আন্তর্জাতিক
নির্বাচনের গতি পাল্টাতে পুঁজিবাজারকে হাতিয়ার বানাচ্ছে বিজেপি

ভারতে ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। সাত পর্বের এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে ৫ম পর্বের ভোট গ্রহণ চলছে। তবে ভোটের আগে ক্ষমতাসীন বিজেপি যেভাবে হুংকার দিয়ে মাঠে নামছিলো, বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ফলে নিজেদের দলের পক্ষে ভোটের সংখ্যা বাড়াতে তারা বিষয়কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরমধ্যে শেয়ারবাজার নিয়ে নানান প্রচারণা উল্লেখযোগ্য। বিজেপি বলছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশটির শেয়ারবাজারে ধস নামবে। এতেই ভারতের শেয়ারবাজারে হুট করে অস্থিরতা এবং বড় দরপতন দেখা দিয়েছে। খবর আনন্দবাজার
ভোটগ্রহণ শুরুর দুই সপ্তাহ আগেও সামগ্রিক পরিবেশে মনে হচ্ছিল, বিজেপির নেতৃত্বধীন এনডিএ জোট নিশ্চিতভাবে ফের ক্ষমতায় আসছে। গত নির্বাচনের চেয়ে গত বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে সেটি নিয়েই বরং চলছিল আলোচনা। গত বছর ৩০৩ জন এমপি নিয়ে ক্ষমতায় আসা বিজেপি জোর গলায় দাবি করছিল, এবার তারা ৪০০ এমপি নিয়ে সরকার গঠন করবে। আর তাতেই তেতে উঠেছিল দেশটির শেয়ারবাজার। মূল্যসূচক ওঠেছিল সর্বোচ্চ উচ্চতায়।
কিন্তু প্রথম দুই পর্বের ভোটগ্রহণের পর থেকেই নির্বাচনী হাওয়া বদলে যেতে থাকে। স্পষ্ট হতে থাকে, ৪০০ আসন তো দূরের কথা গতবারের সমান আসন নিয়েও বিজেপি (এনডিএ) ক্ষমতায় আসতে পারবে কি-না তা অনিশ্চিত। তৃতীয় দফা ভোট শেষে উল্টো ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনার ঝিলিক দেখা দিতে থাকে। আর তখন থেকেই বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হতে থাকে।
সূত্র মতে, গত ১০ এপ্রিল বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক সেনসেক্স (এসঅ্যান্ডপি বিএসই সেনসেক্স) ৭৫ হাজার ৩৮ পয়েন্ট ওঠে রেকর্ড গড়েছিল। কিন্তু এর পর থেকেই এ সূচক নিম্নমুখী হতে থাকে। কিছুটা ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে আজ (২১ মে) তা ৭৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে স্থির হয়। গত ১৫ দিনে এ সূচক সর্বনিম্ন ৭২ হাজার ৪০৪ পয়েন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৭৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টের মধ্যে ওঠা-নামা করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের পুঁজিবাজারে হঠাৎ অস্থিরতার পেছনে রয়েছে দেশটিতে চলমান জাতীয় নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি। নির্বাচনী আবহের রঙ বদলের সাথে সাথে বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। আর এটিকেই এখন মোক্ষম অস্ত্র বানাতে চাচ্ছে হঠাৎ অথৈ জলে পড়ে যাওয়া বিজেপি।
জানা যায়, বিজেপির পরিবর্তে কংগ্রেস জোটের (ইন্ডিয়া) ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের কিছুটা উদ্বিগ্ন করে তুলে। এর পছেনে একাধিক কারণও আছে। প্রথমত, নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে বর্তমান বিজেপি সরকারের সব নীতি বহাল রাখবে কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ধনীদেরকে বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, এক ধরনের অভিজাততন্ত্র কায়েম করার অভিযোগ আছে। অন্যদিকে কংগ্রেস ও তার জোট সঙ্গীরা নির্বাচনে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমিয়ে আনার জোরালো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগকারীসহ দেশটির অনেকেই মনে করেন, ইন্ডিয়া জোট যদি ক্ষমতায় আসেও, কংগ্রেস বড় ধরনের সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে আসতে পারবে না। তাতে সরকার পরিচালনায় তাদেরকে অন্য দলের উপর অতিমাত্রায় নির্ভর করতে হবে। তাতে প্রশাসনে গতি থাকবে না।
অন্যদিকে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে নিশ্চিতভাবেই নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট সংখ্যাগরিষ্টতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। এমন অস্পষ্ট-অনিশ্চিত অবস্থায় অনেক বিনিয়োগকারী সাইডলাইনে অবস্থান নিচ্ছেন। তাতে বাজারে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটের পরে নির্বাচনী ফলাফল নিজেদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেওয়ার পর থেকে বিজেপি উগ্র প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানা কথা বলে হিন্দু ভোটারদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে বলে প্রচার করছে। তাতেও হাওয়া তাদের পক্ষে না আসায় এবার শেয়ারবাজারকে তারা অস্ত্র বানাচ্ছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে দেশটির শেয়ারবাজারে ধস নামবে। তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বেড়েছে বাজারের অস্থিরতা।
তবে গত এক সপ্তাহে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশসহ একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় এলে শেয়ার বাজারে ‘ধস নামবে’— এই কথা রটিয়ে বিজেপি আতঙ্ক তৈরির মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠে ফায়দা নিতে চাইছে। কংগ্রেসের দাবি, খোদ অমিত শাহ শেয়ার বাজারে লগ্নিকারীদের মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন। আজ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, আর্থিক বৃদ্ধি ও সকলের জন্য উন্নয়নের মাপকাঠিতে অতীতের কংগ্রেস সরকারের ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ অনেক ভাল।
এমআই

আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য-কানাডা-অস্ট্রেলিয়া

ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনটি দেশ পর্যায়ক্রমে এ ঘোষণা দেয়।
এরমধ্যে প্রথম ঘোষণা আসে কানাডার পক্ষ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও সর্বশেষে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে আমি আজ অসাধারণ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অপরদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গঠনে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে এরআগেই স্বীকৃতির ঘোষণা দিলো তারা। অপরদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, আজ রোববার যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি প্রদান করবে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই শান্তিচুক্তির প্রতিশ্রুতি না দেয়, তবে যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান পাল্টাবে। এটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন, কারণ এতদিন ধরে দেশটির সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে বলছিল, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসবে কেবল শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবং সর্বোচ্চ প্রভাব ফেলতে পারে এমন সময়ে।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ইসরায়েলি সরকার, বন্দিদের পরিবার এবং কিছু কনজারভেটিভ নেতা। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এমন পদক্ষেপ “সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করবে”। তবে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির আশা বাঁচিয়ে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়াটা নৈতিক দায়িত্ব।
আন্তর্জাতিক
ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে কাড়াকাড়ি

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশের প্রথম চালান পৌঁছানোর পর কলকাতার বাজারে তা নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই উচ্চমূল্য সত্ত্বেও ক্রেতারা সব ইলিশ লুফে নিয়েছেন। তবে সামনে আরও চালান আসার সম্ভাবনায় দাম কমার আশা করছেন তারা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার জনপ্রিয় বাজারগুলোতে প্রায় ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ২ হাজার রুপিতে বিক্রি হয়েছে। আর ১.৫ কেজির বেশি ওজনের বড় ইলিশের দাম ছিল ২,৫০০ রুপি প্রতি কেজি। দুর্গাপূজার জন্য অপেক্ষায় থাকা ক্রেতারা এই দামেই বিপুল আগ্রহ নিয়ে ইলিশ কিনেছেন।
কসবার একজন মাছ বিক্রেতা অতুল দাস জানান, কিছু ক্রেতা যেকোনো মূল্যে ইলিশ কিনতে চেয়েছিলেন, যদিও অনেকের কাছে দামটা একটু বেশি মনে হয়েছে। তিনি আশা করছেন, সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে।
প্রথম চালানে সীমিত সরবরাহ থাকায় হাওড়ার পাইকারি বাজারেও দাম চড়া ছিল। সেখানে ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ রুপিতে এবং এর চেয়েও বড় ইলিশ ২,০০০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে।
এ বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার মোট ৩৭ জন রপ্তানিকারককে ১,২০০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। প্রথম চালানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ১৯২ কেজি ইলিশ ত্রিপুরায় গেছে, আর বেনাপোল বন্দর দিয়ে গেছে প্রায় ৩৭ টন ৪৬০ কেজি ইলিশ।
প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডলার ৫০ সেন্ট, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৫২৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশ রপ্তানি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালো করবে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের আশঙ্কা, এর ফলে বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক
সাইবার হামলা: ইউরোপজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল

ইউরোপের বড় বড় বিমানবন্দরগুলোতে চেক-ইন ও বোর্ডিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কলিনস অ্যারোস্পেসের ওয়েব সাইটে সাইবার হামলা হয়েছে। এতে লন্ডনের হিথ্রো, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এবং জার্মানির বার্লিন বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কলিন্স অ্যারোস্পেস জানিয়েছে, ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’র কারণে সংস্থাটি আপাতত পরিষেবা দিতে পারছে না এবং ত্রুটি সারাতে সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিমান পরিবহন সংস্থা (এয়ারলাইন্স) এবং বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদান করে কলিন্স অ্যারোস্পেস। ইউরোপভিত্তিক বেশিরভাগ বিমান পরিবহন সংস্থা কলিন্স অ্যারোস্পেসের পরিষেবার গ্রাহক। সাইবার হামলার ফলে বিমানের চেক-ইন ও বোর্ডিং পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এয়ারলাইন্সগুলোও তাদের ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয়েছে।
লন্ডন, ব্রাসেলস ও বার্লিন বিমানবন্দর ইতোমধ্যে যাত্রীদের ফোন নাম্বারে বার্তা প্রদানের মাধ্যমে ফ্লাইট বাতিলের ব্যাপারটি অবহিত করেছে।
ইউরোপের সব বড় বিমানবন্দর অবশ্য এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফ্রাঙ্কফুর্ট, হামবুর্গ ও জুরিখ বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ব্রাসেলস বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করা হবে।
“এটা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি শিগগিরই কলিন্স অ্যারোস্পেসের ত্রুটি না সারে, তাহলে প্রতিটি ফ্লাইটের ডিপার্চার সময় ৫৪ মিনিট পিছিয়ে যাবে”, ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে বলেছেন ওই কর্মকর্তা।
সূত্র : ডেইলি মেইল
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলকে ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলকে ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই অস্ত্র বিক্রির জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
পরিকল্পিত এই প্যাকেজে রয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের ৩০টি ‘এএইচ-৬৪’ অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ১.৯ বিলিয়ন ডলারের ৩ হাজার ২৫০টি ইনফ্যান্ট্রি অ্যাসল্ট ভেহিকেল।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাঁজোয়া যান এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আরও ৭৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সহায়ক যন্ত্রাংশ এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি এবং সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চার শীর্ষ রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট নেতার অনুমোদন চাইছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলার আগে প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি প্রথমে কংগ্রেসের নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। কাতারে ইসরায়েলের ওই হামলার পরেও ট্রাম্প প্রশাসন অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন চাওয়া অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসন এবং সাম্প্রতিক সময়ে কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও তীব্র সমালোচনার পরেও দখলদার দেশটিতে অস্ত্রসহ নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় ৬৫ হাজার ১৪১ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। শ্রমিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই নয় দেশের নাগরিকরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ, কাজ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা একটি অপরিহার্য নথি। যদিও বেশিরভাগ নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাজের ভিসার জন্যই আবেদন করেন।
তবে এবার বেশ কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলো আমিরাত। এই বিধিনিষেধের অর্থ হলো- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দেশগুলোর নাগরিকরা শ্রমিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
দেশটির অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা।
কেন এসব দেশের নাগরিকের ওপর ভিসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
আরব আমিরাত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কারণ জানায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর সম্ভাব্য কারণগুলো হলো-
নিরাপত্তা উদ্বেগ: সন্ত্রাসবাদ বা বেআইনি কার্যকলাপ থেকে আমিরাতের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা।
ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক: উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধ: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর প্রবেশ নীতিমালা প্রয়োগ।
এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে এবং আরব আমিরাতের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়ণের ওপর নির্ভর করে তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে যারা বৈধ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।
সূত্র: ইউএই ভিসা অনলাইন