কর্পোরেট সংবাদ
ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন

ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। নতুন মডেলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ভার্টিকাল ফ্রিজার, চকোলেট কুলারসহ মোট ৭টি মডেলের ফ্রিজ। এছাড়াও আছে সোলার হাইব্রিড প্রযুক্তির স্পিড টাইপ এসি, ৪ ও ৫ টনের সিলিং এবং ক্যাসেট টাইপ লাইট কমার্শিয়াল এসি, ৬৫ ইি র ওএলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের প্রোডাক্টস উন্মোচন করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রায়হান। অনুষ্ঠানে সারা দেশে একযোগে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের বর্ণাঢ্য র্যালি উদ্বোধন করা হয়।
নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), মফিজুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. তানভীর রহমান, তাহসিনুল হক, সোহেল রানা, মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এছাড়া ভার্চুয়াল মাধ্যমে সারা দেশ থেকে ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার ও পরিবেশকগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান বলেন, প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ চমক নিয়ে আসে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উন্মোচন করেছি। নতুন মডেলের এসব পণ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ ইন্টারনেট অব থিংগস (আইওটি) বেজড স্মার্ট ফিচার সংযোজন করা হয়েছে। আশা করি- নতুন মডেলের এসব পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।
ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান বলেন, গ্রাহকদের হাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ নতুন উদ্ভাবিত পণ্য তুলে দিতে সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) টিমের প্রকৌশলীরা। ওয়ালটন আর অ্যান্ড আই টিমের দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা, প্রোডাকশন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টসহ সব বিভাগের সদস্যরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্বের সর্বাধুনিক ডিজাইন, প্রযুক্তি ও ফিচারের ইলেকট্রনিক্স পণ্য গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হচ্ছি। আমাদের এ ধরনের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম জানান, গ্রাহকদের হাতে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রেতা সুবিধা প্রদানেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়ালটন। এরই প্রেক্ষিতে ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এরইমধ্যে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৫জন গ্রাহক। ওয়ালটন থেকে পাওয়া ১০ লাখ টাকায় পরিবর্তন হয়েছে তাদের প্রত্যেকের ভাগ্য। গ্রাহকদের ওয়ালটনের এই ননস্টপ মিলিয়নিয়ার ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসা ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংগস বেজড ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর, ৩৪৩ লিটারের ইউরোপিয়ান ডিজাইনের কম্বি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ৩৩৪ লিটারের ভার্টিকাল ফ্রিজারসহ মোট ৭টি মডেল। নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি ওয়ালটনের নতুন মডেলের এসব ফ্রিজ বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য। নতুন মডেলের এসব ফ্রিজ যেমন ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, তেমনি পরিবেশবান্ধবও। এসব ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর ৬০০এ গ্যাস। এছাড়াও এসব ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কমপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে টারবো ও ইকো ফিচারসমৃদ্ধ ডুয়ো কুলিং টেকনোলজি। এসব ফ্রিজের এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করে। রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুমুক্ত স্বাস্থ্যকর সতেজ খাবার।
এছাড়াও এসব ফ্রিজে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর (আইজিটি), স্মার্ট কন্ট্রোল, ডোর ওপেনিং অ্যালার্ম, চাইল্ড লক, থ্রি লেয়ার ওডোর গার্ড ও হিউম্যান ডিটেক্টর। এছাড়াও স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় ফ্রিজের দরজা না খুলেই হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ওয়ালটনের উন্মোচিত নতুন মডেলের এসির মধ্যে রয়েছে ১ ও ১.৫ টনের সোলার হাইব্রিড স্পিট টাইপ এসি। ওয়ালটনের নতুন এই এসিটি সুপার সেভিং মডেলের। এই এসি দিনের বেলায় সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে চলবে। যদি সোলার পাওয়ার কম থাকে, তখন সোলার পাওয়ার থেকে আগে বিদ্যুৎ নিয়ে তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে হাইব্রিড পদ্ধতিতে চলবে এই এসি। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এছাড়া রাতের বেলায় সোলার পাওয়ার ব্যাটারির মাধ্যমে বা বৈদ্যুতিক লাইনেও চলবে এটি। এতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে মরিচা প্রতিরোধক কোটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন প্রযুক্তি। এই এসির কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসমুক্ত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট।
ইনভার্টার প্রযুক্তির বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ১.৫ টন থেকে শুরু করে ৫ টনের সিলিং টাইপ এবং ক্যাসেট টাইপের নতুন মডেলের ইনভার্ট্রনিক্স সিরিজের লাইট কমার্শিয়াল এসি উন্মোচন করেছে ওয়ালটন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার আলোকে ওয়ালটনের এই লাইট কমার্শিয়াল এসিগুলো ডিজাইন করা হয়েছে। এসব এসি ৫৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা পর্যন্ত ফাংশনাল থাকবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাস্টমারদের কথা বিবেচনা করে মরিচা প্রতিরোধক ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। কম্প্রেসারের দীর্ঘস্থায়িত্বের পাশাপাশি হাই কুলিং এফিশিয়েন্সি নিশ্চিত করতে অ্যাকুমুলেটর ব্যবহার করা হয়েছে। লাইট কমার্শিয়াল ইনভার্টার মডেলগুলোকে সিঙ্গেল ফেজ পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে চালানো যাবে। এছাড়া সিস্টেম কে রক্ষা করার জন্য সার্জ প্রোটেকশন, হাই ও লো প্রেসার প্রোটেকশন, ইন্টারনাল প্রেসার রিলিভ ভাল্ব ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রাহক মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও ইনভার্ট্রনিক্স সিরিজের এসি পরিচালনা করতে পারবেন।
ঈদকে সামনে রেখে ওয়ালটন উন্মোচন করেছে ৬৫-ইি র আল্ট্রা স্লিম ডিজাইনের ওএলইডি টিভি। গ্রাহকরা তাদের ভিউং অ্যাঙ্গেল অনুযায়ী ইচ্ছামতো ঘুরিয়ে নিতে পারবেন ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই টিভি। এতে রয়েছে হ্যান্ডস ফ্রি ভয়েস কমান্ড সুবিধা। আছে ৩জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রম। এছাড়াও রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, গেমিং মুড, এমইএমসি, ডলবি এটমস ও ডলবি ভিশন সাউন্ড সিস্টেম।
এছাড়াও ওয়ালটন বাজারে এনেছে নতুন মডেলের ওয়াশিং মেশিন। এতে ব্যবহৃত হয়েছে বিএলডিসি ইনভার্টার মটর। ফলে বিদ্যুৎ খরচ যেমন কম হয়, তেমনি দীর্ঘস্থায়িত্বও অনেক বেশি। এই ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ওয়াশ করার সময় যদি লোডশেডিং হয় তখন বিদ্যুৎ আসার পর সর্বশেষ অবস্থা থেকে ওয়াশের কাজ সম্পন্ন হয়। পানির হিটিং লেভেল নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছালে হিটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়াশিং মেশিন চালানোর সময় কোনো ধরণের সমস্যা দেখা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসপ্লেতে এরোর কোড দেখা যাবে।
ওয়ালটন ঈদ কার্নিভালে বাজারে এসেছে নতুন মডেলের বিএলডিসি প্রযুক্তির সিলিং ফ্যান। বাজারের নরমাল ফ্যানগুলো হয় ৯০ থেকে ১০০ ওয়াটের। আর ওয়ালটনের বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান মাত্র ৩৫ ওয়াটের। ফলে ওয়ালটনের এই ফ্যানে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় প্রায় ৬৫ শতাংশ। এতে করে বছরে বিশাল অঙ্কের বিদুৎ বিল সাশ্রয় হবে গ্রাহকের। ওয়ালটনের বিএলডিসি ফ্যান রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সহজেই চালাতে পারবেন গ্রাহক।
এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপুর্তি উদযাপন ও দোয়া

ইসলামী ব্যাংক অফিসার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপুর্তি উদযাপন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন। ইসলামী ব্যাংক অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি একেএম মাহবুব মোরশেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সহ-সভাপতি আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ সোলায়মান। এসময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
সাড়ে ৮ হাজার কৃষক পরিবারের ক্ষমতায়নে ব্র্যাক ব্যাংক

বাংলাদেশে কৃষি অর্থায়নের ধারায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। গত দুই বছরে ৮ হাজার ৫০০-এরও বেশি কৃষক পরিবারের মাঝে মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ঋণ বিতরণের মাধ্যমে তাঁদের সহায়তা করেছে ব্যাংকটি।
এ উদ্যোগের আওতায় প্রায় ৩৫ হাজার গ্রামীণ মানুষের জীবন ও জীবিকা সরাসরি উপকৃত হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে প্রান্তিক ও জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এ উদ্যোগ দৃশ্যমান প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ব্র্যাক ব্যাংক আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে থাকা প্রান্তিক ও ছোট কৃষকদের প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে আসছে। ব্যাংকটির নিজস্ব ডিজিটাল কৃষিঋণ প্ল্যাটফর্ম ‘সুবিধা’-এর মাধ্যমে কৃষকরা মাত্র ২০ মিনিটেই ঋণসুবিধা নিতে পারছেন। শাখায় না গিয়ে নামমাত্র কাগজপত্রের মাধ্যমে এই ঋণসুবিধা পাওয়ার ফলে তাঁদের জীবন ও জীবিকায় এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
এই ফিনটেক-কেন্দ্রিক মডেলটি শুধুমাত্র অর্থায়ন নয়, প্রযুক্তি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রেও সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতিতে নীরবে অবদান রেখে যাওয়া কৃষকদের জন্য এটি আত্মবিশ্বাস ও আর্থিক সক্ষমতার এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।
এরকম পরিস্থিতিতে আরও বিস্তৃত পরিসরে কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে ব্র্যাক ব্যাংক সিনজেনটা, আইফার্মার, পেট্রোকেম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ বহু অ্যাগ্রিটেক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ডিজিটাল টুল, মার্কেট লিংকেজ এবং উন্নত কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হয়েছে।
উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যৌথভাবে ব্যাংকটি ২২টি জেলার ৩,২৫৬ জন কৃষকের মাঝে ১৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, যেখানে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। ডিজিটাল ফার্ম ম্যানেজমেন্ট ও মার্কেটিং টুলসের সহায়তায় এই ঋণ গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ ও হলুদ চাষসহ নানা কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় আরও ১,৮৪৪ জন কৃষক ৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ঋণসুবিধা পেয়েছিলেন, যা তাঁদের ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ২৫১ জন কৃষককে ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলু ও ধান চাষে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ জেলা গাইবান্ধায় ৭০ জন গবাদিপশু খামারিকে পরীক্ষামূলকভাবে ৫১ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। খুলনা ও সাতক্ষীরার মতো দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ১৩৪ জন কৃষক জলবায়ু-সহনশীল কৃষি অর্থায়ন সুবিধা পেয়েছেন।
শুধু তা-ই নয়, গবাদিপশু ও দুগ্ধ খাতেও গতি এসেছে। ৫৫২ জন কৃষকের মাঝে ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কৃষকদের সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোও।
ব্র্যাক ব্যাংকের এই প্রচেষ্টার প্রভাবও লক্ষণীয়। ধান চাষে ২,৪১৩টি, গরু মোটাতাজাকরণে ১,৭১১টি, ভুট্টা চাষে ১,১১২টি, আলু চাষে ৮৫১টি, দুগ্ধ খাতে ৮৪০টি, পেঁয়াজ চাষে ৬৮৯টি, হলুদ চাষে ২১২টি, বাদাম উৎপাদনে ১৮৩টি, সয়াবিনে ১৬২টি, দারিদ্র্য বিমোচনে ১১২টি, মরিচ চাষে ৭৪টি এবং রসুনে ৫৩টি ঋণসুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগে ব্যাংকটির বিতরণকৃত মোট ৮,৪১০টি কৃষিঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষকের জীবন ও জীবিকায় এসেছে আমূল পরিবর্তন।
এখানে উল্লিখিত প্রতিটি সংখ্যাই এক একটি সংগ্রামের গল্প। এগুলোর মধ্যে আবার কিছু গল্প অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে এসেছে। এরকম কয়েকটি গল্প শোনা যাক।
সাতক্ষীরা জেলার আমাদির ৩৬ বছর বয়সী কৃষক স্বপ্না পারভিন ব্র্যাক ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া ৫১,০০০ টাকার ঋণ দিয়ে ছোট পরিসরে কাঁকড়া চাষ শুরু করেছিলেন। মাত্র ছয় মাসেই তিনি ঋণ পরিশোধ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি আরও দুইজন নারীর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিতে সক্ষম হন। এমন সাফল্যের পর স্বপ্না বলেন, এখন আমাকে আমার এলাকায় লিডার হিসেবে দেখছে সবাই। আমি এখন বছরজুড়েই আয় করছি। ফলে, আমাকে আর সিজনাল কাজে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে না।
উন্নত বীজ ও সেচ ব্যবস্থার কারণে রংপুরের মো. নাজমুল ইসলামের ফলন এখন এক মৌসুমেই দ্বিগুণ হয়ে যায়। নাজমুল বলেন, ঋণের কিছু অংশ শোধ করেছি, পানি তোলার একটা মেশিন কিনেছি এবং মেয়েকেও কলেজে ভর্তি করিয়েছি। ব্র্যাক ব্যাংক আমাকে আত্মমর্যাদা ও ভবিষ্যৎ দিয়েছে। বর্তমানে নাজমুল দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছেন এবং অন্যদেরও ফরমাল উৎস থেকে অর্থায়ন সুবিধা নিতে উদ্বুদ্ধ করছেন।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্র্যাক ব্যাংকের এই মডেল প্রমাণ করে যে, সময়োপযোগী, সহজলভ্য এবং অভিজ্ঞতাভিত্তিক অর্থায়ন সুবিধা কেবল আর্থিক সমাধানই নয়, বরং এটি টেকসই উন্নয়নের চালিকা শক্তিও।
বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক ভবিষ্যতের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক রিস্ক স্কোরিং এবং রিয়েল-টাইম ডিসিশন টুল নিয়ে কাজ করছে। এটি বাস্তবায়িত হলে গ্রাহকরা আরও দ্রুত ও কার্যকর সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এই উদ্যোগে ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষ্য হলো, কৃষকদের অ্যাগ্রি-এন্টারপ্রাইজ গঠন, রপ্তানি মার্কেটে প্রবেশ এবং ভ্যালু-চেইন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
ব্র্যাক ব্যাংকের এই কৃষি অর্থায়নের উদ্যোগ এসেছে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের আদর্শ থেকে। তাঁর ‘ব্যাংকিং দ্য আনব্যাংকড’ দর্শন ব্যাংকটির পথচলার অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশ যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সাথে সংগ্রাম করছে, তখন ব্র্যাক ব্যাংকের এই অন্তর্ভুক্তিমূলক কৃষি অর্থায়ন মডেলটি কৃষকদের সামনে খুলে দিয়েছে টেকসইতা, ক্ষমতায়ন ও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার, যা গ্রামীণ অর্থনীতির পুনর্জাগরণের বার্তা দিচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
ট্রপিকাল হোমসের সঙ্গে প্রাইম ব্যাংকের কৌশলগত চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানি ট্রপিকাল হোমস লিমিটেড। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট কার্যালয়ে এ চুক্তি সই হয়।
এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রিমিয়াম রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ ও আকর্ষণীয় সুবিধা উপভোগ করবেন। এছাড়া ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ প্রিভিলেজ, ভ্যালু-অ্যাডেড সার্ভিস এবং কাস্টমাইজড অফারের ব্যবস্থা থাকবে, যা ট্রপিকাল হোমসে সম্পত্তি মালিকানা অর্জনকে আরও সহজলভ্য ও লাভজনক করে তুলবে।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মমুর আহমেদ। আর ট্রপিকাল হোমস লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডিরেক্টর, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এম হক ফয়সল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের কার্ড ও রিটেইল অ্যাসেট বিভাগের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জোয়ারদার তানভীর ফয়সাল এবং ট্রপিকাল হোমসের জেনারেল ম্যানেজার, সেলস মোহাম্মদ রাকিব হোসেন।
এই চুক্তি প্রায়োরিটি গ্রাহকদের উন্নত লাইফস্টাইল সুবিধা ও কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির পতিফলন, যা তাদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বাড়াবে।
কর্পোরেট সংবাদ
এবিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান মামদুদুর রশীদ, মোহাম্মদ মারুফ ট্রেজারার নির্বাচিত

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) ১৭৭তম বোর্ড অব গভর্নরস সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩ আগস্ট এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এবিবির চেয়ারম্যান এবং সিটি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিদ্যমান ৭ সদস্যের স্থলে আরও ১০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওকে এবিবির বোর্ড অব গভর্নরসের অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১৭ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়।
এছাড়া, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ মোহাম্মদ মারুফ ট্রেজারার পদে নির্বাচিত হন।
কর্পোরেট সংবাদ
সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনে ৫ হাজার মানুষের কিডনি ডায়ালাইসিসে সহায়তায় ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় ২০২৪ সালে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনে (কেএফএস) ৫ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিনামূল্যে কিডনি ডায়ালাইসিস সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগ ‘অপরাজেয় আমি’-এর আওতায় সিলেট অঞ্চলের মানুষদের এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
ব্র্যাক ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ-এর ভিশনকে বাস্তবে রূপ দিতেই এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, ডায়ালাইসিসের মতো জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা সেবা, যা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে অনেকেরই সামর্থ্যের বাইরে, সমাজের প্রান্তিক মানুষের কাছে সহজলভ্য হতে হবে। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট হাসপাতাল নতুন ভবনের একটি সম্পূর্ণ ফ্লোর ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার’ হিসেবে উৎসর্গ করেছে। সামর্থ্যহীন মানুষদের জন্য এই ডায়ালাইসিস সেন্টারে আর্থিক সহায়তা দেয় ব্র্যাক ব্যাংক।
বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় ১২০ জন কিডনি রোগী সেবা নিচ্ছেন, যাদের বেশিরভাগ সেশনের খরচই একদম বিনামূল্যে। যেহেতু ডায়ালাইসিস একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তাই ফ্রি সেশনের ব্যবস্থা করা হয় রোগীর আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায়, যাতে সামর্থ্যহীনরা সবচেয়ে বেশি সুযোগ পান। বাংলাদেশে নিয়মিত ডায়ালাইসিসের খরচ এখনও বেশিরভাগ রোগীর সামর্থ্যের বাইরে। একটি ডায়ালাইসিস সেশনের খরচ প্রায় ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই সেশনের প্রয়োজন হয়। এভাবে মাসের পর মাস কিংবা বছরের পর বছর ধরে ডায়ালাইসিস সেশন চালিয়ে যাওয়া সীমিত আয়ের পরিবারগুলোর জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসম্ভব।
এই সংকট দূর করতে ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। তবে, এই সহায়তা শুরু হয় তারও আগে। ২০১৯ সালে ব্র্যাক ব্যাংকই প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনকে চারটি ডায়ালাইসিস মেশিন অনুদান দেয়, যা হাসপাতালের চিকিৎসা সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে।
ডায়ালাইসিসে অর্থ সহায়তা ছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংক কিডনি ফাউন্ডেশনে একটি পূর্ণাঙ্গ অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে, যা হাসপাতালের সামগ্রিক অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সেবা সহজ করেছে। এটি বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ, শ্বাস-প্রশ্বাস সহায়তা, অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতালের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তার মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ বিশ্বাস করতেন, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা কখনোই কারও বিশেষাধিকার হতে পারে না, বরং এটি সকলেরই প্রাপ্য। আমরা তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে কার্যকর এবং ধারাবাহিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে চলছি।
সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি কর্নেল মোহাম্মদ আবদুস সালাম, বিপি (অব.) বলেন, আমাদের বেশিরভাগ রোগীই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, যারা হাসপাতালে শুধু জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে আসেন। ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় আমরা তাঁদের বিনামূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা দিতে পারছি। ফলে, অর্থের অভাবে আর কাউকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে না।
এই বছরে ব্র্যাক ব্যাংক বিনামূল্যে আরও ৪,০০০টি ডায়ালাইসিস সেশন পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এভাবে ব্যাংকটি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য সম্মান, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধের সাথে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।