ব্যাংক
খেলাপিদের বিরুদ্ধে মামলা না করার আহ্বান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

ব্যাংক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় বিতরণ করা হচ্ছে ঋণ। নামে-বেনামে দেওয়া এই ঋণ মেয়াদ শেষে ব্যাংকেও ফিরছে না। ফলে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। পাশাপাশি তারল্য সংকটে ভুগছে নানান তফসিলি ব্যাংক। ব্যাংক খাতের এমন দুর্দিনে খেলাপিদের বিরুদ্ধে মামলা না করার নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মামলার পরিবর্তে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে ঋণ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রোববার (১২ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইন অনুসারে আদালত রায় বা আদেশ প্রদানের আগে মামলার যেকোনো পর্যায়ে উভয় পক্ষ আদালতের অনুমতিক্রমে বিকল্প পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জারি করা নোটিশে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বা সদিচ্ছাকে বিবেচনায় নিয়ে কেস টু কেস ভিত্তিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা। ব্যাংকার ও গ্রাহক উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিআইএসিসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ মধ্যস্থতাকারী অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আইনজীবী, অথবা অন্য যেকোনো উপযুক্ত ব্যক্তি যাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সফলতার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে তাদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নির্বাচন করা।
মধ্যস্থতাকারী নিযুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিরোধীয় পক্ষগণ ও মধ্যস্থতাকারী পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে পারিশ্রমিকের পরিমাণ, পরিশোধকারী পক্ষ ইত্যাদি নির্ধারণ এবং যথাসময়ে তা পরিশোধ নিশ্চিত করা। মধ্যস্থতাকে সফল করা এবং খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ের স্বার্থে প্রয়োজনে কেস টু কেস ভিত্তিতে বিদ্যমান নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংক কর্তৃক ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এডিআররের কার্যক্রম গতিশীল করতে লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রত্যেক ব্যাংকের খেলাপি ঋণস্থিতির ন্যূনতম ১ শতাংশ নগদ আদায় এডিআর’র মাধ্যমে করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতেও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।
এমআই

অর্থনীতি
ইউসিবির এটিএম বুথে মিলছে না টাকা, বিপাকে গ্রাহকরা

ঈদুল আযহার ছুটি শুরুর প্রথম দিনেই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। নেটওয়ার্ক সমস্যার অজুহাতে ব্যাংকের বেশিরভাগ এটিএম বুথ হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ফলে নগদ টাকা উত্তোলনে ব্যর্থ হয়েছেন বহু গ্রাহক।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে রাজধানীর মতিঝিল-দিলকুশা সহ বিভিন্ন এলাকায় ইউসিবির এটিএম বুথে গিয়ে দেখা গেছে, বুথের দরজায় সাঁটানো রয়েছে “ছুটির কয়েকটা দিন এই এটিএম বন্ধ থাকবে” লেখা নোটিশ। এতে যাদের জরুরি নগদ টাকা প্রয়োজন ছিল, তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
ব্যাংকটির আরও একটি বুথের সামনে সাঁটানো এক নোটিশে লেখা রয়েছে, “পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে আগামী ৫ জুন, বৃহস্পতিবার থেকে ১২ জুন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকবে। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের জন্য আগামী ৯ জুন সোমবার থেকে ১৪ জুন শনিবার পর্যন্ত ইউসিবির সকল ব্যাংকিং সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে”। তবে আগামী ৯ জুন থেকে এটিএম বন্ধ রাখার কথা থাকলেও আজ ৫ জুন থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এসব বুথ।
অন্যদিকে ঈদের বন্ধে এটিএম বুথের নিরাপত্তা ও টাকা রাখার বিষয়ে আগাম সতর্কতা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঈদের ছুটি শুরুর প্রথম দিনেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না ইউসিবির এটিএম বুথে। বেশির ভাগ ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন বন্ধ বা সীমিত করেছে। বিভিন্ন বুথ ঘুরে টাকা তুলতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেকে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঈদের বাজার ও ভ্রমণের ব্যস্ত সময়ে এমন ভোগান্তি তাদের পরিকল্পনা ব্যাহত করেছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগাম নোটিশ না দিয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় বুথ বন্ধ রাখা গ্রাহকসেবার চরম ব্যর্থতা। এসব ছলচাতুরি ও প্রতারণার ছাড়া কিছুই না।
এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রাহকরা। মতিঝিল এলাকায় একজন গ্রাহক বলেন, “ঈদের ছুটি শুরুর প্রথম দিনেই এমন সংকট মেনে নেওয়া যায় না। টাকা না থাকলে জরুরি কেনাকাটা, যাতায়াত-সব কিছুই বন্ধ হয়ে যায়।” এমন সময়ে এ ধরনের সিদ্ধান্তে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। গ্রাহকরা দ্রুত বুথ সচল এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। বন্ধের মধ্যেও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সীমিত পরিসরে কয়েকদিন ব্যাংক চলবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশের ১৮টি পশুর হাটসংলগ্ন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি হাটসংলগ্ন ব্যাংক শাখা গতকাল থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ ছাড়া আজ ৫ জুন ঢাকা মহানগর, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের তৈরি পোশাক সংশ্লিষ্ট শাখা এবং ঈদের পর ১১ ও ১২ জুন ওষুধ শিল্পসহ আমদানি, রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী শাখা খোলা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার এটিএম বুথ, এমএফএস, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, পয়েন্ট অব সেলস, কিউআর কোড ও অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়েতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এবিষয়ে জানতে ইউসিবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মোহাম্মদ মামদুদুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান অর্থসংবাদ’কে বলেন, এটিএম বুথের নিরাপত্তা ও পর্যাপ্ত টাকা রাখার বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। তবে ইউসিবির বুথ বন্ধ থাকার নোটিশের বিষয়ে আমরা অবগত না। ব্যাংককে শাস্তি দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য না। আমাদের উদ্দেশ্য গ্রাহকের সেবা নিশ্চিত করা।
অর্থসংবাদ/কাফি
ব্যাংক
পাঁচ ব্যাংক মিলে হবে একটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক

বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একত্রিত করে একটি নতুন ব্যাংক গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এই ব্যাংকের মূলধন জোগান দেবে সরকার। এটি হবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক।আগামী জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে এই ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন ব্যাংকটির প্রধান কাজ হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে (এসএমই) অর্থায়ন করা।
বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি বিশেষ টিম গঠন করছে যারা তিন মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং বিভিন্ন তথ্য যাচাই করবে। এসব টিমে ব্যাংকগুলো থেকেও কিছু যোগ্য কর্মী নেওয়া হবে।
একীভূত হতে যাওয়া ব্যাংকগুলো হলো- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।
এর মধ্যে চারটি ব্যাংক ছিল বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে, আর এক্সিম ব্যাংক ছিল নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম মজুমদারের অধীনে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই পাঁচ ব্যাংকের নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নিয়েছে। এক্সিম ব্যাংক ছাড়া বাকি চারটিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বুধবার (৪ জুন) পাঁচ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এমডিদের (ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের) সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাদের একীভূতকরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে ব্যাংকগুলোকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে। তবে একীভূতকরণের ফলে গ্রাহকদের লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। গ্রাহকরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন একীভূত ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।
ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাদে অন্য কর্মকর্তারা একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের চাকরিতে বহাল থাকবেন। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে অন্তত তিন বছর সময় লাগতে পারে। এছাড়া, ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের একীভূত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
যেভাবে একীভূত হবে:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে পাঁচটি ব্যাংক পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্ত হবে। এই ব্যাংকগুলো পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত জানুয়ারিতে এসব ব্যাংকের সম্পদের প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ের (একিউআর) জন্য দুটি আন্তর্জাতিক অডিটর নিয়োগ দেয়। সেই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। একিউআর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন করা হয়েছে। যদি কোনো ব্যাংক নিজেকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী প্রমাণ করতে পারে, তবে সে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়বে, অন্যথায় একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
একীভূতকরণের মূল লক্ষ্য আমানতকারীর আস্থা পুনরুদ্ধার এবং আর্থিক খাতে জঞ্জাল দূর করার মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরানো। দুর্বল ব্যাংক নিষ্পত্তি করা। এই প্রক্রিয়া ২০২৫ সালের ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ এর আওতায় হবে এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একীভূতকরণের পর যেসব ব্যাংকের ঋণ অনিয়মিত হয়ে গেছে, সেগুলো সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হবে। এতে করে নতুন ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে থাকবে, যার ফলে ব্যাংক খরচ কমবে এবং পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাওয়া যাবে।
এরপর নতুন ব্যাংকটির লাইসেন্স দেওয়া হবে, যার মূলধন যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরা। পাঁচটি ব্যাংকের সম্পদ ও দায় নতুন ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং শাখাগুলো ধীরে ধীরে একীভূত করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিছু জনবলও কমানো হবে। একীভূত ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে, বেসরকারি খাতে শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ব্যাংকটি পরিচালনায় অংশ নিতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে অন্তত তিন বছর সময় লাগতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দুরবস্থায় পড়া এই ৫ ব্যাংকের মোট আমানত ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা।
একিউআর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশ খেলাপি। এর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংকের মোট ঋণের ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ৬২ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বৈঠকে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইছে এই ৫টি ব্যাংককে একত্র করে একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক তৈরি করতে। যদিও মালিকদের অনিয়মের কারণে ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়েছে। তবে আশা দিক হল ব্যাংকগুলোর শক্তিশালী নেটওয়ার্ক বিস্তীর্ণ ব্যাংকিং সেবা প্রদানের সহযোগিতা করবে বলে সবাই তুলে ধরা হয়।
সারা দেশে এসব ব্যাংকের ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপ-শাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯৭৫টি এটিএম বুথ রয়েছে। এজন্য কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হবে না, তবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে। ব্যাংকগুলো ঋণ আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করবে এবং সরকারের কাছ থেকে কয়েক ধাপে সহায়তা নেওয়া হবে। কিছু শাখা বন্ধ করা হতে পারে বা অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হতে পারে।
বৈঠক প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
কাফি
ব্যাংক
যেসব এলাকায় আজ খোলা রয়েছে ব্যাংক

আগামী ৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তবে ঈদের আগে এবং ঈদের পরে সরকারি ছুটির মধ্যেও কিছু এলাকায় সীমিত পরিসরে ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা থাকবে। মূলত ঈদের আগে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ এবং ঈদের পরে আমদানি-রপ্তানিমুখী শিল্পের সুবিধার্থে ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্দেশনায় বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বে তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রপ্তানি বিল বিক্রয়ের এবং উক্ত শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সীমিত পরিসরে ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। এদিন শিল্পঘন ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক শিল্পের লেনদেনে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাসমূহে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বাকি সময় ব্যাংকের লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এছাড়া ওষুধ শিল্প খাতসহ আমদানি ও রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ ও বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের লক্ষ্যে ১১ জুন ও ১২ জুন বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটির দিন ব্যাংকের স্বীয় বিবেচনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখা সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। এ দু’দিন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাসমূহে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। আর লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্দেশনায় বলা হয়, ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক
আজ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা

পশু ক্রয়-বিক্রয়ে আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে আজ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছ।
এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় যথাক্রমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাট হলো- উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নং সেক্টর-সংলগ্ন বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে ১০নং সেক্টর রানাভোলা স্লুইসগেট পর্যন্ত এলাকা, খিলক্ষেত থানাধীন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পশ্চিম পাড়া এলাকা, মোহাম্মদপুর বছিলাস্থিত ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর গাবতলী গবাদি পশুর হাট, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড নং-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক এলাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা।
এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাটগুলো হলো- ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পাশ এলাকা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পশ্চিম পার্শ্বে নদীর পাড় এলাকা, দনিয়া কলেজের পূর্ব পার্শ্বে ও সনটেক মহিলা মাদ্রাসার পূর্ব পশ্চিম এলাকা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বের খালি জায়গা ও ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন এলাকা, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা, কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের পূর্ব পাশ এলাকা ও আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পূর্ব পাশ এলাকা। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাট হলো সাগরিকা।
এ সব হাটে অধিক সংখ্যক ক্রেতা ও ব্যবসায়ীর সমাগম এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন সংঘটিত হওয়ায় ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয়ের আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা বিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরবানির পশুর হাট সংলগ্ন বা নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা বা উপশাখা এবং সংশ্লিষ্ট পশুর হাটে স্থাপিত অস্থায়ী বুথ ব্যবহার করে কোরবানির পশুর ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা যেন তাদের পশু ক্রয়-বিক্রির অর্থ সহজে লেনদেন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং সহায়তা প্রদান জরুরি।
এ পরিস্থিতিতে আগামী ৩ জুন থেকে ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটের কাছাকাছি ব্যাংক শাখা বা উপশাখা স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচন করে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখতে হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে স্বীয় বিবেচনায় অস্থায়ী বুথ স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ জমা নেওয়া, উত্তোলন ও নতুন হিসাব খোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা, উপশাখা ও বুথগুলোতে অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বিশেষ ভাতা দিতে হবে।
ব্যাংক
ঈদের আগে রাত ১০টা পর্যন্ত যেসব জায়গায় খোলা থাকবে ব্যাংক

ঈদের আগে চার দিন রাত ১০টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় ব্যাংকের শাখা ও উপশাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছ।
এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় যথাক্রমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাট হলো- উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নং সেক্টর-সংলগ্ন বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে ১০নং সেক্টর রানাভোলা স্লুইসগেট পর্যন্ত এলাকা, খিলক্ষেত থানাধীন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পশ্চিম পাড়া এলাকা, মোহাম্মদপুর বছিলাস্থিত ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর গাবতলী গবাদি পশুর হাট, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড নং-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক এলাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা।
এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাটগুলো হলো- ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পাশ এলাকা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পশ্চিম পার্শ্বে নদীর পাড় এলাকা, দনিয়া কলেজের পূর্ব পার্শ্বে ও সনটেক মহিলা মাদ্রাসার পূর্ব পশ্চিম এলাকা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বের খালি জায়গা ও ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন এলাকা, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা, কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের পূর্ব পাশ এলাকা ও আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পূর্ব পাশ এলাকা। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন হাট হলো সাগরিকা।
এ সব হাটে অধিক সংখ্যক ক্রেতা ও ব্যবসায়ীর সমাগম এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন সংঘটিত হওয়ায় ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয়ের আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তা বিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরবানির পশুর হাট সংলগ্ন বা নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা বা উপশাখা এবং সংশ্লিষ্ট পশুর হাটে স্থাপিত অস্থায়ী বুথ ব্যবহার করে কোরবানির পশুর ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা যেন তাদের পশু ক্রয়-বিক্রির অর্থ সহজে লেনদেন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং সহায়তা প্রদান জরুরি।
এ পরিস্থিতিতে আগামী ৩ জুন থেকে ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটের কাছাকাছি ব্যাংক শাখা বা উপশাখা স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচন করে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখতে হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে স্বীয় বিবেচনায় অস্থায়ী বুথ স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ জমা নেওয়া, উত্তোলন ও নতুন হিসাব খোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা, উপশাখা ও বুথগুলোতে অতিরিক্ত সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বিশেষ ভাতা দিতে হবে।