এক বছরের ব্যবধানে দেশের বেকারের সংখ্যা কোনো পরিবর্তন হয়নি। চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের একই সময়েও বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার।
বছরের ব্যবধানে মোট বেকারের সংখ্যায় পরিবর্তন না এলেও নারীর তুলনায় পুরুষের বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ হাজার। অন্যদিকে নারী বেকারের সংখ্যা কমেছে ৩০ হাজার।
সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য বলছে, মার্চ মাস শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের মার্চ শেষেও বেকারের সংখ্যা একই ছিল। তবে এবারের জরিপ বলছে, দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ৩০ হাজার বেড়ে ১৭ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যেটি এক বছর আগেও ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজারে। একই সময়ে নারী বেকারের সংখ্যা ৩০ হাজার কমে ৮ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের মার্চ মাস শেষে নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার।
বেকারের সংজ্ঞায় বিবিএস বলছে, বেকার মূলত তারাই যারা গত ৭দিনে কমপক্ষে একঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। শুধু তাই নয়, যারা গত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরির বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন কিন্তু পাননি তারাই বেকার। যারা গত সাতদিনে কমপক্ষে একটি মুরগিও পালন করেছেন তাদেরকে বেকার হিসেবে গণ্য করে না বিবিএস।
হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, গত বছরের মার্চ মাসেও বেকারত্বের হার একই ছিল। তবে পুরুষ বেকারত্বের হার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে, যেটি এক বছর আগেও ছিল ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তবে নারী বেকারত্বের হার কমে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, এক বছর আগে যা ছিল ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।
এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।