কর্পোরেট সংবাদ
ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তির নতুন ফোন আনলো ইনফিনিক্স

মাঝারি বাজেটের ফোনের বাজারে নজর কেড়েছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। প্রিমিয়াম ডিজাইনের সঙ্গে ফোনটিতে আরও আছে উদ্ভাবনী ফিচার ও সুপার-ফাস্ট চার্জিং। কিন্তু মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে ফোনটিকে তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, দাম বিবেচনায় ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় কতটা এগিয়ে আছে।
উদ্ভাবনী চার্জিং প্রযুক্তি
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রথমবারের মতো ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। এতে আছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, দ্রুতগতির ৭০ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং এবং সুবিধাজনক ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং। ফোনটির সঙ্গে দেয়া হয় ইনফিনিক্স ম্যাগকিট। যাতে রয়েছে ম্যাগকেস ও ম্যাগপাওয়ার, ফলে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় ডিভাইসটি চার্জ দেওয়া যায়। ম্যাগকিটের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা কোনো বাড়তি অ্যাক্সেসরিজ বা ক্যাবল ছাড়াই ফোনটি চার্জ দিতে পারবেন। এতে চার্জিং আরও সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে হয় বলে সময় বাঁচে।
ইনফিনিক্সের চিতা এক্সওয়ান চিপসেটে চালিত অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ ২.০ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে শক্তির সমবণ্টনের মাধ্যমে ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। এর হাইপার চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটে ডিভাইসটি ৫০% চার্জ হয়। ডিভাইসটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আছে ওয়্যারড ও ওয়্যারলেস রিভার্স চার্জিং। যার সাহায্যে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে এমন ডিভাইসে সহজেই চার্জ দেওয়া যায়।
শক্তিশালী প্রসেসর
মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর পাওয়ারড বাই ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রোতে আছে ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। ব্যবহারকারীরা একইসাথে একাধিক অ্যাপ চালানোর পাশাপাশি কোনো ল্যাগ ছাড়াই নির্বিঘ্নে সব দৈনন্দিন কাজ সারতে পারেন। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ফোনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধে স্মার্টফোনটি ভেপার চেম্বার (ভিসি) লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে অতিরিক্ত ব্যবহারেও ফোন গরম হয় না।
অ্যান্ড্রয়েড ১৪-এর ওপর ভিত্তি করে এক্সওএস ১৪ দ্বারা পরিচালিত হয় ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। অবশ্য ডিভাইসটির জন্য দুই বছরের সফটওয়্যার আপডেট এবং তিন বছরের সিকিউরিটি প্যাচ দেবে ইনফিনিক্স।
প্রিমিয়াম ডিজাইন
নোট ৪০ প্রো-তে দেখা যায় ইনফিনিক্সের স্কাইস্ক্রেপার মেটালাইন ফিনিশ ও স্লিক ডিজাইন। সঙ্গে রয়েছে সূক্ষ্ম বেজেলযুক্ত থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে। প্রিমিয়াম অনুভূতি ও বাড়তি গ্রিপের জন্য এই ডিভাইসে আছে ভেগান লেদারের ব্যাক প্যানেল। দাগ ও ফাটল থেকে সুরক্ষার জন্য আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস।
ফোনটির ব্যাক ক্যামেরা মডিউলের ডিজাইন ফোনের নড়বড়ে ভাব প্রতিরোধ করে। আর ব্যক্তিগত অনুভূতি দেওয়ার জন্য যুক্ত করা হয়েছে এআই অ্যাকটিভ হেলো লাইটিং ফিচার। ভারসাম্যপূর্ণ ওজন ও স্লিম প্রোফাইলযুক্ত ডিভাইসটি বেশ শক্ত ও মজবুত। পাশাপাশি এটি সহজেই বহন করা যায়। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। দুটি রঙেই স্টাইল ও কার্যকারিতার চমৎকার সমন্বয় ঘটেছে।
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে
নোট ৪০ প্রো ফোনটিতে আছে বড় আকারের ৬.৭৮ ইঞ্চি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যা দেয় প্রাণবন্ত রং ও ডিপ কনস্ট্রাস্ট। স্বচ্ছন্দ স্ক্রলিংয়ের জন্য আছে ১২০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট। দেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এই ফোনের সিমেট্রিক্যাল লেআউট দেয় ৯৩.৮% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও। ৩৯৩ পিপিআই ডেনসিটির সাথে ১০৮০x২৪৩৬ পিক্সেলের এফএইচডি+ রেজ্যুলেশন নিশ্চিত করে শার্পনেস ও ক্ল্যারিটি।
সৃজনশীলতার জন্য ক্যামেরা
ডিভাইসটির প্রধান ক্যামেরায় আছে ওআইএসযুক্ত ১০৮ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। মূল কাজ এই সেন্সরই করে। আরও আছে ২ মেগাপিক্সেলের বাড়তি সেন্সর। দিনের বেলায় এই ক্যামেরা দিয়ে চমৎকার ছবি তোলা যায়। এমনকি থ্রি-এক্স ডিজিটাল জুম দিয়ে তোলা ছবিও আসে বেশ স্পষ্ট। দুর্দান্ত সব সেলফি তোলার জন্য নোট ৪০ প্রো ফোনটিতে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা
উদ্ভাবনী ও অভিনব চার্জিং প্রযুক্তির কারণে অন্যান্য ফোন থেকে অনেকটাই আলাদা ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। তাই স্মার্টফোনের বাজারে এটি একটি অনন্য স্থান অর্জন করেছে। এর শহুরে দৃশ্যাবলী দ্বারা অনুপ্রাণিত ডিজাইন দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। এই ডিজাইন দেখে একে মাঝারি বাজেটের ফোন বলে মনেই হয় না। এক্সবুস্ট ফ্রেম রেট কন্ট্রোলের সাহায্যে গেমিং পারফরম্যান্স অনেক উন্নত হয়। এর ফলে অপটিমাল ফ্রেম রেটের সাথে পাওয়া যায় নিরবচ্ছিন্ন গেমপ্লে। ইনফিনিক্সের টাচ অ্যালগরিদমের ফলে কার্ভড এজে নির্ভুলতা নিশ্চিত হয়। এছাড়া এর অন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেয় অধিক নিরাপত্তা। সব মিলিয়ে বলা যায়, ফোনটি ব্যবহার করা বেশ সহজ ও সুবিধাজনক।
এছাড়া, নোট ৪০ সিরিজে আছে জেবিএল-এর ইঞ্জিনিয়ারদের টিউন করা ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার। ফলে চমৎকার মানের সাউন্ডের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের দেখার অভিজ্ঞতাও হবে উন্নত।
মূল্য
নোট ৪০ প্রো-এর ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা।

কর্পোরেট সংবাদ
রাজশাহী উপশহরে ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন উপশাখা উদ্বোধন

রাজশাহী উপশহরে নতুন একটি উপশাখা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী উপশহরে দড়িখরবোনা রোডের মনোয়ারা ম্যাক্স টাওয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উপশাখাটি উদ্বোধন করা হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান উপশাখাটি উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও মো. সাব্বির হোসেন, সিনিয়র জোনাল হেড ফর নর্থ এ. কে. এম. তারেক এবং ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রাজশাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থকরী ফসল- আম ও রেশমের মতো জন্য বিখ্যাত। এই উপশাখা চালুর ফলে এখানকার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকরা অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের মাল্টি-চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউশন স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবে উপশাখা নেটওয়ার্ক চালু করেছে। নতুন উপশাখাটি একটি বিস্তৃত পরিসরে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার ব্যবস্থা করবে, যা একক ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে। এখানে গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট খোলা, নগদ জমা ও উত্তোলন, ডিপোজিট পেনশন স্কিম, ইএফটিএন ও আরটিজিএস ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রেমিট্যান্স, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইল, কনজিউমার লোন, ডেবিট কার্ড ও চেকবুক প্রসেসিং, আস্থা অ্যাপ নিবন্ধন, স্কুল ব্যাংকিং, সঞ্চয়পত্র এবং আরও অনেক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন, তবে বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত সেবা এখানে প্রদান করা হবে না।
২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস ও ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে ব্যাংকিং অ্যাপে মিলবে ইন্স্যুরেন্স পলিসি

দেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা নিজস্ব ব্যাকিং অ্যাপ ‘সিটি টাচ’ থেকে সরাসরি গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পলিসি কিনতে পারবেন। নতুন এই ফিচারটির মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের পলিসি সম্পর্কে জানা, তাৎক্ষণিক পলিসি কেনা, এমনকি ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম জমা দিতে পারবেন। ইন্স্যুরেন্স খাতে এই নতুনত্ব প্রমাণ করে যে, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স একত্রিত হলে তা গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা এবং আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে।
এবিষয়ে গার্ডিয়ানের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম এফসিএ বলেন, ইন্স্যুরেন্সকে সবার জন্য সহজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবে জীবন ও স্বপ্নকে সুরক্ষা দিতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে আমরা দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করছি। এ অংশীদারিত্বের ফলে গ্রাহকেরা খুব সহজেই অনলাইনে এখন তাদের ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
সিটি ব্যাংকের ডিএমডি এবং হেড অফ রিটেল ব্যাংকিং মো. অরূপ হায়দার বলেন, সিটি ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক যারা বাজারে ব্যাংকান্সুরেন্স চালু করে। স্থানীয় ব্যাংকিং ইন্ডাষ্ট্রিতে ডিজিটাল সমাধান আনার ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে আছি। তাই ব্যাংকিং অ্যাপে সরাসরি বীমা পণ্য চালু করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক হওয়া একটি স্বাভাবিক অগ্রগতি ছিল, যার ফলে আমাদের গ্রাহকদের বিস্তৃত পরিসরের আর্থিক সমাধান প্রদান করা হচ্ছে।
গার্ডিয়ান সব সময় ইন্স্যুরেন্সকে আরও সহজলভ্য ও স্বচ্ছ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের সেবার অনুশীলন অনুসরণ করে আসছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সূচনা দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স খাতে গার্ডিয়ানের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রাজশাহী জোনের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ লেকচার গ্যালারী হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল।
স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী জোনপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ক সেমিনার

এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ইসলামী অর্থনীতি: সুদের বিপরীতে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন ফাহাদ ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাবরুক বিল্লাহ।
সেমিনারে এনআরবিসি ব্যাংকের শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিফ অপারেটিং অফিসার ও ক্যামেলকো মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান, আল আমিন ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশনের প্রধান আব্দুল গফুর রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের মূলকথা হচ্ছে সুদমুক্ত লেনদেন। শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক-ব্যাংকারের মধ্যে মনাফা-ক্ষতির ভাগাভাগির মাধ্যমে ন্যায় সংগত অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশির শরীয়াহ নীতি সম্পূর্ণভাবে পরিপালনের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংকের সকল শাখা-উপশাখায় আল আমিন ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে আমানত, বিনিয়োগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমরা শুধু মুনাফা অর্জন নয় বরং একটি ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি।
সেমিনারে ড. সৈয়দ মাবরুক বিল্লাহ বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং গোটা বিশ্বে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি দেশে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এটি প্রতিবছর গড়ে ১০-১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা’র আয়োজনে আরও দুই বিভাগে ‘বিজ্ঞান উৎসব’

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করতে বিকাশ ও বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। ঢাকা’র পর বিভাগীয় এই শহর দু’টির উৎসবে প্রায় ১০০টি স্কুলের ১৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠে বিজ্ঞান চর্চার এই আয়োজন।
সম্প্রতি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাজশাহীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আয়োজিত এই উৎসবে দুই বিভাগ থেকে ১২০টির বেশি প্রকল্প প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্য থেকে প্রতিটি বিভাগে সেরা দশ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, রংপুর উৎসবে কুইজে অংশগ্রহণকারী ৮০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে ২৫ জন ও রাজশাহীতে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রংপুরে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন ড. মিজানুর রহমান, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. কে এম জালাল উদ্দীন আকবর ও বিকাশের ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ুন কবির।
রাজশাহীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি ও বিকাশের রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার।
বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, বিজ্ঞান ভিত্তিক জাদুর প্রদর্শনী, লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে ও কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।