রাজধানী
তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিতে পোর্টাল চালু করলো ডিএনসিসি
তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিতে পোর্টাল চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সম্মেলন কক্ষে হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টালের উদ্বোধনী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ও ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপে হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টালের লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টাল ব্যবস্থাপনা করবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভিত্তিক হিটওয়েভের পূর্বাভাসের পেতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। হিটওয়েভ পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সবার ঢাকা অ্যাপে পূর্বাভাস চলে যাবে যার ফলে ব্যবহারকারীরা যে কোনও মুহূর্তে চাইলেই তার এলাকার পূর্বাভাস দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও এই অ্যাপের মাধ্যমেই যার যার এলাকায় পূর্বাভাসের সাথে অনুভূত তাপমাত্রার পার্থক্য এবং সেই সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে পারবেন। এই হিটওয়েভ পোর্টালের পূর্বাভাস পেতে চাইলেই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে পেতে পারবেন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সবার ঢাকা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাভাস পাবেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, এই পোর্টালের মাধ্যমে একদিকে যেমন ব্যবহারকারীকে সহজে পরিকল্পিত পদক্ষেপ ও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে; অন্যদিকে নির্দিষ্ট খাত যেমন কৃষি, প্রাণিসম্পদ, নগর পরিকল্পনা এবং প্রাসঙ্গিক খাতের ব্যবহারকারীদের চাহিদা সম্পর্কে অবগত করবে। বিশেষ করে নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে খুবই সাহায্য করবে।
পাশাপাশি তিনি হিটওয়েভকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা এবং দুর্যোগসংক্রান্ত স্থায়ী আদেশে তাপপ্রবাহকে সংযুক্ত করার জোরদার আহবান জানান। এ ছাড়া প্রত্যেকটা দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যক্তি পর্যায়ে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, হিটওয়েভের সচেতনতা এবং প্রচারণা অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি বিশেষ ছাতা তৈরি করা হয়েছে রিকশাচালকদের জন্যে, যা তারা চাইলেই রিকশার স্ট্যান্ডের সাথে অ্যাডজাস্ট করে ব্যবহার করতে পারবে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৩৫ হাজার রিকশা ও ভ্যানচালকদের মাঝে বিনামূল্যে ছাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও, হাফ লিটার পানির বোতল বিতরণ করা হয়েছে যাতে করে তারা চাইলেই সহজে সাথে বহন করতে পারে।
আর্শট রক ফেলার ফাউন্ডেশনের নিয়োগকৃত চিফ হিট অফিসার বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, এই কালার কোডেড হিটওয়েভ অ্যালার্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নগরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ও সেই সব জনগোষ্ঠীর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে পরবর্তীতে সবার ঢাকা অ্যাপে এই হিটওয়েভ অ্যালার্ট সিস্টেমের সংযোজন খুব যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।
এ ছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, এই পোর্টালের বিশেষ সুবিধা যেটা তা হলো, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের কাছে সরাসরি সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে অ্যালার্ট চলে যাবে এবং করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায়, সিটি কর্পোরেশনের চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি হিটওয়েভ প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ সকল কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে এবং হিটওয়েভজনিত ক্ষতি প্রতিরোধ করতে এই পূর্বাভাস পোর্টালের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মশালায় অংশ নেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে পরিচালক আজিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নেতাই চন্দ্র দে সরকার, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ। রাইমসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম লিড, রায়হানুল হক খানসহ বিভিন্ন এনজিও ও আইএনজিও থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান তার স্বাগত বক্তব্যে বর্তমান সময়ে চলমান হিটওয়েভের বৈরী প্রভাব ও সেক্ষেত্রে এই নতুন পোর্টালের প্রযুক্তিগত উপযোগিতা, উন্নতি এবং নির্ভরযোগ্যতার বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সব অংশগ্রহণকারীকে সঠিক পূর্বাভাস গ্রহণের আহ্বান জানান এবং হিটওয়েভের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই পোর্টালের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সবশেষে অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ একটি উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং পোর্টালের সঙ্গে জড়িত সংস্থাসমূহের কার্যক্রমের বিস্তর আলোচনা ও মতামত প্রদান করেন। সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে এ সকল কার্যক্রমের মান আরও বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান, যেন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কীকরণ বার্তাসমূহ আরও সূক্ষ্ম, স্থানভিত্তিক ও বেশি লিডটাইম বা আগাম সময়ভিত্তিক করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনারেল মো মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকার বাতাস আজ খুব অস্বাস্থ্যকর
বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় শীর্ষ অবস্থারে রয়েছে ভারতের দিল্লি। তবে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানীর ঢাকা। ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ২৪০ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
ভারতের দিল্লি, মিশরের কায়রো এবং পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর যথাক্রমে ৩৬৯, ২১৩ ও ১৯০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রোববার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট
বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের মার্কেটে যেতে হয়। কিন্তু গিয়ে যদি দেখা যায় মার্কেট বন্ধ তাহলে মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায়।
তাই যে মার্কেটে যাচ্ছেন তা খোলা নাকি বন্ধ তা জেনে যাওয়াই ভালো। তাহলে জেনে নেই রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট অঞ্চল, তেজগাঁও শিল্প অঞ্চল, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, ২, বনানী, মহাখালী বাণিজ্যিক অঞ্চল, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাল অঞ্চল, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ীর একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, সানারপাড়।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
বিসিএস কম্পিউটার সিটি (আইডিবি), পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লী, ইব্রাহীমপুর বাজার, রজনীগন্ধা মার্কেট, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ ও ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোড়ান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স, মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেট।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
শনিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার দোকানপাট, শপিং সেন্টার ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চানখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, দোলাইপাড়, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শাঁখারী বাজার।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
নয়াবাজার, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, আজিমপুর সুপার মার্কেট, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শারিফ ম্যানসন।
যে দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে
শিশু একাডেমি ও জাদুঘর শুক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ নেই
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আলুর দাম ৫ টাকা কমেছে। প্রতি ডজন ডিমের দাম ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ, চিনি, ছোলা ও শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এদিকে, বাজার থেকে অনেকটা উধাও হয়ে গেছে সয়াবিন তেল।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুর মুসলিম বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবারও বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা মঙ্গলবারে এসে ৫ টাকা কমেছে। সরবরাহ বাড়ায় শীতকালীন সবজির দামও কমেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউ পিস হিসেবে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি টমেটো ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা। একইভাবে প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রমপুর ডিম ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী শামসুল আলামিন বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির জোগান বেড়েছে। ডিমের ওপর চাপ কিছুটা কম। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়, গত বুধবার থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। একইভাবে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি ছোলা ১২৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় ও প্রতিকেজি চিনি ১২৫ টাকা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১২ নম্বরের মুসলিম বাজারের ৫-৬টি মুদি দোকাম ঘুরে মেলেনি কোনো সয়াবিন তেল। আলিমুদ্দিন নামের একজন বিক্রেতা বলেন, কোম্পানি রেট বাড়াবে, এখন সাপ্লাই বন্ধ। ২-৩ দিন ধরে কোনো সয়াবিন তেল দিচ্ছে না।
আরেক বিক্রেতা বলেন, অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নাই। অনেকেই আবার মজুত করে রাখছেন দাম বাড়লে বেশি দামে বিক্রি করবে।
কয়েকটি দোকানে প্যাকেটজাত সয়াবিন পাওয়া গেছে। তারা তেল বিক্রি করছে গায়ের রেটেই। রূপচাদা ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৬৭, ৩ লিটার ৩৩৪ টাকা ও ৫ লিটার ৮১৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি শুল্ক, কর কমিয়ে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সয়াবিনের দাম কমেনি। বিক্রেতারা বলছেন, তারা চাহিদার ১০ শতাংশ তেলও পাচ্ছেন না।
অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫-১৯৫ টাকা, কক মুরগি ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০-৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকার ও ওজন অনুযায়ী, প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৮০০-২২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৮০০ টাকা, শিং ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৯০০ টাকা, কাজলী মাছ ৮০০-১২০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, কাচকি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে রাজধানী ঢাকা
আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ছুটির দিনেও বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষে রাজধানী ঢাকা। শুক্রবার ঢাকার বায়ুদূষণের বড় উৎসগুলো যেমন যানবাহনের চলাচল কম, আবার অনেক কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে। তারপরও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর।
বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিশ্বের বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার দূষণ স্কোর ২৪২ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হো চি মিন শহরের দূষণ স্কোর ১৯০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের দুটি শহর করাচি ও লাহোর। ভারতের দিল্লি রয়েছে ৭ নম্বরে।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এই অবস্থায় নগরবাসীকে জানালা বন্ধ রাখার পাশাপাশি ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায়।