টেলিকম ও প্রযুক্তি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর আরোপ না করার আহ্বান

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর আরোপ না করার আহ্বান জানিয়েছেন এই খাতে উদ্যোক্তারা। বুধবার (২২ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দিনব্যাপী ইয়ুথ টেক সামিটে তারা এই আহ্বান জানান।
তরুণদের নিয়ে কাজ করা ১৪টি সংগঠন যৌথ উদ্যোগে এই সামিটের আয়োজন করে। প্রথমবারের মত আয়োজিত এই টেক সামিটের এবারের মূল প্রতিবাদ্য ছিল ‘আর উই রেডি ফর এআই?’
অনুষ্ঠানের ২০ জন সফল ও তরুণ উদ্যোক্তা তাদের এগিয়ে যাওয়ার গল্প তুলে ধরেন। যেখানে নতুন প্রযুক্তি, বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো প্রাধান্য পায়।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ তরুণরাই তৈরি করবে। তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের ফান্ডিং সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের গ্রুপ বিবেচনা করছে।
বিডিজবস এর প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে মতো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হলে তরুণদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের সব ধরণের সহায়তা প্রদান করতে হবে। আগামী বাজেটে যাতে নতুন কোনো কর এই উদ্যোক্তাদের উপরে না আরোপ করা হয় সেই ব্যাপারে তিনি সরকারকে আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য প্রচুর নতুন বিনিয়োগ দরকার। এই পর্যায়ে নতুন করে আয়কর বা ভ্যাট আরোপ করলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।
ভিসিপিয়াব সভাপতি ও ইজেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্র্যান্ট বা ফ্রি মানি চাই না। আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ চাই। এ জন্য আগামী বছর তিনেক কর অব্যাহতি রেখে পরে ধীরে ধীরে সহনীয় হারে কর আরোপের পরামর্শ দেন তিনি।
এআই ভিত্তিক ওপেন সোর্সের মডেল দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গ্লোবাল এআই ইউজ কেইসের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এত বিপুল জনসংখ্যার দেশের এআই ইউজ কেইস মডেল থেকে সারা বিশ্ব উপকৃত হতে পারে।
অংশগ্রহণকারী তরুণ উদ্যোক্তারা হলেন- ড্রিমজয় ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তানভির হোসেন খান, ব্যাকস্পেসের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান, সিগমাইন্ড সিইও আবু আনাস শোভন, মার্কোপোলোর সিইও তাসফিয়া তাসবীন, শিখোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শাহির চৌধুরী, আইফার্মার সিইও ফাহাদ ইফাজ, ড. চাষি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মেদিনা আলী, লার্ন উইথ সুমিতের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সুমিত সাহা, উইন্ড অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ আহমেদ, ইন্টারঅ্যাকটিভ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রা আল সামির, মিত্র ফিনটেক লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কিশওয়ার হাসেমী, ইনোডক্স টেকনোলজিস লিমিটেডের সিইও মো. মুনিরুল আলম, ওস্তাদের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ বড়ুয়া, আমর ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তাহরীন শাহ, ডেডস কোরের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আশরাফুল ইসলাম, অ্যানিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নুরুল আমিন, নয়ন আইটির ডিজিটাল মার্কেটার ও সিইও এ এইচ আলী,মুজেলডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নাসির উদ্দিন, এয়ারওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাযমে ফারুক, কোডম্যান বিডির প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজুল আসিফ ও প্রোগ্রমিং হিরোর সিওও আব্দুর রাকিব প্রমুখ।
ইয়্যুথ টেক সামিটের সঞ্চালনায় ছিলেন গোলাম সামদানি ডন। ‘হোয়াট ইয়ং আইটি এন্টারপ্রেনার্স ওয়ান্ট ফ্রম গভর্নমেন্ট ইন দ্য আপকামিং বাজেট?’ শীর্ষক সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কবির, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার জাহিদ, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাজনীন নাহার, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও নাসা স্পেস অ্যাপস চেলেঞ্জ বাংলাদেশের উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন, জেসিআই বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস অ্যা এনগেজমেন্ট বিডিঅ্যাপস ন্যাশনাল অ্যাপসস্টোর ন্যাশনাল ট্রেনিং কমিশনার মো. আলটামিস নাবিল প্রমুখ।
সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে ছিল বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, জেসিআই বাংলাদেশ, বিআইজেএফ, নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন, বিডিঅ্যাপস, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ভিসিপিয়াব), ইয়্যুথ ইন টেক, ফিরল্যান্সার্স অফ বাংলাদেশ, রাইজ অ্যাবাভ অল, বিওয়াইএলসি,জিইএন, ইয়্যুথ ফর পলিসি, বিওয়াইএলসি, গ্লোবাল শেপার, জেন বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল নেটওয়ার্ক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টেলিকম ও প্রযুক্তি
দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম

দেশে নতুন করে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি।
ফয়েজ আহমেদ লিখেছেন, ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। এরমধ্যে আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা।
‘এর আগে, আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবিপিএসের পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে। এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা।’
ইতোমধ্যেই সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা প্রদান করেছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোরও কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না।
‘সরকার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা। আশা করছি মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে।’
ফয়েজ আহমেদ জানান, ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে। সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে।
১. মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। (সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে, কিন্তু সে মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো।)
২. আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী ফেসবুকে আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখনও ভুয়া অ্যাকাউন্টের দৌরাত্ম্যে ভুগছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর প্রায় ৩ শতাংশই ছিল ভুয়া প্রোফাইল। সম্প্রতি প্রকাশিত মেটার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মেটা জানিয়েছে, ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০০ কোটির (৩ বিলিয়ন) গণ্ডি পেরিয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বিভিন্ন কারণেই প্রায় ১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি এবং মানব পর্যবেক্ষণের সমন্বয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত এবং অপসারণের কাজ চললেও, প্রতিনিয়ত নতুন পদ্ধতিতে গড়ে ওঠা ভুয়া প্রোফাইলগুলো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থেকেই যাচ্ছে।
মেটা জানায়, কিছু অ্যাকাউন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের নীতিমালা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। পাশাপাশি এমন অনেক প্রোফাইল রয়েছে, যেগুলো প্রকৃত ব্যক্তি নয় বরং ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান কিংবা পোষা প্রাণী উপস্থাপন করে।
এর বাইরে, স্প্যাম ছড়ানো, ভুল তথ্য প্রচার, বট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমন্বিত ভুয়া কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অন্যের পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার — এসবই ভুয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত হওয়ার মূল কারণ।
বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হওয়া সত্ত্বেও, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ফেসবুকের জন্য বহুদিন ধরেই বড় সমস্যা।
২০১৯ সাল থেকে মেটা প্রতি প্রান্তিকে গড়ে এক বিলিয়নের বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ভুয়া প্রোফাইল শনাক্তের হার কিছুটা কমে এসেছে।
মেটা স্পষ্ট করেছে, ভুয়া অ্যাকাউন্টের মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সেইসব প্রোফাইলে, যেগুলো ক্ষতির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়, যেমন- স্প্যাম ছড়ানো এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করা অ্যাকাউন্ট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলালিংকের নতুন ডেপুটি সিইও জহরত আদিব চৌধুরী

মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জহরত আদিব চৌধুরী। এ খাতের ডিজিটাল লিডার হিসেবে কোম্পানির যাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
জহরত ২০১৪ সালে বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে যোগদান করেন। বিভিন্ন খাতে ২০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে জহরতের।
এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলালিংককে টেলিকম অপারেটর থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটরে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি ‘অ্যাসেট-লাইট’ এবং ‘রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ উদ্যোগসহ বাংলালিংকের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গ্রাহকদের জন্য ব্যতিক্রমী ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে ডেপুটি সিইও হিসেবে জহরত সিনিয়র লিডারশিপ টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বাংলালিংকের কৌশলগত দিকনির্দেশনা ঠিক করবেন এবং দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আইন, করপোরেট গভর্নেন্স ও ইএসজি সংশ্লিষ্ট বর্তমান দায়িত্বের পাশাপাশি, তিনি বাংলালিংকের ডিজিটাল আর্থিক সেবার লক্ষ্যপূরণে কাজ করে যাবেন।
বাংলালিংকের সিইও ইওহান বুসে বলেন, নতুন ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় জহরতকে অভিনন্দন। তার পেশাগত অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তাকে এই দায়িত্বের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত করে তুলেছে। এ নিয়োগ শুধু একটি প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি নয়- এটি আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও অংশীজনদের জন্য আরও উন্নত অভিজ্ঞতা এবং প্রবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বহন করে। আমরা একটি উদ্ভাবনী ও ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জহরত আদিব চৌধুরী বলেন, শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় নতুন এ ভূমিকা গ্রহণ করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। সবার জন্য উন্নত সংযোগ নিশ্চিতকরণ এবং উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণে অবদান রাখতে কাজ করে যাবো আমি। অত্যন্ত দক্ষ ও উদ্যমী বাংলালিংক পরিবারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। কার্যকর ডিজিটাল সমাধান প্রদানে আমাদের সহকর্মীদের সহায়তা করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্টার্টআপ বাংলাদেশের এমডি সামির অপসারণ ও দুর্নীতির বিচার দাবি

স্টার্টআপ বাংলাদেশের এমডি সামি আহমেদের দ্রুত অপসারণ ও সব দুর্নীতির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে বাংলাদেশ আইটি উদ্যোক্তা কাউন্সিল।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে
বাংলাদেশ আইটি উদ্দ্যোক্তা কাউন্সিলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ বিন সফির উপস্থাপনায় শুরুতে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলের সদস্য সচিব খাবিরুল জাহান সাজিদ। বক্তব্য রাখেন অন্যতম আইটি উদ্দ্যেক্তা মেহেদী হাসান, মো. মনিরুজ্জামান, সিনিয়র আইটি উদ্দ্যেক্তা আহসান হাবীব, ফাউজিয়া নিগার সুলতানা, কাউন্সিলের যুগ্ম আহবায়ক ইমরুল কায়েস পরাগ।
উদ্যোক্তারা সামি আহমেদের বিভিন্ন দুর্নীতি এবং যে সকল ক্ষেত্রে তারা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন সেসব বিষয় তুলে ধরেন এবং তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইটিখাতের দস্যু, স্টার্টআপ বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজ এমডি সামি আহমেদের দ্রুত অপসারণ এবং বিচার দাবি করেন।
আইটি উদ্যোক্তারা জানান, ফ্যাসিবাদের রানী পালিয়ে যাওয়ার পরও তার দোসররা স্বপদে বহাল থাকা মানে হচ্ছে শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি।
সভাপতির বক্তব্যে বিআইইউতি’র আহবায়ক তালহা ইবনে আলাউদ্দিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্টার্টআপ বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজ এমডি সামি আহমেদে কে অপসারণ এবং বিচারের মুখোমুখি করা না হলে আইটি উদ্যোক্তারা আবার রাজপথে নামবে। সবশেষে তিনি সকল আইটি উদ্যোক্তা এবং সচেতন জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের কাছে বেশকিছু অভিযোগ ও প্রস্তাবনা জানানো হয়েছে।
অভিযোগগুলো হচ্ছে —
১. সামি সরকারি বিনিয়োগকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন এবং স্বচ্ছতা ছাড়াই ১৫টি স্টার্টআপে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বিতরণ করেছেন। যার অধিকাংশই সাফল্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
২. প্রতিযোগিতামূলক ও দক্ষ উদ্যোগগুলো (যেমন- টেন মিনিট স্কুল) বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে কেবল রাজনৈতিক সমীকরণ বা ব্যক্তিগত অনাগ্রহের কারণে।
৩. মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি একটি রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের অংশ, যার মাধ্যমে সরকারি অর্থ ও প্রকল্পের অপব্যবহার হয়েছে।
৪. এ নিয়ে ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা সরব প্রতিবাদ করেছেন।
৫. সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তার অবস্থান ও কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি, সরকারি অর্থব্যবস্থা ও বিনিয়োগ নীতিমালার পরিপন্থি।
প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে—
ক. সামি আহমেদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে তার সব কার্যক্রমের নিরীক্ষা করতে হবে।
খ. তদন্তকালীন সময়ে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
গ. স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্পের বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হব। আমরা বিশ্বাস করি, একটি উদ্যোক্তাবান্ধব এবং দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ আইটি উদ্দ্যেক্তা কাউন্সিলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ বিন সফি, সদস্য সচিব খাবিরুল জাহান সাজিদ, আইটি উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান, মো. মনিরুজ্জামান, সিনিয়র আইটি উদ্যোক্তা আহসান হাবীব, ফাউজিয়া নিগার সুলতানা, উদ্যোক্তা কাউন্সিলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরুল কায়েস পরাগ এবং আহ্বায়ক তালহা ইবনে আলাউদ্দিন বক্তব্য দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু আজ

বাংলাদেশে আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মহাকাশভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সেবা। এদিন রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে’ অংশগ্রহণকারীরা ব্যবহার করতে পারবেন এ সেবা। সেখান থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এর আগে, গত ২৯ মার্চ স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এর ফলে, প্রতিষ্ঠানটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। তবে, বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে এনজিএসও লাইসেন্স নিতে হবে। ইতোমধ্যে লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছি। স্টারলিংকের প্রযুক্তি ইতিবাচকভাবে যাচাই করা হয়েছে।
মূলত, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টারলিংকের প্রযুক্তি পরীক্ষা চালানো হয়। এরপর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পাওয়ার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভিডিও কলে মার্কিন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদ ইলন মাস্কের সঙ্গে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে স্টারলিংকের পরিসেবা চালুর কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়। এরপর গত মাসেও ঢাকায় বেশ কয়েকবার পরীক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন বাংলাদেশে তাদের পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। কারণ, স্পেসএক্সের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক ইতোমধ্যে বিশ্বের বহু দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।
সে অনুযায়ী, এটি চালু হলে বাংলাদেশ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে এবং কমবে শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য। একইসঙ্গে দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি যোগাযোগ স্থাপনেও স্টারলিংকের কার্যকারিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করছেন তারা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ভুটানে স্টারলিংকের সেবা চালু হয়েছে। এবার বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক সংযোগ।