জাতীয়
হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ যাত্রী
![হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ যাত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Haz-haj.jpg)
হজযাত্রীদের সৌদি আরব পাঠাতে চলতি বছর চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ৫ মিনিটে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হন ৪১৩ জন বাংলাদেশি। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তারা।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান দ্বিতীয় ফ্লাইটে সৌদি যাবেন ৪১৭ জন। ভোর সাড়ে ৫টায় এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এরপর সকাল ৮টায় ফ্লাইনাস এয়ারের আরেকটি ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারপ্রথম দিনে সাতটি ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৪১৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।
আগামী ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৭টি হজ পূর্ব ফ্লাইটে করে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন এবং মে মাস থেকে ১২ জুনের মধ্যে সৌদি আরবে ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইটে করে বাকী হজযাত্রীদের হজ পালন করতে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিমান ২০ জুন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট শুরু করবে এবং সৌদি আরবের বিমান সংস্থা ফ্লাইনাস ২১ জুন থেকে হজ ফিরতি ফ্লাইট চালু করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে। চলতি বছর হজযাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদনের সময় নির্ধারিত ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির মধ্যে অনেকেই এই সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে না পারায় প্রথম ধাপে ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো ১১ মে পর্যন্ত ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে সময় বাড়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল
![আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/curfew.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা কারফিউ এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। আজও (শনিবার) ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হবে।
এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে তাণ্ডব শুরু হলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১ মাসে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ
![১১ মাসে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/garments.jpg)
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে আয় করেছে ৩৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয়ে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
ইপিবি তাদের প্রকাশিত তথ্যে দেখিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। ফলে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, নিট পোশাকের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে ছিল ১৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ওভেন পণ্যের আয় কমেছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ওভেন পণ্য থেকে আয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক শিল্পের আয় কমার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা। কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পোশাকের ইউনিটের দাম কমে যাওয়া। বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কার্যাদেশের কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতাও লক্ষণীয়।
তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এসএম মান্নান কচি জানান, রপ্তানিমুখী পোশাক পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। কারণ শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য। ফলে আমাদের প্রতিযোগীদের সঙ্গে মূল্য সক্ষমতায় টিকে থাকতে পারছি না। এমনই সংকটময় মুহূর্তে ক্রেতারা পণ্যের দাম কমিয়েছেন। ফলে রপ্তানিতে ছন্দপতন হয়েছে। রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সামনের মাসগুলোতেও নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আরব আমিরাতে রিহ্যাবের আবাসন মেলা, শুরু ৬ সেপ্টেম্বর
![আরব আমিরাতে রিহ্যাবের আবাসন মেলা, শুরু ৬ সেপ্টেম্বর ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/rehab1.jpg)
প্রবাসে উপার্জন স্বদেশে আবাসন- স্লোগানকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা শহরে আবাসন মেলা করতে যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর শারজা এক্সপো সেন্টারে রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার-২০২৪ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর মেলার উদ্বোধন করবেন। রিহ্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রিহ্যাব জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রিহ্যাবের আবাসন মেলা নিয়ে ইতিমধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। মেলায় প্রবাসীদের গৃহঋণ নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। এর জন্য এবারের মেলায় আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
রিহ্যাব ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলিম উল্ল্যাহ এবং কো–চেয়ারম্যান মো. ইমদাদুল হক সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার সফলভাবে আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিত হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবিপ্রধান
![পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিত হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবিপ্রধান ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/harun-or-rashid.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডাররা কীভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে আমাদের দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিল পুলিশ। পুলিশই দুর্দিনে প্রথম এগিয়ে আসে। ২৮ অক্টোবরে আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, বিচারপতির বাসভবনে হামলার চিত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এর আড়ালে আমরা দেখলাম রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া, রায়েরবাগ এলাকায় গিয়ে তারা পুলিশকে টার্গেট করেছে। পুলিশ মারতে পারলেই ১০ হাজার টাকাও তারা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
তিনি বলেন, বাড়িবাড়ি তল্লাশি করেছে তারা। উদ্দেশ্য ছিল একটাই— পুলিশকে ডিমরালাইজড করা। পুলিশকে ডিমরালাইজড করতে পারলে তারা হয়ত মনে করেছিল আন্দোলন সাকসেস হবে। পুলিশ দুর্বল হলে পিছিয়ে যাবে। তখন তারা এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং সরকারের পতন ঘটাতে পারবে মনে করেছিল। দেশ ও মানুষের জন্য পুলিশ সদস্যরা নানা সময়ে আত্মাহুতি দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এই কোটা আন্দোলনে তিন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। কিন্তু পুলিশের মনোবল মোটেও ভাঙ্গেনি।
হারুন বলেন, যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
![তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/hasan-mahmud-2.jpg)
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে যে, কারফিউ ভঙ্গ করো, না হলে পদ ছাড়ো। বিএনপির এক নেতা বলেছে-তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বিটিভিতে কখনও হামলা, ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। কিন্তু কখনও বিটিভিতে হামলা হয়নি’
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্যোগের সময়ে মানুষ যে মন্ত্রণালয়ে ছুটে যায়, সেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসীর গর্ব, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেল জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। কোটা থাকলেও সবাইকে মেধার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝানো হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরতো, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা আন্দোলনকারীদের রক্ষা করেছে। লক্ষ্য করে দেখুন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ মারা যায়নি, সব বাইরে হয়েছে। অর্থাৎ এর সাথে কোটা সংস্কারের দাবির কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না।’
এমআই