গণমাধ্যম
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
![বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/world-news-1.jpg)
আজ ৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। ১৯৯১ সালে ইউনেসকোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অর্থাৎ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেশের সাংবাদিকরা পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।
গণমাধ্যম হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রবাহের মাধ্যম হচ্ছে সংবাদপত্র। পরবর্তীতে এর সঙ্গে রেডিও, টেলিভিশন জনপ্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে যুক্ত হয়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠকদের মধ্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
সাধারণত মুক্ত গণমাধ্যম বলতে বোঝায়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কোনো প্রকার হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হবে না। ভয়ভীতি ছাড়া তারা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি তাদের তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকবে।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে; কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধে মতামত পোষণ করা এবং রাষ্ট্রীয় সীমানানির্বিশেষে যেকোনো মাধ্যমের মারফতে তথ্য ও ধারণাগুলো জানা বা অনুসন্ধান, গ্রহণ ও বিতরণ করা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।’
বাংলাদেশের সংবিধানেও চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্-স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা’ শিরোনামে সংবিধানের ৩৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল। (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের এবং (খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হইল।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমকে একটা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাই একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যাতে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে সে জন্য সাংবাদিকরা যেন বিনা বাধায় এবং নিরাপদ পরিবেশে যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর সাংবাদিকদের প্রকৃত স্বাধীনতা ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সুদূর পরাহত।
শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সাংবাদিকরা কমবেশি ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রভাবশালী মহলের চাপ, হামলা-মামলা, রাজনৈতিক হুমকির কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধার সম্মুখীন হতে হয়। মাঠপর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে কম যান না। সুযোগ পেলেই তারা সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অপব্যবহারও হয়ে থাকে। অথচ বর্তমান সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের’ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই।
কেননা, গণমাধ্যম ব্যক্তির মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে। তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জনমত গঠনেও গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এ ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্যও অত্যাবশ্যক। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজের বিকাশ ও উন্নয়নের শক্তিশালী ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। সংবাদপত্র কেবলমাত্র সংবাদ পরিবেশন করে না। সমাজের সার্বিক বিকাশ সাধনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সংবাদপত্র গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্র ব্যাহত হলে, কোথাও দুর্নীতি হলে গণমাধ্যম সবার আগে সোচ্চার হয়ে ওঠে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের মতো নানা সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে চেতনার জাগরণ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সমাজকে ইতিবাচক উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতারও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্বাধীনতার অর্থ এই নয়, যা ইচ্ছে তা করা বা লেখা। সাংবাদিকরা দায়বদ্ধতার ঊর্ধ্বে নন। দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি, আইনের প্রতি, স্বীয় বিবেকের প্রতি, নীতি-নৈতিকতার প্রতি অবশ্যই তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ করে বস্তুনিষ্ঠ লেখনী ও সঠিক এবং পরিপূর্ণ তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে তারা এই দায়বদ্ধতা মেনে চলবেন।
গণমাধ্যমের প্রধান সম্পদ হচ্ছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা, যা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। তবে নানা কারণে আমাদের দেশের গণমাধ্যম তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে বসেছে। সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদার প্রশ্নে এটি মোটেও সুখকর নয়। কাজেই হলুদ সাংবাদিকতা, অপসাংবাদিকতা কিংবা দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা যেন কোনোভাবেই তাদের স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আবার এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই- অনেকেই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এটাকে প্রোপাগান্ডা যন্ত্রে পরিণত করছেন। কিছু কিছু গণমাধ্যম একপেশে কিংবা পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিকদের একটি প্রতিবেদন তৈরি করার সময় সর্বদা মনে রাখতে হবে- ‘A half-truth is even more dangerous than a lie (অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়েও ভয়ংকর)। সুতরাং ‘সত্য কথা লিখতে শিখো ফুঁ দিয়ে ফুলিয়ে নয়, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে’- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই অমর বাণী তাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে।
বর্তমান জমানায় নিয়ন্ত্রণহীন ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই গুজব বা ভুল তথ্য ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সমাজ গঠনে ওই সব গুজব, মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার রোধে মুক্ত গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক।
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এটি মেধা ও মননের পেশা, অধ্যয়ন ও অধ্যবসায়ের পেশা; কিন্তু এ পেশায় নিয়োজিত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সব মহলেরই রয়েছে উদাসীনতা।
অন্যদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য সাংবাদিক হত্যার শিকার হচ্ছেন। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)-এর তথ্যমতে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ৯৯ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭৭ জনই গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে জীবন হারান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
গণমাধ্যম
রামপুরায় বিটিভির কার্যালয়ে আগুন
![রামপুরায় বিটিভির কার্যালয়ে আগুন ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/BTV-bangladesh-television1.jpg)
রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ক্যানটিন, রিসিপশন ও গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে সঠিক তথ্য না প্রচার করা ও সরকারের পক্ষে নিউজ করার অভিযোগ তুলে এ হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা।
বিটিভির ক্যান্টিন, রিসিপশন ও গাড়িতে আগুন দেয় তারা। বাড্ডায় চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এদিকে মিরপুর-১০ এ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যেই গোলচত্বর পুলিশ বক্সে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এরপরই পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
কিন্তু পরক্ষণেই শিক্ষার্থীরা আবার মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দিক থেকে এলে পুলিশ আবার সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ায়শেল নিক্ষেপ করে। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বর্তমানে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে আছেন এবং থেমে থেমে সংঘর্ষ হচ্ছে।
এদিকে, ইসিবি চত্বরেও মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা কিছুটা পিছু হটলেও পরে আবার তারা সংগঠিত হয়ে ফিরে আসেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কাল
![জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কাল ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/grenade-attack1.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় ২২ সাংবাদিক হামলা, রক্তাক্ত জখমের শিকার হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়ে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আজ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংগঠনের নেতারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে। বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম কর্মসূচিতে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সূত্র উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনরত ছাত্রদের হাতে শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকেরা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। শাহবাগে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সময় টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ত্বোহা খান তামিম ও রাশেদ বাপ্পী, ভিডিও জার্নালিস্ট সামছুল আরেফিন, সুমন সরকার, সালাউদ্দিন আল মামুন আহত হন। সোম ও মঙ্গলবার সময় সংবাদের চিত্রসাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, সময় সংবাদের রংপুরের রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেল ও চিত্রসাংবাদিক তারিকুল ইসলাম, বগুড়ার রিপোর্টার আবদুল আউয়াল, সময় টিভি অনলাইনের দুই প্রতিবেদক মহির মারুফ ও আবু সাঈদ নিশানও হামলার শিকার হন।
এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় একুশে টিভির জুবায়ের আহমেদ, বণিক বার্তার মেহেদি মামুন, দৈনিক বাংলার আবদুর রহমান, জনকণ্ঠের ওয়াজহাতুল ওয়াস্তি, বাংলা ট্রিবিউনের এস এম তাওহীদ, সময়ের আলোর মুকফিকুর রিজওয়ান, দ্য সাউথ এশিয়ান নিউজের সাকিব আহমেদ, যুগান্তরের মোসাদ্দেকুর রহমান এবং বাংলা ট্রিবিউনের স্টাফ রিপোর্টার আরমান ভূঁইয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আহত হন জনকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার মোতাহার হোসেন ও পত্রিকার চিত্রসাংবাদিক সুমন্ত চক্রবর্তী।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকেরা পুলিশ ও সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনেও তাঁরা পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তাঁদের ওপর আক্রমণ খুবই উদ্বেগের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বিএফইউজের গভীর উদ্বেগ
![সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বিএফইউজের গভীর উদ্বেগ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/BFUJ1.jpg)
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। বুধবার (১৭ জুলাই) বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন,সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির সংবাদ সংগ্রহে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকরা হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তারা বলেন, আন্দোলন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে দেশের নানা স্থানে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন। গণমাধ্যমের ক্যামেরা গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের হামলার শিকার হওয়া কোনোভাবেই সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। আমরা এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবি জানান তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ
![সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Editors-council.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। আজ মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সই করা এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে সরকার, সব ছাত্রসংগঠন ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
গত দুই দিনে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক আহত বা হামলার শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করে সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকেরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচির খবর সংগ্রহ এবং তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেন। এ দায়িত্ব পালনে তাঁদের ওপর আক্রমণ বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া খুবই উদ্বেগের।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের তথ্য তুলে ধরে সম্পাদক পরিষদ গত দুই দিনে (১৫ ও ১৬ জুলাই) দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বণিক বার্তার প্রতিনিধি মেহেদী মামুন, দৈনিক বাংলায় আবদুর রহমান, বাংলাদেশ টুডের জোবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোর মুশফিকুর রিজওয়ান, বিডিনিউজ২৪ ডটকমের হাসিবুর রহমান, দৈনিক জনকণ্ঠ–এর ওয়াজহেতুল ইসলাম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও একটি অনলাইন পোর্টালের সাকিব আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত ব্যক্তিরা হলেন দ্য ডেইলি স্টার–এর আলোকচিত্রী প্রবীর দাস, প্রথম আলোর আলোকচিত্রী দীপু মালাকার, জনকণ্ঠ–এর আলোকচিত্রী সুমন্ত চক্রবর্তী, পত্রিকাটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন, ভোরের পাতার পুলক রাজ ও আমার সংবাদের মিরাজ উদ্দিন।
চট্টগ্রামের ষোলশহরে আহত হন সারাবাংলাডটনেটের আলোকচিত্রী শ্যামল নন্দী, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান রুনা আনসারি। দিনাজপুরে সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শিমুল ও বিজয় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মোস্তফা এবং বগুড়ায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও ব্যুরোপ্রধান মেহেরুল সুজন, দৈনিক করতোয়ার আলোকচিত্রী সফিকুল ইসলাম, ইত্তেফাক–এর আলোকচিত্রী বিমু রহমান ও গাজী টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন এনামুল হক প্রমুখ আহত হন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
বিটিভির তিন জেলা প্রতিনিধিকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ
![বিটিভির তিন জেলা প্রতিনিধিকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/BTV-bangladesh-television1.jpg)
বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিকে বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি সরকারি এ চ্যানেলটিকে মানসম্মত অনুষ্ঠান পরিবেশন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কমিটির সদস্য আলী আজম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, মো. আফজাল হোসেন, মো. আবদুচ ছালাম এবং ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য মানসম্মত অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে বলা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে বিজ্ঞাপন রেটের তুলনামূলক চিত্র ও বিটিভি থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পেশ করা প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে।
বৈঠকে বিটিভির জেলা প্রতিনিধিদের ব্যাপারে কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং সিলেট, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁদপুর জেলার প্রতিনিধি পরিবর্তনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের ডকুমেন্টস স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
এমআই