জাতীয়
সরকারের বোরো ধান-চাল সংগ্রহ তদারকির দায়িত্বে আট কর্মকর্তা

চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বোরো ধান-চাল সংগ্রহে খাদ্য অধিদপ্তরের আটজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭ অনুযায়ী আট বিভাগে সংগ্রহ কাজ তদারকি করবেন। সম্প্রতি এ দায়িত্ব দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন বিভাগ) মো. জামাল হোসেনকে ঢাকা, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ বিভাগ) এফ এম মিজানুর রহমানকে বরিশাল, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সরবরাহ, বন্টন ও বিপণন বিভাগ) রেজা মোহাম্মদ মহসিনকে ময়মনসিংহ, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ বিভাগ) মো. মনিরুজ্জামানকে রংপুর, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চলাচল, সংরক্ষণ ও সাইলো বিভাগ) মো. মাহবুবুর রহমানকে রাজশাহী, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিদর্শন, উন্নয়ন ও কারিগরি সেবা বিভাগ) মো. তাজুল ইসলামকে সিলেট, খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হিসাব ও অর্থ বিভাগ) মো. আব্দুস সালামকে খুলনা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মাইন উদ্দিনকে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তদারকি কর্মকর্তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের প্রতিটি জেলার এলএসডি/সিএসডি পরিদর্শন করে সংগৃহীত ধান-সিদ্ধ-আতপ চালের মান এবং অন্যান্য বিষয়সহ ধান, চাল-গমের মজুত যাচাই করবেন। অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা ও অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে কি না তা মহাপরিচালককে জানাবেন বলে অফিস আদেশে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি উৎপাদনকারী ও বেসরকারি উৎস থেকে এলএসডি/সিএসডিতে প্রাপ্ত বস্তার মান যাচাই করে মতামত দেবেন। সংগৃহীত খাদ্যশস্যের বস্তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় স্টেনসিল করা হয়েছে কি না যাচাই করবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কৃষকের অ্যাপ ও এফপিএস অনুসরণ করে ধান-চাল ক্রয় করা হচ্ছে কি না যাচাই করবেন।
এছাড়া পরিদর্শনের পাশাপাশি সাপ্তাহিক বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা এর সঙ্গে সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে মতবিনিময় করে সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক বোরো ধান-চাল সংগ্রহের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করবেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা।
গত ৭ মে থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

জাতীয়
পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানিই বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথ দেখাবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে, যাতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় তা জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না। তাই পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্প, যেমন সৌরবিদ্যুৎ ও বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লি, গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
কার্ল পেজ বলেন, পারমাণবিক শক্তি এখন বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কাছে নিষিদ্ধ নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই এ প্রযুক্তি গ্রহণ করে তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে। তিনি বাংলাদেশকে উদীয়মান প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যেখানে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারমাণবিক বিকল্প গ্রহণের আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখনই বড় আকারে সৌরবিদ্যুৎসহ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্পগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার সময় এসেছে।
এসময় গুগলের সহ–প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই কার্ল পেজ পরবর্তী প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য ও শূন্য–কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
জাতীয়
বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কানাডা। একই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটের ভ্রমণ বিভাগে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতামূলক ‘হলুদ চিহ্ন’ এবং পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাস্বরূপ ‘লাল চিহ্ন’ জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপহরণ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘাতের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি সারাদেশেই সম্ভাব্য বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং হরতাল-অবরোধ পরিস্থিতি মাথায় রেখে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো সময় নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে, যার আগাম সতর্কবার্তা নাও পাওয়া যেতে পারে।
জাতীয়
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চান ইউরোপীয় মানবাধিকার প্রধান

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতৌরি। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল সবাইকে মেনে নিতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে দেশের স্থিতিশীলতার জন্য এটি অপরিহার্য।
সম্প্রতি ঢাকায় সফরকালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাতৌরি।
মৌনির সাতৌরি বলেন, ক্ষমতার পৃথকীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, জনপরিসর ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট পরবর্তী নির্বাচিত সংসদের সঙ্গে কাজ করবে।
মৌনির সাতৌরির নেতৃত্বে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপ-কমিটির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের আগে ইইউ অংশীদার দেশগুলোতে এ ধরনের তথ্য-অনুসন্ধান মিশন পাঠানো হয়ে থাকে।
বাংলাদেশকে এই মুহূর্তে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে সাতৌরি বলেন, দেশটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে এবং একই সঙ্গে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এর মধ্যে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (পিসিএ) আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত।
সাতৌরি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ইইউ যখনই কোনো তৃতীয় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমরা মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন এবং মৌলিক স্বাধীনতার বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করি। কারণ এগুলো যেকোনো ইইউ চুক্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তরণের প্রসঙ্গে সাতৌরি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দৃশ্যমান প্রভাব ফেলছে। তবে তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত গৃহীত সংস্কারগুলো যদি ব্যাপক সমর্থন পায় এবং নির্বাচিত সংসদ সেগুলো বাস্তবায়ন করে, তাহলে সর্বোত্তম পরিবেশে এ উত্তরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সাতৌরি বলেন, সমৃদ্ধি ও মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির মধ্যে ভারসাম্য আনার উদ্দেশ্যে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (পিসিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি অন্তর্বর্তী সরকারের পরও বহাল থাকবে এবং উভয় পক্ষকে ভবিষ্যতেও আবদ্ধ রাখবে। জনগণের উদ্বেগ ও স্বার্থ এতে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হওয়া জরুরি।
সফরকালে সাতৌরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরও পরিদর্শন করেন। তিনি গত আট বছর ধরে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ প্রশংসা করেন এবং বৈশ্বিকভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আর্থিক সহায়তার মাত্রা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বাংলাদেশকে একা এ বোঝা বহন করতে দেওয়া যায় না।
তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তা ও মিয়ানমারে রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাতৌরি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন সংকট সমাধানে বৈশ্বিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
ঢাকায় সফরকালে প্রতিনিধিদল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাতীয়
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ধলপুর বউবাজার লিচুবাগান মসজিদের পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের ৭ম তলায় এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- মো. তুহিন হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী ইবা আক্তার (৩০), দুই ছেলে তাওহীদ (৭) ও তানভীর (৯)। তুহিন মোতালেব প্লাজায় একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে কাজ করেন। তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলায়।
দগ্ধ ইবার বোন ফারজানা আক্তার জানান, বাসায় পরিবারটির ওই চার সদস্য থাকেন। শুক্রবার রাতে যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন এসি থেকে একটি বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে ঘরে আগুন ধরে গেলে তারা চারজনই পুড়ে যান।
তিনি আরও জানান, আশপাশের ভাড়াটিয়ারা আগুন নিভিয়ে রাতেই তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। তাদের চারজনের অবস্থায়ই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জাতীয়
নিক্সনের উসকানিতে ভাঙ্গায় সহিংসতা: পুলিশ

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের উসকানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ আনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত গেজেটে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ থেকে পৃথক করে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয়রা ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
পুলিশের দাবি, এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সাবেক সাংসদ নিক্সন চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক উসকানিমূলক ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে দেন। ৯ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ আখ্যা দেন এবং আন্দোলনকে সহিংস রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ সেপ্টেম্বর তার সমর্থকরা ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, নির্বাচন অফিস ও কৃষি অফিস ভাঙচুর করে এবং সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ব্যাপক সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর নিক্সন চৌধুরী আবারও ভিডিওবার্তায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ বলে আখ্যা দেন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে মামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জনগণকে আরও সহিংস আন্দোলনে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ বলছে, কারো কোনো উসকানিমূলক বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন মেনে চলুন এবং পুলিশকে সহযোগিতা করুন। মামলা দিয়ে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলো। কেউ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য বা গুজব প্রচারে অংশ নিলে তা দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানানোর অনুরোধ করা হলো।