রাজনীতি
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ ১০ মে

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এমআই

রাজনীতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
বুধবার (২৩ জুলাই) দিনগত রাত ২টা ৫২ মিনিটে বাসায় পৌঁছান খালেদা জিয়া। এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাত ২টা ২৬ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় রওনা হন তিনি।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার দিনগত রাত ১টা ৪৮ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডন যান। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিনের চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে কিংস্টনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যান বেগম জিয়া। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তিন মাস পর গত চলতি বছরের ৬ মে লন্ডন থেকেও চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরছেন তিনি।
রাজনীতি
আগামী বছরের প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো অপরিপক্কতা (প্রি ম্যাচিউরড) মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (২৩ জুলাই) সিলেটের বিয়ানীবাজারে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অতীতের বস্তাপচা প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ। প্রশাসনকে হতে হবে নিরপেক্ষ। নির্বাচন হতে হবে কালো টাকা আর পেশিশক্তি প্রভাবমুক্ত।
এ ছাড়া, বিয়ানীবাজার পৌর শহরের দাসগ্রাম এলাকায় উপজেলা ও পৌর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, চারিত্রিক সম্পদের অভাবে ৫৪ বছরেও এই দেশ গঠন হয়নি। যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, তারা জনগণের কথা ভাবেন না। তারা শুধু নিজের স্বার্থ দেখেন। তারা দুদককে ভয় পান, আল্লাহকে পান না। দুদকের পরিবর্তে আল্লাহকে ভয় করলে দেশ অনেক এগিয়ে যেত।
আওয়ামী লীগ আমলে অবৈধভাবে দেশের বিপুল অর্থ পাচার নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, এই পাচার হওয়া টাকা দেশে থাকলে দেশে আর কোনো আর্থিক সংকট থাকতো না।
দুর্নীতির বহু রূপ আছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি। জামায়াতের নেতৃত্বে মানবিক, দুর্নীতিমুক্ত ও ইনসাফের দেশ হবে বাংলাদেশ।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবের ক্রেডিট এককভাবে কারও নয়। এই বিপ্লবের নিদির্ষ্ট কোনো মাস্টারমাইন্ডও নেই। সবাই এর অংশীদার। সবাই মিলেই একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ।
বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আবুল কাশেম ও পৌর আমির কাজী জমির হোসাইনের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবীবুর রহমান, মহানগর আমীর ফখরুল ইসলাম।
কাফি
রাজনীতি
স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন

নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা শুধু সংবিধানে উল্লেখ থাকলেই যথেষ্ট নয়, উপযুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তার কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অতীতে বলে এসেছি, প্রতিটি সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবিধানে আলাদা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এনে, সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে সেই সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সংবিধানে আলাদা করে উল্লেখ করা যায় এই ক্ষেত্রে আমরা একমত।
তিনি বলেন, সংলাপে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন কমিটি গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। এই কমিটিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার (সভাপতি), বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি থাকবেন।
এই কমিটি নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রার্থী খুঁজে বের করতে একটি অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যেখানে সিভিল সোসাইটি, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণ নাম জমা দিতে পারবে। সংসদে একটি আইন প্রণয়ন করে এই অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটির কাঠামো নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সার্চ কমিটি জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সেটি সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। কমিটি চাইলে এই তালিকা থেকে অথবা নিজেরা আরও প্রার্থী বিবেচনায় নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, কমিশন গঠনে আগে যে প্রস্তাবে প্রতিটি পদের জন্য দুটি করে নাম সুপারিশ করার কথা ছিল, বর্তমান প্রস্তাবে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিটি পদের জন্য একটি করে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। নিয়োগের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। এছাড়া সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের উপধারায় একটি নতুন সংযোজনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করবে এবং তাদের জন্য আচরণবিধি নির্ধারণ করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই, যারা কার্যত স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তাই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কার্যক্রম পর্যন্ত সবখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। অতীতে আমরা দেখেছি, একাধিকবার নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, কিন্তু কার্যত তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি।
এসময় সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গঠিত ঐক্যকে স্বাগত জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই গঠন প্রক্রিয়া এবং কমিশনের ভবিষ্যৎ কাজের দিক নির্দেশনা নির্ধারণে যে সর্বসম্মত প্রস্তাব এসেছে, তা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তি তৈরি করবে।
কাফি
রাজনীতি
সরকার দায়িত্বশীল হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতো না: নাহিদ

বিমান বিধ্বস্তের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার আরও মানবিক এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতো বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নাহিদ বলেন, ‘ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সরকারের আরও মানবিক এবং দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেছিলাম। গতকালের ঘটনার পর থেকে যা যা হয়েছে, সেখানে আরও দায়িত্বশীল হলে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতো না।’
সঠিক তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে। তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। সরকারের কাছে যতটুকু সত্য তথ্য আছে, সেটি সঠিকভাবে প্রকাশ ও প্রচার জরুরি। এতে গুজব ছড়াতো না।’
শিক্ষা উপদেষ্টার সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বশীল আচরণ না থাকায় একটি সিদ্ধান্ত নিতে রাত ৩টা বেজে গেলো। জরুরি মুহূর্তে সরকারের অন্য উপদেষ্টারা তাকে ফোন করে পাননি। এমন যদি সমন্বয়হীনতা থাকে সেক্ষেত্রে সমস্যা হবেই।’
এ সময় মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের দেয়া ৬ দফা দাবির সঙ্গেও একাত্মতা পোষণ করেন তিনি।
মাইলস্টোনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মরদেহ গুমের অভিযোগ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই মরদেহ গুমের একটি অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে সরকার স্কুল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ওই সময় কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, কতজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, কত জন নিখোঁজ রয়েছেন এসব বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারতেন। পাশাপাশি সময় ব্যবধানে তথ্য আপডেটের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সবাইকে জানাতে পারতো।’
এনসিপির আহ্বায়ক পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একক্ষেত্রে সত্য তথ্য সবাইকে জানাতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা দরকার।’ এতে সরকারি প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বেসরকারি বিশেষজ্ঞ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সদস্য রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা তাসনিম জারাসহ অন্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
আহতদের জন্য ৫০ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা ঘোষণা জামায়াতের

উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সহায়তা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে আর্থিক সহায়তার কথা জানান।
ফেসবুক পোস্টে জামায়াতে আমির লেখেন, উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আহতদের চিকিৎসায় দেশের সকল চিকিৎসককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন এবং কবুল করুন। আমিন।
কাফি