অর্থনীতি
সিআইপি সম্মাননা পেলেন ১৮৪ ব্যবসায়ী
রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮৪ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা রপ্তানিকারকদের সিআইপি (রপ্তানি ও টেড) কার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্জন, বিশেষ করে ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অর্জন তা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এ জায়গায় পৌঁছাবে তা অনেকে বিশ্বাস করতো না। ২০০৯ সালে যেখানে রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি, আজকে সেই রপ্তানি আয় প্রায় চার গুন বেড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যার জিডিপির আকার প্রায় ৪৬০ বিলিয়নের ওপরে। এসবগুলো অর্জনই সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। উনি ব্যবসা-বাণিজ্যে লজিস্টিক যে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি অনস্বীকার্য। আজকে রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ১৪০ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য সিআইপি প্রদান করেছি। সেই সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের স্বীকৃত স্বরূপ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ মোতাবেক ৪৪ জনকে সিআইপি ট্রেড হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
দেশের রপ্তানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করাই সিআইপি (রপ্তানি) কার্ড প্রদানের উদ্দেশ্য। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রপ্তানি আয় হওয়ায় চা খাতের একটি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য এক বছর মেয়াদে সিআইপি (রপ্তানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিরা পরবর্তী বছরের সিআইপি (রপ্তানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।
২০২২ সালের পণ্য বা সেবার খাতওয়ারি মনোনীত সিআইপিদের (রপ্তানি ও ট্রেড) মধ্যে কাঁচাপাটে দুই জন, পাটজাত পণ্যে চারজন, চামড়াজাত দ্রব্যে ছয়জন, হিমায়িত খাদ্যে চারজন, তৈরি পোশাকে (ওভেন) ১৮ জন মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া কৃষিজাত দ্রব্যে পাঁচজন, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং এ পাঁচজন, হালকা প্রকৌশলী পণ্যে চারজন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে তিনজন, হস্তশিল্পজাত পণ্যে চারজন, স্পেশালাইজড বা হোমটেক্সটাইল পণ্যে চারজন, তৈরি পোশাকে (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, সিরামিক পণ্যে একজন, প্লাস্টিকজাত পণ্যে চারজন, টেক্সটাইলে (ফেব্রিক্স) সাতজন, কম্পিউটার সফটওয়্যারে দুইজন, আসবাবে একজন, বিবিধ পণ্যে ২৭ জন ও ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সিআইপি হয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সিআইপি (ট্রেড ক্যাটাগরি) মনোনীত হয়েছেন ৪৪ জন।
সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (রপ্তানি) নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়। আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রপ্তানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।
সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীরা সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন’ প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পাবেন।
সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশি ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন, যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত সম্পন্ন
সামিট গ্রুপ এলএনজি টার্মিনাল নামে পরিচিত তার ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) মেরামত সম্পন্ন করেছে। তবে এলএনজি আমদানি করতে পেট্রোবাংলার সময় লাগার কারণে এখান থেকে সেবা পেতে আরও ২০ দিন সময় লাগবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সামিট গ্রুপ।
এতে বলা হয়, সামিট আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে, সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (এসএলএনজি) এখন জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর এবং এলএনজির পুনঃগ্যাসিফিকেশনের জন্য প্রস্তুত। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) পুনরায় গ্যাসীকৃত এলএনজি পাঠানো যাবে।
এতে আরও বলা হয়, শিল্প খাতে বিদ্যুৎ, সার ও গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এসএলএনজির জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনা করে সামিটের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
চলতি বছরের ২৩ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাত হানার কারণে জাহাজ থেকে জাহাজে এলএনজি স্থানান্তর কৌশলগতভাবে এড়ানো হয়। এর কয়েকদিন পর ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শত শত টন ওজনের একটি ভাঙা ভাসমান পন্টুন সামিটের এফএসআরইউতে বারবার আঘাত করলে ব্যালাস্ট পানির ট্যাংকের ক্ষতি হয়।
এলএনজি টার্মিনাল পুনরায় কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত হলেও এর সুফল পেতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগবে, কারণ সরকারকে এর সেবা গ্রহণের জন্য বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট ফের চালু
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এক নম্বর ইউনিটটি সাতদিন বন্ধ থাকার পর আজ চালু করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে চালু করার পর ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায়।
বর্তমানে ওই ইউনিটটি থেকে উৎপাদিত ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে এর জন্য প্রতিদিন ৮০০-৯০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়বে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ১ নম্বর ইউনিটে ৬০-৬৫ মেগাওয়াট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এক নম্বর ইউনিটটি মেরামত শেষে সাতদিন পর বৃহস্পতিবার চালু করা হল। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিট ৩৬ দিন পর বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর কিন্তু চালু হওয়ার চারদিন পর পুনরায় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রবাসীদের ক্ষতিপূরণের অর্থেও মিলবে প্রণোদনা
প্রবাসে মারা যাওয়া বা দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে ক্ষতিপূরণ পাবেন, তা বৈধ পথে দেশে আনলে তার বিপরীতেও প্রণোদনা সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিদেশে কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়া বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ বৈধপথে দেশে এলে তার বিপরীতে বিদ্যমান হারে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাবদ বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থের আয়ের উৎস নিশ্চিত হতে হবে।
বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ বৈধপথে দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে টাকায় রূপান্তর করতে হবে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, নতুন এই সিদ্ধান্ত নির্দেশনা জারির পর থেকে কার্যকর হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থের যোগানের জন্য পুঁজিবাজারমুখী হতে চাই: অর্থ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থের যোগানের জন্য আমরা ব্যাংকনির্ভরতা থেকে বের হয়ে পুঁজিবাজারমুখী হতে চাই। বিনিয়োগকারীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ব্যাংক ঋণ না নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবেন। অন্যান্য দেশে পুঁজিবাজার থেকেই অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়লগ’- অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৫ বছর এই ধারা চলে আসায় আর্থিক খাতে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছি। এই ধারা থেকে বের হয়ে কাজ করা খুব সহজ নয়। আমরা বেশি দিন সময় পাব না, তবুও আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি এবং আগের সরকারের সৃষ্টি করা সংকটগুলো দূর করার চেষ্টা করছি।’
বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হলো প্রতিটি দরজা, প্রতিটি চেয়ার, প্রতিটি টেবিল টাকা চায়। আমরা এই প্রবণতা থেকে বের হতে চাই। ব্যবসা সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি সংস্কার করে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে চাই।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা এনবিআর। আমরা এর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। ট্যাক্সের আইনগুলো যেনো ব্যবসাবান্ধব হয় সে উদ্যোগ নেব। ব্যবসা সহজ করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের কাজ হলো ব্যবসার বাধা দূর করে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য সংস্থাগুলোকে শুধু নিজেদের কথা ভাবলেই হবে না। রংপুরের মতো প্রন্তত অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের কথা শুনতে হবে। সব ব্যবসায়ীকে সমান গুরুত্ব দিয়ে আইন প্রণয়নে সহায়তা করতে হবে। কেউ যেন অস্বাভাবিক মুনাফা না করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আবার কেউ যেন পুঁজি না হারান সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।’
২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীলের মর্যাদা পেলে শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ অনেক সুবিধা হারাবে- এ আশঙ্কা প্রকাশ করে তা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন আশিক চৌধুরী
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আশিক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, আশিক চৌধুরীকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আশিক চৌধুরীকে তার যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
এমআই