টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন পলিসি
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মটিতে আসছে নতুন পলিসি। এই পলিসিতে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার ওপর জোর দেয়া হবে। নিয়ম ভাঙলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। ব্যবহার করা যাবে না হোয়াটসঅ্যাপ।
নতুন পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করেছে কোম্পানি। শিগগিরই আসতে চলেছে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশন ফিচার। অর্থাৎ বেশ কিছু নিয়ম চালু করা হবে। যা না মানলে চ্যাট করা বন্ধ হয়ে যাবে। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করবে মেটা। এই ফিচার খুব তাড়াতাড়ি রোল আউট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কিছুদিন আগে নতুন ফিচারটি সম্পর্কে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ বেটা ইনফো। যার অর্থ হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি লঙ্ঘন করলে কিছু সময়ের জন্য চ্যাটিং করতে পারবেন না। অ্যাপ খুলবে কিন্তু কাজ করবে না। সব ফিচার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তবে একটি সুবিধা থাকবে।
ইতিমধ্যে প্ল্যাটফর্মে একাধিক অটোমেটেড টুল বসিয়ে রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপ। যাদের কাজ হল অ্যাপে কোনও স্প্যাম, বাল্ক মেসেজ এবং অন্যান্য অপব্যাবহার হচ্ছে কি না দেখা। হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন থাকায় স্বাধীন ভাবে কাজ করে এই অটোমেটিক টুলগুলো। যদি কোনও অপব্যাবহার বা স্প্যামিং ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
রোববার রাতে ৩ ঘণ্টা থাকবে না ইন্টারনেট
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
এতে বলা হয়, আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৩টা (১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টা) থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এই সময়ে SMW4 এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। এ কারণে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বিএসসিপিএলসি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি
বর্তমানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) স্বীকৃত। আমাদের দেশে বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন সব কাজকর্ম, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ-প্রকৃতি, বিনোদন-সংস্কৃতি সব মাধ্যম ইন্টারনেট নির্ভর। করোনা মহামারিতে আমাদের দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়েছিল।
ইন্টারনেট না থাকায় আমরা কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময়। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল প্রায় ১৩ দিন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ৮ দিন, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ ছিল প্রায় ১৫ দিন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল কেবল ইন্টারনেট বন্ধের কারণে। ব্যাংক বীমা চিকিৎসা সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ইন্টারনেট এখন আর শুধু বিনোদন কিংবা কথা বলার বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইন্টারনেট এখন স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। তাই বাংলাদেশে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডাটা সুরক্ষা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডাটা সুরক্ষা অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক নাগরিক মতামত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় বেসিসর সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্টারনেট নির্ভর। বিশ্বের সঙ্গে সব যোগাযোগসহ দেশের প্রায় সব কাজই এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজই হয় এখানে। সুতরাং ইন্টারনেট এখন সাধারণ কিছু না। এটি মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা জানি, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বিষয়ে জানি। ইন্টারনেটে যেন আমার ডাটাটা সুরক্ষিত থাকে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকারকে প্রস্তাব দিতে হবে এবং যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ইন্টারনেটে মৌলিক অধিকার দেওয়ার যে প্রস্তাব এসেছে, সেটার সঙ্গে আমি একমত। যে কারণে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। যে কারণে এ প্রজন্ম ফার্মের মুরগি তকমা ছাড়িয়ে রাজপথে নেমেছে। সেই মাধ্যমটাকে ছোট করার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলের পয়সা উৎপাদনের কিছু ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটের ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা। এ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা দাবি করছি এ ব্যবসাগুলোকে কর্পোরেট করে ফেলার। কারণ এখান থেকে রাজনৈতিক দলের নেতারা কোটি কোটি টাকা আয় করেন।
তিনি বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের এ দাবির সামারি আমাদেরকে দেবেন। আমরা সেগুলো প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছাব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করবেন যেভাবে
বর্তমানে সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। যার মাধ্যমে টেক্সট মেসেজের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও কল করা যায়। তবে অ্যাপটিতে কল রেকর্ড করার কোনো অপশন নেই। তবে আপনি চাইলে সহজেই যে কারো ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন।
যেভাবে রেকর্ড করবেন হোয়াটসঅ্যাপ কল
মূলত হোয়াটসঅ্যাপে এমন কোনো অফিসিয়াল ফিচার নেই, যার মাধ্যমে কল রেকর্ড করা যায়। তবে সহজ কিছু উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি যে কারও ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি কল রেকর্ডিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কিউব এসিআর (Cube ACR) আরো অনেক কল রেকর্ডার অ্যাপ রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো একটি অ্যাপ ইনস্টল করে নিতে পারেন।
অ্যাপটি ইনস্টল হয়ে গেলে, হোয়াটসঅ্যাপে যান এবং যে কাউকে ভয়েস কল করুন। আপনি হোয়াটসঅ্যাপ কল শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কিউব এসিআর নিজে থেকেই তার কাজ শুরু করবে এবং আপনার কলের রেকর্ডিং ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে সেভ হবে।
আপনি যদি দেখতে চান আপনার রেকর্ড করা কলগুলো কোথায় আছে এবং আপনি সেগুলো যদি আবার শুনতে চান, তাহলে আপনাকে ফাইল ম্যানেজারে যেতে হবে। আপনি যদি এখানে রেকর্ডিং খুঁজে না পান, তবে আপনি কিউব এসিআর অ্যাপে গিয়ে রেকর্ডিং দেখতে পারেন। শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই নয়, আপনি চাইলে এই অ্যাপ আইফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
যে কারণে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার
গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে দেশে আর আমদানি, উৎপাদন কিংবা বিক্রি করা যাবে না সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার। রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাউটার পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিঙ্গেল ব্যান্ড, ডুয়াল ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার রয়েছে। সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারগুলোতে ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কম। এ ক্ষেত্রে ডুয়াল-ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার সিঙ্গেল ব্যান্ডের চেয়ে বেশি কার্যকর। এ জন্য দেশে সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটারের আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী বছর থেকে ডুয়াল-ব্যান্ড সাপোর্ট করে শুধু এমন রাউটারই বিদেশ থেকে আমদানি এবং দেশে উৎপাদন করা যাবে। দেশের বাজারে যেসব ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা হবে সেগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ২ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫ দশমিক ৭২৫ থেকে ৫ দশমিক ৮৭৫ গিগাহার্জ, উভয় ব্যান্ড সাপোর্ট করতে হবে। এই দুটির মধ্যে একটিকে সাপোর্ট করে এমন ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা যাবে না। ফলে নিম্নমানের এবং কম ব্যান্ডের রাউটার বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও আমদানিকারক ও উৎপাদকদের ওপর বিষয়টি হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। তাদের ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা জানান, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এক ব্যান্ডের রাউটার আমদানিকারকদের কোনো কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে না। বিদেশ থেকে এগুলো আমদানির প্রক্রিয়া হচ্ছে বিটিআরসি থেকে প্রথমে অনুমতি নিতে হয়। তারপর এলসি খুলে দেশে আনা হয়। এরপর বাজারজাত করতেও আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ এপ্রিলের পর থেকে এগুলো আর বাজারজাত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এরই মধ্যে সবাইকে জানানো হয়েছে। নতুন করে কেউ আর সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার আমদানির ব্যাপারে মনোনিবেশ না করেন। এ ছাড়া বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মেটাকে ৮৪ কোটি ডলার জরিমানা করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে বৃহস্পতিবার ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ইউরো (৮৪ কোটি ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবায় ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করায় এই জরিমানা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)। খবর রয়টার্স, সিএনএন ও আল-জাজিরার
ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অন্য যেসব অনলাইনভিত্তিক শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবাদাতা বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের ওপর অন্যায্য বাণিজ্যিক শর্তারোপ করার মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিটি নিজেদের প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করেছে।
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে মেটা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই শর্ত মেনে চলা হবে এবং তাদের উত্থাপিত পয়েন্টগুলোর দ্রুত ও গঠনমূলকভাবে একটি সমাধান উপস্থাপন করা হবে।
ইউরোপীয় কমিশন দুই বছর আগে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি মেটাকে অভিযুক্ত করেছিল। কমিশন সেসময় বলেছিল, ফেসবুক মার্কেটপ্লেসকে তার শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন সেবার সঙ্গে একত্রিত করে অবৈধভাবে অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে।
২০২১ সালে জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফেসবুকের সম্ভাব্য প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। ২০২২ সালে ডিসেম্বর উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, মেটা তার প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে তার অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন সেবার সঙ্গে যুক্ত করছে।
ফেসবুক ২০১৬ সালে মার্কেটপ্লেস চালু করে এবং এক বছর পর এটি বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে এই সেবা চালু হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বলছে, মেটা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর ফেসবুক মার্কেটপ্লেস একটি অবৈধভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে। তবে এর বিপরীতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হবেন কি হবেন না, তা তারাই ঠিক করেন। বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষ ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে চায় বলেই করে। তারা এটি ব্যবহার করতে বাধ্য নয়।’
মেটা আরও বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বড় প্রতিষ্ঠিত অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে বলে ইউরোপীয় কমিশন দাবি করে, সেরকম প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি তারা।
অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের জন্য কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এমআই