আন্তর্জাতিক
চলতি বছরে স্থবির থাকতে পারে জার্মান অর্থনীতি
চলতি বছরে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো শুরুর পরেও জার্মানের অর্থনীতি স্থবির থাকতে পারে। যার কারণে ইউরোপীয় অন্যান্য সমমনা অর্থনীতির চেয়ে দেশটির প্রবৃদ্ধি পিছিয়েই থাকবে। জার্মানির অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জার্মানির উৎপাদন ও নির্মাণখাত মন্দার মধ্যেই থাকবে।
আইডব্লিউ এর অর্থনীতিবিদ মাইকেল গ্রোমলিং বলেছেন, তবে মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণে ভোক্তা ব্যয় সূচক ভালো অবস্থানে থাকবে। তবে তা স্থবিরতা কাটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু ব্যয়ের পাশাপাশি বিনিয়োগের কথা বলেছেন তিনি। মূলত ভূরাজনৈতিক অবস্থার কারণে বিনিয়োগ হতাশাজনক অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া সুদের হার বাড়ার কারণে সবকিছু ব্যয়বহুল।
জ্বালানি ব্যয়, বৈশ্বিক কম ক্রয় আদেশ ও উচ্চ সুদের হারের কারণে গত বছর জার্মান অর্থনীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ সংকুচিত হয়।
আইডব্লিউ এই বছর ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য শূন্য শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে এক্ষত্রে ফের ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিছিয়ে থাকবে দেশটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন টিউলিপ
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক আইন লঙ্ঘনের কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন। ভাড়া দেওয়া ফ্ল্যাটের এনার্জি সার্টিফিকেট না থাকার কারণে তার ১০ হাজার ইউরো জরিমানা হতে পারে। মেইল অন সানডে এক প্রতিবেদনে এমনটি জানায়।
চলতি বছরের শুরুতে ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া থেকে আয়ের নিবন্ধন না করার জন্য টিউলিপ সিদ্দিক তদন্তের মুখে পড়েছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে তিনি একজন বাড়িওয়ালা হিসেবে তার আইনি দায়িত্ব পালন করেছেন কি না।
ভাড়াটে সম্পত্তির জন্য এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট (ইপিসি) থাকা বাধ্যতামূলক। তবে সংবাদপত্রটি উত্তর লন্ডনের ওই ঠিকানার জন্য কোনো ইপিসি খুঁজে পায়নি। তিনি ও তার স্বামী ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ওই বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন।
বাড়িওয়ালারা ইপিসি নিয়ম তিন মাসের বেশি না মানলে সর্বনিম্ন ১০ হাজার ইউরো জরিমানায় পড়তে পারেন। সম্পত্তির মূল্য অনুযায়ী ২০ শতাংশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মোট দেড় লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
মেইল অন সানডে জানতে পেরেছে, ওই সম্পত্তি টিউলিপ সিদ্দিক ও তার স্বামী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ান পার্সি ২০১৮ সালে আট লাখ ৬৫ হাজার ইউরোতে কিনেছিলেন। একটি লেটিং এজেন্সি ওই সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে।
লেটিং এজেন্সি হলো একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যা ভাড়া দেওয়ার জন্য সম্পত্তি দেখভাল এবং মালিকদের পক্ষ থেকে ভাড়াটে খোঁজা, চুক্তি তৈরি করা এবং অন্যান্য কাজগুলো সম্পন্ন করে।
মন্ত্রী টিউলিপ এর আগে ভাড়া থেকে আসা আয় সঠিকভাবে দেখাতে ব্যর্থ হন। প্রায় ১৪ মাসে ১০ হাজার পাউন্ডেরও বেশি অর্থ ভাড়া থেকে আয়ের কথা প্রতিবেদনে বলা হয়। এই ব্যর্থতায় তিনি পার্লামেন্টারি কমিটির তদন্তের মুখে পড়েন।
স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার টিউলিপের পার্লামেন্টারি নিয়ম লঙ্ঘনের তথ্য খুঁজে পায়। তবে তার প্রশাসনিক ত্রুটির ব্যাখ্যাও মেনে নেয়। তিনি ইতোমধ্যে লন্ডনের আরেকটি সম্পত্তি থেকে আয়ের তথ্য জানিয়েছেন। ওই সম্পত্তির ইপিসি রয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে চার বিলিয়ন ইউরো পরিমাণ অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন দুই সপ্তাহ আগে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা, তার খালা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
তবে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন এখন পর্যন্ত তার সাথে কোনো কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিবিসির চোখে সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ‘আয়নাঘর’
সিরিয়ার মানুষদের কাছে ভীতিকর এই জায়গাটিতে অনেককে আটক ও নির্যাতন করা হতো। মাটির নিচে সাবেক সরকারের এই গোপন আস্তানায় প্রবেশ করেন বিবিসি অ্যারাবিক সার্ভিসের সংবাদদাতা ফেরাস কিলানি। এটি এমনই এক জগত, যেখানে বাইরের মানুষ খুব কমই ঢুকতে পেরেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সদর দপ্তরের বেইসমেন্টে এই ভয়ানক জায়গা দেখা যায়।
যেটি দেশটির গোপন গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের অংশ, যা কয়েক দশক ধরে নৃশংস নেতৃত্বকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। পুরু ইস্পাতের দরজা দেওয়া সারিবদ্ধ ছোট ছোট কক্ষ দেখা যায়, যেখানে বন্দিদের রাখা হতো। একটি কক্ষের ভেতর তাকিয়ে দেখা যায়, ঘরটি মাত্র দুই মিটার লম্বা ও এক মিটার চওড়া। ময়লা দেয়ালে গাঢ় দাগ লেগে রয়েছে।
দেয়ালের উঁচুতে থাকা ছোট ছোট ঝাঁঝরি দিয়ে যে সামান্য সূর্যের আলো পৌঁছয়, সেটাই এসব কক্ষের একমাত্র আলোর উৎস। এই বদ্ধ কক্ষে বন্দিদের মাসের পর মাস আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করা হতো। এগুলোর অবস্থান দামেস্কের কেন্দ্রের কাফর সউসা এলাকার একটি ব্যস্ত রাস্তার ঠিক নিচে, যেখানে নিরাপত্তা সদর দপ্তর অবস্থিত।
প্রতিদিন হাজার হাজার সিরীয় এই পথ দিয়ে যাওয়া আসা ক্যার, তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম চালিয়ে যেত।
অথচ, তাদের কোনো ধারণাই ছিল না যে মাত্র কয়েক মিটার দূরে তাদের মতো কিছু নাগরিককে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।
একটি করিডরে দেখা যায়, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের ছিন্নভিন্ন ছবিগুলো মাটিতে পড়ে আছে। এর সঙ্গে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার ফাইলের স্তূপ, যেসব নথি লাখো মানুষের কর্মকাণ্ড নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হতো।
এই স্থানে বন্দিদের সাময়িকভাবে আটকে রাখার পর, তাদের দীর্ঘমেয়াদে আটক রাখতে বন্দিশিবিরে পাঠানো হতো।
রাজধানীর উপকণ্ঠে অবস্থিত সাইদনায়া কারাগার, এমনই এক কুখ্যাত বন্দীশিবির। এই স্থাপনাটি সিরিয়ার সাবেক সরকারের পরিচালিত বিশাল নেটওয়ার্কের একটি অংশ।
স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস (এসএনএইচআর) ২০১১ সালে আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে গত জুলাই পর্যন্ত ১৫ হাজার ১০২টি মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছে, যা দেশটির কারাগারে নির্যাতনের কারণে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক বা জোর করে বন্দি করে রাখা হয়।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, সাবেক সিরীয় সরকার ভিন্নমত দমন করার জন্য বহু বছর ধরে নির্যাতন ও গুম করত। সংস্থাটির মতে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাউকে জবাবদিহি করত না।
স্টেট সিকিউরিটি সদর দপ্তর থেকে কয়েক শ মিটার দূরে জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট নামে আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার অফিস রয়েছে, যা দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নেটওয়ার্কের আরেকটি অংশ। আসাদ সরকারবিরোধীরা অভিযোগ করেছে, এটি এমন একটি সংস্থা, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বিষয় নজরদারি করত।
অফিসের ভেতরে একটি কম্পিউটার সার্ভার রুম পাওয়া যায়। মেঝে ও দেয়াল একদম ঝকঝকে সাদা এবং সারি ধরে কালো ডাটা স্টোরেজ ইউনিটগুলো শান্তভাবে গুঞ্জন করছে।
দামেস্কের বেশির ভাগ স্থানে বিদ্যুৎ নেই। তবে এই স্থাপনাটি হয়ত এত গুরুত্বপূর্ণ যে এর নিজস্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। ডিজিটাল সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও সেখানে প্রচুর কাগজের নথিও রয়েছে, যা সবই অক্ষত আছে বলে মনে হচ্ছে। একটি কক্ষের দেয়ালজুড়ে লোহার পুরনো আলমারিতে নথিগুলি ঠেসে রাখা হয়েছে। আরেকটি দেয়ালে সারি ধরে নোটবইগুলো মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত থরে থরে সাজানো আছে।
ধারণা করা হচ্ছে, যখন শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তখন এখানে যারা কাজ করতেন, তারা পালানোর আগে কিছুই ধ্বংস করার সুযোগ পাননি। নথিগুলো অনেক পুরনো, বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করা, কিন্তু কিছুই ধ্বংস করা হয়নি। এমনকি সেখানে গুলির খালি খোসা ভরা বাক্সও পাওয়া যায়। আরেকটি ঘরে দেখা গিয়েছে নানা ধরণের অস্ত্রশস্ত্র, যার মধ্যে মর্টার আর স্থলমাইনও আছে।
বিবিসি সংবাদদাতার সঙ্গে এইচটিএস নামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর একজন যোদ্ধা ছিলেন, যারা এখন দামেস্ক নিয়ন্ত্রণ করছে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, এখানে এত অস্ত্র কেন? তিনি বলেন, ‘আসাদ সরকারের সময়, রাশিয়ার সহযোগিতায় সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিরিয়ার মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও নিপীড়নের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।’
জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেটে জমা থাকা পাহাড় সমান নথি ও কম্পিউটার রেকর্ড, ভবিষ্যতে সিরিয়ার নাগরিকদের আটক ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা, যিনি আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি নামেও পরিচিত, তিনি এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, বিগত শাসনামলে যারা আটক ব্যক্তিদের নির্যাতন বা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে বিচার করা হবে; ক্ষমা করার প্রশ্নই আসে না। তিনি টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা সিরিয়ার ভেতরে তাদের খুঁজে বের করব এবং যারা পালিয়ে গেছে তাদেরকে আমাদের হাতে তুলে দিতে অন্যান্য দেশের কাছে অনুরোধ জানাব, যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।’
কিন্তু সিরিয়ার গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ার প্রভাব দেশের সীমানার বাইরে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার এমন অনেক নথি পাওয়া গিয়েছে যেগুলো জর্দান, লেবানন ও ইরাকের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি এই নথিগুলো প্রকাশ্যে আসে এবং ওই দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আসাদ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ সামনে আসে, তাহলে পুরো অঞ্চলেই বড় ধাক্কা লাগতে পারে। আসাদ সরকারের সাবেক গোয়েন্দা সংস্থার যত তথ্য সামনে আসবে, এর প্রভাব তত বড় হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আশি বয়সীদের জন্য ‘টেকনো ডান্স’ পার্টি
বেলজিয়ামের এক সংস্থা সম্প্রতি ৮০ এবং তার অধিক বয়সীদের একটি টেকনো উৎসবে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেয়ার হোমে বাস করা এই ব্যক্তিদের অনেকে বিষয়টি পছন্দ করেছেন, আর অনেকে বিষয়টি উপভোগ করেননি। বয়স্কদের জীবনে আনন্দ এনে দিতে কাজ করে ঐ সংস্থা।
পার্টিতে যাওয়ার আগে তৈরি হওয়া রিয়া পঁশেলে অঁন্দ্রের জন্য নতুন নয়। তবে কেয়ার হোমের এই বাসিন্দা ৮৮ বছর বয়সে একটি টেকনো উৎসবের আমন্ত্রণ পাবেন, ভাবেননি।
তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি পার্টিতে যেতাম। একটি বল-এ আমার স্বামীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল! ঐ যুগে আপনাকে লং ড্রেস পরতে হতো! ব্রাসেলসে চার সন্তানকে বড় করেছেন রিয়া। একটি আর্ট গ্যালারিও চালিয়েছেন। এখন এই বয়সে নতুন অভিজ্ঞতা পাওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে।
কেয়ার হোমের কর্মী সোনিয়া ফ্লোয়মঁ বলেন, আগে তারা আনন্দে জীবন কাটিয়েছেন, কিন্তু এখন কেয়ার হোমে থাকছেন। বাইরে যাওয়ার অভ্যাস তাদের হারিয়ে গেছে৷ অনেকে আর বাইরে যেতে চান না। তবে আজ তারা শহরে যাচ্ছেন। রিয়াসহ অন্যরা ডে ট্রিপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পাপি বুম এর আয়োজন করেছে। তারা বয়স্ক মানুষদের আনন্দ দিতে চান। আজকের গন্তব্য ফ্লোবেক শহরের একটি ড্যান্স মিউজিক উৎসব। আগের এমন এক ডে ট্রিপের কথা শুনে উৎসবের আয়োজকেরা রিয়াদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উৎসবস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর রিয়া ও সঙ্গীরা ড্যান্সফ্লোর মাতানো শুরু করেন। পার্টি বেশ উপভোগ করেছেন রিয়া।
তিনি বলেন, কেয়ার হোমকে আমি লিখে জানাবো, বিষয়টা দারুণ ছিল, সবাই খুব বন্ধুবৎসল ছিলেন। মনে হচ্ছে, বয়স ২০ কমে গেছে! বয়স্করা দ্রুতই তরুণদের মন জয় করে নেন। এক তরুণী বললেন, আমি নিশ্চিত, আমিও তাদের বয়সে এখানে নাচবো।
আরেকজন বললেন, এটি সত্যিই বিভিন্ন প্রজন্মকে একত্রিত করেছে! তবে রিয়ার সব সঙ্গী পার্টি উপভোগ করেননি। যেমন কোকো বলেন, মিউজিক একেবারেই আমার বিষয় নয়৷ অনেক বেশি বুম, বুম, বুম। মাথা ধরে গেছে। ট্রিপ পরিকল্পনাকারীদের সবার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়েছে।
ইভেন্টের আগে তারা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত চাহিদা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন যেন উৎসব চলাকালীন কোনো সমস্যা হলে সামাল দেওয়া যায় পাপি বুম এর প্রতিষ্ঠাতা ইউসেফ কাডার বলেন, ঝুঁকি যেন অনেক বেশি না হয় সে ব্যাপারে আমারে সতর্ক হতে হবে। আমরা চাই তারা যেন সুস্থ শরীরে কেয়ার হোমে ফিরে যেতে পারেন। সঙ্গে সুন্দর কিছু মুহূর্ত নিয়ে যেতে পারেন। বয়স্করাও আনন্দ করতে পারেন! তারা নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা নিতে চান। আমি তাদের সহায়ক হতে চাই।
ইউসেফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে আছে বয়স্কদের জন্য স্পিড ডেটিং ইভেন্ট এবং তাদের নাইট ক্লাব ও কনসার্টে নিয়ে যাওয়া। রিয়া বলছেন, তিনি অবশ্যই পরের ট্রিপগুলোতেও অংশ নেবেন। তিনি বলেন, আমি যখন আমার ছেলেদের এটা সম্পর্কে বলবো, তারা বিশ্বাস করবে না। তারা মনে করবে, আমি পাগল হয়ে গেছি! জীবনে সবসময় আনন্দ দরকার, ফুর্তিতে থাকা দরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীর বৈঠক
জাতীয় পতাকাকে অবমাননার দায়ে গত মাসে আটক হন হিন্দু ধর্মপণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন। আগামী ২ জানুয়ারি তার জামিন শুনানি হবে। এতে তার পক্ষে আইনি লড়াই করবেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। তবে বর্তমানে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে আছেন। সেখানেই ইসকনের মন্দিরে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন তিনি। মন্দিরটিতে তাকে নিয়ে যান ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র রাধারামণ দাস। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই আইনজীবী জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন। যদি শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় তাহলে আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন শুনানির জন্য আদালতে যাবেন। এই আইনজীবী দাবি করেন, চিন্ময়ের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি হুমকি-ধামকির মুখে পড়ছেন।
শুনানিতে অংশ নেওয়ার আগে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্র ঘোষ।
ইসকনের বাংলাদেশ শাখা জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে কলকাতা শাখা তার হয়ে ব্যাপক দৌঁড়ঝাপ করছে। এসবের মাঝেই কলকাতার ইসকন নেতার আমন্ত্রণে তিনি ইসকন মন্দিরে গেছেন।
এরআগে গত ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন চিন্ময় কুমার দাসের আইনজীবী। সাক্ষাতের সময় তার সঙ্গে আরেক বিজেপি নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং কার্তিক মহারাজ নামে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ এক সন্ন্যাসীও সেখানে উপস্থিত ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু আজ শুক্রবার অভিশংসনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন। ইউন সুক ইওল ৩ ডিসেম্বর তার দেশে সামরিক আইন জারি করার কারণে সংসদীয় ভোটের পরে অভিশংসনের সম্মুখীন হন।
কিন্তু বিরোধী দলীয় সাংসদরা এখন প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হানকেও পদ থেকে অপসারণ করতে চান। তাদের যুক্তি তিনি ইউনের অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি মানতে অস্বীকার করছেন।
পার্লামেন্টে উত্থাপিত অভিশংসন প্রস্তাবে বিরোধীরা বলেছেন যে হান ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্রোহের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে বিশেষ তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং সাংবিধানিক আদালতের তিনজন বিচারকের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজ ‘একজন সরকারি কর্মকর্তার আইন সমুন্নত রাখা এবং জনগণের সেবা করার দায়িত্বের লঙ্ঘন।
বিরোধী দল তাদের চেষ্টায় সফল হলে দক্ষিণ কোরিয়া দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিতীয় অভিশংসন দেখতে পাবে। আর এটি হবে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের অভিশংসন।
হান অপসারিত হলে তার জায়গায় অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বর্তমান বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাংবিধানিক আদালতের গঠন, যা ইউনকে অভিশংসনের সংসদীয় সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কি না তা নির্ধারণ করবে।
সাংবিধানিক আদালতে বর্তমানে তিনজন বিচারকের অভাব রয়েছে। আদালত বেঞ্চের ছয় সদস্য নিয়েই এগিয়ে যেতে পরবে। তবে এক্ষেত্রে একটি মাত্র ভোট বিপক্ষে পড়লেই তা ইউনকে পুনর্বহালের জন্য যথেষ্ট হবে।
বিরোধীরা চায় হান নয় সদস্যের বেঞ্চ পূরণের জন্য আরও তিনজন মনোনীত ব্যক্তিকে অনুমোদন দিন। কিন্তু তিনি এখনও এটি করতে অস্বীকার করে চলেছেন। মূলত এ নিয়ে উভয় পক্ষই অচলাবস্থায় পড়েছে।
ডেমোর্ক্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতা জো সিউং-লে বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তিন বিচারপতিকে নিয়োগ দিতে হানের অস্বীকৃতিতে ‘তার আসল রং বেরিয়ে পড়েছে’।
জো বলেন, এই প্রত্যাখ্যান ‘সংবিধান ও আইনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ’। তার দল ‘সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি স্থিতিশীল করতে’ হানকে অভিশংসনের চেষ্টা করবে।
হান বলেছেন যে তার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) এবং বিরোধী দল মনোনীত প্রার্থীদের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছলেই তিনি বিচারকদের নিয়োগ প্রত্যয়ন করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান এবং আইনে সুরক্ষিত নীতি হলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগসহ প্রেসিডেন্টের উল্লেখযোগ্য একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক এই আমলা বলেন, জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় পরিষদে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর একটি ঐক্যমত থাকা চাই।