আন্তর্জাতিক
প্যানাসনিকে বাড়ছে ইভি ব্যাটারি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা
বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি উৎপাদন দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জাপানি কোম্পানি প্যানাসনিক। ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দেশটিতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা কোম্পানিটি।
সম্প্রতি প্যানাসনিকের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ইয়ুকি কুসুমি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন। খবর নিক্কেইএশিয়া।
ইয়ুকি কুসুমি জানান, মাজদা ও সুবারুর মতো সম্ভাব্য ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সিলিন্ড্রিক্যাল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সরবরাহ করতে ইভি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি দুটির সঙ্গে আলোচনাও করেছে প্যানাসনিক।
প্যানাসনিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জাপানে বার্ষিক প্রায় ১২ গিগাওয়াট ঘণ্টা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে প্যানাসনিকের। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের কারখানায় বার্ষিক ৩৮ গিগাওয়াট ঘণ্টা পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারে কোম্পানিটি। চাহিদামাফিক উন্নত মানের ইভি ব্যাটারি তৈরির জন্য জাপানেও এমন সক্ষমতা অর্জন করতে চায় তারা। এজন্য উৎপাদন ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইভি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা প্যানাসনিকের ব্যাটারির প্রধান ক্রেতা। বিশ্বজুড়ে ইভি গাড়ির ব্যবসায় মন্দা ভাব চলায় টেসলার ব্যাটারি চাহিদা কমে গেছে। ফলে জাপানে ব্যাটারি উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে প্যানাসনিক। এর প্রভাব পড়েছে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ মুনাফায়। ২০২৫ সালের মার্চ নাগাদ কোম্পানিটি ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েনের কিউমুলেটিভ অপারেটিং প্রফিট ও ১০ শতাংশ রিটার্ন অন ইকুইটি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এমপক্সের ১ কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিন কিনবে ইউনিসেফ
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এমপক্স ভ্যাকসিন কেনার জন্য জরুরি দরপত্র আহ্বান করেছে। যেসব দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, তাদেরকে সহায়তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স ও আফ্রিকা সিডিসির (সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) সঙ্গে যৌথভাবে ইউনিসেফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখন এমপক্স প্রতিহত করার জন্য যেসব ভ্যাকসিন আছে, সেগুলো যাতে শিগগির সবার কাছে পৌঁছানো যায় এবং একইসঙ্গে, উৎপাদন যাতে আরও বাড়ানো যায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, চাহিদা, উৎপাদন সক্ষমতা, অর্থায়ন ও চুক্তি সাপেক্ষে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে এক কোটি ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা করেছে ইউনিসেফ।
এই দরপত্র ও চুক্তির আওতায় আক্রান্ত দেশ ও অংশীদাররা অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারলেই ইউনিসেফ কোনো বিলম্ব ছাড়াই ভ্যাকসিন কিনে সেখানে সরবরাহ করতে পারবে। দেশটিতে ভ্যাকসিন পাঠানোর আইনগত বাধা থাকলে সেটা আগে থেকেই সমাধান করা হবে।
এ বছর আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে এমপক্সের (আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত) নতুন স্ট্রেইন (ধরন) ক্লেইড ওয়ানবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পাশাপাশি দেশগুলোতেও অনেকেই এতে আক্রান্ত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে পালানোর সময় ১১ বাংলাদেশিকে রেখে পালিয়েছে দালাল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ অভ্যুথানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলীয়প্রধান দেশ ছাড়ার পর আত্মোগোপনে চলে গেছেন দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী। অনেকে গোপনে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়েরও পরিকল্পনা করেছেন।
ঠিক সেভাবে ভারতে পালানোর জন্য দালালের সঙ্গে চুক্তি করেন একদল বাংলাদেশি। তবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনে ফেলে রেখে পালিয়েছে দালাল।
গতকাল শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল বাংলাদেশের এক প্রতিবেদনে এ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেন পাঁচ শিশুসহ ১১ বাংলাদেশি। পরে বন বিভাগের কর্মীদের হাতে ধরা পড়েন তারা। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বন বিভাগের হাতে আটক হওয়া সবার বাড়ি খুলনা। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর অস্থিরতার মুখে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন তারা।
তাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তারা পালাতে বাধ্য হন। এ জন্য ভারতে আসতে চেয়ে এক দালালের শরণাপন্ন হন তারা।
গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি মহিলার অভিযোগ, ভারতে পালাতে দালালের সঙ্গে তাদের ৪৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়। তবে ওপারে নিয়ে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের টহলের সময় তাদের নজরে আসেন তারা। পরে তাদের সুন্দরবন কোস্টাল থানা হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ রয়েছেন। তাদেত হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর
মিলিশিয়াদের হুমকি থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সাদিক আল-কবীর। তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আল-কবীর বলেন, মিলিশিয়ারা ব্যাংক কর্মীদের হুমকি ও ভয় দেখাচ্ছে এবং কখনও কখনও তাদের সন্তান ও আত্মীয়দেরকে কাজে যেতে বাধ্য করার জন্য অপহরণ করছে।
লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটির বিলিয়ন ডলারের তেল ভিত্তিক রাজস্বের পরিচালনা করত। ২০১১ সালে ন্যাটো বাহিনীর অভিযানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হন। এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। বর্তমানে দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমের প্রশাসনের মধ্যেও এই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
এই দুই প্রশাসনের মধ্যে গত সোমবার থেকে নতুন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। ত্রিপলি ভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দেইবাহ, যিনি পশ্চিম লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সরকারের জন্য কাজ করছেন। গর্ভনর সিদ্দিক আল-কবির পালিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অফিসে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার এবং বিদ্রোহী দলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। আল কবির অভিযোগ করেন, লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার তেল ভিত্তিক রাজস্বের অপব্যবহার করছেন।
এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় বেনগাজি ভিত্তিক লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ, সোমবার থেকে তেলক্ষেত্রগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও পূর্বাঞ্চলের সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার নয়। তবে এ সরকারের সামরিক নেতা খলিফা হাফতার লিবিয়ার বেশিরভাগ তেলক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করেন।
ত্রিপলিতে আল জাজিরার সাংবাদিক মানিক তৃনা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই সম্পূর্ণভাবে ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নেয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধিতে ভাটা
গত এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সমাপ্ত জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) জানিয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছর একই প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ২। মূলত কৃষি খাতের গতি কমে যাওয়ায় জিডিপির সূচক নিম্নমুখী হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের
কয়েক দিন আগেই রয়টার্সের এক জরিপে বলা হয়েছিল, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে। এবার ভারতের সরকারি পরিসংখ্যানেই জানা গেল, প্রবৃদ্ধি কমেছে।
করোনা মহামারির শুরুতে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল। এরপর দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বেশ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে দেশটি। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৪ ছাড়িয়ে যায়। তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এটাই ভারতের অর্থনীতির সক্ষমতা।
সেই সঙ্গে গত কয়েকটি প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশের ওপর বা তার আশপাশে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তবে এ বছর এপ্রিল-জুন অর্থবছরে চীনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৭। ফলে এই প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমলেও এখনো তারা বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল।
এনএসওর তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেছে; এই সময় দেশটির কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৩ দশমিক ৭। উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের আশপাশে আছে; যদিও আবাসন ও কর্মক্ষেত্রে জিভিএ (দেশের বাজারে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য) ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, জিডিপির চেয়ে জিভিএর হিসাব দিয়ে অর্থনীতির চালচিত্র বেশি বোঝা যায়। জিভিএর সঙ্গে কর ও ভর্তুকির নিট ফলাফল যোগ করে জিডিপির হিসাব পাওয়া যায়। ধরা যাক, দেশে গত বছর ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছিল। এ বছরও ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছে। জিভিএর হিসাব বলবে, বৃদ্ধির হার শূন্য। কিন্তু ওই পণ্যের ওপর যদি এ বছর ২০ টাকা কর চাপে, তাহলে গত বছরের জিডিপি ১০০ টাকা হলেও এ বছর তা ১২০ টাকা হবে। সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য লাভজনক ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪ থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। নির্মাণ খাতে গত বছর একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৬। এই প্রান্তিকে তার হার ১০ দশমিক ৫। হোটেল, পরিবহন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে; নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। যদিও চলতি বছর প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছিই থাকবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞেরা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকেই ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিল-জুন থেকে শুরু করে প্রথম তিনটি প্রান্তিকে তা ছিল ৮ শতাংশের ওপরে। ফলে গত অর্থবছরে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে দ্রুততম প্রবৃদ্ধির দেশ ছিল ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চলতি বছর হয়ে যাওয়া নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে মোদি সরকার বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু নির্বাচনের পর সরকারি ব্যয় কমেছে। সে কারণেই প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। আশঙ্কা আছে, প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরানের প্রথম নারী মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি
ইরানের মাসুদ পেজেস্কিয়ান সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফাতেমেহ মোহাজেরানি। তিনি ইরান সরকারের প্রথম নারী মুখপাত্র। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
তেহরান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান সরকারের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ফাতেমেহ ১৯৭০ সালে আরাকে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর স্কটল্যান্ডের এডিনবরার হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেড ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যবসা এবং প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ফাতেমেহ।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকারের আমলেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সেখানকার টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং ইউনিভার্সিটি অব শরিয়তির প্রধান হিসেবে কার্যনির্বাহ করেন। ইরানের সেন্টার ফর ব্রিলিয়ান্ট ট্যালেন্টসের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে ইরানে হিজাব না পরায় মাহশা আমিনি (২২) নামে এক নারীকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
এমআই