অর্থনীতি
চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব সিপিডির
চামড়া খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।
শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।
গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডি’র গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউলের বিচারের দাবি
উত্তরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে মাফিয়া হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্যাংকটির মতিঝিল প্রধান শাখা ঘেরাও করেছে একদল ছাত্র জনতা। এ সময় উত্তরা ব্যাংকের নানান অভিযোগে বিক্ষোভ করেন তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান বিডার
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এক ‘খোলা চিঠি’তে তিনি বলেন, চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ী, যারা তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তর বা বৈচিত্র্য আনতে আগ্রহী তাদের জন্য বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় গন্তব্য হয়ে উঠতে প্রস্তুত।
সিঙ্গাপুরের বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) সাবেক সিনিয়র ব্যাংকার আশিক চৌধুরী আরও বলেন, ‘মার্কিন নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য শুল্ক ও শুল্কহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।’
‘এই প্রেক্ষাপটে, আমরা চীনের বিনিয়োগকারী বন্ধুদের আহ্বান জানাই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের সমর্থন জানাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
‘আমরা গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিক্স, সোলার ভ্যালু চেইন এবং অটোমোটিভের মতো শিল্পে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা কর্মসূচি এবং সুবিধাসহ বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,’ বলেন তিনি।
গত মাসে বহুজাতিক ও স্থানীয় কোম্পানির অন্তত ২০০ জন প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করেছেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হবে বলে আশা জানান তিনি।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চীন-ভিত্তিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাদের ঝুঁকি এবং উত্পাদন বৈচিত্র্যময় করার ক্ষেত্রে ব্যাপক আগ্রহের কথা জানতে পেরেছি।’
চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) বৃহত্তম উৎস হয়ে উঠে। নতুন ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রবণতা বাড়বে বলে আশা জানান আশিক।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে গত এক দশক ধরে চীনা ব্যবসায়ীদের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ আমি পর্যবেক্ষণ করে আসছি। এর আগে তাদেরকে সমর্থন জানানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। নতুন মার্কিন রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে চীনা ব্যবসায়ীদের আঞ্চলিক সম্প্রসারণের প্রবণতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলডিসি উত্তরণের কারণে বাড়বে না ওষুধের দাম
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের কারণে দেশের বাজারে ওষুধের দাম বাড়বে না। তবে ওষুধশিল্পে কাঠামোগত সমস্যার সমাধান না হলে সংকট তৈরি হতে পারে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে এলডিসি উত্তরণের প্রভাব ও স্থানীয় বাজারে ওষুধের দাম’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে দাম না বাড়ার বিষয়ে একমত হন খাতসংশ্লিষ্টরা। তবে তারা বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম অনেক বাড়ার কারণে দেশের ওষুধশিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে।
এম এ রাজ্জাক বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর দেশের বাজারে ওষুধের দাম বাড়বে কিনা, এ নিয়ে ওষুধশিল্প-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি তথ্যগত গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ ২০২৩ সালে নতুন যে পেটেন্ট আইন করেছে, সেখানে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা ধরে রাখা হয়েছে। ফলে উত্তরণের পর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, তা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কী করা যাবে, তা এ আইনে বলে দেওয়া হয়েছে।
কোন পরিস্থিতিতে কী হতে পারে, তার একটি প্রক্ষেপণ দিয়েছে র্যাপিড। এ প্রসঙ্গে এম এ রাজ্জাক বলেন, যেসব ওষুধ বাংলাদেশে তৈরি হয় না, সেগুলো আমদানির সঙ্গে এলডিসি থেকে উত্তরণের সম্পর্ক নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওষুধে মেধাস্বত্ব প্রযোজ্য, এগুলোর ক্ষেত্রেও ডব্লিউটিওর বিধান অনুসারে বাংলাদেশ মেধাস্বত্ব দিতে বাধ্য নয়। পেটেন্ট আইনেও বিষয়টি সেভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ সেগুলো নিয়েও চিন্তা করতে হবে না।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর যেসব ওষুধ পেটেন্টের আওতায় আসবে, সেগুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে কী করতে হবে, তা আইনে উল্লেখ আছে। তাতে বলা হয়েছে, এসব ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলে ডব্লিউটিওর আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে ৪ শতাংশ লয়্যালটি দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশের বাজারে ওষুধের দাম ২ থেকে ৪ শতাংশ বাড়বে।
এম এ রাজ্জাক বলেন, সার্বিকভাবে বলা যায়- শুধু এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারেই কম। তবে অন্যান্য কারণে, যেমন ওষুধ তৈরির অন্যতম কাঁচামাল অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টের (এপিআই) দাম বাড়লে ওষুধের দাম বাড়তে পারে। তবে এখন রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে ওষুধ খাতে যে নগদ প্রণোদনা পায়, এলডিসি উত্তরণের পর তা দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রণোদনা কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে কিছুটা চাপ পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয় অনেক বেশি। এর মূল কারণ, এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে কম, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। র্যাপিডের সুপারিশ, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির সঙ্গে দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষুদ্র স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তন করা হোক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২২ নভেম্বর থেকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রমজানে দ্রব্যমূল্য সর্বোচ্চ সহনীয় করার চেষ্টা করবো: বাণিজ্য উপদেষ্টা
আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খাদ্যদ্রব্যসহ জিনিসপত্রের দাম সর্বোচ্চ সহনীয় করার চেষ্টা করবো বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউর প্রয়াত সদস্য সন্তানদের শিক্ষা ভাতা দেওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি ও তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতীয় মসজিদের খতিব পালিয়ে গেছেন, এমন একটি পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আজকের এ সরকার গঠিত হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ।
ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিআরইউর কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির পরিচালক ও চেয়ারম্যান (রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি) এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি। এনআরবিসি ব্যাংক অর্থনৈতিক উন্নয়নধর্মী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মানবিক অনেক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক অনেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এনআরবিসি ব্যাংক। ডিআরইউর এ ধরনের বৃত্তিমূলক কাজে সব সময় আমরা পাশে থাকবো।
কাফি