আন্তর্জাতিক
তিন মাসের সর্বনিম্নে ভারতীয় চালের দাম

ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য চলতি সপ্তাহে কমে তিন মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ ও নিম্নমুখী চাহিদা দাম কমাতে সহায়তা করেছে। তবে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে শস্যটির দাম প্রায় অপরিবর্তিত ছিল বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ভারতীয় ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল চলতি সপ্তাহে টনপ্রতি ৫২৮-৫৩৬ ডলারে রফতানি হয়েছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৫৩৮-৫৪৬ ডলার। গত মাসে প্রতি টনের মূল্য উঠেছিল ৫৬০ ডলারে, যা এ-যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অন্ধ্র প্রদেশভিত্তিক এক রফতানিকারক জানান, এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোয় বর্তমানে চালের চাহিদা অনেক কম। অনেক রফতানিকারক রফতানির ক্ষেত্রে কম শুল্ক দিচ্ছেন এবং কম দামেই বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।
২০২৩ সালের আগস্টে সেদ্ধ চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নয়াদিল্লি। উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় বাজারে শস্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। এর প্রভাবে তখন বিশ্ববাজারে চালের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছিল।
এদিকে ভিয়েতনাম চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৫৭৫-৫৮০ ডলারে রফতানি করছে। গত সপ্তাহেও এ দামেই রফতানি করেছে দেশটি। হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘টানা পাঁচদিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম কিছুটা ধীর হয়ে এসেছে। এ কারণেই চালের বাজারদরে উত্থান-পতন পরিলক্ষিত হয়নি।’
অন্যদিকে থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৫৮০-৫৮৫ ডলারে রফতানি করছে। গত সপ্তাহেও একই দামে রফতানি হয়েছিল শস্যটি। ইন্দোনেশিয়া থেকে চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারদর স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এশিয়ায় ২০২৪ সালে চাল উৎপাদন কমার আশঙ্কা করা হয়েছে। এল নিনোর প্রভাবে আবহাওয়ায় শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করবে, যা মাটির আর্দ্রতা কমিয়ে দেবে। ফলে এশিয়ার শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোয় ফলন ব্যাহত হবে। এতে খাদ্যপণ্যটির মজুদও কমে আসবে। সব মিলিয়ে বাজারে সরবরাহস্বল্পতার ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে।
বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারক ভারত ও দ্বিতীয় শীর্ষ সরবরাহকারী থাইল্যান্ড চলতি বছর চাল উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। ইন্দোনেশিয়ায় খরার কারণে ঠিকমতো ধান চাষ করতে পারেননি কৃষকরা। ফলে শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারক দেশটি থেকে আমদানি চাহিদা আগের চেয়ে আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য বলছে, গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বেড়ে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। শস্যটির দামে এমন উল্লম্ফনের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। এশিয়া ও আফ্রিকায় অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের অর্থনীতিতে বাড়ছে ঝুঁকি।
বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ সংকটের পেছনে অনেকগুলো বিষয়কে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। এল নিনোর কারণে আবহাওয়ার অপ্রত্যাশিত আচরণ খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কোথাও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, আবার কোথাও খরা ব্যাহত করছে শস্যটির আবাদ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া।
ভারত গত বছরের মাঝামাঝি সময় পণ্যটি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে শুরু করে। ওই সময় বাসমতী ছাড়া সব ধরনের সাদা চাল রফতানিতে দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। স্থানীয় সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতেই এ রফতানি নীতি গ্রহণ করে নয়াদিল্লি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে শস্যটির সরবরাহ সংকট দেখা দেয়।
বিশ্বের কয়েকশ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। শস্যটির এমন মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। গৃহস্থালির নিত্যদিনের ব্যয় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর অনেক পরিবার।
২০২৩-২৪ মৌসুমে চালের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস আগের মতোই অপরিবর্তিত রেখেছে আইজিসি। উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ১০ লাখ টন। শস্যটির বাণিজ্য ও ব্যবহার পূর্বাভাসে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এর মধ্যে বাণিজ্য দাঁড়াতে পারে পাঁচ কোটি টনে। আর ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫১ কোটি ৬০ লাখ টনে। মৌসুম শেষে মজুদ দাঁড়াতে পারে ১৬ কোটি ৬০ লাখ টনে।

আন্তর্জাতিক
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে চাপের মুখে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন বলে সোমবার রাতে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে নিশ্চিত করেছেন। গাজা যুদ্ধের অবসান ও সেখানে প্রায় দুই বছর ধরে আটক থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে ওয়াশিংটন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এই সফর তারই অংশ।
আগামী ৭ জুলাইয়ের এই সফর হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের পর নেতানিয়াহুর তৃতীয় ওয়াশিংটন সফর। এটি এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন ইসরাইল ও ইরান ১২ দিনের বিমান যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সফরের সময়সূচি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠকে গাজা ও ইরান ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আরেক মার্কিন কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, গাজা যুদ্ধের অবসান ও বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে ট্রাম্প দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া বৈঠকে সিরিয়ার বিষয়ও আলোচনায় আসবে।
ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার বর্তমানে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সেখানে গাজায় ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। নেতানিয়াহু সোমবার রাতে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। তবে কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
ট্রাম্প সম্প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি সম্পাদনের আশা প্রকাশ করেছেন। তবে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা চললেও দুই পক্ষের অবস্থান এখনও দূরত্বেই রয়ে গেছে। হামাস চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির দাবি জানালেও ইসরাইল সীমিত যুদ্ধবিরতির পক্ষে রয়েছে, যাতে প্রয়োজনে আবারও অভিযান চালানো যায়।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব ও নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে তারা আগের চেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন।
নেতানিয়াহুর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনায় কাতারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিতে ডারমারকে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাতার মূল চাবিকাঠি। খুব শিগগিরই অগ্রগতি হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে এটি হামাসের উপর নির্ভর করছে।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, গাজা সংঘাতের অবসান ট্রাম্পের অগ্রাধিকার। তিনি বলেছেন, ‘ইসরাইল ও গাজা থেকে আসা ছবি দেখা সত্যিই মর্মান্তিক। প্রেসিডেন্ট এর অবসান চান। তিনি জীবন রক্ষা করতে চান।’
ইসরাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘প্রথমে আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করতে হবে। এরপর গাজা সমস্যার সমাধান এবং হামাসকে পরাজিত করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমরা উভয় লক্ষ্যেই পৌঁছাবো।’
তবে তার জোটের কট্টর অংশীদাররা যুদ্ধ অব্যাহত রাখার জন্য চাপ দিচ্ছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ সোমবার বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেয়ে বড় কোনো বিপদ ইসরাইলের জন্য নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, খুনিদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা নয়। গাজায় শত্রুকে ধ্বংস করতে এবং ইসরাইলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি হুমকি দূর করতে তীব্র ও দ্রুত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’
হামাস ৫০ জন জিম্মি আটকে রেখেছে, যাদের মধ্যে ৪৯ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অপহরণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন মৃত, ২০ জন জীবিত এবং দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে ধারণা করছে ইসরাইল। হামাস ২০১৪ সালে গাজায় নিহত এক ইসরাইলি সেনার মরদেহও ধরে রেখেছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং বহু লোক নিখোঁজ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৩৪

ভারতে একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তেলঙ্গানা রাজ্যের সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাসামিলারাম শিল্প এলাকায় একটি চুল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ এসব হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিগাচি কেমিক্যালস কারখানায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় হতাহত চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে; বাকি ২৩ জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিকমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডিতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার সকালে ওই রাসায়নিক কারখানা থেকে হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে দেখেন, কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে ১০০ মিটার দূরে পড়েছে। ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু ক্রমশ মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তখনই উদ্ধার হতে থাকে একের পর এক মরদেহ।
তেলঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজানরসিং জানান, বিস্ফোরণের কারণে কারখানাটির ছাদ উড়ে যায়। সেখানে সেই সময় কাজ করা অনেক শ্রমিকের মরদেহ প্রায় ১০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় কারখানাটিতে ৯০ জন কাজ করছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণেই ওষুধের সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না-হলে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যেই ‘পূর্ণাঙ্গ এবং স্বচ্ছ’ তদন্ত চেয়ে তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে বিরোধী ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। এই ঘটনায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত ছাড়াও শোকপ্রকাশ করেছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মাও।
কাফি
আন্তর্জাতিক
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ, রেড অ্যালার্ট জারি

ইউরোপজুড়ে চলছে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, গ্রিসসহ বহু দেশে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ মাত্রার তাপ সতর্কতা। ফ্রান্সসহ ইউরোপের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ফ্রান্সজুড়ে বড় আকারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্যারিসসহ ফ্রান্সের ১৬টি অঞ্চলে সর্বোচ্চ ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
এছাড়া আরো ৬৮টি অঞ্চলে রয়েছে কম ঝুঁকির ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’।
সোমবার ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডের ৯৬টির মধ্যে ৮৪টি অঞ্চলে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি ছিল। দেশটির জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী এটিকে ‘নজিরবিহীন পরিস্থিতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ক্রোয়েশিয়াসহ বলকান অঞ্চলের দেশগুলোর কিছু অংশেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর বাইরে তুরস্কে দাবানল দেখা দিয়েছে।
স্পেন এবং পর্তুগাল দুই দেশেই সপ্তাহান্তে জুন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উষ্ণতম দিন হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। অনেক দেশেই জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জনসাধারণকে যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে থাকার থাকতে বলা হয়েছে।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপের বিভিন্ন অংশে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ায় ফ্রান্স জুড়ে প্রায় ২০০টি স্কুলের কোনোটি বন্ধ কোনোটি আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি তাপদাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্যারিসের স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টা থেকে ফ্রান্সের রেড অ্যালার্ট কার্যকর হবে। তীব্র তাপপ্রবাহে রোববার দক্ষিণ কর্বিয়েরেস পর্বতমালায় বেশ কয়েকটি বনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটনাও ঘটেছে। ওইসব এলাকার লোকজনকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একটি মোটরওয়ে।
সেখানকার কর্মকর্তারা ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এরই মধ্যে ইতালির ২১টি শহরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রোম, মিলান, ভেনিস ও সার্ডিনিয়া দ্বীপ।
ইতালির জরুরি চিকিৎসা সেবা বিভাগের সহ-সভাপতি মারিও গুয়ারিনো সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতা ও হিটস্ট্রোকের ঘটনা ১০ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার যুক্তরাজ্যের কিছু অংশে জুন মাসের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতমের কাছাকাছি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ওইদিন যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে, ৩৩ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে উইম্বলডনে তাপমাত্রা ছিল ৩২.৯ ডিগ্রি, যা টেনিস টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম দিন।
তাপ সতর্কতা রয়েছে স্পেনেও। যেখানে এবারের জুন হতে পারে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। একই রকম পরিস্থিতি পর্তুগালেও। রাজধানী লিসবনসহ সাতটি জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে।
জার্মানির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার ও বুধবার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। এটি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জার্মানির রাইন নদীর পানি কমে গেছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে পণ্যবাহী জাহাজে মালামাল পরিবহন কঠিন হয়ে পড়েছে। জাহাজগুলোকে কম পণ্য নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যে কারণে পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে।
বলকান অঞ্চলের দেশগুলোও তীব্র গরমে ভুগছে। যদিও কিছু কিছু এলাকার তাপমাত্রা একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। ইউরোপের পাশেই তুরস্কে উদ্ধারকারীরা ৫০ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নিয়েছে। বেশিরভাগই দেশটির পশ্চিমে অবস্থিত ইজমির থেকে লোকদের সরানো হয়েছে। দমকল কর্মীরা এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
ঘন্টায় ১২০ কিমি বা ৭৫ মাইল বেগে বাতাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। ক্রোয়েশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। সেখানকার উপকূলীয় এলাকায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। পাশের দেশ মন্টিনেগ্রোতেও তীব্র তাপমাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গ্রিসে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছে। রাজধানী এথেন্সের আশেপাশের উপকূলীয় এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হয়েছে, অনেকে নিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বুধবার ছিল সার্বিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশের অনেক অংশে চরম খরা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজধানী সারায়েভোতে রেকর্ড ৩৮দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। শনিবার স্লোভেনিয়ায় জুন মাসের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার উত্তর ম্যাসেডোনিয়ার রাজধানী স্কোপজেতে তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। এই তাপপ্রবাহ শুধু স্বাস্থ্য নয়, পরিবেশেও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এড্রিয়াটিক সাগরের উষ্ণ পানিতে বিষাক্ত ‘লায়নফিশ’ প্রজাতির মতো বিষাক্ত মাছের দেখা মিলছে। এর পাশাপাশি পাহাড়ি হিমবাহগুলো আরও দ্রুত গলতে শুরু করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, এই তাপপ্রবাহ দেখিয়ে দিচ্ছে যে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রস্তুত হতে হবে। এবং জীবাশ্ম জ্বালানির মতো দূষণকারী শক্তির ব্যবহার কমাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, বন্যা, খরা ও দাবানল, এসব আমাদের জীবনের অধিকার, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত অধিকার হুমকির মুখে ফেলছে।’
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেলের মতে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে তাপপ্রবাহ ক্রমশ বাড়ছেই।
এতে বলা হয়েছে, পৃথিবী উষ্ণ হতে থাকলে তীব্র গরম আবহাওয়া আরও ঘন ঘন ঘটবে। ধীরে ধীরে এটি আরো তীব্র হবে। যত উষ্ণ হচ্ছে, তত বেশি এবং তীব্র গরম দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছে তারা।
যুক্তরাজ্যের রিডিং ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া বিজ্ঞানী রিচার্ড অ্যালান বলছেন, গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর পক্ষে অতিরিক্ত তাপ বের করে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাস আরও বেশি শুকনো হয়ে গেছে। ফলে মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মাঝারি মাত্রার গরমও এখন ভয়াবহ তাপপ্রবাহে পরিণত হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক
২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুঝুঁকি

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম ইউএসএআইডি বাতিল করার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ, যার এক-তৃতীয়াংশ শিশু, মারা যেতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ‘দ্য ল্যানসেট’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি এমন এক সময়ে এলো, যখন বিশ্ব ও ব্যবসায়িক নেতারা স্পেনের সেভিয়ায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ত্রাণ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে ইউএসএআইডি বিশ্ব মানবিক সহায়তার ৪০ শতাংশের বেশি দিত। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ইউএসএআইডিকে ‘উডচিপারে’ ফেলার দম্ভোক্তি করেছিলেন।
গবেষণার সহলেখক এবং বার্সেলোনার গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের (আইএসগ্লোবাল) গবেষক দাভিদে রাসেলা বলেন, “এই তহবিল কর্তন ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুই দশকের অগ্রগতি হঠাৎ থামিয়ে দিতে বা উল্টো পথে নিয়ে যেতে পারে। অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য এটি বৈশ্বিক মহামারি বা বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘর্ষের সমান ধাক্কা হতে পারে।”
১৩৩টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ইউএসএআইডি তহবিল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৯ কোটি ১০ লাখ মৃত্যুরোধ করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি তহবিলে ৮৩ শতাংশ কর্তনের ঘোষণা দেওয়ার পর গবেষকরা মডেল ব্যবহার করে মৃত্যুহারের সম্ভাব্য প্রভাব অনুমান করেন।
প্রকল্প অনুযায়ী, তহবিল কর্তনের ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে না, যার মধ্যে ৪৫ লাখের বেশি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকবে, অর্থাৎ বছরে প্রায় ৭ লাখ শিশু মারা যেতে পারে। তুলনামূলকভাবে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি সেনা নিহত হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, ইউএসএআইডি সহায়তাপ্রাপ্ত দেশগুলোতে মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ কমেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই হ্রাসের হার দ্বিগুণ, ৩২ শতাংশ। বিশেষ করে এই সহায়তা এইডস, ম্যালেরিয়া এবং উপেক্ষিত ট্রপিক্যাল রোগজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে।
তবে ইউএসএআইডি তহবিল কমানোর পর জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দাতা দেশও তাদের বৈদেশিক সহায়তা বাজেট কাটার ঘোষণা দিয়েছে। আইএসগ্লোবালের ক্যাটেরিনা মন্টি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর এই তহবিল কর্তনের ফলে আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি মৃত্যু হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, যদি বৈশ্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুত পরিমাণ বাড়ানো যায়, তাহলে এই মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব। ইউএসএআইডির তহবিল কর্তনের আগে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যয়ের মাত্র ০.৩ শতাংশ ছিল। একজন সহলেখক বলেছেন, “মার্কিন নাগরিকরা প্রতিদিন প্রায় ১৭ সেন্ট ইউএসএআইডিতে অবদান রাখেন, যা বছরে প্রায় ৬৪ ডলার। এই সামান্য অবদানের মাধ্যমে কোটি কোটি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব, যা জানলে বেশিরভাগ মানুষ এই তহবিল চালু রাখার পক্ষে মত দিতেন।”
গবেষক রাসেলা বলেন, “এখনই তহবিল কমানোর নয়, বরং বাড়ানোর সময়।”
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করলেন ইলন মাস্ক

আলোচিত সেই বিল নিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ইলন মাস্ক বলেন, ট্রাম্পের কর এবং ব্যয়ের কাটছাঁট সংক্রান্ত বিল দেশকে অনিয়ন্ত্রিত ঋণের পথে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা এবং এখন সময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের।
যে বিলটির কথা মাস্ক বলছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ঋণসীমা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। মাস্ক এই পরিকল্পনাকে ‘পাগলামী পর্যায়ের খরচ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, যদি এই পাগলামিপূর্ণ ব্যয় বিল পাস হয়, তাহলে পরদিনই ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হবে।
তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এখন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান ইউনিপার্টির বাইরে একটি বিকল্প দল দরকার, যাতে জনগণের আসল কণ্ঠস্বর উঠে আসতে পারে।
এর আগেও এই বিল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন মাস্ক।
এদিকে মাস্কের মন্তব্যের পরে টেসলার শেয়ারমূল্য বড় ধরনের পতনের মুখে পড়ে। যদিও পরে শেয়ার দর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। এই ঘটনা বাজারে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতাদের প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা দেখিয়ে দিয়েছে।