জাতীয়
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারে থাকা যাত্রীদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ মে) পৃথক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, রাইসি একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা।
তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) কয়েকজন সহযোগীসহ আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের পাশাপাশি হেলিকপ্টারটিতে ইরানের আরো বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও ছিলেন।
তারা হলেন- পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। এছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট

শ্রমিক মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে একটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হওয়া অবরোধে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে আশপাশে অবস্থান নেন। তবে মহাসড়কটিতে এখনো পর্যন্ত যানচলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার মৌচাকের ওই পোশাক কারখানার কয়েকজন শ্রমিককে ডেকে নিয়ে মারধর করে স্টাফরা। এরপর শ্রমিকরা কারখানার ভেতর আন্দোলন শুরু করেন। পরে ঝামেলা মিটে গেলেও আজ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রয়েছে। এ কারণেই আজ বিক্ষোভ শেষে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
কারখানাটির শ্রমিকরা বলেন, আমাদের কারখানার শ্রমিককে অফিসে ডেকে নিয়ে স্টাফরা মারধর করেন। সেদিন আমাদের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি ও কয়েকটি দাবি জানাই। দাবিগুলো মানলেও এরপর থেকে আর কারখানা খুলছে না এবং শ্রমিক মারধরের বিচারও করছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আরেকটি কারখানার শ্রমিকরা।
তাদের দাবি, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি কারখানা শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন গত ৯ মার্চ দেওয়ার কথা ছিল। বেতন না দেওয়ায় সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে কারখানার ভেতরেই অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন তারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সারাদিন শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে। পরে বিকেলে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যান। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ সাটিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই নোটিশ দেখে শ্রমিকরা সকাল ৭টা থেকে কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে শ্রমিকরা গত মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা চলছে।
গাজীপুরে মেট্টোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে: মাহফুজ

দেশে বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, সেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি একটি ছদ্ম-যুদ্ধ চালাচ্ছে’ শিরোনামে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম লিখেছেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি পর্যালোচনা সভায় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও সহিংসতা নিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার চলমান এবং বিচারের কাজ দ্রুত ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ও সরকার তৎপর।
‘ছাত্র-যুবকদের জন্য লক্ষাধিক চাকরির ব্যবস্থা ও তরুণদের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের বিষয় ও গতকালের আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে দৃশ্যমান পদেক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে এবং সে লক্ষ্যে সমন্বিত তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’
তথ্য উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা, জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগগ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার সক্রিয় ও সফল। কিন্তু, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী শ্রেণি ও মিডিয়ার মধ্যকার গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর বিরোধ, স্বার্থান্বেষা ও মতান্ধতা, অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তির ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্রমশ উত্থান সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে।
‘সরকার যুদ্ধ লড়ছে গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত একটি শক্তিশালী দেশি-বিদেশি জোটের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল জনগণের মধ্যকার অভ্যুত্থানের ঐক্যকে নস্যাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সফলও হচ্ছে। সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল ও অভ্যুত্থানের বিভিন্ন শক্তিকে মুখোমুখী না করাই আমাদের জন্য আখেরে ভালো হবে।’
মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সে যুদ্ধ অন্য জায়গা থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা কন্ট্রোল রুম থেকে সে যুদ্ধের প্রতি সপ্তাহ ও দিনের কর্মসূচি চালু করা হয় ও মনিটর করা হয়। আমাদের সে যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যা ও লুটপাটের বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহের পুনরুজ্জীবন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরসহ নানা বিষয় আমাদের লক্ষ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলে এ দেশকে গড়ে তোলার সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলেই ভিনদেশ থেকে দ্রুততার সাথে সরকার পরিবর্তনের প্রেসক্রিপশন আসছে। কিন্তু, নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে এ দেশে নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটবে এবং খুনী, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিচার হবে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ ঢাকায় আসছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদুয়া টাঙ্গারা মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাকায় আসছেন। তিনি তিনদিন বাংলাদেশ সফর করবেন।
পশ্চিম আফ্রিকান দেশ গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা চেম্বারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে দুদেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথমবার ঢাকা সফর করেছিলেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদুয়া টাঙ্গারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

সাভারের আমিন বাজারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল এক বিজ্ঞপ্তিতে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার সাভারে আমিন বাজার পাওয়ার গ্রিডে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিভাবে ৭টা ২০ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে যুক্ত হয় আরও ৮ ইউনিট।
বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জানিয়ে আরও বলা হয়, প্রথমে ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে যুক্ত হয় ফায়ার সার্ভিসের আরও একটি ইউনিট।
প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১০ বছরে সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশি নিহত

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গত ১০ বছরে সীমান্তে কমপক্ষে ৩০৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮২ জন।
সোমবার (১০ মার্চ) মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এইচআরএসএস জানায়, সীমান্তে ২০১৫ সালে ৪৩ জন, ২০১৬ সালে ২৮, ২০১৭ সালে ৩০, ২০১৮ সালে ১৫, ২০১৯ সালে ৪২, ২০২০ সালে ৫১, ২০২১ সালে ১৭, ২০২২ সালে ২৩, ২০২৩ সালে ৩০ ও ২০২৪ সালে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও এ সময়ে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮২ বাংলাদেশি আহত হন।
২০২৪ সালেই সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ৫৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বিএসএফ কর্তৃক ১৫টি হামলার ঘটনায় ৪ জন বাংলাদেশি নিহত, ১০ জন আহত ও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক ও খাসিয়াদের হামলায় ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বিভিন্ন সময়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত সিদ্ধান্ত নিলেও এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তাই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।
এ বিষয়ে এইচআরএসএসের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। সীমান্ত এলাকায় সব সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলোকে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।