জাতীয়
নীতি পরিবর্তন না হলে কর-জিডিপি অনুপাত আরও কমবে: সালমান এফ রহমান
![নীতি পরিবর্তন না হলে কর-জিডিপি অনুপাত আরও কমবে: সালমান এফ রহমান ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/SALMAN-F-RAHMAN-1.jpg)
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর আহরণের বর্তমান নীতি পরিবর্তন না করলে দেশে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়বে তো না-ই, উল্টো কমে যাবে। রাজস্ব বাড়াতে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের কাজে গতি আনতে হবে।
রোববার (৫ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, এনবিআর চেষ্টা করে, যারা কর দেয়, তাদের ওপর আরও বেশি কর কীভাবে ধার্য করা যায়। কিন্তু যারা কর-জালের বাইরে আছে, তারা বাইরেই থাকছে। এসব মানুষকে কর-জালের আওতায় আনার উদ্যোগ এনবিআরের নেই।
সালমান এফ রহমানের অভিযোগ, এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই। সেখানে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে ভ্যাট বিভাগ, আয়কর বিভাগ ও শুল্ক বিভাগে কাজ করা মানুষেরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না; তাঁদের মধ্যে কোনো “কানেক্টিভিটি” (সংযোগ) নেই। সেখানে যদি বড় সংস্কার আনা না যায়, তাহলে আমাদের কর-জিডিপি অনুপাতের উন্নতি হবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
গ্রাহকের মেয়াদোত্তীর্ণ মোবাইল ডাটার কী হবে
![গ্রাহকের মেয়াদোত্তীর্ণ মোবাইল ডাটার কী হবে ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/internet.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ হয়ে যায় থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিষেবা। যার করণে ২৭ জুলাই (শনিবার) ১০ দিন ধরে গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায়, যেসব গ্রাহকের ইন্টারনেট ডাটা অব্যবহৃত অবস্থায় মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি জানতেই এখন উদগ্রীব সবাই।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সবার আগে চিন্তা করা হবে। গ্রাহকরা যে ডাটা ব্যবহার করতে পারেননি সেটি যেন ব্যবহারযোগ্য করা যায় সে বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। এমন একটি নির্দেশনা আমরা অপারেটরদের দেবো।
বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থে কাজ করি। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
একইসঙ্গে এই মাসের ২৮ বা ২৯ তারিখ থেকেই মোবাইল ডাটা চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালু হলেও এখনও ফেসবুক, মেসেঞ্জারের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ফেসবুক-টিকটক তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইনস নিজেরাই মেনে চলে না। তারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা নেয়।
অথচ আমাদের দেশে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, পুলিশকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার ছবি-ভিডিও প্রকাশ করে উসকানি ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেগুলোকে তারা ব্লক করছে না। এগুলোকে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমনকি তারা সেই কন্টেন্টের বুস্টিং থেকে আয় করছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি সেখানে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
![পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/home-minister.jpg)
পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার রাতে নিজ বাসভবনে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এ সময় কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
![অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/prime-minister-pm.jpg)
দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই দেশজুড়ে সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় দেশবাসীর কাছে নাশকতাকারীদের বিচার চাইলেন তিনি।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) সাম্প্রতিক সহিসংতায় আহতদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। আন্দোলনের নামে এতগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব কার? দেশবাসীর কাছে নাশকতাকারীদের বিচার চাই।’
এ সময় সরকার আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।
তার আগে ওই দিন রাজধানীর রামপুরায় নাশকতাকারীদের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার চিন্তা নিয়েই দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে। মেট্রোরেল যা ছিল সারা বিশ্বের সব বাঙালির গর্বের সম্পদ, সেটাকে ধ্বংস করল। আর এই টেলিভিশনটা। যেসব জিনিস মানুষের সেবা করে, মানুষের কাজ করে বেছে বেছে সেই জায়গাগুলোতেই তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াত অতীতের মতোই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। এবার তারা আলাদা; তারা গান পাউডার ব্যবহার করেছে। দেশের বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট ও মানুষের রুটি-রুজি বন্ধের পাঁয়তারা করছে তারা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত সপ্তাহে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিটিভিসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল
![আজও বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/curfew.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা কারফিউ এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। আজও (শনিবার) ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ চলবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলোর কারফিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হবে।
এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে তাণ্ডব শুরু হলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১ মাসে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ
![১১ মাসে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/garments.jpg)
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে আয় করেছে ৩৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয়ে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
ইপিবি তাদের প্রকাশিত তথ্যে দেখিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। ফলে প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, নিট পোশাকের রপ্তানি আয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে ছিল ১৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ওভেন পণ্যের আয় কমেছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। ওভেন পণ্য থেকে আয় হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক শিল্পের আয় কমার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা। কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পোশাকের ইউনিটের দাম কমে যাওয়া। বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কার্যাদেশের কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতাও লক্ষণীয়।
তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এসএম মান্নান কচি জানান, রপ্তানিমুখী পোশাক পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। কারণ শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য। ফলে আমাদের প্রতিযোগীদের সঙ্গে মূল্য সক্ষমতায় টিকে থাকতে পারছি না। এমনই সংকটময় মুহূর্তে ক্রেতারা পণ্যের দাম কমিয়েছেন। ফলে রপ্তানিতে ছন্দপতন হয়েছে। রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সামনের মাসগুলোতেও নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
কাফি