আইন-আদালত
জামিন পেলেন না মিল্টন সমাদ্দার
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি ও মানবপাচার আইনের পৃথক দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন মানব পাচার মামলায় রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের মিরপুর মডেল থানার (নারী ও শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ৫ মে তাকে মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন।
উল্লেখ্য, গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে দাঁড়াতে চান জেড আই খান পান্না
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করতে চান বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্না (জেড আই খান পান্না)। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, সুযোগ হলে আমি শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াব।
আজ বৃহস্পতিবার সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী পান্না মনে করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। সারাদেশে গণ মামলার সমালোচনাও করে তিনি বলেন, গণহারে মামলার সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
গত ১৯ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সীমান্ত পথে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. মেহেদী হাছান চৌধুরী। পরে তাকে জুলাই-আগস্টের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তার আগে গত ৮ আগস্ট অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার মো. মেহেদী হাছান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান: আইন উপদেষ্টা
বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তবর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখায় বিচার বিলম্বিত হবে কি না? প্রশ্ন করা হলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তা খুব সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে রাজনৈতিক দলের বিচার থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের ইস্যু আনা উচিত না।
এ সময় গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল আইনে রাজনৈতিক দলকে বিচারের আওতায় আনার যে ধারাটি খসড়ায় রাখা হয়েছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এই বিচারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়কে জড়ানো ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয় যুক্ত করা হলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার সে সুযোগ দিতে চায় না।
কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হলে বা সমাজে দাবি উঠলে দেশে সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, ১৯৭৮ পলিটিক্যাল পার্টি অর্ডিন্যান্সে রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
মামুন-জিয়াউলসহ ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো ট্রাইব্যুনালে
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তাদের বিষয়ে শুনানি চলছে। এর আগে, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তাদের পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে যাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তারা হলেন সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর এই মামলার আসামিদের বুধবার (২০ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালে হাজির করার আবেদন জানালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ৮ কর্মকর্তা আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশ মোতাবেক আজ তাদের আনা হয় ট্রাইব্যুনালে। এদের মধ্যে ছয়জনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন নির্মূলে গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রসিকিউশন অফিসে ১২৫টির মতো অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবরও অভিযোগ জমা পড়ছে। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে গত সোমবার জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাইকোর্টের ৩ বিচারপতির পদত্যাগ
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মঙ্গলবার ( ১৯ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে, ‘সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সংবিধানের ৯৬ (৪) অনুচ্ছেদ মতে রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।’
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে প্রায় ৫ বছর ধরে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আর সম্প্রতি গঠন হয়েছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মিদু।
এর আগে বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন প্যাডেল চালিত রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম ও সেক্রেটারি মো. মমিন আলী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়।
সবমিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে রাজধানীতে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। এছাড়া পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।
রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। রাজধানীর খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।
এসব এলাকা ছাড়াও রাজধানীর প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল রয়েছে। ফলে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য।