অর্থনীতি
বিএসটিআই আইএসও সনদ পেল ২২ প্রতিষ্ঠান

আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ২৮টি আইএসও সনদ প্রদান করা হয়। রোববার (০৫ মে) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে এসকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দের কাছে সনদ হস্তান্তর করেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম।
অনুষ্ঠানে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর প্রথম সহসভাপতি মো. আমিন হেলালীসহ আইএসও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উপর আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ প্রদান করা হয়।
সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: লোভেন বায়োসায়েন্স বেভারেজ লিমিটেড, সেনা কল্যাণ ইলেকট্রনিক্স; জে. এইচ. এম আগারউড; নাভেদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস; আলমগীর কন্সট্রাকশন লিমিটেড; দি রানী রি-রোলিং মিলস লিমিটেড; ফুলকলি ব্রেড এণ্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড; বেসিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড; এবিএস কেবলস; লাইফ মেড পলিমার টেকনোলজি লিমিটেড; এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড; হার্বস ওয়ার্ল্ড লিমিটেড; এনেক্স লিমিটেড; এপেক্স মেটাল; নিতা কোম্পানি লিমিটেড, এবিসি কন্সট্রাকশন কেমিক্যাল লিমিটেড।
এছাড়া জে. এইচ. এম আগারউড, পিওরিয়া ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড; এবিএস কেবলস, এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর অনুকূলে পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর আইএসও ১৪০০১:২০১৫ সনদ প্রদান করা হয় এবং ভিটালেক ডেইরি এন্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ; নওরিশ ফুডস লিমিটেড, কেয়ার নিউট্রেশন লিমিটেড, প্রাইম পুষ্টি লিমিটেড; জাভেদ এগ্রো ফুড প্রসেসিং লিমিটেডের অনুকূলে খাদ্য ব্যবস্থাপনার উপর আইএসও ২২০০০:২০১৮ সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া অকুপেশনাল হেলথ সেফটি ম্যানেজমেন্টের অনূকূলে জে. এইচ. এম আগারউডকে আইএসও ৪৫০০১:২০১৮ প্রদান করা হয়।
উন্নত কর্মপরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করে বিএসটিআই’র মহাপরিচালক এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, বিএসটিআই থেকে আপনাদের আইএসও সনদ গ্রহণ প্রমান করে পণ্য মান এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছি। দেশে যত বেশি ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠবে দেশ তত বেশি উন্নত হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিএসটিআই থেকে ‘হালাল’ সনদ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছি। এভাবে সামগ্রীক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে যাওয়ার ভিশন পূর্ণ হবে।
এমআই

অর্থনীতি
ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৯০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী— সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা। আজ প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল ২ জুলাই থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি এক লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪০ হাজার ৮৩১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা ১৭ লাখের বেশি

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমেই সহজ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব করার ফলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯২ জন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। একইসঙ্গে ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ জন করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এনবিআর বলছে, সকল প্রকার আয়কর সেবা করদাতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা স্বতঃস্ফূর্ত রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
করদাতাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা বছর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ প্রদান অব্যাহত ছিল, যা চলমান থাকবে। সেই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের পর এতে কোনো ত্রুটি দেখা গেলে আয়কর আইন ২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা মোতাবেক মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর সনদ প্রাপ্তিতে বছরব্যাপী অনলাইন সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করছে।
অর্থনীতি
২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে বিদ্যুতের ১০ সাবস্টেশন

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে ভূমি উন্নয়নসহ ১০টি ৩৩/১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৭৩ টাকা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।
তার মধ্যে পাঁচটি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৬ টাকা।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৬৭ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ টাকা।
অর্থনীতি
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন রেকর্ড

কনটেইনার পরিবহনে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ বন্দর কনটেইনার পরিবহন করেছে প্রায় ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টিইইউস। বন্দরের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং। আগের অর্থবছরের তুলনায় এবারে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি টার্মিনাল, কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও পাঁনগাঁও নৌ টার্মিনালের মাধ্যমে এসব কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনারও।
জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, বাংলাদেশে কনটেইনার পরিবহনের জন্য দুটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। এর একটি চট্টগ্রামে। আরেকটি মোংলাতে। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই আনা-নেওয়া করা হয়। মোংলার মাধ্যমে হয় মাত্র ১ শতাংশ। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। দ্বিতীয় বন্দরকে আরও কার্যকর করা দরকার।
বন্দর সচিব জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩২ লাখ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল। সেই হিসেবে এটা নতুন রেকর্ড। বন্দরের ইতিহাসে এর আগে এত কনটেইনার হ্যান্ডেল হয়নি আর কখনোই।’
তিনি জানান, বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরের কার্যক্রম নানামুখী বাধার মুখে পড়েছে। অর্থবছরের শেষের দিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মসূচিসহ কিছু প্রতিবন্ধকতা না থাকলে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা আরও বাড়ত। ৩৩ লাখের মাইলফলক অল্পের জন্য ছুঁতে পারেনি তারা।
প্রসঙ্গত, ৪৮ বছর আগে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে হিসেব করলেও এবার সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা।
অর্থনীতি
নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের জন্য অর্থের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয়তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে এনবিআরকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, আগেও প্রজ্ঞাপন নেই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নট এ ডিসিশন মেকার (আমি কোনো সিদ্ধান্তদাতা নই)। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনার দরকার আছে কি নেই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাওয়া আছে কি না সেটা বুঝলে পরে আমরা বসবো।
বন্দরের স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে সেগুলো এখন জাহাজিকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।
আন্দোলনকারীদের ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আপনি নেই বলে কোনো কাজ থেমে থাকবে এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।