জাতীয়
শনিবার থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া

আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া। রুট ভেদে ৭ থেকে ৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ছে। বাড়ছে কনটেইনার পরিবহন ভাড়াও। বর্ধিত ভাড়ার টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।
২০ বছর পর ২০১২ সালের অক্টোবরে রেলের ভাড়া প্রায় দ্বিগুন বাড়ানো হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) শর্ত অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি বছর রেলের ভাড়া বাড়বে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নতুন ভাড়ার হার অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। আর ৭ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে আদেশ জারি করে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, রেলের যাত্রীরা ১০১ থেকে আড়াইশ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় পেতেন। সেই বিধান উঠে যাওয়ায় বর্তমানে গন্তব্যভেদে ২০ টাকা থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের দাম বেড়েছে। এসি চেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩শ’ এবং কেবিনের ভাড়া বেড়েছে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত।
দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরই মধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেয়া হয়েছে।
সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার (৪ মে) থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা। ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।
ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।
ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা। ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।
ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা। ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।
ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা। ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।
ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা। ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।
ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা। ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা। ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।
এদিকে, রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সাথে একমত নন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, মোট ভাড়ার ওপর রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে। কিন্তু নীতি নির্ধারকরা বলার চেষ্টা করছেন রেলের ভাড়া বাড়ছে না। আসলে রেলের ভাড়া বাড়ছে। এটির প্রভাব সাধারণ জনগণের ওপর পড়বে।
গণপরিবহন হিসেবে রেলের এই সুবিধা বহাল রাখা উচিত বলেও মনে করেন তারা। এখনও উন্নত বিশ্বে ট্রেন ভ্রমণে যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

জাতীয়
বাংলাদেশ আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো কিছু হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠকে বসব। বাংলাদেশের আশা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আয়োজিত এ বৈঠকে ভালো কিছু হবে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাণিজ্য উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে এ আশার বাণী শুনান।
৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক হার নির্ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেও এসব দেশের জন্য আলোচনার দরজাও খোলা রেখেছেন তিনি। আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা বলা হলেও এ নিয়ে দর-কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেন। এর আগে ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠির পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির জন্য একটি নতুন নথি পাঠিয়েছে। এই নথিগুলিতে কী রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বেশ বড় একটি নথি, এবং আমি এখনও এটি সম্পূর্ণরূপে পড়ার সুযোগ পাইনি। আমাদের পড়ে দেখতে হবে তারা কী চাইছে এবং চুক্তি হলে তারা কতটা পর্যালোচনা করতে ইচ্ছুক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আলোচনা চলমান। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।
কাফি
জাতীয়
বিগত তিন নির্বাচনকে ‘বৈধ’ বলা পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে না: সিইসি

বিগত তিন নির্বাচনকে বৈধ বলে ‘রায়’ দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি জানতে চেয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার। আমরা আমাদের প্রস্তুতির তথ্য জানিয়েছি। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা যে কাজ শুরু করব এসব বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ওনারা চান আমরা যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করি।
তিনি বলেন, এআইয়ের (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) মিসইউজ নিয়ে কথা হয়েছে। তারা এসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাজেশন দেবে। এছাড়া কানাডা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কমিটমেন্টের কথা শুনে সন্তুষ্ট। কানাডা আমাদের সহযোগিতা করবে। ব্যালট প্রকল্পে বা অন্যভাবেও সহযোগিতা করতে পারে।
নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন। ইইউসহ অনেকে চিঠি দিয়ে আমাদের জানিয়েছে। তবে বিগত তিন নির্বাচন নিয়ে যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক ‘ভালো’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাদের আমরা নেবো না।
কাফি
জাতীয়
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক-চুক্তিতে আগ্রহী ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শুল্ক-চুক্তি করতে আগ্রহী, যা দুই দেশের জন্যই একটি উইন-উইন (উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক) সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ফেসবুকে তার ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে এ কথা জানান তিনি।
জানা গেছে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠিতে এ কথা বলা হয় বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন এবং তিনি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই প্রতিনিধিদলে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠি পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বলা হয়েছে যে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এরই মধ্যে আমেরিকান কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে। আগামী ৯ জুলাই আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত আলোচনায়ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন শেখ বশিরউদ্দীন।
জাতীয়
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৭৬ হাজার ৭৬৮ হাজি

পবিত্র হজ পালন শেষে ৭৬ হাজার ৭৬৮ জন বাংলাদেশি হাজি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ফিরতি ফ্লাইটে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৮৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৯৯৩ জন হাজি। চলতি বছর হাজিদের পরিবহনে তিনটি বিমান সংস্থা যুক্ত ছিল— বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।
সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা হাজিদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৩৪ হাজার ৮ জন হাজি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৬ হাজার ৬৮৩ জন হাজি, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১০ হাজার ৩৮৮ জন হাজি, অন্যান্য এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৫ হাজার ৬৮৯ জন হাজি।
এ পর্যন্ত ২০০টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৯৮টি ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৭৪টি ফ্লাইট ও ফ্লাইনাস পরিচালনা করেছে ২৮টি ফ্লাইট।
চলতি বছর হজ পালনে গিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।
উল্লেখ্য, এবার হজযাত্রা শুরু হয় ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে যায় ৩১ মে। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
জাতীয়
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করে মুক্তিযুদ্ধের বিভ্রান্তিকর ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব অবকাঠামোতে রণাঙ্গনের কোনো বিস্তৃত বর্ণনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা নেই, কেবলমাত্র একটি পরিবারের ছবি-সরঞ্জাম দিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তিনি বলেন, ‘কোটি টাকা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে গেলেও তারা তেমন কোনো গবেষণা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাভোগী শ্রেণি হিসেবে গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সম্পত্তি, সুযোগ-সুবিধা ও অর্থকে দলীয়করণ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি অবকাঠামোতে বসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে। অরক্ষিত সম্পত্তি যেগুলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় রয়েছে; এগুলো মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পত্তিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে সদ্ব্যবহার করা যায় এবং ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়টি নিরূপণের জন্য অতিদ্রুত একজন পরামর্শক নিয়োগ এবং পরবর্তী একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ কী কী হবে, তাদের আওতাধীন সম্পত্তিগুলোতে কী কী এন্টারপ্রাইজ হতে পারে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এই ট্রাস্টকে আবার জীবন্ত করতে হবে। আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস উঠে আসে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সকলকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত/বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং আগামী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি