খেলাধুলা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলনসই পুঁজি

ফের ব্যর্থ হলেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। এরপর জাকের আলি ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটিতে পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। শেষটাও ভালো করেন রিশাদ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন টস জেতেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি বেছে নেন আগে বল করার। তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের জুটিতে প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান আসে বাংলাদেশের।
কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে লিটন দাস রীতিমতো পাগলামি শুরু করেন। ব্লেসিং মুজারাবানির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়েও সেটি ঠিকঠাক করতে পারেননি। টানা তৃতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। ১৫ বল খেলে ২ চারে কেবল ১২ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়ে যান। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় ও রাজার করা প্রথম বলে রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকান শান্ত। দুই বল পর স্ট্রাইকে ফিরে হয়ে যান বোল্ড। রাজার আর্ম বলের লাইন মিস করেন ৪ বলে ৬ রান করা শান্ত।
এরপর উইকেটে এসে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান। দুজনের ২৬ বলে ৩১ রানের জুটিতে আশা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যায় ফারাজ আকরামের বলে।
তার বলে এগিয়ে এসে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি তানজিদ। মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ২১ রান করে। এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর হৃদয়ের সঙ্গী হয়ে দলকে টেনে নেন জাকের আলি অনিক। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও আস্তে আস্তে হাত খোলেন জাকের ও হৃদয়।
৩৪ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পান তাওহীদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে স্কুপ করে চার হাঁকান হৃদয়। কিন্তু পরের বলেই তার ইয়র্কারে হয়ে যান বোল্ড। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন হৃদয়। জাকেরের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৮ বলে ৮৭ রানের।
হৃদয়ের এক বল পর মুজারাবানির আরেক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান জাকের আলি অনিকও। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ১৬ রান নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন। রিয়াদ ৯ ও রিশাদ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন মুজারাবানি। একটি করে উইকেট পান ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
এমআই

খেলাধুলা
হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ

ভুটানের মাটিতে সবশেষে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার নিজ দেশের মাঠে বাংলাদেশ সেই হারের প্রতিশোধ নিলো দেশের ফুটবলের তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। নতুন সাজে তৈরি হওয়া এই স্টেডিয়ামে বুধবার ২-০ গোলে ভুটানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে ভুটানের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। জয়ে দারুণ প্রস্তুতিই হলোা ক্যাবরেরার দলের।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের কোচ বলেছিলেন, হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের শক্তি বাড়িয়েছে। হামজা ৪৫ মিনিটে খেলেছেন। কাজের কাজটি তিনি করেছেন ৬ মিনিটের মধ্যে গোল করে দলকে লিড এনে দেওয়ায়। জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচেই গোল করলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন সিনিয়র সোহেল রানা। ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামকে কিছু সময় খেলাবেন বলেছিলেন কোচ। তাকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত খেলিয়েছেন কোচ। প্রথম দিন ফাহামিদুল নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠ বাংলাদেশের অনেক ফুটবলারের জন্যই নতুন। বহুদিন পর এই মাঠে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ হতাশ করেনি। প্রাধান্য বিস্তার করেই বাংলাদেশ প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে।
আগামীকাল ফুটবরারদের রিকভারি। পরের দিন থেকে নেমে পড়বেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের অনুশীলনে। কানাডা প্রবাসী শামিত সোম যোগ হবেন ওই অনুশীলনে। শামিত ছাড়া বাকি ২৫ জনই ছিলেন ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে। কোচ ৫ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে পরখ করেছেন।
বিরতির পর কোচ মাঠে নামিয়েছেন ডিফেন্ডার শাকিল আহামদ তপু, মিডফিল্ডার রিদয়, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে।
বাংলাদেশ একাদশ
মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তাজউদ্দিন, সাদ উদ্দিন, সোহেল রানা, ফাহামিদুল, জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মন, রাকিব হোসেন, কাজেম শাহ, তারিক কাজী, হামজা চৌধুরী।
কাফি
খেলাধুলা
ঢাকায় ফিরেছেন হামজা চৌধুরী

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে ঢাকায় পা রেখেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে দেশের মাঠে প্রথমবারের মতো খেলতে দেখা যাবে তাকে।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামজার অবতরণের কথা থাকলেও ফ্লাইট বিলম্বের কারণে তিনি পৌঁছান ১০টা ৫৫ মিনিটে। সেখান থেকে তিনি সরাসরি জাতীয় দলের টিম হোটেলে উঠেন। গত মৌসুমে ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলা এই মিডফিল্ডার মার্চে ভারতের শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।
আগামী ১০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে। তবে হামজা কোন ম্যাচে মাঠে নামবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছেন, দেশের মাঠে খেলার আগে হামজাকে কিছুটা ম্যাচ অভিজ্ঞতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে তিনি এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি, হামজাকে ভুটান ম্যাচে খেলানো হবে কি না।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং—চার দলেরই পয়েন্ট সমান ১। ফলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় পেলে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে উঠে যাওয়ার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের সামনে। এ লক্ষ্যেই চলছে দলের প্রস্তুতি।
এই ম্যাচকে ঘিরে জাতীয় দলের অনুশীলন চলছে জোরেশোরে। ইতোমধ্যে দুই দিন অনুশীলন সম্পন্ন করেছে জামাল ভূঁইয়াদের দল। রোববার তারা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন করেন। সোমবারও তৃতীয় দিনের প্রস্তুতি হবে একই ভেন্যুতে। সতীর্থদের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার জন্য হাতে রয়েছে অল্প সময়, তবে তা যথেষ্ট বলেই মনে করছেন কোচ।
দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন আরেক প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলাম, যিনি গত বুধবার ইতালি থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। কানাডাপ্রবাসী সামিত সোমের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে আসছে বুধবার। ২৬ জনের প্রাথমিক দলে এই দুই বিদেশফেরত ফুটবলারের পাশাপাশি এখন নজর হামজার দিকেও। তার অভিজ্ঞতা এবং ইউরোপীয় ফুটবলের ছোঁয়া জাতীয় দলের মধ্যমাঠে ভরসা হয়ে উঠতে পারে বলেই বিশ্বাস করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খেলাধুলা
বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন আমিনুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দীর্ঘদিন আইসিসির গেম ডেভেলপমেন্টে কাজ করা আমিনুল এবার হাল ধরেছেন দেশের ক্রিকেটের।
শুক্রবার (৩০ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করে আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
এদিন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকদের সভায় পরিচালকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সরকারের বিভিন্ন মহলে পরিবর্তন ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বিসিবির পরিচালক হয়ে পরিচালকদের প্রতক্ষ ভোটে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ।
কিন্তু ৯ মাসের মাথায় পরিচালকদের অনাস্থার কারণে ২৯ মে ফারুক আহমেদের পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আর তাই তিনি বিসিবির সভাপতি হিসেবে থাকার যোগ্যতা হারালেন। তার পরিবর্তে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
কাফি
খেলাধুলা
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড

শারজাহতে ম্যাচে আরব আমিরাত টিকে ছিল অনেকটা সময় পর্যন্ত। তবে মুস্তাফিজুর বারবারই ম্যাচটা টেনে এনেছিলেন বাংলাদেশের দিকে। দুই ডেথ ওভারে করেছেন মোট সাতটি ডট বল। উইকেট ছিল ১টি। তবে মূল কাজের কাজ করে দিয়েছে ডট বলগুলোই।
টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজুর রহমানের ইতিহাসটাও হয়েছে ওই ৭ ডট বলের কল্যাণে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ডেথ ওভারে ৩০০ ডট বল দিয়েছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। আগে থেকেই এই তালিকায় মুস্তাফিজ ছিলেন সবার ওপরে। গতকাল সেটাকে নিয়ে গেলেন অন্য মাত্রায়।
শনিবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই কৃতিত্বে নাম লেখান মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের এই পেসার যেদিন ডেথ ওভারে ৩০০ ডটবল দিয়েছেন, তখন পর্যন্ত আর কোনো বোলারের ২৫০ ডট বলের রেকর্ডও নেই। দুইয়ে থাকা ক্রিস জর্ডানের ডট বল ২৪১টি।
ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি ডট বল
৩০০ – মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
২৪১ – ক্রিস জর্ডান (ইংল্যান্ড)
২৪০ – টিম সাউদি (নিউ জিল্যান্ড)
২২২ – হারিস রউফ (পাকিস্তান)
২০৮ – জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)
তালিকার এই ৫ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম রানের তালিকায় মুস্তাফিজ আছেন তিনে। সেদিন বিবেচনায় জাসপ্রিত বুমরাহ আর হারিস রউফ আছেন শীর্ষে। ৮৭ ইনিংসে ৭২৫ বল করে মুস্তাফিজ ডেথ ওভারে দিয়েছেন ৯৯০ রান। বুমরাহ ৫৬৩ রান খরচা করেছেন ৪৯৫ বলে। আর হারিস রউফ ৭৮২ রান দিয়েছেন ৫৮৬ বল করে।
তালিকায় উইকেটের দিক থেকে ফিজের আগে আছেন অবশ্য কেবলই টিম সাউদি। ১০০ ইনিংসে ডেথ ওভারে সাউদির উইকেট ৬৫টি। ১৩ ইনিংস কম বোলিং করে মুস্তাফিজের উইকেট ৬৩।
আবার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বাদ দিলেও ডট বলের পরিসংখ্যান যথেষ্ট দারুণ মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য। সবধরণের টি-টোয়েন্টি মিলে ডেথ ওভারে ৮১৬ ডটবল তার। এই হিসেবে মুস্তাফিজের অবস্থান তিনে।
সবরকমের টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় ডেথ ওভারে ১ হাজার ১৬৪ ডট বল আছে ডোয়াইন ব্রাভোর। দুইয়ে আছেন ৮৯৩ ডট বল দেয়া ক্রিস জর্ডান। তিনে আছেন মুস্তাফিজ। এই তালিকায় আর কারোরই ৮০০ ডট বল দেয়ার কৃতিত্ব নেই।
খেলাধুলা
মায়ামির জয়রথে মেসি-সুয়ারেজের সোনালি ছোঁয়া

অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটল। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সমন্বয়ে ইন্টার মায়ামি ফিরল জয়ের ধারায়। শনিবার নিউইয়র্ক রেড বুলসকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে টানা তিন ম্যাচের জয়-খরা কাটাল ডেভিড বেকহামের দল। একইসাথে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে বিদায়ের হতাশাও খানিকটা ঝেড়ে ফেলল তারা।
ম্যাচ শুরু থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল—মায়ামি এদিন জয় ছাড়া কিছু ভাবেনি। চতুর্থ মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে ফাফা পিকল্ট নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ম্যাচের প্রথম গোল করেন। এরপর গোলের ধারা অব্যাহত থাকে। ৩০তম মিনিটে রাইট-ব্যাক মার্সেলো ওয়েইগান্ট ব্যবধান বাড়ান, কিছুক্ষণ পর নিজেই এক গোল করেন সুয়ারেজ—স্কোরলাইন হয় ৩-০।
প্রথমার্ধের শেষদিকে নিউইয়র্ক কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক স্ট্রাইকার এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং একটি গোল পরিশোধ করেন। তবে সেটিই ছিল তাদের একমাত্র সান্ত্বনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ফয়সালা করে দেন মেসি। টানা চার ম্যাচে গোলহীন থাকার পর ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক একক প্রচেষ্টায় গোল করে স্কোরলাইন ৪-১ করেন, যা ম্যাচের চূড়ান্ত ফলাফল হয়ে দাঁড়ায়।
এ জয় মায়ামিকে উপহার দিয়েছে বহুল প্রত্যাশিত তিন পয়েন্ট। এখন ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা ইস্টার্ন কনফারেন্সের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। ভ্যাঙ্কুভারের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এমন জয় দলকে নতুন উদ্দীপনা দেবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পুরো ম্যাচজুড়েই মায়ামির খেলায় ছিল গতি, ধার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—স্পষ্ট লক্ষ্য। মেসি ও সুয়ারেজ আবারও প্রমাণ করলেন, প্রয়োজনের সময় তারা এখনও দলের মূল চালিকাশক্তি।