শিল্প-বাণিজ্য
স্বর্ণালংকার কেনায় ৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার আহ্বান
![স্বর্ণালংকার কেনায় ৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার আহ্বান ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/aa-58.jpg)
সোনার অলংকার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৬ শতাংশ মজুরি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের ময়মনসিং জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ভারত, শ্রীলংকা চীন, ইতালিসহ বিশ্বের অনেক দেশে সোনার অলংকার বিক্রিতে ৬ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত মজুরি নির্ধারণ করা হয়। অন্যান্য দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও নূন্যতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সোনার অলংকার বিক্র্যের সময় সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ হারে ভ্যাটগ্রহন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানায়। তাই এই মজুরি ও ভ্যাট প্রদানের জন্য ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ডা. দিলীপ কুমার রায় আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ও বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের স্মার্ট জুয়েলারি শিল্পের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বাজুসের সহসভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, বাজুসের দায়িত্ব গ্রহণের পর সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে জুয়েলারি শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। বাজুস এখন একটা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বাজুস প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে বাজুস এগিয়ে যাবে বহুদূর।
বাজুস ময়নসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এম এ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ ঘোষ ও মো. শামছুল হক ভূঁইয়াসহ প্রমূখ।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাজুসের ধারাবাহিক সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনাতেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বাজুসের সদস্য হয়ে অসাধু উপায়ে জুয়েলারি ব্যবসা করা যাবে না। জুয়েলারি ব্যবসা করতে হলে মানতে হবে বাজুসের নিয়ম কানুন। বাজুসের বেধে দেয়া মূল্যের বাইরে গিয়ে বিক্রি করতে পারবে না সোনা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
শিল্প-বাণিজ্য
উৎপাদনস্থলে কমেছে পেঁয়াজের দাম
![উৎপাদনস্থলে কমেছে পেঁয়াজের দাম ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/04/onion.jpg)
পেঁয়াজের উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। সেখানে গত পাঁচ দিনে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম সাড়ে ১০ টাকার মতো কমেছে। একই সঙ্গে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক দিনে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। তাতেও কমে আসছে দেশি পেঁয়াজের দাম। আজ বুধবার পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলার পাইকারি হাটগুলোয় ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকা মণ দরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। অথচ ৫ দিন আগেই তা ৪ হাজার ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
বিভিন্ন বাজারের সূত্রে জানা গেছে, পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলায় গত ৫ দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি মণ দেশি পেঁয়াজের দাম ৪০০ টাকার মতো কমেছে। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকার মতো।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এক বছর আগের তুলনায় বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৭৭ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এবার কাঁচা পেঁয়াজ যখন বাজারে আসে, তখন থেকেই দাম বেশি। গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে যে ভারী বৃষ্টি হয়েছিল, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে তাও ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এত দিন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকাও দেশি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির একটি কারণ।
এদিকে বাজারে আমদানি করা (ভারতীয়সহ) পেঁয়াজ দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ আকারে কিছুটা বড় হয়। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে এ ধরনের পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসাবে এক মাস আগে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি ছিল। আর এক বছর আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলায় সর্বশেষ মৌসুমে প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে কৃষকের কাছে এখনো ১ লাখ ২৮ হাজার টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে।
অন্যদিকে সাঁথিয়া উপজেলায় এবার উৎপাদিত হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার টন পেঁয়াজ; যার মধ্যে ৮৮ হাজার ৫০০ টন কৃষকের কাছে মজুত রয়েছে। ফলে শিগগির বাজারে পেঁয়াজের বড় ঘাটতি হবে না বলে জানান উপজেলা দুটির কৃষি কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জাতীয় রপ্তানি পদক পাচ্ছে ৭৭ প্রতিষ্ঠান
![জাতীয় রপ্তানি পদক পাচ্ছে ৭৭ প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/national-export-foffee.jpg)
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখায় ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি পদক পাচ্ছে ৭৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৭৬টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় রপ্তানি পদক এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক দেবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি অডিটোরিয়ামে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বাছাই কমিটির মাধ্যমে মোট ৩২টি খাতের রপ্তানিকারকদের মধ্য থেকে রপ্তানি আয়, আয়গত প্রবৃদ্ধি, নতুন পণ্যের সংযোজন, নতুন বাজারে প্রবেশ, কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে ট্রফি বিজয়ী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামীকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক তুলে দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার পাচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠান-
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সর্বোচ্চ বিদেশি মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে রিফাত গার্মেন্টস। তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতের এই প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক দেওয়া হচ্ছে।
তৈরি পোশাকের ওভেন খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে উইন্ডি অ্যাপারেলস, রৌপ্য পদক পাচ্ছে অ্যাপারেল গ্যালারি লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে মেসার্স চিটাগাং এশিয়ান অ্যাপারেলস।
তৈরি পোশাকে নিটওয়্যার খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে লিবার্টি নিটওয়্যার লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ফ্ল্যামিংগো ফ্যাশনস লিমিটেড।
সুতা খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে বাদশা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রৌপ্য পদক পাচ্ছে স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড।
টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে নাইস ডেনিম মিলস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে হা-মীম ডেনিম লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।
হোম ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইল খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মমটেক্স এক্সপো লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে এসিএস টেক্সটাইলস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
টেরিটাওয়েল খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড এবং রৌপ্য পদক পাচ্ছে এসিএস টাওয়েল লিমিটেড।
হিমায়িত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্রিয়াম ফিশ এক্সপোর্ট লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে এমইউসি ফুডস লিমিটেড।
কাঁচাপাট খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মেসার্স তানফিয়া জুট ট্রেডিং এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে মেসার্স ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স।
পাটজাত দ্রব্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে জনতা জুট মিলস এবং রৌপ্যপদক পাচ্ছে আকিজ জুট মিলস। চামড়াজাত পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে পিকার্ড বাংলাদেশ এবং রৌপ্যপদক পাচ্ছে এবিসি ফুটওয়্যার।
ফুটওয়্যার থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে বে-ফুটওয়্যার, রৌপ্য পদক পাচ্ছে এডিসন ফুটওয়্যার এবং এফবি ফুটওয়্যার পাচ্ছে ব্রোঞ্জ পদক।
কৃষিপণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ইনডিগো করপোরেশন, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে সিএসএস ইন্টারন্যাশনাল।
কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো, রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্রাণ অ্যাগ্রো এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে প্রাণ ফুডস লিমিটেড।
হস্তশিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে কারুপণ্য রংপুর, রৌপ্যপদক পাচ্ছে বিডি ক্রিয়েশন এবং ক্ল্যাসিকস হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস পাচ্ছে ব্রোঞ্জ পদক।
মেলামাইন খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ডিউরেবল প্লাস্টিক, প্লাস্টিক পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে অলপ্লাস্ট, রৌপ্যপদক পেয়েছে আকিজ বায়াক্স ফিল্মস এবং ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল।
সিরামিকের সামগ্রী খাত থেকে স্বর্ণ পদক পাচ্ছে শাইনপুকুর সিরামিকস, রৌপ্য পদক পাচ্ছে আর্টিসান সিরামিকস এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে প্রতীক সিরামিকস।
হালকা প্রকৌশল খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে এমঅ্যান্ডইউ সাইকেলস, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মেঘনা বাংলাদেশ এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ।
ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রৌপ্যপদক পাচ্ছে বিআরবি কেব্ল ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে মেরিন সেফটি সিস্টেম, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মেসার্স এশিয়া মেটাল মেরিন সার্ভিস এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে তাসনিম কেব্লস।
ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল, রৌপ্যপদক পাচ্ছে ইনসেপটা ফার্মা এবং র স্কয়ার ফার্মা পাচ্ছে ব্রোঞ্জ পদক।
কম্পিউটার সফটওয়্যার থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড এবং গোল্ডেন হারভেস্ট ইনফোটেক পাচ্ছে রৌপ্যপদক।
ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাক শিল্প (নিট ও ওভেন) থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে ইউনিভার্সেল জিনস, রৌপ্যপদক পাচ্ছে প্যাসিফিক জিনস এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে শামা ডেনিমস।
ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন অন্যান্য পণ্য ও সেবা খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে স্টার প্যাকেজিং অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ, রৌপ্য পদক পাচ্ছে পদ্মা স্পিনিং অ্যান্ড কম্পোজিট এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ফারদিন অ্যাকসেসরিজ।
প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে এমঅ্যান্ডইউ প্যাকেজিং, রৌপ্যপদক পাচ্ছে মনট্রিমস লিমিটেড ও ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে মেসার্স ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্যান্য প্রাথমিক পণ্য থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে হেয়ার স্টাইল ফ্যাক্টরি, রৌপ্যপদক পাচ্ছে রায় ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল।
সেবা খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে মেসার্স এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেড ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে মীর টেলিকম লিমিটেড।
নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারকদের জন্য সংরক্ষিত খাত থেকে স্বর্ণপদক পাচ্ছে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস, রৌপ্যপদক পাচ্ছে বি-কন নিটওয়্যার ও ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছে ইব্রাহিম নিট গার্মেন্টস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
যে কারণে বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ স্থগিত করেছে কোকাকোলা
![যে কারণে বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ স্থগিত করেছে কোকাকোলা ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/coca-cola.jpg)
নতুন অর্থবছরের বাজেটে বর্ধিত কর হার এবং শুল্ক বিবেচনা করে একটি বড় বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে কোকাকোলা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়েও। জানা গেছে, বাংলাদেশের বাজারে কোকাকোলার চাহিদা কমার ফলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোমল পানীয়র ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমাতে ও অযৌক্তিক হারে পণ্যটির ওপর রাজস্ব না বসাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
সম্প্রতি ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজ লিমিটেড (সিসিবিবি) অধিগ্রহণ করে তুর্কি কোম্পানি কোকাকোলা আইসেসেক (সিসিআই)। এছাড়া শিল্পের বিকাশের জন্য পরবর্তী সময়ে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
চিঠি সূত্রে জানা যায়, কোকাকোলার পাশাপাশি স্প্রাইট, ফান্টা এবং কিনলে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ খাতে বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৭২ কোটি টাকা ও ২০২১-২২ অর্থবছরে এক হাজার ১৪৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এক হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে আনুমানিক এক হাজার ২২৫ কোটি টাকা। সবশেষ (২০২৩-২৪) অর্থবছরে পানীয় খাত থেকে রাজস্ব আদায় কমেছে। আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ২০ দশমিক ০১ শতাংশ কম।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পানীয় বিক্রির ওপর ৩ শতাংশ ন্যূনতম কর (যা আগে ছিল শূন্য দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ) চালুর সঙ্গে বিদ্যমান মোট করহার বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান কর বাড়ার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে পণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সরকারের রাজস্ব সংগ্রহকেও যা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
চিঠিতে বিডা জানায়, বর্তমান নিম্নমুখী ব্যবসায়িক অবস্থা বিবেচনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আগে আরোপিত ন্যূনতম কর ৩ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ না কমিয়ে বরং সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ শতাংশ। এ করহার বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় পর্যায়ে মোট করহার হবে প্রায় ৫৩ শতাংশ। অন্য শিল্পের তুলনায় এ করহার সর্বোচ্চ। বাজেটে প্রস্তাবিত বর্ধিত করহার এবং শুল্ক বিবেচনা করে আগের বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে সিসিআই। পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী থাই বাণিজ্য মেলা
![ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী থাই বাণিজ্য মেলা ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/thai-faire.jpg)
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী শুরু হচ্ছে টপ থাই ব্র্যান্ডস ২০২৪ বাণিজ্য মেলা। আগামী ১০ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ঢাকাস্থ প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে থাইল্যান্ড সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রোমোশনে (ডিআইটিপি) উদ্যোগে। থাইল্যান্ড ট্রেড ফেয়ার উভয় দেশের জন্যই একটি ফলপ্রসূ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এই মেলার মাধ্যমে থাইল্যান্ড হতে তাদের ব্যবসা খুঁজে নিতে সমর্থ হন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদে সুমিতমোর বলেন, এই মেলায় ৬৪টি থাই প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে থাই পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মেলায় খাদ্যপণ্য, জুয়েলারি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, বেডিং, স্পা, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল, অন্তর্বাস, স্টেশনারি, গৃহস্থালি পণ্যসহ নানা ধরনের বিশ্বমানের থাই পণ্য প্রদর্শিত হবে।
তিনি আরও জানান, থাই সংস্কৃতির সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিতে মেলায় থাকবে থাই নৃত্য এবং ব্যবসায়িক মিটিং। আরও থাকছে র্যাফেল ড্রতে ঢাকা ব্যাংকক ঢাকা বিমান টিকেট জেতার সুযোগ।
১০ জুলাই বেলা আড়াইটায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড হলরুমে মেলার উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, থাই ট্রেড সেন্টার এর মিনিস্টার কাউন্সিলর খেমাতাত আরচাওয়াথাম্রং ও সোনারগাঁও হোটেলের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম কমেছে
![মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম কমেছে ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/pam-oil.jpg)
আন্তর্জাতিক বাজারে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম কমেছে। গতকাল বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে পাম অয়েলের দাম আগের দিনের তুলনায় ৫৭ রিঙ্গিত বা ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমেছে। টনপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩২ রিঙ্গিত (৮৫৪ ডলার ৬০ সেন্ট)। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। সিংহভাগ সরবরাহই আসে এ দুই দেশ থেকে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় পাম অয়েলের। বিপুল সরবরাহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য তেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর কদর বেশি।