কর্পোরেট সংবাদ
ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তির নতুন ফোন আনলো ইনফিনিক্স
মাঝারি বাজেটের ফোনের বাজারে নজর কেড়েছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। প্রিমিয়াম ডিজাইনের সঙ্গে ফোনটিতে আরও আছে উদ্ভাবনী ফিচার ও সুপার-ফাস্ট চার্জিং। কিন্তু মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোনের বাজারে ফোনটিকে তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, দাম বিবেচনায় ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় কতটা এগিয়ে আছে।
উদ্ভাবনী চার্জিং প্রযুক্তি
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রথমবারের মতো ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। এতে আছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, দ্রুতগতির ৭০ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং এবং সুবিধাজনক ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং। ফোনটির সঙ্গে দেয়া হয় ইনফিনিক্স ম্যাগকিট। যাতে রয়েছে ম্যাগকেস ও ম্যাগপাওয়ার, ফলে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় ডিভাইসটি চার্জ দেওয়া যায়। ম্যাগকিটের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা কোনো বাড়তি অ্যাক্সেসরিজ বা ক্যাবল ছাড়াই ফোনটি চার্জ দিতে পারবেন। এতে চার্জিং আরও সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে হয় বলে সময় বাঁচে।
ইনফিনিক্সের চিতা এক্সওয়ান চিপসেটে চালিত অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ ২.০ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে শক্তির সমবণ্টনের মাধ্যমে ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। এর হাইপার চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটে ডিভাইসটি ৫০% চার্জ হয়। ডিভাইসটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে আছে ওয়্যারড ও ওয়্যারলেস রিভার্স চার্জিং। যার সাহায্যে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে এমন ডিভাইসে সহজেই চার্জ দেওয়া যায়।
শক্তিশালী প্রসেসর
মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর পাওয়ারড বাই ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রোতে আছে ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। ব্যবহারকারীরা একইসাথে একাধিক অ্যাপ চালানোর পাশাপাশি কোনো ল্যাগ ছাড়াই নির্বিঘ্নে সব দৈনন্দিন কাজ সারতে পারেন। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ফোনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধে স্মার্টফোনটি ভেপার চেম্বার (ভিসি) লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে অতিরিক্ত ব্যবহারেও ফোন গরম হয় না।
অ্যান্ড্রয়েড ১৪-এর ওপর ভিত্তি করে এক্সওএস ১৪ দ্বারা পরিচালিত হয় ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। অবশ্য ডিভাইসটির জন্য দুই বছরের সফটওয়্যার আপডেট এবং তিন বছরের সিকিউরিটি প্যাচ দেবে ইনফিনিক্স।
প্রিমিয়াম ডিজাইন
নোট ৪০ প্রো-তে দেখা যায় ইনফিনিক্সের স্কাইস্ক্রেপার মেটালাইন ফিনিশ ও স্লিক ডিজাইন। সঙ্গে রয়েছে সূক্ষ্ম বেজেলযুক্ত থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে। প্রিমিয়াম অনুভূতি ও বাড়তি গ্রিপের জন্য এই ডিভাইসে আছে ভেগান লেদারের ব্যাক প্যানেল। দাগ ও ফাটল থেকে সুরক্ষার জন্য আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস।
ফোনটির ব্যাক ক্যামেরা মডিউলের ডিজাইন ফোনের নড়বড়ে ভাব প্রতিরোধ করে। আর ব্যক্তিগত অনুভূতি দেওয়ার জন্য যুক্ত করা হয়েছে এআই অ্যাকটিভ হেলো লাইটিং ফিচার। ভারসাম্যপূর্ণ ওজন ও স্লিম প্রোফাইলযুক্ত ডিভাইসটি বেশ শক্ত ও মজবুত। পাশাপাশি এটি সহজেই বহন করা যায়। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। দুটি রঙেই স্টাইল ও কার্যকারিতার চমৎকার সমন্বয় ঘটেছে।
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে
নোট ৪০ প্রো ফোনটিতে আছে বড় আকারের ৬.৭৮ ইঞ্চি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যা দেয় প্রাণবন্ত রং ও ডিপ কনস্ট্রাস্ট। স্বচ্ছন্দ স্ক্রলিংয়ের জন্য আছে ১২০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট। দেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এই ফোনের সিমেট্রিক্যাল লেআউট দেয় ৯৩.৮% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও। ৩৯৩ পিপিআই ডেনসিটির সাথে ১০৮০x২৪৩৬ পিক্সেলের এফএইচডি+ রেজ্যুলেশন নিশ্চিত করে শার্পনেস ও ক্ল্যারিটি।
সৃজনশীলতার জন্য ক্যামেরা
ডিভাইসটির প্রধান ক্যামেরায় আছে ওআইএসযুক্ত ১০৮ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। মূল কাজ এই সেন্সরই করে। আরও আছে ২ মেগাপিক্সেলের বাড়তি সেন্সর। দিনের বেলায় এই ক্যামেরা দিয়ে চমৎকার ছবি তোলা যায়। এমনকি থ্রি-এক্স ডিজিটাল জুম দিয়ে তোলা ছবিও আসে বেশ স্পষ্ট। দুর্দান্ত সব সেলফি তোলার জন্য নোট ৪০ প্রো ফোনটিতে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা
উদ্ভাবনী ও অভিনব চার্জিং প্রযুক্তির কারণে অন্যান্য ফোন থেকে অনেকটাই আলাদা ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। তাই স্মার্টফোনের বাজারে এটি একটি অনন্য স্থান অর্জন করেছে। এর শহুরে দৃশ্যাবলী দ্বারা অনুপ্রাণিত ডিজাইন দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। এই ডিজাইন দেখে একে মাঝারি বাজেটের ফোন বলে মনেই হয় না। এক্সবুস্ট ফ্রেম রেট কন্ট্রোলের সাহায্যে গেমিং পারফরম্যান্স অনেক উন্নত হয়। এর ফলে অপটিমাল ফ্রেম রেটের সাথে পাওয়া যায় নিরবচ্ছিন্ন গেমপ্লে। ইনফিনিক্সের টাচ অ্যালগরিদমের ফলে কার্ভড এজে নির্ভুলতা নিশ্চিত হয়। এছাড়া এর অন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেয় অধিক নিরাপত্তা। সব মিলিয়ে বলা যায়, ফোনটি ব্যবহার করা বেশ সহজ ও সুবিধাজনক।
এছাড়া, নোট ৪০ সিরিজে আছে জেবিএল-এর ইঞ্জিনিয়ারদের টিউন করা ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার। ফলে চমৎকার মানের সাউন্ডের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের দেখার অভিজ্ঞতাও হবে উন্নত।
মূল্য
নোট ৪০ প্রো-এর ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
৫ কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে এবি ব্যাংক
এবি ব্যাংক পরিবার বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। এছাড়া এবি ব্যাংক ফাউন্ডেশনও ৩ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে।
এ তহবিলে ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ও অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ অনুদান প্রদান করেন।
এছাড়াও ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের ১ দিনের বেতন এ তহবিলে প্রদান করা হয়। তহবিলের এ টাকা বন্যার্ত মানুষের
সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে প্রদান করা হবে।
এবি ব্যাংক ফাউন্ডেশনও বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও পুনর্বাসনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩ কোটি টাকার
তহবিল গঠন করেছে এবং ইতোমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন সাদিকুল ইসলাম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৫১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ড. এম. সাদিকুল ইসলাম প্রায় ৩৮ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে এম.কম, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ান থেকে এমবিএ এবং গ্রিসের এথেন্স ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস থেকে ফাইন্যান্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ড. এম. সাদিকুল ইসলাম অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড এবং ভারতে অনুষ্ঠিত একাধিক সম্মেলনে গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি একজন কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের একজন ফেলো। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কর্পোরেট গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স স্টাডিজের একজন পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।
তিনি বিভিন্ন গবেষণা মনোগ্রাফ, গবেষণা নিবন্ধ, ওয়ার্কিং পেপার এবং কেস স্টাডিসহ অনেক গবেষণা প্রবন্ধ রচনা করেছেন। ড. এম. সাদিকুল ইসলাম কানাডিয়ান কমনওয়েলথ স্কলারশিপ এবং গ্রিসে এসএসএফ বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এবং রবি আজিয়াটা পিএলসির স্বতন্ত্র পরিচালক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
সভায় স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, মোঃ আবদুল জলিল, প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, মোঃ আবদুস সালাম, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বন্যার্ত এলাকার ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিল এনআরবিসি ব্যাংক
ভয়াবহ বন্যাদুর্গত ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার ১০ হাজার পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক। সহায়তা হিসেবে পানি, ওষুধ, শুকনো খাবার, মোমবাতি, গ্যাস লাইটার ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক লকিয়ত উল্যাহ, ডিএমডি হারুনুর রশীদ, মেঘনা জোনের প্রধান এসইভিপি সৈয়দ মাহবুবুল হক, ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর এরিয়া ইনচার্জ কাজী মো. জিয়াউল করীম, কুমিল্লা এরিয়া ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় এনআরবিসি ব্যাংক সিএসআর তহবিল থেকে এক কোটি টাকা এবং পরিচালকদের অনুদান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে। বাকি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংকের শাখা-উপশাখার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। পরিচালক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুদানের অর্থে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায় পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান এবং নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় পরিচালক লকিয়ত উল্যাহ সরাসরি উপস্থিত থেকে ত্রাণ সহায়তা ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া অন্য জেলাগুলোতে প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা-উপশাখার কর্মকর্তাবৃন্দ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক। তাই এই দুর্যোগের সময় কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করে আমরা আক্রান্ত এলাকায় হাজির হয়েছি। মানুষের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সবধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে এনআরবিসি ব্যাংক।
লকিয়ত উল্যাহ বলেন, দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রবাসীরা এনআরবিসি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এনআরবিসি ব্যাংকের মূল লক্ষ্য প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে সেবার আওতায় এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। বন্যার্তদের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দ দিতে সক্ষম হয়েছি। আক্রান্ত মানুষদের ঘুরে দাঁড়াতে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিনজেনটার সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি
দেশব্যাপী প্রান্তিক কৃষকদের অর্থায়ন সুবিধা দিতে সিনজেনটার সাথে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সম্প্রতি ঢাকায় সিনজেনটার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং সিনজেনটা বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির অধীনে ব্র্যাক ব্যাংক ব্যাংকটির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং বিস্তৃত এসএমই ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণসুবিধা প্রদান করবে। এছাড়াও এই উদ্যোগের অধীনে সিনজেনটার ইনপুট রিটেইলাররা ব্র্যাক ব্যাংকের বিস্তৃত ব্যাংকিং প্রোডাক্টসহ বিভিন্ন আর্থিক সেবা উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড হলো দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় কৃষিপ্রযুক্তি কোম্পানি, যারা উদ্ভাবনী বীজ এবং শস্য সুরক্ষা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষকদের ফসলের ফলন বৃদ্ধিসহ ফসলের গুণমান উন্নত করতে সহায়তা করে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো দেশে এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা, যা উন্নত কৃষিপ্রযুক্তির সাথে আর্থিক সেবার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের মতো অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোকে (এমএসএমইএস) সহায়তা দেবে। এই উদ্যোগের প্রধান অংশীদার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক প্রাথমিক অবস্থায় যশোর, রংপুর, দিনাজপুর এবং কুমিল্লায় প্রোগ্রামটি চালু করবে এবং পরবর্তীতে ব্যাংকের নীতিমালা মেনে সারাদেশে থাকা সিনজেনটার তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছে ব্যাংকিং এবং আর্থিক সেবা নিয়ে পৌঁছে যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনজেনটার হেড অব ফাইন্যান্স কাজী হালিমুর রশীদ এবং ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই স্ট্র্যাটেজি, ইনোভেশন অ্যান্ড নিউ বিজনেস মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম ও ব্যাংকটির হেড অব এমএফআই অ্যান্ড এগ্রিকালচার ফাইন্যান্স তাপস কুমার রায়। অনুষ্ঠানে তাঁরা কৃষি খাতে, বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এই উদ্যোগের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
এ চুক্তিটি কৃষকদের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তি সেবা সহজলভ্য করার মাধ্যমে দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংক এবং সিনজেনটার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরে। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন এবং সারাদেশে, বিশেষ করে কৃষি খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির উদাহরণ।
কাফি