জাতীয়
যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে লাভরোডে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি শ্লো-গান কন্টেস্ট-২০২৪ -শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি শ্লো-গান কন্টেস্ট-২০২৪ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরী এলাকায় মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল। এই টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে উত্তরা হয়ে আব্দুল্লাহপুর দিয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায় সেই গাড়িগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলতো। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের প্রধান কারণ।
মহাখালী বাস মালিক-শ্রমিক ও টার্মিনাল অথরিটির সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্ক করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানা ইতোমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।
একই সড়কে যখন বিভিন্ন গাড়ির গতি তিন রকম থাকবে তখন এতে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। আমাদের ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।
কাফি

জাতীয়
কোরবানির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের গরু প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কোরবানির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠের পশুরহাট পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে। কোরবানির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের গরু প্রয়োজন নেই। সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চোরাইপথে যেন প্রতিবেশী কোন রাষ্ট্রের গরু যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য কড়া নজরদারি রাখছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তিনি বলেন, সারাদেশের হাটগুলোতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। গরু মোটাতাজাকরণ থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। রাজধানীর পশুর হাটগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা বেশ ভালো।
এর আগে সকালে খামারবাড়ির কেআইবি মিলনায়তনে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কর্তৃক চিকিৎসা প্রদান এবং মনিটরিং বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনায় সভায় অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সেখানে তিনি বলেন, কোরবানি বলতে আমরা গরু-ছাগল জবাই বুঝি। কিন্তু এর গভীরে হযরত ইব্রাহিম (আ:) ত্যাগের ঘটনা রয়েছে। কুরবানির ঈদে ত্যাগের মহিমা যেন আমরা না ভুলি।
কাফি
জাতীয়
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সংবাদ মাধ্যমে সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদকে কেন্দ্র করে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও প্রকাশ্য বিভিন্ন শ্রেণির বাস ও লঞ্চে নানান কায়দায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বিআরটিএ, বিআইডব্লিউটিএ-এর পক্ষ থেকে যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া কেবলমাত্র বাস ও লঞ্চের মালিকদের নিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিংয়ের জন্য ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে সড়কে চাঁদা কমেছে, কিন্তু ভাড়া না কমায় যাত্রীরা সুফল থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে এবারের ঈদে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে এসি-ননএসি বাসে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্নরুটের বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, বগুড়া, নওগাঁ, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে ঢাকার সদরঘাট নৌবন্দর থেকে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়ায় ঈদের অগ্রিম টিকিট মিলছে। আকাশপথে ঢাকা-সৈয়দপুর, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অভ্যান্তরীণ রুটে ভাড়া ডাকাতি চলছে। অনতিবিলম্বে ঈদযাত্রায় সকলপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হচ্ছে।
কাফি
জাতীয়
জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে: আলী রিয়াজ

জুলাই সনদে তৈরি করতে যাচ্ছি, সেখানে কোনটা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, কোনটা থাকবে না; আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আলী রিয়াজ।
রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে মঙ্গলবার (৩ জুন) শুরু হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বহুল প্রতীক্ষিত বিষয়ভিত্তিক সংলাপ।
প্রফেসর আলী রিয়াজ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ দেওয়ার পর আপনারা প্রতিক্রিয়া ও মতামত দিয়েছেন, সেই ভিত্তিতে প্রত্যেকটা দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
তিনি জানান, পূর্বের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির জন্য প্রায় কাছাকাছি মতামত আছে বা সামান্য আলোচনা দরকার, সেসব বিষয় আমরা চিহ্নিত করে আলাদা আলাদাভাবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে সকলে মিলে আলোচনা করার কথা বিবেচনা করেছি। পারস্পরিক যুক্তিগুলো যদি শোনা যায়, তাহলে হয়তো অবস্থানগত পরিবর্তন ঘটে, সেই বিবেচনাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই সংলাপের রূপরেখা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রফেসর রিয়াজ বলেন, এ পর্যায়ের আলোচনায় আমরা যতটা সময় প্রয়োজন হয়, তা নিয়ে তিন-চারটা বিষয় করে আলোচনা করবো, যাতে সবাই এক জায়গায় আসতে পারি। সবসময় একমত যে হতে পারবো, তা নয়। কিছু বিষয়ে হয়তো একমত হওয়া যাবে, কিছু বিষয়ে যাবে না। কিন্তু আমাদের এক অর্থে একটা জায়গায় পৌঁছাতে হবে কারণ আমাদের সময়ের স্বল্পতা আছে—যেহেতু জুলাই মাসে যে সনদ তৈরি করতে যাচ্ছি, সেখানে কোনটা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, কোনটা থাকবে না— আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই কাঠামো থেকেই আমরা আজকের বিষয় নির্ধারণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের যেসব সুপারিশ ছিল, সেসব আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে, সেসব পরিবর্তন সম্পর্কে আমরা অবহিত হবো এবং তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা সব বিষয়ে একমত হবো না, কিছু জায়গায় একমত হবো, বাকিটুকু প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান থেকে আরো যদি কিছু যুক্ত করতে চান, তারা বলবেন। সবাই মিলে একটা ন্যূনতম সম্মতির জায়গায় পৌঁছাতে পারলে আমরা সেসব সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবো।
কাফি
জাতীয়
জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন চাকরিরত ও পেনশনভোগীরা

সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে চাকরিরতদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে ন্যূনতম এক হাজার টাকা ও পেনশন ভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দেবে সরকার। যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতনস্কেল এর আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনাররাসহ পেনশনভোগী ব্যক্তিদের জন্য ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে বেতনগ্রেড ভেদে (গ্রেড ১ এবং তদূর্ধ্ব হতে গ্রেড ৯ পর্যন্ত) ১০ শতাংশ এবং (গ্রেড ১০ হতে গ্রেড ২০ পর্যন্ত) ১৫শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান করা হলো। এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০০০ (এক হাজার) টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে প্রদেয় হবে।
এ বিশেষ সুবিধা নিম্নরূপভাবে কার্যকর হবে:
(ক) ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে প্রতিবছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর গ্রেড ১ ও তদূর্ধ্ব হতে গ্রেড ৯ এর অন্তর্ভুক্ত চাকরিরত কর্মচারীরা ১০ শতাংশ হারে এবং গ্রেড ১০ হতে গ্রেড ২০ এর অন্তর্ভুক্ত চাকরিরত কর্মচারীরা ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(খ) অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল গমনের পূর্বকালীন সর্বশেষ প্রাপ্ত মূলবেতনের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(গ) পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরাসহ সরকার হতে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীরা পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(ঘ) যে সব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হননি তাদের ক্ষেত্রে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রযোজ্য হবে না।
(ঙ) জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে সরকারি কর্মচারি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অব্যবহিত পূর্বে সর্বশেষ আহরিত তার মূলবেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে পেনশনের বিদ্যমান অংশ অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বের সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের ভিত্তিতে যে কোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
(চ) সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ (অর্ধেক) এর ওপর উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(ছ) বিনা বেতনে ছুটিতে (লিভ উইথআউট পে) থাকাকালীন কর্মচারীরা এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন না।
সরকারের রাজস্ব বাজেট হতে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, যারা জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর আওতাভুক্ত, এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব বাজেট হতে মেটাতে হবে।
অর্থ বিভাগের আদেশ নং ০৭.০০.০০০০.১৬১,৯৯.০১০,২৩-১৩২, তারিখ: ১৮/০৭/২০২৩ এতদ্বারা বাতিল করা হলো।
জনস্বার্থে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো এবং ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে এটি কার্যকর হবে।
কাফি
জাতীয়
এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: র্যাব

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে নামিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। এছাড়া হাটে ও বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সর্ববৃহৎ পশুর হাট গাবতলীসহ অন্যান্য পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যাব-৪ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারসী পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এছাড়া হাটে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে; যাতে জনসাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার না হয়। নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।
মাহবুব আলম বলেন, পশু পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেওয়া বা মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষ যেন ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টিসহ কোনো অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল এলাকা এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল দল মোতায়েন রয়েছে। বাসের টিকিট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি কিংবা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়য়ের মতো অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সোমবারও গাবতলী বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল দেওয়া হচ্ছে।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, পশু ক্রয় বিক্রয়কারীর জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যাতে কোনো অসাধু চক্র অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। অজ্ঞানপার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ঈদুল আজহা উদযাপন ও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন অনেকে। ঈদের আগে ও পরে র্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব-৪ এর পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত থাকবে বলেও জানিয়েছেন লে. কর্নেল মাহবুব আলম।