ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির সুযোগ
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসিতে ‘অফিসার/অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি
বিভাগের নাম: অলটারনেট ডেলিভারি চ্যানেলস, টেকনোলজি
পদের নাম: অফিসার/অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক
অভিজ্ঞতা: ০২-০৪ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: যে কোনো স্থান
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা BRAC Bank PLC এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বইমেলায় আসছে ইবি শিক্ষার্থীর লেখা ‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’
অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এ আসছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী কামরুল ইসলামের প্রথম নতুন বই ‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’। বইটি ‘ঘাসফুল’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। শিগগিরই বইটির প্রি-অর্ডার ও রকমারিসহ অন্যান্য অনলাইন বুকশপে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন লেখক।
লেখক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। লেখকের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তার লেখালেখি শুরুটাই হয়েছে পবিত্র কুরআনের নামকরণ দিয়ে। তিনি লেখালেখিকে ইসলাম প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন।
‘আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক রহস্য’ বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, এটি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাধর্মী বই। বইটিতে লেখক কুরআনের বৈজ্ঞানিক আয়াতগুলোর তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হয়। একজন বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষ যদি কুরআন পড়তে চায় সে কুরআনে বিজ্ঞান খুঁজে পাবে। একজন দার্শনিক যদি কুরআনে তার দর্শনের উত্তর খোঁজে সে তা পাবে। একজন কুরআন প্রেমী মানুষ তার কুরআন জানার পিপাসা মেটাতে পারবে। একজন জ্ঞান পিপাসু মানুষ কুরআন পড়লে তার জ্ঞানের ভাণ্ডার পূর্ণ হবে। পবিত্র কুরআনে যে যেটা খুঁজবে সে সেটা পেয়ে যাবে। যদি কেউ আরবি ভাষার অলংকার করতে চায় কুরআন পড়লেই পেয়ে যাবে।
লেখকের মতে, কুরআনে শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদির কথাই নেই, আছে বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, বায়োলজি, ক্যামিস্ট্রি। তাই কুরআনকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে; একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এর সামান্য কিছু রহস্য তুলে ধরেছেন। আশা করি বইটি এর পাঠকের প্রতি আরো আকৃষ্ট করবে।
লেখনী ধারা অব্যাহত রাখবেন এবং পরবর্তী বছরের গল্পের বই বের করবেন বলে জানিয়েছেন লেখক।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের অভিযোগ ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হক। ভুক্তভোগীরা একই বিভাগের শিক্ষার্থী।
এনিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি প্রশাসনিক তদন্ত ও সুষ্ঠু সমাধানের নিমিত্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বরাবর অভিযোগ পত্র জমা দেয় বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ পত্র গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হকের বিভিন্ন ল্যাব কোর্সের খাতা দেখেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কতিপয় কিছু শিক্ষার্থী। পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশের আগেই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবুল বাশার, আশিকুর রহমান রাব্বি ও অনিক হোসাইন পরীক্ষার খাতায় বানান ভুল, কে কত মার্কস পেয়েছে, কে ফার্স্ট হয়েছে এই সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন। আবুল বাশারের বিরুদ্ধে রয়েছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ছাদে ডেকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগও। বিভাগীয় সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হকের ফিজিক্যাল জিওগ্রাফী ল্যাব কোর্সের ক্লাস বরাবরই এই কতিপয় শিক্ষার্থীরা নিয়ে থাকেন। সেই ক্লাসে তারা শিক্ষকদের মত আচরণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হকের এসাইন ল্যাব কোর্স (GIS ল্যাব, শিক্ষাবর্ষ: ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ফিজিক্যাল জিওগ্রাফি ল্যাব, শিক্ষাবর্ষ: ২০২১-২২, ২০২২-২৩) গুলোর খাতা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই কতিপয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি দেখান এবং এ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বিভাগে একটি সুস্পষ্ট পাওয়ার প্রেক্টিস চালান। ২০১৯-২০ হতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এই অনিয়মের শিকার হয়েছে যা ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলেছে। এই প্রক্রিয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থীদের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন নিশ্চিত হয় না। পরীক্ষার ফলাফলে পক্ষপাতিত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের ঝুঁকি তৈরি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের ২০১৯-২০ হতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কাছে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিক হোসাইনের একটি অডিওবার্তাও রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী অধ্যাপক মো. ইনজামুল হক বলেন, আমি অভিযোগের বিষয়ে এখনও অবগত না। শিক্ষার্থীদের কাছে প্রমাণ থাকলে ফেস টু ফেস সমাধান করার জন্য প্রস্তুত। খাতার মূল্যায়ন বলতে এখানে ল্যাবের বিষয়টা একটু ভিন্ন। যেহেতু পর্যাপ্ত শিক্ষক ও স্টাফ নাই, সুতরাং মাঝমধ্যে মাস্টার্সে পড়ুয়া সিনিয়রদের সহযোগিতা নেয়া হয়। ফাইনাল খাতা শিক্ষার্থীদের ধরাছোঁয়ার বাহিরে। যদি মূল খাতার বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে ভিত্তিহীন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। দাবি মেনে না নেয়া হলে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভাগটির পূর্বের নাম ছিল জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। পরে নাম পরিবর্তনের দাবি জানালে স্বাক্ষর জালিয়াতির করে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফী’ নামকরণ করা হয়। এটি অত্যন্ত নেক্কারজনক ঘটনা। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা পাঁচ মাস যাবৎ আন্দোলন করে যাচ্ছি বিভাগের নাম পরিবর্তন ও সেশনজট নিরসনের জন্য। পাঁচ মাস ধরে আমরা প্রতিনিয়ত মাঠে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু এর কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের যে কোনো সিদ্ধান্তে দায়ভার নিতে হবে প্রশাসনের।
এসময় তাঁরা আরও বলেন, আমাদের ৫ মাসের এই আন্দোলন নিয়ে আর তালবাহানা চলবে না। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগ বৈষ্যম্যের শিকার হয় তা হচ্ছে আমরা। আমরা চাই আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের প্রাণের দাবি বিভাগের নাম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে পরিবর্তন করা হোক।
এবিষয়ে বিভাগের সভাপতি জানান, নাম পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেন তাই হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে প্রশাসন দেখবে। যেহেতু প্রশাসনের বিষয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে ঢাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ (বি ইউনিট) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আঞ্চলিক কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয় এই পরীক্ষা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজশাহীর আশেপাশে জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ভিড় জমান।
পরীক্ষার্থীরা জানান, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় তাদের সময় এবং ভ্রমণ খরচ কমেছে। কেন্দ্রে পরীক্ষার পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা যথাযথ ছিল। তবে, অনেকেই দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি পার করে নিজের স্বপ্ন পূরণের ১ম ধাপে পা রাখার অনুভূতি প্রকাশ ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা অসুবিধার কথা জানান।
পরীক্ষা দিতে আসা নুসরাত জাহান নামে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবার অনুভূতির জায়গা। তাই আমার কেন্দ্রে এসে কিছুটা নার্ভাস লেগেছিল। এখানে এসে অনেক কিছু শিখেছি, বিশেষ করে নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে চলা। পরীক্ষার কিছু প্রশ্ন কঠিন হলেও, আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। “
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক সেলিম উদ্দিন বলেন, “আমার সন্তান অনেক পরিশ্রম করেছে, আজ তার সেই পরিশ্রমের ফল দেখার দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেলে তার জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে। আমি তার প্রতি পুরোপুরি বিশ্বাস রাখি এবং মনে করি সে নিজের স্বপ্ন পূরণ করবে। যদি চান্স না পায়, তাও তার প্রতি আমার সমর্থন একটুও কমবে না এবং আমি আমি সন্তানের পাশে সবসময় আছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহীতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পরীক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।”
এছাড়াও, রাজশাহী কেন্দ্রের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য রাবির বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা নিরাপত্তা ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘নাতি-নাতনি’ কোটা বাদ
মুক্তিযোদ্ধাদের ‘নাতি-নাতনি’ কোটা বাদ দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এই ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে। বিষয়টিকে যৌক্তিক সংস্কার হিসেবেই দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোটার যৌক্তিক সংস্কার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিণত করতে চাই।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পরীক্ষা।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৪ জন। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতে শনিবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫৪ হাজার ৪৯৬ জন।
এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষার কোটা সংস্কারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
গত বছর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এই ইউনিটে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তার মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেন।