস্তিনে প্রতিদিন শিশুরা বোমায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে। মায়েরা সন্তানের লাশ কাঁধে নিচ্ছেন— এই দৃশ্য আর কতদিন চুপচাপ দেখবো? মুসলমান হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে, এবার রাষ্ট্রকেও জেগে উঠতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী বিক্ষোভকারীদের ফিলিস্তিনের পতাকা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আঁকা বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
এসময় তাদের,‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ফিলিস্তিনের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘গণহত্যা বন্ধ কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘বিশ্ব মুসলিম লড়াই কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।