জাতীয়
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আসিব আহসান

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. আসিব আহসান। সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক সাহান আরা বানুকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করায় তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
মো. আসিব আহসান এর আগে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের (প্রশাসন) দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন মহাপরিচালক যোগদান না করা পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।
রোববার (১২ মে) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-১) রাহেলা রহমত উল্লাহ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু অবসর গমনের নিমিত্তে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করায় বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্তে এ বিভাগ হতে ১২ মে অবমুক্ত করায় নতুন মহাপরিচালক যোগদান না করা পর্যন্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনের জন্য যুগ্মসচিব ও অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. আসিব আহসানকে নির্দেশক্রমে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া মো. আসিব আহসান ২০২২ সালে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি রংপুরের জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যুগ্মসচিব আসিব আহসান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২১তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
এসএমপি ও চাঁদপুরে অনলাইনে সকল ধরনের জিডি সেবা চালু

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে থানায় সশরীরে উপস্থিত না হয়েও ঘরে বসে সকল ধরনের জিডি করার সুবিধা চালু করছে বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে অনলাইনে শুধুমাত্র হারানো এবং প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করা যায়। এখন থেকে অনলাইনে সকল ধরনের জিডি করা সম্ভব হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে আগামী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানা এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশের সকল থানায় এ অনলাইন জিডি সেবা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সকল থানায় অনলাইনে সকল ধরনের জিডি করার সুবিধা চালু করা হবে।
অনলাইন জিডি সেবা পেতে প্রথম গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘Online GD’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। পরে রেজিস্ট্রেশন করে এ সেবা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। রেজিস্ট্রেশন করতে অথবা অনলাইন জিডি করতে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হলে ০১৩২০০০১৪২৮ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। হটলাইন নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
পুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম বন্দরে তিন রুশ যুদ্ধজাহাজ

চারদিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধজাহাজ। রোববার (১৩ এপ্রিল) যুদ্ধজাহাজ ‘রেজিক’, ‘হিরো অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন আলদার সিডেনঝপভ’ এবং ‘পেচেঙ্গা’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। জাহাজ তিনটির কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, মিলিটারি, এয়ার অ্যান্ড নেভাল অ্যাটাশে এবং চট্টগ্রামের রাশিয়ান অনারারি কনসালসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সফরকারী জাহাজগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ’ তাদের অভ্যর্থনা জানায়।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে সফরকারী জাহাজগুলোর অধিনায়ক, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, বিএন ফ্লিটের কমান্ডার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
সফরকারী জাহাজগুলোর কর্মকর্তা ও নাবিকরা পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে অবস্থিত রেডকিন পয়েন্টে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং নৌবাহিনী প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ও জাহাজ, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য পরিচালিত বিএন আশার আলো স্কুল এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য এবং নৌবাহিনী পরিচালিত স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা রাশিয়ার জাহাজগুলো পরিদর্শন করবেন।
সফর শেষে রাশিয়ার জাহাজগুলো জাহাজ তিনটি বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৭ এপ্রিল এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকত, ‘এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ, ইসরায়েল ব্যতীত’। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্ট চালু করলে সেই পাসপোর্টগুলো থেকে এই লেখা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সিএমপির ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের উদ্বোধন

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। এসময় অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব মো. আব্দুল কাইয়ুম খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এবং জরিমানা আদায়ের পদ্ধতিগুলি তুলে ধরার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক আইটি কনসালটেন্টস পিএলসির (আইটিসিএল) সহযোগিতায় ২ দিনের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ছিল কর্মশালার সমাপনী দিন এবং প্রশিক্ষণের পর যে কোনো ব্যাংক কার্ড, মোবাইল আর্থিক পরিষেবা বা বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে পস মেশিন ব্যবহার করে সুবিধাজনকভাবে ট্রাফিক জরিমানা পরিশোধ করা সহজ হবে।
প্রশিক্ষণ ও চুক্তি স্বাক্ষর শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বর্তমান পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় কোনও যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে, ট্রাফিক ফাইন সংগ্রহের কালেকশন বুথের অভাবে ভুক্তভোগীর পক্ষে সেটি জমা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক আধুনিক সফটওয়্যার আপগ্রেডের মাধ্যমে একটি উন্নতমানের পস সিস্টেম চালু করেছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই তাৎক্ষণিক সময়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত স্মার্ট বাংলা কিউআর কোড ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসসহ ২১টি অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপস এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইফট অব বাংলাদেশের মোট ৫৬টিসহ সর্বমোট ৭৮টি পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশন জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আর এই সকল জরিমানার টাকা কমিউনিটি ব্যাংকের পেমেন্ট চ্যানেল ব্যবহার করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে জমা হবে। এই প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডকুমেন্টস আটক রাখার প্রয়োজনও পড়বে না।
অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ক্রাইম্) মো. হুমায়ুন কবির; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার এবং ট্রাফিক বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী, হেড অব অপারেশন্স শরফুদ্দিন মো. রেদওয়ান পাটওয়ারী, এসভিপি ও আগ্রাবাদ শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, ভিপি ও হেড অব কার্ড জহির আহমেদ, এসএভিপি ও আন্দরকিল্লা শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন এবং ব্যাংকের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বর্ষবরণ উৎসব ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: র্যাব ডিজি

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি আমরা। নববর্ষ উৎসবটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে নববর্ষ উৎসবে র্যাবের নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শহিদুর রহমান বলেন, নববর্ষের উৎসবকে কেন্দ্র করে ইভটিজিং যাতে না হয়, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য সতর্ক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, চারুকলায় ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করা হবে। কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, বৈশাখী উৎসবকে ঘিরে অপপ্রচার রোধ করতে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।