জাতীয়
বিশ্ব মা দিবস আজ

আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালন করা হয়। এ দিনে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হন মায়েরা। কেননা তাদের কষ্ট আর সীমাহীন বেদনায় ফসল হিসেবে প্রতিটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে।
সেজন্যই প্রতিটি মানুষের কাছেই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর এবং প্রথম ডাকটি হচ্ছে ‘মা’। মাত্র এ একটি শব্দের মধ্যেই জড়িয়ে আছে পরম গভীর স্নেহ-মমতা, দরদ, ভালোবাসা। কবি কাজী কাদের নেওয়াজ মায়ের নিঃস্বার্থ এবং অসীম ভালোবাসার কথা বর্ণনা করেছেন তাঁর ‘মা’ কবিতায়। তিনি লিখেছেন —
‘মা কথাটি ছোট্ট অতি, কিন্তু জেনো ভাই,
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর, তিন ভুবনে নাই’
‘সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক, মাথার পরে আজি,
অন্তরে মা থাকুন মম, ঝরুক স্নেহরাজি’
‘রোগ বিছানায় শুয়ে-শুয়ে, যন্ত্রণাতে মরি,
সান্তনা পাই মায়ের মধু, নামটি হৃদে স্মরি’
একজন মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ থেকে শুরু করে আমৃত্যু নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসেন। মায়ের এই ভালোবাসা একটি অনবরত স্রোত যেখানে কখনও ভাটা পড়ে না। মায়ের ভালোবাসা অমূল্য। তাইতো মায়ের এই অসীম ও অতল ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের সম্মানে তারই সম্মানে নিজেদের নত করেন গোটা পৃথিবীর সন্তানেরা। যদিও মায়ের প্রতি ভালোবাসার নির্দিষ্ট দিন কিংবা সময়কে ঘিরে প্রকাশ করার মতো নয়। তবু মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেই আজকের দিনে পালন করা হয় নানান কর্মসূচি।
জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রিস। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সরসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।
তবে আধুনিক যুগে ১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার আমেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে ‘মাদার্স ডে’ বা মা দিবস পালিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে ভার্জিনিয়ায় অ্যান নামে এক শান্তিবাদী সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। তিনি ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতেন। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করতেন। অ্যান ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণ। অ্যানের একটি মেয়ে ছিল, যার নাম আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস।
একদিন ছোট মেয়ের সামনেই অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন— ‘আমি প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ, কোনো মায়েদের জন্য একটা দিন উৎসর্গ করুক। কারণ তারা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটি তাদের অধিকার।
মায়ের সেই প্রার্থনা হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায় অ্যানাকে। অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে সারাবিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন তিনি। তার পর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয়ে আসছে মা দিবস। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ ঘোষণা করেন।
এরপর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন হিসেবে করা হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশই অন্যদিনকে উৎসর্গ করেছে মায়েদের জন্য। সাধারণত মার্চ কিংবা মে-তেই পালিত হয় ‘মাদার্স ডে’।
জানা যায়, ১৯১০ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় মায়েদের স্বীকৃতির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ছুটির দিন চালু করে। এক বছর পরে প্রায় প্রতিটি রাজ্যই উদযাপনের দিনটি চিহ্নিত করে । ১৯১৪ সালে প্রেসিডেন্ট উড্রউইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবসের জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করেন।
এরপর থেকে বিশ্ব মা দিবসে মায়েদের সম্মানে নানান আয়োজন হয়। মাকে নিয়ে দেশীয় সাহিত্যেও অসংখ্য কবিতা, ছড়া, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখা হয়েছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিম উদ্দিন, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, কবি আল মাহমুদসহ অসংখ্য কবি সাহিত্যিকরা
যুগ যুগ ধরে মাকে গল্প-কবিতায় ঠাঁই দিয়েছেন।
উপমহাদেশের বিখ্যাত গায়ক ও সুরকার সুধীরলাল চক্রবর্তী যথার্থ লিখেছেন।
‘মধুর আমার মায়ের হাসি,চাঁদের মুখে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে’
শুভ মা দিবস।
বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে ‘বিশ্ব মা দিবস’
রোববার (১২ মে) সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এতে জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

জাতীয়
দেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১২ লাখ

বাংলাদেশে এখনও ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এটি জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, শিশু শ্রম শুধু শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, পুরো জাতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের অঙ্গীকার’ বিষয়ক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া আর এক অনুষ্ঠানে শ্রম সচিব বলেন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক সুরক্ষার মূল ভিত্তি হলো মাতৃত্ব সুরক্ষা। বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন সুবিধার আইনি কাঠামো থাকলেও বাস্তবায়নে বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে। ‘বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন বিমা প্রকল্পের রোডম্যাপ তৈরি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা এই অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
এই কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা। শ্রম সচিব জানান, কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন বিমা চালুর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, মাতৃত্বকালীন বিমা প্রবর্তনের মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মাতৃত্বকালীন সুবিধার বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে একটি টেকসই রোডম্যাপ প্রণয়নে মতামত দেন।
বাংলাদেশে আরএমজি ও অন্যান্যখাতে কর্মরত নারী শ্রমিকদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ও স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মশালার সুপারিশমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাতৃত্ব সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে ‘শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের অঙ্গিকার’ বিষয়ক সংলাপে সচিব বলেন, শিশু শ্রম শুধু শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, পুরো জাতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। বাংলাদেশে এখনও ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এটি জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস)-২০২২-এর তথ্য উল্লেখ করে শ্রম সচিব বলেন, যে বয়সে শিশুদের স্কুলে থাকার কথা, সেখানে তারা লেদ মেশিন, হোটেল কিংবা গ্যারেজে কাজ করছে। দারিদ্র্য ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবই এটির মূল কারণ।
তিনি সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-৮.৭ অর্জনে শিশুশ্রম নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শ্রম সচিব বলেন, শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয়
২০২৬ সালের হজে অংশ নিতে এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান

২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার এরইমধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ কার্যক্রমে অংশ নিতে অনুমোদিত এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন চেয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) এজেন্সিগুলোকে আবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার এরইমধ্যে রোডম্যাপ বা টাইমলাইন প্রকাশ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যেসব হজ এজেন্সি ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সেসব হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছ থেকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুত করা নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে। এরপর সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের হজচুক্তি হবে ৯ অক্টোবর। আগামী ১০ জুলাই হজের কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার।
জাতীয়
শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক: বাণিজ্য উপদেষ্টা

শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে। আমাদের আলোচনাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা গতকাল (রোববার) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছি আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা শেষ করে। আলোচনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের আলোচনাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক। আলোচনাটা যথেষ্ট এনগেজিং ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে। দফাওয়ারি আমাদের সঙ্গে যারা নেগোশিয়েশনে যুক্ত ছিলেন তাদের ৩৫-৪০ জনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছি। অবশ্য এ পরামর্শগুলো আমরা আমাদের মধ্যেই নির্দিষ্ট রাখব। আমরা আশা করছি এই আলোচনার মাধ্যমে আমাদের জন্য একটি যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণ করবে রপ্তানির ওপরে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করি। ২০১৫ সাল থেকে আমরা শুল্ক পরিশোধ করে ব্যবসা করছি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতে এই ব্যবসা করে থাকে। যদি তুলনামূলকভাবে আমাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থান তৈরি না হয় তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীরা সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাবে।
যৌক্তিক শুল্কহারের কথা বলা হচ্ছে। আসলে কত শতাংশ শুল্ককে যৌক্তিক মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শূন্য’।
নেগোশিয়েশনের কোন পর্যায়ে আমরা রয়েছি– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আলোচনা করি। আমাদের তো আশা আছে এটাকে (শুল্কহার) শূন্যতে নিয়ে আসা। তবে এ বিষয়ে আমাদের ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ রয়েছে। সুতরাং অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমরা দেব না।
জাতীয়
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেলেন শেখ মইনউদ্দিন

রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী শেখ মইনউদ্দিনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করে সোমবার (১৪ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনি এখন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে প্রধান উপদেষ্টা গত ৫ মার্চ শেখ মইনউদ্দিনকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় এই মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন।
আগের আদেশের মতো রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে শেখ মইনউদ্দিনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর অতিরিক্ত দায়িত্ব এবং এই মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
জাতীয়
মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে।
সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক কারবারিদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি মাদক ঢুকে পড়ছে। মাদক নির্মূলে কক্সবাজারের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হতে হবে। মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স হবে না। এ ছাড়া মব ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি গ্রহণের মতো অপরাধ কেউ করলে ক্ষমা করা হবে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল হাফিজ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, জেলা প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি