জাতীয়
পরিবেশ সাংবাদিকতায় সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে তৃণমূলে, গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে যদি কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রতিবেদক স্থানীয় বা তথাকথিত প্রভাবশালী দ্বারা যদি কোনো ধরণের সমস্যায় পড়েন, সেক্ষেত্রে সরকার সেই সাংবাদিকদের বা প্রতিবেদকদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, সহযোগিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এর কারণ জাতীয়ভাবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, পরিবেশকে বিপর্যয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী কিন্তু বড় শিকার। যে কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর যেকোনো প্লাটফর্মে আমরা এ বিষয়ে উচ্চকন্ঠ থাকি এবং এখানে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করি সরকার, সুশীল সমাজ,গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখে ফেলেন এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক বা প্রতিবেদককে বিপদে পড়তে হয়, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে এ বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। কারণ, সরকার মনে করে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে যারা স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্যুতি-ব্যত্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তারা সরকারকে সহযোগিতা করছেন, দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমরা যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করতে চাই, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষা করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চালিয়ে রাখতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনেকে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করে থাকে। পরিবেশকে অনেক ক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নয়ন-অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা হয়, সেটা পেশাদার সাংবাদিকতা বলা যায় না।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সততা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা থাকা দরকার। সাংবাদিকতার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়ে এ ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বাধীনতা তৈরির জন্য যে ধরনের পলিসি নেওয়া দরকার সেটা নিয়েও সরকার কাজ করছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর করা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফ-এর সূচক প্রকাশ ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের মেথডোলজির মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। আরএসএফ বিভিন্ন দেশে স্কোরিং করার ক্ষেত্রে যাদের মতামত নিচ্ছে, তাতে কিছু মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটছে। সেটা কোনভাবেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশের প্রতিফলন হচ্ছে না। এটা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তবে একইসাথে এ ধরণের প্রতিবেদনে কোন সত্য বা আমাদের দুর্বলতা থাকলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এর সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভায় ‘জলবায়ু রাজনীতি: সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী।
এর আগে, সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত অপর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের অবস্থান মূলত পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে। শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমধ্যমের সুরক্ষা এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, এমনি তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্তৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অপসংবাদিকতাও আমরা দেখি যেকোন বিষয়কে কেন্দ্র করে। এটি কিন্তু শুধু আমি বলছি না আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তারা স্বাধীনতা যতো চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যতো তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। সরকার মনে করে গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা সরকারের বন্ধু। তারা সরকারকে সহযোগিতা করেন।
কাফি

জাতীয়
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

বৈধ অস্থায়ী কাজের অনুমতিপত্র (পিএলকেএস) সম্পন্ন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) সুবিধা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং ব্যক্তিগত যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বস্তি দেবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে একটি নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য প্রকাশ করেছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব (নীতি ও নিয়ন্ত্রণ) এই বিষয়ে একটি স্মারকপত্র জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদের এই বছর সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা হয়েছে, তাদের নতুন করে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করার প্রয়োজন নেই। সবার সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসাগুলো এখন মাল্টিপল এন্ট্রিতে রূপান্তরিত হবে।
এর আগে, কর্মীদের সাধারণত সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে হতো, যা তাদের দেশের বাইরে যাওয়া এবং পুনরায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিত। কিন্তু মাল্টিপল ভিসা সুবিধা কর্মজীবনের পাশাপাশি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্য দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেবে, যা তাদের মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন খাতে কর্মরত রয়েছেন। এই সুবিধা তাদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং কর্মীদের কাজের পরিবেশে আরও স্থিতিশীলতা আনবে। এই পদক্ষেপ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয়
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের কাছে উপহার হিসেবে আম পাঠানো হচ্ছে। ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপহারের আম পৌঁছানো সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
যেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের কাছে উপহারের আম পাঠানো হচ্ছে তারা হলেন- ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী; ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; নেপালের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের কয়েকটি প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর (যেমন পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা) আম পাঠানো হচ্ছে।
জাতীয়
অনুমোদন পেলেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আলমারিতে থাকা তিস্তার পরিকল্পনা বের করে সংশোধন করা হয়েছে। সেটি পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেখান থেকে হয়তো এ সপ্তাহের মধ্যে অন্য দপ্তরে যাবে। এরপর অনুমোদন পেলেই মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রংপুর নগরীর কেল্লাবন্দ এলাকায় শ্যামাসুন্দরীর উৎসমুখ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ঝুলে থাকা একটা কাজ তিস্তা মহাপরিকল্পনা। আমরা এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ করছি। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই।
আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫টি পয়েন্টে ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যাতে করে অকাল বন্যা, নদীভাঙন ও ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হয় তিস্তাপাড়ের মানুষ।’
শ্যামাসুন্দরী খাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রংপুরের ঐতিহ্যের এই খাল খনন করে এর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাতত ১০ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হবে। যেখানে বাধা আসবে সেই সমস্যা সমাধান করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। এটি বাস্তবায়ন হলে রংপুর নগীরর পরিবেশ রক্ষা হবে। সেইসঙ্গে ৩৫টি পয়েন্টে বাসাবাড়ি, কলকারখানার যে বর্জ্য পড়ে তা ঠেকাতে ডাম্পিং তৈরি করা হবে।’
এসময় রংপুর বিভাগীয়, জেলা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা জেলার কাউনিয়া রেলসেতু এলাকায় তিস্তা নদী পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। বিগত সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতে এবং চীনের সঙ্গে পরামর্শ করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন তিস্তাপাড়ের মানুষ আর ভাঙনের শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিস্তা পরিকল্পনার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার।
জাতীয়
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
শহীদদের মাগফেরাতের জন্য বুধবার সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এরই মধ্যে এ দিনটিকে সরকার ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘোষণা করেছে।
জাতীয়
ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বাতিলে লাগবে গণভোট: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান সংশোধনের মতো দুই- তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যদের ভোটে বাতিল করা সম্ভব হবে না। এর জন্য প্রয়োজন হবে গণভোট।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১৪তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে একটা জায়গায় আমরা একমত হয়েছি যে, যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় অথবা উচ্চকক্ষ গঠিত হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হবে। তবে সুনির্দিষ্ট কতগুলো অনুচ্ছেন যেমন প্রস্তাবনা অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেটি ৫৮ (ক), ৫৮ (খ) এবং ৫৮ (ঙ) অনুচ্ছেদ দ্বারা সংবিধানে যুক্ত হবে সেগুলো সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভবিষ্যতে বাতিলের জন্য সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরবর্তী সময়ে যদি সংশোধনের প্রয়োজন হয় বা কোনো উদ্যোগ থাকে তার জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি এই বিবেচনা থেকে যে রাজনৈতিক দলদলগুলোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো রকম দ্বিমত নেই। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান কীভাবে নিয়োগ করা হবে সেটার নিষ্পত্তি করতে পারবো।